২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার মোবাইল

৩০ হাজার টাকা বাজেটের মধ্যে একটি গেমিং ফোন কিনতে চাচ্ছেন? অথবা আপনি ফটোগ্রাফি করতে খুব পছন্দ করেন তবে কোন মোবাইল কিনবেন বুঝতে পারছেন না? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। এই লেখা থেকে আপনি জানতে পারবেন ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার মোবাইল সম্পর্কে। 
২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার মোবাইল

“তথ্য প্রযুক্তি” এর আজকের পর্বে আমরা আলোচনা করব ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার মোবাইল অর্থাৎ Tecno camon 30s, Vivo v40 lite এবং Realme Narzo 70 Turbo এই তিনটি মোবাইল সম্পর্কে। এই তিনটি স্মার্টফোনের বিস্তারিত জানতে হলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। 

২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার মোবাইল

গ্রাহকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এবং নিজেদের ব্যবসা আরো বেশি প্রসারিত করার লক্ষ্যে দেশে-বিদেশের বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানিগুলো নিত্য নতুন প্রযুক্তি সাথে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা সংযুক্ত করে আকর্ষণীয় ডিজাইনের এবং ফিচারের মোবাইল ফোন বাজারে নিয়ে আসছে। মোবাইল কোম্পানিগুলো একে অন্যের সাথে তুমুল প্রতিযোগিতায় জড়িয়ে পড়েছে এবং এর সুফল ভোগ করছে গ্রাহক। 
গ্রাহকগণ এখন অল্প মূল্যে বেশি সুযোগ-সুবিধার স্মার্টফোন পাচ্ছে আর সমস্যাটা সেখানেই শুরু হয়েছে। পরোক্ষভাবে বিবেচনা করলে প্রত্যেক কোম্পানির প্রতিটা মোবাইলেই ভালো। একেক মোবাইল একেক দিকে সেরা। ক্রেতা অনেক সময় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন না কোন মোবাইলটি রেখে কোনটি কিনবেন। 

সেই সমস্যা দূর করতে আজকে আমাদের এই আয়োজন। ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার মোবাইল সম্পর্কে এই পোস্টে আলোচনা করা হবে। এখান থেকে আপনারা আপনাদের প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন তথ্য জেনে কেনার সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে তথ্যগুলো জেনে নেই।

Vivo v40 lite

অপারেটিং সিস্টেম

Android 14 with Funtouch OS

স্ক্রিন সাইজ 

6.67”

ডিসপ্লে টাইপ

Flat AMOLED Display

প্রসেসর

Snapdragon 685   6nm 

র‍্যাম

8GB (LPDDR4X)

স্টোরেজ

128GB, 256GB (UFS2.2)

মেইন ক্যামেরা

50MP, 2MP Depth Sensor

সেলফি ক্যামেরা

32MP 

ভিডিও রেকর্ডিং

1080p  30fps

ব্যাটারি

5000mah 

চার্জার

80 watt


Vivo v40 lite যে সুবিধা গুলো দিচ্ছে:
    • আকর্ষণীয় ডিজাইনের প্রিমিয়াম লুক যে কাউকে আকৃষ্ট করবেই।
    • সূর্যের আলোতে ব্যাক পার্ট এর রং পরিবর্তন হয় যেটা দেখতে বেশ আকর্ষণীয়।
    • IP64 এর সার্টিফিকেসন রয়েছে। ফলে সামান্য ধুলাবালি বা পানি থেকে Vivo v40 lite নিজেকে রক্ষা করতে পারে এবং হাত ঘেমে থাকলেও স্ক্রিনে টাচ এর ক্ষেত্রে কোন ধরনের সমস্যা হবে না।
    • 1800 Nits Peak Brightness থাকায় সরাসরি সূর্যের আলোতে স্বচ্ছ ভাবে স্ক্রিন দেখা যাবে।
    • স্পিকারের সাউন্ড কোয়ালিটি যথেষ্ট ভালো ফুল ভলিয়মেও কোন ধরনের distortion এর উপস্থিতি বোঝা যায় না।
    • Noise cancellation mic রয়েছে। যার ফলে অপর প্রান্তের ব্যক্তি স্পষ্ট কথা শুনতে পাবেন কোন ধরনের নয়েজ ছাড়াই।
    • আলাদাভাবে ম্যানুয়াল ক্যামেরা অর্থাৎ G-Cam ব্যবহার করা যাবে।
    • প্রতিদিনের সাধারণ যে কোন কাজে কোন ধরনের হ্যাং বা ল্যাগ এর দেখা পাবেন না।
    • 50MP এর ক্যামেরা লেন্স থাকলেও ছবি যথেষ্ট ভালো মানের পাবেন এবং ফটোগ্রাফিতে এই মোবাইল আপনাকে সন্তুষ্ট করবে। ট্রাইপড বা গিম্বল ব্যবহার করে ভিডিওগ্রাফি করলেও মানসম্মত ভিডিও পেয়ে যাবেন।
    • Hybrid SIM slot থাকায় দুটি ন্যানো সিম এবং একটি মেমোরি কার্ড ব্যবহার করার সুবিধা দিচ্ছে Vivo v40 lite।
Vivo v40 lite এর বিশেষ কিছু সুবিধা:
    • Object Remover টুল মারাত্মক লেভেলের চমৎকার। ছবিতে অনাকাঙ্ক্ষিত অবজেক্টকে রিমুভ করে এত সুন্দর ব্যাকগ্রাউন্ড উপস্থাপন করে যা অকল্পনীয়। ইন্টারনেটে প্রচুর AI Tool রয়েছে এবং এর থেকেও বেশি বাজেটের ফোনে Object Remover টুল থাকলেও এই বাজেট বিবেচনায় Vivo v40 lite এর এই সুবিধাটি অসাধারণ।
    • ব্যাটারি ব্যাকআপ অত্যন্ত ভালো। বেসিক ব্যবহারকারী হলে প্রায় দুই দিনের বেশি ব্যাকআপ পাওয়া সম্ভব এবং অনবরত একটানা গেম খেলা, নেট চালানো ইত্যাদি কাজগুলো করলে SOT (Screen on Time) প্রায় ৮ ঘণ্টার মতো পেয়ে যাবেন।
    • ক্যামেরা বাম্পেই Aura Light রয়েছে যেটি সাধারণত লো লাইটে ছবি তোলার ক্ষেত্রে বেশ সহায়ক।
Vivo v40 lite এর কিছু অসুবিধা:
    • এই বাজেটের একটি স্মার্টফোনে স্ক্রিনে কোন ধরনের প্রটেকশন না থাকাটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
    • Ultra Wide ক্যামেরা থাকা উচিত ছিল দাম বিবেচনায়।
    • কমপক্ষে 2K রেজুলেশন এর ভিডিও রেকর্ডিং এর সুবিধা থাকা উচিত ছিল এ বাজেটের ফোনে।
    • OIS না থাকায় ভিডিও রেকর্ডিং এ স্টাবিলাইজেশন এর সুবিধা থাকলেও সেটা বাজেট বিবেচনায় আশানুরূপ নয়। তবে একদম যে খারাপ সেটাও বলা যাবে না।
    • অডিও লাভাররা কিছুটা হতাশ হবেন কারণ এই সেটে 3.5mm হেডফোন জ্যাক নেই।
    • বাজেট বিবেচনায় এই সেটের প্রসেসর ম্যানেজমেন্ট আশানুরূপ না হওয়ায় গেম লাভাররাও হতাশ হবেন। বড় বড় এবং ভারী গেম গুলো Lower Settings এ ভাল ভাবে খেলা গেলেও আসল মানসিক শান্তি হয়তো পাওয়া যাবে না।
ব্যক্তিগত মতামত:
Titanium Silver এবং Emerald Green এ দুটি চমৎকার কালারে পাওয়া যাবে Vivo v40 lite। বাংলাদেশে 8/128GB ভেরিয়েন্ট এর দাম ২৮৯৯৯ টাকা এবং 8/256GB ভেরিয়েন্ট এর দাম ৩১৯৯৯ টাকা। Vivo v40 lite কে গেমিং ফোন না বলাই ভালো। 
তবে যারা আকর্ষণীয় ডিজাইন, ভালো ব্যাটারি ব্যাকআপ এবং ভালো ফটোগ্রাফির জন্য ফোন নিতে চান তাদের জন্য Vivo v40 lite একটি পছন্দের ফোন হতে পারে। সুবিধা, অসুবিধা, দাম সবদিক বিবেচনা করে এই সেটের জন্য আমার ব্যক্তিগত রেটিং ৮/১০

Realme Narzo 70 Turbo

অপারেটিং সিস্টেম

Android 14

স্ক্রিন সাইজ 

6.67”

ডিসপ্লে টাইপ

Flat O-LED Display

প্রসেসর

MediaTek Dimensity 7300   4nm 

র‍্যাম

8GB, 12GB  (LPDDR4X)

স্টোরেজ

128GB, 256GB  (UFS 3.1)

মেইন ক্যামেরা

50MP, 2MP Depth Sensor

সেলফি ক্যামেরা

16MP 

ভিডিও রেকর্ডিং

4k  30fps

ব্যাটারি

5000mah 

চার্জার

45 watt 


Realme Narzo 70 Turbo যে সুবিধা গুলো দিচ্ছে
    • IP64 এর রেটিং রয়েছে ফলে বৃষ্টির পানি এবং ধুলাবালি থেকে সুরক্ষিত থাকবে।
    • বাইরে সূর্যের আলোতে মোবাইলে কাজ করতে কোন সমস্যা হবে না কারণ এর রয়েছে 2000 Nits Peak Brightness।
    • Noise Cancellation mic রয়েছে যেটি এই বাজেটে থাকারই কথা।
    • Hybrid Sim card tray থাকায় একই সাথে দুটি ন্যানো সিমের সাথে একটি মেমোরি কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।
    • যারা ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করেন তাদের জন্য রয়েছে আলাদাভাবে G-Cam ব্যবহারের সুবিধা।
    • ব্যাটারি ব্যাকআপ সন্তোষজনক। সম্পূর্ণ চার্জ করতে এক ঘন্টার মত সময় লাগে। সাধারণ ব্যবহারকারীরা দেড় দিনের মতো এবং এক্সট্রিম ইউজাররা একদিনের মতো ব্যাটারি ব্যাকআপ পাবেন।
    • OIS সুবিধা না থাকলেও ভিডিওগ্রাফিতে মোটামুটি মানের স্টাবিলাইজেশনের সুবিধা থাকছে যা দিয়ে কাজ চালানোর মত ভিডিও পেয়ে যাবেন।
২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার মোবাইল

Realme Narzo 70 Turbo এর বিশেষ কিছু সুবিধা
    • Realme Narzo 70 Turbo এর ডিসপ্লে HDR সাপোর্টেড হওয়ায় গেম এবং ভিডিও কালার চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করে।
    • PUbG, Asphalt 9, Free fire এর মত অনেক বড় এবং হাই রেজুলেশন এর গেম খুব স্মুথলি খেলা যাবে। এই বাজেটের অন্য ফোনে অথবা এর থেকে দামি কোন ফোনের চেয়ে এই সেটে গেমগুলো খেলার অভিজ্ঞতা অনেক বেশি রোমাঞ্চকর এবং মজাদার হবে। এই কারণে মূলত Realme Narzo 70 Turbo একটি গেমিং ফোন।
    • একটানা দুই থেকে আড়াই ঘন্টা গেম খেললে মোটামুটি হিট জেনারেট হয় তবে অতিরিক্ত হিটের কারণে গেমিং পারফরম্যান্স ড্রপ করে না।
    • Storage Type UFS 3.1 হওয়ার কারণে হাই কোয়ালিটির গেমিং পারফরম্যান্স পাওয়া যায়।
Realme Narzo 70 Turbo এর কিছু অসুবিধা
    • অডিও লাভাররা এই স্মার্ট ফোনেও হতাশ হবেন কারণ এতেও 3.5mm হেডফোন জ্যাক নেই।
    • যারা টুকটাক ফটোগ্রাফি করেন তারা ছবি তোলার সময় Ultra Wide Camera কে মিস করবেন।
    • মিড রেঞ্জের মধ্যে মোটামুটি ভালো দামের সেট হিসেবে স্ক্রিন প্রটেকশনের কোন ব্যবস্থা না থাকাটা সত্যি হতাশাজনক।
ব্যক্তিগত মতামত
তিনটি কালারে Turbo yellow, Turbo green, Turbo purple বাজারে আসা Realme Narzo 70 Turbo মূলত একটি গেমিং ফোন। গেম লাভারদের ফোকাস করেই এই সেট বাজারে লঞ্চ করা হয়েছে। তাই গেম খেলে ১০০% সন্তুষ্ট করতে পারবে Realme Narzo 70 Turbo। তবে শুধুমাত্র ফটোগ্রাফির জন্য এই সেট কেনা সঠিক সিদ্ধান্ত হবে না। 
ফটোগ্রাফি বাদ দিলে মাল্টি টাস্কিং অর্থাৎ ব্যাকগ্রাউন্ডে একসাথে ৮ থেকে ১০টা অ্যাপ চালু রেখে কাজ করলেও স্মুথ পারফরমেন্সের অভিজ্ঞতা পাবেন। হার্ডওয়ার এবং গেমিং পারফরমেন্সে অনেক বেশি আগে এগিয়ে থাকলেও ক্যামেরা সেকশনে কিছুটা পিছিয়ে থাকছে Realme Narzo 70 Turbo। বাংলাদেশের বাজারে Realme Narzo 70 Turbo এর দাম ২৫০০০ টাকার আশেপাশে। সুবিধা, অসুবিধা এবং দাম সহ সব দিক বিবেচনা করে আমার ব্যক্তিগত রেটিং ৯/১০

Tecno camon 30s

অপারেটিং সিস্টেম

Android 14 with HiOS

স্ক্রিন সাইজ 

6.78” 

ডিসপ্লে টাইপ

Curved Amoled Display

প্রসেসর

MediaTek Helio G100   6nm

র‍্যাম

6GB, 8GB   (LPDDR4X)

স্টোরেজ

128GB, 256GB  (UFS 2.2)

মেইন ক্যামেরা

50MP, 2MP Depth Sensor

সেলফি ক্যামেরা

13MP 

ভিডিও রেকর্ডিং

2K   30fps


Tecno camon 30s যে সুবিধা গুলো দিচ্ছে
    • IP54 এর water & dust resistance certificate থাকায় হাত ভেজা থাকলে অথবা স্ক্রিন ভেজা থাকলেও টাচ করতে কোন সমস্যা হবে না।চ
    • 1300 Nits Peak Brightness থাকায় সরাসরি সূর্যের আলোতে ব্রাইটনেস জনিত কোন সমস্যা নেই
    • অফিসিয়াল তথ্য মতে স্ক্রিনে Corning Gorilla Glass 5 এর প্রটেকশন রয়েছে।
    • Dual Speaker এ মাল্টিমিডিয়া কনজিউম করে মজা পাবেন।
    • সাধারণ ব্যবহারে তেমন কোন Heating issue নাই।
    • ভালো মানের প্রসেসর থাকায় এবং প্রসেসর ম্যানেজমেন্ট ভালো হওয়ায় গেমিং এবং মাল্টি টাস্কিং এর ক্ষেত্রে স্মুথ পারফরম্যান্সের অভিজ্ঞতা অবশ্যই পাবেন।
Tecno camon 30s এর বিশেষ সুবিধা
    • ক্যামেরায় OIS (Optical Image Stabilization) এর সাপোর্ট থাকায় ভিডিওগ্রাফি হবে চমৎকার। বাজেট বিবেচনায় ভিডিওগ্রাফির কোয়ালিটি আপনাকে মুগ্ধ করবেই।
    • পর্যাপ্ত আলো এবং সঠিক পজিশনে ছবি তুলতে পারলে Tecno camon 30s এর ক্যামেরা পারফরমেন্সে আপনি মুগ্ধ হতে বাধ্য।
    • Time lapse video শুটের পাশাপাশি Dual Video Mode এর সুবিধা থাকছে ফলে একই সাথে সামনের ক্যামেরা এবং পেছনের ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করতে পারবেন।
    • TUV Rheinland এর Blue Low Light certificate থাকার ফলে দীর্ঘক্ষন ব্যবহার করলেও চোখের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে খুবই কম।
Tecno camon 30s এর কিছু অসুবিধা
    • এই সেটের জন্য সবচাইতে বড় বেমানান ব্যাপারটি হলো, এই সিরিজের আগের মডেল Tecno Camon 30 তে (২৩০০০ টাকা) 70 watt এর চার্জার দেয়া থাকলেও হাই মিড রেঞ্জের বাজেটের এই ফোনে চার্জার দেয়া হয়েছে মাত্র 33 Watt।
    • যারা ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করেন তাদের জন্য একটি হতাশার সংবাদ হল Tecno camon 30s এ Ultra wide ক্যামেরা নেই।
    • অডিও লাভাররা মনকে শান্ত করুন কারণ এতে 3.5 mm Headphone জ্যাক নেই।
    • আলাদা ক্যামেরা অর্থাৎ G-Cam ব্যবহারের সুযোগ নেই।
    • যথেষ্ট পরিমাণ স্টোরেজ থাকার পরেও যাদের মেমোরি কার্ডের প্রয়োজন হয় তারা আরো একবার হতাশ হবেন কারণ Tecno camon 30s এ রয়েছে Dedicated sim slot অর্থাৎ শুধুমাত্র দুটি ন্যানো সিম ব্যবহার করা যাবে, কোন মেমোরি কার্ড ব্যবহারের সুযোগ নেই।
    • Gyroscope sensor থাকায় গেমের কন্ট্রোল ভালো থাকার পরেও Lower Settings এ গেম খেলতে হবে। মিডিয়াম অথবা হাই রেজুলেশনে অনেক ক্ষেত্রেই খেলা যাবে না। এক কথায় গেম লাভারদের Tecno camon 30s সন্তুষ্ট করতে পারবে না।
২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার মোবাইল

ব্যক্তিগত মতামত
Tecno camon 30s চারটি কালারে Blue, Nebula Violet, Dawn Gold, Celestial Black পাওয়া যাবে। Tecno camon 30s এ বেশকিছু সুবিধা যেমন রয়েছে তেমন সাধারণ কিছু সুবিধা দেয়া হয়নি। বাজেট ম্যানেজ করার জন্যই হয়তো সাধারণ কিছু সুবিধা দেয়া হয়নি। কিন্তু গ্রাহকরা সব সময় বেশি সুবিধায় পেতে পছন্দ করে। 
বাংলাদেশের বাজারে Tecno camon 30s এর পূর্ব মূল্য ২৯৯৯৯ টাকা হলেও বর্তমানে এটির দাম ২৭৯৯৯ টাকা যেটি আমার কাছে ব্যক্তিগত ভাবে একটু বেশি মনে হয়েছে। যদিও এটিকে ক্যামেরা ফোন হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে তারপরও সুবিধা, অসুবিধা, দাম সহ সবদিক বিবেচনা করে আমার ব্যক্তিগত রেটিং ৭.৫/১০।

পরিশেষে
উপরে ৩০ হাজার টাকা বাজেটের মধ্যে যে তিনটি স্মার্টফোন সম্পর্কে আলোচনা করা হলো তাদের প্রত্যেকেরই Punch Hole ডিসপ্লে, Indisplay fingerprint sensor, 120Hz হাই রিফ্রেশ রেট, Full HD+ রেজুলেশন, Type C চার্জিং পোর্ট রয়েছে। প্রত্যেক বারের মতো এবারও বলি, আমার ব্যক্তিগত রেটিং দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে সুবিধা, অসুবিধা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী স্মার্টফোন কেনার সিদ্ধান্ত নেন।

যাইহোক, উপরে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার মোবাইল সম্পর্কে যতটা সম্ভব বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করলাম। আশা করি তথ্য গুলো স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করবে। আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে নতুন কোন স্মার্টফোন বা টপিক নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুবিন পিডিয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url