ভূমিকম্প হলে আমাদের করণীয়

আপনি কি ভূমিকম্প নিয়ে আতঙ্কে আছেন? ভূমিকম্পের ব্যাপারে সচেতন হতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকের এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন ভূমিকম্প হলে আমাদের করণীয় সম্পর্কে।
ভূমিকম্প হলে আমাদের করণীয়

“দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা” এর আজকের পর্বে আমরা জানার চেষ্টা করব ভূমিকম্প হলে আমাদের করণীয় সম্পর্কে। “করণীয়” বলতে এখানে মূলত সচেতনতামূলক কিছু পদক্ষেপ কে বুঝানো হয়েছে।

ভূমিকম্প হলে আমাদের করণীয়

বাংলাদেশে বিভিন্ন রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা যায় যেমন বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, ভূমিকম্প ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যে ভূমিকম্প সবচেয়ে মারাত্মক। কারণ বাকি প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস পাওয়া গেলেও একমাত্র ভূমিকম্পের কোন পূর্বাভাস পাওয়া যায় না। তাছাড়া বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়ার মত কোন যন্ত্র আবিষ্কার করতে পারেননি। 

তাই বেশি মাত্রার ভূমিকম্প হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও অনেক বেশি হয়। যে কোন মুহূর্তে ভূমিকম্প হতে পারে এবং এর ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানোর লক্ষ্যে ভূমিকম্প হলে আমাদের করণীয় সম্পর্কে অবশ্যই জানতে হবে। মনে রাখতে হবে যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ বা প্রতিহত করা সম্ভব নয়। তবে সচেতনতাই পারে এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে জান এবং মালের ক্ষতি সাধন অনেকটা কমাতে। 

ভূমিকম্পের দুর্যোগ মোকাবেলায় সচেতনতা হিসেবে আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ করণীয় রয়েছে। তবে এ করণীয় গুলোকে প্রধানত তিনটি অংশ ভাগ করা যেতে পারে - ভূমিকম্পের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে করণীয়, ভূমিকম্পের সময় করণীয় এবং ভূমিকম্প পরবর্তী সময়ে করণীয়। তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে বিস্তারিত জেনে নেই।

পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে করণীয়

যেহেতু ভূমিকম্প হঠাৎ করে সংঘটিত হয় তাই এরূপ অবস্থায় পড়লে কি করা উচিত সে সম্পর্কে আমরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ি। তাই হঠাৎ ভূমিকম্পের কবলে পড়লে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাতে কম হয় সে জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। যেমন -
    • ভূমিকম্পের অগ্রিম বার্তা জানানোর মত কোন যন্ত্র এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি বিধায় ভূমিকম্প সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানুন। যেমন ভূমিকম্পের সময় কি ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় এবং পরবর্তী সময়ে কি কি কাজ করার প্রয়োজন পড়ে তা আগেই জেনে রাখুন এবং পরিবারের সদস্যদের জানান।
    • ভূমিকম্প কখন হবে সেটি একমাত্র সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কেউ জানে না। তাই ভূমিকম্পের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে শুকনো খাবার যেমন চিড়া, মুড়ি, বিস্কিট ইত্যাদি এবং পানি মজুদ রাখুন সবসময়। এর পাশাপাশি প্রাথমিকভাবে চিকিৎসার সরঞ্জামাদি প্রস্তুত রাখুন বিশেষ করে ‘ফার্স্ট এইড বক্স’।
    • ভূমিকম্পে জান এবং মালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করুন এবং প্রশিক্ষণ লব্ধ জ্ঞান পরিবারের সদস্যদের জানান। ভূমিকম্প সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ নেয়ার সবচাইতে উপযুক্ত নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।
    • আপনি যে এলাকায় বসবাস করেন সেটি কতটুকু ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা, ভূমিকম্প হলে ঝুঁকি কতটা এবং সেই এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে নিজে অবহিত হন এবং পরিবারের সদস্যদের অবহিত করুন।
    • আপনার এলাকা যদি ভূমিকম্প প্রবণ এলাকার আওতায় পড়ে এবং ভূমিকম্পে যথেষ্ট ঝুঁকি থাকে তবে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করুন।
    • ভূমিকম্প চলাকালীন সময়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থল সম্পর্কে জেনে রাখুন এবং পরিবারের সদস্যদের জানান।
    • বাসার আশেপাশে যদি কোন আশ্রয় কেন্দ্র না থাকে তবে ভূমিকম্পের সময় কোন স্থানে আশ্রয় নিবেন পরিবারের সবাইকে জানিয়ে রাখুন।
    • ভূমিকম্পের সময় বাসায় থাকতে হলে কিভাবে অবস্থান করবেন অথবা বাসা থেকে বাইরে বের হওয়ার প্রস্তুতি, সিঁড়ি দিয়ে নামবেন কিভাবে, ভবন থেকে বের হয়ে অবস্থান করবেন কোথায় এবং কিভাবে তার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে রাখুন।
    • আবাসিক ভবনের এবং বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সচেতন হতে হবে। “বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ২০০৬” অনুসরণ করে ভবন নির্মাণ করুন এবং ভূমিকম্পের ঝুঁকি হ্রাস করুন।
    • ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস এবং বিদ্যুৎ সংযোগ এর মাধ্যমে ভূমিকম্পের সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। তাই এগুলোর পাশাপাশি পানি সংযোগও ঠিক আছে কিনা তা মাঝেমধ্যে পরীক্ষা করে দেখুন।
    • জরুরী ফোন নাম্বার যেমন ফায়ার স্টেশন, হাসপাতাল ও বিভিন্ন স্বাস্থ্য সেবার নম্বর ডায়েরি এবং মোবাইল ফোনে সংরক্ষণ করুন। সম্ভব হলে বাড়ির দৃশ্যমান যেকোনো স্থানে লিখে রাখুন। দুর্ঘটনার সময় মোবাইল ফোন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ডায়েরি থেকে সহজে জরুরি সেবার নম্বর পেয়ে যাবেন।
    • ব্যবসায়িক ভবন, বহুতল ভবন, স্কুল, কলেজ, মার্কেট হোটেল ইত্যাদি ভবনের সিঁড়ি প্রশস্ত করার পাশাপাশি যেন জরুরী অবস্থায় দ্রুত ব্যবহার যায় তার ব্যবস্থা করুন।
    • আমাদের সকলের মনে রাখা উচিত ভূমিকম্প নিজে কখনো কোন মানুষকে আঘাত করে না। ভূমিকম্পের কারণে ঘরবাড়ি, দুর্বল স্থাপনা ত্রুটিপূর্ণ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণেই মানুষ এবং সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়।
    • সচেতনতা এবং যথাযথ প্রস্তুতি ভুমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমিয়ে আনতে পারে। তাই জনসচেতনতা এবং সকল রকমের পূর্ব প্রস্তুতি ভূমিকম্প মোকাবেলার উত্তম উপায়।
ভূমিকম্প হলে আমাদের করণীয়

ভূমিকম্পের সময় করণীয়

ভূমিকম্পের মুহূর্তে নিজের জান বাঁচানোর জন্য কি করা উচিত এগুলো যদি আমাদের আগে থেকেই জানা থাকে এবং এসব বিষয়ে যদি আমরা সচেতন থাকি তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই কমে আসে। যেমন - 
    • ভূমিকম্পের সময় সবচেয়ে জরুরি কাজ হলো আতঙ্কিত না হয়ে শান্ত থাকা। আতঙ্কিত হয়ে পড়লে অনেক সহজ এবং প্রয়োজনীয় কাজও করা হয় না।
    • কোন ভবনের নিচ তলায় অবস্থান করলে ভূমিকম্প অনুভূত হলে শান্ত থেকে দ্রুত বাইরে খোলা জায়গায় বের হয়ে যান।
    • যদি ভবনের উপর তলায় থাকেন তবে সিঁড়ি দিয়ে নামার পর্যাপ্ত এবং নিরাপদ ব্যবস্থা থাকলে দ্রুত নিচে নেমে খোলা জায়গায় অবস্থান করুন।
    • উপর তলায় থাকাকালীন অবস্থায় সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা যদি না থাকে সে ক্ষেত্রে ঘরের নিরাপদ আশ্রয় স্থানে অবস্থান করুন যেমন দরজার চৌকাঠের নিচে বা পিলারের কাছে দাঁড়িয়ে থাকুন।
    • শক্ত এবং মজবুত আসবাব যেমন টেবিল বা খাটের নিচে অবস্থান করুন। আসবাবের নিচে অবস্থান করার সুযোগ না থাকলে বিছানার উপরে মাথার উপর বালিশ দিয়ে শুয়ে পড়ুন।
    • কখনোই উঁচু ভবনের ছাদে অবস্থান করবেন না। তাছাড়া জানালা বা বারান্দা দিয়ে নিচে লাফ দেওয়ার চেষ্টা করবেন না, এতে নিশ্চিতভাবে জীবনহানীর আশঙ্কা থাকে।
    • ভূমিকম্পের সময় রান্নাঘরে রান্নার কাজে অবস্থান করলে দ্রুত গ্যাসের চুলার সুইচ বন্ধ করে বের হয়ে আসুন। সম্ভব হলে সিলিন্ডারের রেগুলেটর খুলে রাখুন।
    • ভূমিকম্প হচ্ছে বুঝতে পারলে যত দ্রুত সম্ভব বাড়ির বিদ্যুতের মেইন সুইচ বন্ধ করুন।
    • ভূমিকম্পের সময় নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে কখনোই লিফটে অবস্থান করবেন না। আর লিফটে অবস্থানকালে যদি ভূমিকম্প শুরু হয় দ্রুত লিফট থেকে বের হয়ে কোন পিলারের পাশে অবস্থান করুন।
    • বাড়ির বাইরে থাকলে উঁচু ভবন, গাছপালা এবং বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। সম্ভব হলে খোলা মাঠে অবস্থান করুন।
    • যেকোনো ধরনের যানবাহন চালানোর সময় উঁচু ভবন, বৈদ্যুতিক খুঁটি, গাছপালা থেকে দূরে যানবাহন থামিয়ে তার ভেতরে অবস্থান করুন। ভূমিকম্প না থামা পর্যন্ত বের হবেন না।
    • যানবাহনে থাককালীন অবস্থায় ভূমিকম্প শুরু হলে সাধারণ ব্রিজ, কালভার্ট, ওভারব্রিজ, ফ্লাইওভার অতিক্রম করবেন না।
    • বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় প্রথমে একটি কম্পন হওয়ার পর থেমে গিয়ে কিছুক্ষণ পর পুনরায় ভূমিকম্প শুরু হয়। এরকম অবস্থায় প্রথম কম্পনের সময় বাইরে বের হয়ে এসে নিরাপদ অবস্থা বিরাজ না করা পর্যন্ত ভবনে প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকুন।
    • বেশ কিছু সময় ধরে ভূমিকম্প চলমান থাকলে উদ্ধারকারীদের বিশেষ করে ফায়ার সার্ভিসে ফোন করে আপনার অবস্থান জানিয়ে উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করতে পারেন।
    • যদি ভূমিকম্পের সময় ভাঙ্গা দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে যান এবং বের হওয়ার সুযোগ না পান তবে বেশি নড়াচড়া করে বের হওয়ার চেষ্টা করবেন না শারীরিক ক্ষতি হতে পারে। শান্ত থেকে ধীর স্থির ভাবে উদ্ধার কর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করুন।
    • ভূমিকম্পের ফলে কোন বিধ্বস্ত ভবনের নিচে আটকা পড়লে আপনার ডাক বা চিৎকার যদি উদ্ধার কর্মীরা শুনতে না পায় তবে হাতের কাছে থাকা ইট বা শক্ত কিছু তারা অনবরত মেঝেতে বা দেয়ালে শব্দ করে উদ্ধারকর্মীদের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করুন।

ভূমিকম্প পরবর্তী সময় করণীয়

ভূমিকম্পের পরবর্তী সময়ে দুর্ঘটনা যা ঘটার তা তো ঘটেই যায়। তবে শেষ চেষ্টা হিসেবে এর পরেও আমাদের কিছু করার থাকে। যেমন -
    • পূর্বেই বলা হলো প্রথমবার কম্পনের পর কিছুক্ষণ পরে আবার ভূমিকম্প অনুভূত হতে পারে। প্রথমবার কম্পনের সময় কোন ভবনের ভেতরে অবস্থান করলে থেমে যাওয়ার পরে সাথে সাথে সিঁড়ি দিয়ে ধীরে সাবধানতার সাথে বাইরে বের হয়ে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করুন।
    • ভূমিকম্প থেমে যাওয়ার পরে যেকোনো ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য কিংবা গ্যাসের গন্ধ পেলে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন। সম্ভব হলে দ্রুত ভবন ত্যাগ করুন এবং ফায়ার সার্ভিসে ফোন দিন।
    • আপনি যদি সুস্থ থাকেন এবং আপনার সামনে কেউ যদি ভূমিকম্পে গুরুতর আহত হয় তবে তার প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থায় সহযোগিতা করুন।
    • ভূমিকম্পের সময় বা পরে ভবন থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরেও বৈদ্যুতিক খুঁটি, উচু ভবন, গাছপালা থেকে দূরে থাকুন। কারণ ভূমিকম্পের সময় এগুলোতে ফাটল ধরলেও পরবর্তীতে ভেঙে পড়তে পারে।
    • একইভাবে ব্রিজ, কালভার্ট, সেতুর নিচে, ফ্লাইওভার, ওভার ব্রিজ এর আশেপাশে বা নিচে অবস্থান করা থেকে বিরত থাকুন। দ্বিতীয়বার ভূমিকম্পে এসব স্থাপনা সহজেই ভেঙে পড়তে পারে।
    • সরকারিভাবে ঘোষণা না আসা পর্যন্ত কিংবা উদ্ধারকারী সংস্থা দ্বারা অবস্থার উন্নতি এবং নিরাপত্তার বিষয়ে অবহিত না হওয়া পর্যন্ত ভবনে প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকুন।
    • ভূমিকম্প পরবর্তী সময়ে ভূমিকম্পের তীব্রতা এবং কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, উদ্ধার কাজ ও সাহায্য সহযোগিতা সহ সামগ্রিক বিষয়ে তথ্যের জন্য সুযোগ থাকলে রেডিও অথবা মোবাইল ফোনের এফএম রেডিও ব্যবহার করতে পারেন।
    • ভূমিকম্প পরবর্তী পর্যায়ে ধ্বংস স্তুপের নিচে আটকা পড়া মানুষদের উদ্ধারে যতটা সম্ভব সহযোগিতা করুন।
ভূমিকম্প হলে আমাদের করণীয়

পরিশেষে
সচেতন থাকা এবং সাবধানতা হিসেবে উপরে আলোচিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়া ছাড়া ভূমিকম্প মোকাবেলায় আপাতত আর কিছু করার নেই। উপরের করণীয় গুলো সাবধানতার সাথে মেনে চললে ভূমিকম্প হলে ভবন অথবা আসবাবপত্রের ক্ষতি হয়তো আমরা এড়াতে পারবো না তবে অনেক জীবন বেঁচে যেতে পারে। 
তাছাড়া “বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ২০০৬” অবশ্যই মেনে চলতে হবে। এতে করে পরিকল্পিত নগরায়ন যেমন কমবে তেমনি ভূমিকম্পে ভবনের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও কমে আসবে। তাছাড়া ভবনের সামনে উপযুক্ত রাস্তা থাকলে ভূমিকম্পের ফলে ভবনের ধ্বংস স্তূপ থেকে মানুষকে উদ্ধার করার জন্য ফায়ার সার্ভিসের যানবাহন যাতায়াত করতে পারবে।

যাইহোক, ভূমিকম্প হলে আমাদের করণীয় সম্পর্কে উপরে সহজ ভাষায় আলোচনা করা হলো। জীবন বাঁচাতে হলে আমাদের অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে, সচেতনতার বিকল্প নেই। আপনাদের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তী নতুন কোন টপিক নিয়ে হাজির হব। লেখা থেকে যদি বিন্দুমাত্র উপকৃত হয়ে থাকেন তবে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আর লেখায় কোন ভুল ত্রুটি থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুবিন পিডিয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url