ভিটামিন ডি এর অভাবে কি রোগ হয় | জানুন অভাবজনিত লক্ষণ
ভিটামিন ডি এর নাম আমরা সকলেই জানি। কিন্তু ভিটামিন ডি এর অভাবে কি রোগ হয় এটা আমরা অনেকেই জানি না। এই না জানার কারণ হলো ভিটামিন ডি এর অভাব কেন হয় এবং ভিটামিন ডি এর অভাবজনিত লক্ষণ সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল নই।
"ভিটামিন ডি" এর আজকের পর্বটি তাদের জন্য যারা ভিটামিন ডি অভাবজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন অথবা ভিটামিন ডি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইছেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়বেন, আশা করি উপকৃত হবেন।
ভিটামিন ডি
ভিটামিন ডি এমন একটি উপাদান যা চর্বিতে অতিমাত্রায় দমনীয় এবং যেটি একটি সেকোস্টেরয়েড গ্রুপ যা মানব দেহে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফেট এর আন্ত্রিক শোষণের পথকে সহজতর করে। সাধারণত দুই রকমের ভিটামিন ডি হয়ে থাকে। ভিটামিন ডি২ যেটি উদ্ভিদ উৎস থেকে পেয়ে থাকি এবং ভিটামিন ডি৩ যেটি প্রাণীজ উৎস থেকে পেয়ে থাকি।
একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির শরীরে প্রতিদিন প্রায় ১১০০ থেকে ১৩০০ ইউনিট ভিটামিন ডি প্রয়োজন। অন্যান্য ভিটামিনের মত ভিটামিন ডি ও আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ভিটামিন ডি এর অভাবে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে থাকে। তাই এখন আমাদের জানা উচিত ভিটামিন ডি এর অভাব কেন হয়, ভিটামিন ডি এর অভাবে কি রোগ হয় এবং ভিটামিন ডি এর অভাবজনিত লক্ষণ সমূহ। তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে বিষয়গুলো জেনে নেই।
ভিটামিন ডি এর অভাব কেন হয়
ভিটামিন ডি এর বিষয়ে কিছু জানতে হলে সবার প্রথমে আমাদের জানা উচিত ভিটামিন ডি এর অভাব কেন হয়। ভিটামিন ডি এর ঘাটতির কারণ জানা থাকলে এর অভাবজনিত বিভিন্ন সমস্যা থেকে আমরা দূরে থাকতে পারবো। ভিটামিন ডি এর ঘাটতির কিছু কারণ উল্লেখ করা হলো।
- পুষ্টিহীনতা ভিটামিন ডি এর ঘাটতি অন্যতম কারণ। নিয়মিত খাবার গ্রহণ না করলে বা পুষ্টিকর খাবার না খেলে বিভিন্ন পুষ্টিহীনতায় ভুগে থাকি আমরা।
- জীনগত কিছু কারণে এবং অনেকদিন যাবত বিভিন্ন অসুখে ভোগার কারণে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা দিতে পারে আমাদের শরীরে।
- আপনি যদি এমন কোথাও চাকরি করেন যেখানে খুব সকালে বের হতে হয় আর রাতে বাসায় আসেন অথবা আপনি বাসায় বসে ফ্রিল্যান্সিং করছেন। তাহলে সূর্যের আলো আপনার সংস্পর্শে আসে না ফলে আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হবে । শহরে বিভিন্ন অফিসে চাকরি করা ব্যক্তিদের চেয়ে গ্রামে যারা কৃষক তাদের ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৭০ ভাগ কম থাকে। তারা প্রত্যেকদিন দীর্ঘক্ষণ সময় রোদে কাজ করেন।
ভিটামিন ডি এর অভাবজনিত লক্ষণ
ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করার পূর্ব শর্ত হলো ভিটামিন ডি এর অভাবজনিত লক্ষণ গুলো সম্পর্কে অবগত হওয়া। যেমন-
- শরীরের বিভিন্ন হাড়ে অকারণে ব্যথা হওয়া
- হাড়ে মটমট শব্দ করা বিশেষ করে হাতের এবং পায়ের জয়েন্ট গুলো নাড়ানোর সময়।
- হাড় ক্ষয় হয়ে যাওয়া
- শিশুদের উচ্চতা বৃদ্ধি না পাওয়া
- দুর্বলতা অনুভব করা
- শিশুদের মনোযোগের ব্যাঘাত ঘটতে পারে ভিটামিন ডি এর অভাবে।
- অনেক সময় ত্বক ফ্যাকাশে ভাব দেখায় ভিটামিন ডি এর অভাবে।
- ভিটামিন ডি এর ঘাটতিতে মানসিক বিষন্নতা গ্রাস করে ফেলে।
- অনেক সময় অনেক উঁচু থেকে না পড়েও বা খুব জোরে আঘাত না পেলেও অল্পতে বা সহজে হাড়ে ফাটল দেখা দেয়। ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হলেই এমনটা হয়।
ভিটামিন ডি যুক্ত মাছ
পুকুর, জলাশয়, হ্যাচারিতে চাষকৃত মাছে পর্যন্ত ভিটামিন না থাকলেও নদীর ইলিশ মাছ এবং সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। যেমন টুনা, হ্যারিং, সার্ডিন, স্যামন, চিংড়ি ইত্যাদি। মাঝারি আকৃতির একটি স্যামন মাছে ভিটামিন ডি পাওয়া যায় প্রায় ৩৭০ আইইউ যা মানব দেহের চাহিদার প্রায় ৭৫% পূরণ করতে সক্ষম।
ভিটামিন ডি যুক্ত শাকসবজি
ভিটামিন সি যেমন প্রচুর সবজিতে পাওয়া যায় ভিটামিন ডি এর বেলায় তেমনটি ঘটে না। আমাদের পরিচিত খুব অল্প সংখ্যক সবজির মধ্যে খুব সামান্য পরিমাণ ভিটামিন ডি পাওয়া যায় যেমন শালগম, বাঁধাকপি, পালং শাক ইত্যাদি।
তবে মাশরুমে বেশ ভালো পরিমাণে ভিটামিন ডি বিদ্যমান কেননা মাশরুম সূর্য রশ্মি সঠিকভাবে শোষণ করতে পারে এবং সূর্যের আলোয় আসলে মাসরুমের ভেতরে থাকা ভিটামিন ডি 2 এর পরিমাণ অনেক গুন বেড়ে যায়।
ভিটামিন ডি যুক্ত ফলমূল
পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পাওয়া যায় এরকম ফলের সংখ্যা নিতান্তই নগণ্য। যে কয়টি ফলে ভিটামিন ডি পাওয়া যায় সেগুলোতেও ভিটামিনের পরিমাণ খুব সামান্য থাকে। যেমন কিসমিস, শুকনা ডুমুর, কাঠবাদাম, খেজুর ইত্যাদি। ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণের জন্য শুধু এই ফল গুলোর উপর নির্ভর করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে না। অন্যান্য স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি এই ফলগুলো খেলে উপকার পাওয়া যায়।
ভিটামিন ডি এর অন্যান্য উৎস
- আদর্শ খাবার দুধে খুব সামান্য পরিমাণ ভিটামিন ডি রয়েছে। খাঁটি দুধ হলে আমরা এক কাপ দুধ থেকে প্রায় ১১০ থেকে ১৩০ আইইউ ভিটামিন ডি পেতে পারি।
- এরপর আমাদের শরীরের ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণের ছোট্ট অংশীদার হতে পারে ডিম। একটি ডিমের কুসুম থেকে আমরা প্রায় ৩৫ থেকে ৫০ আইইউ ভিটামিন ডি পেতে পারি। তবে এক্ষেত্রে দেশি মুরগির ডিম খাওয়া ভালো, ফার্মের মুরগির ডিমে ভিটামিন ডি এর পরিমাণ আরো কিছু কম হবে।
- বেশ কিছু খাবার আছে যেগুলোতে আলাদাভাবে ভিটামিন ডি সংযুক্ত করা যায় যেটি আমাদের দেশে প্রায় অপ্রচলিত। যেমন ফর্টিফাইড গরুর দুধ, সিরিয়ালস, ওটস ইত্যাদি। বাংলাদেশের শুধুমাত্র শিশুদের প্যাকেটজাত গুঁড়া দুধে ভিটামিন ডি আলাদাভাবে যোগ করা হয়।
- রান্না করা গরু বা খাসির ৫০ গ্রাম কলিজায় প্রায় ৩০ থেকে ৪০ আইইউ ভিটামিন ডি থাকে। তবে একবারে ৫০ গ্রামের বেশি কলিজা খাওয়া উচিত নয় কারণ এতে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকে।
- ভিটামিন ডি পাওয়া যায় এরকম খাবার সচরাচর দেখা যায় না বা যেগুলোতে পাওয়া যায় সেগুলোতে পরিমাণ অনেক কম থাকে তাই শরীরে ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণের জন্য অনেক সময় আমাদের ভিটামিন ডি ট্যাবলেট খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। ভিটামিন ডি ট্যাবলেট খেতে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে।
ভিটামিন ডি এর প্রধান উৎস সূর্যালোক
ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণের সবচেয়ে সহজ এবং সস্তা উপায় হল সূর্যালোক গ্রহণ করা। সূর্য রশ্মির উপস্থিতিতে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় ত্বকের নিচে এপিডার্মিস নামক একটি স্তরে কলিকালসিফেরল নামক একটি পদার্থের সংশ্লেষণের মাধ্যমে ভিটামিন ডি তৈরি হয়ে থাকে। প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে দুপুর তিনটার মধ্যে যেকোনো সময়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট সূর্যরশী বা রোদে থাকলে শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব।
শরীরের জন্য ভিটামিন ডি কেন প্রয়োজন
- হাড়ের বিভিন্ন সমস্যায় আমাদের ক্যালসিয়াম এবং ফসফেট খেতে হয় সেটা কোন খাবারের মাধ্যমে হোক কিংবা ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট হোক। আর হাড় যেন খুব দ্রুত ক্যালসিয়াম এবং ফসফেট শোষণ করতে পারে তার সব রকম ব্যবস্থা করে দেয় ভিটামিন ডি।
- জিন গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন ডি।
- শিশুদের বেড়ে ওঠায় অর্থাৎ শিশুদের হাড়ের উচ্চতা বৃদ্ধিতে ভিটামিন ডি এর অবদান অনস্বীকার্য।
- ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের কোষ গুলোকে সতেজ রাখে।
- ভিটামিন ডি হাড়কে মজবুত করার পাশাপাশি আমাদের মগজ, হৃদপিন্ডের সুরক্ষা সহ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
- হাড়ের পাশাপাশি দাঁতের সুস্থতা রক্ষার দায়িত্ব নেয় ভিটামিন ডি।
- জরায়ু ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার, বিষন্নতা, শরীরের উচ্চমাত্রার মেদ প্রতিরোধে ভিটামিন ডি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
ভিটামিন ডি এর নরমাল রেঞ্জ
ভিটামিন ডি এর সঠিক মাত্রা নির্ণয়ের জন্য অন্যান্য পরীক্ষার মতো রক্ত পরীক্ষার প্রয়োজন। রক্তে যদি ভিটামিন ডি এর উপস্থিতি ৩০ থেকে ৫০ ন্যানোগ্রাম/মিলিলিটার থাকে তবে সেটি স্বাভাবিক মাত্রা। এই মাত্রার চেয়ে কম থাকলে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি নির্দেশ করে এবং এই মাত্রার চেয়ে বেশি হলে ভিটামিন ডি এর আধিক্য নির্দেশ করে।
ভিটামিন ডি এর অভাবে কি রোগ হয়
প্রাথমিক অবস্থায় ভিটামিন ডি এর অভাব মারাত্মক কোন রোগের সৃষ্টি না করলেও দীর্ঘদিন যাবত ভিটামিন ডি এর অভাবে অনেক বড় ধরনের অসুখ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। তো চলুন জেনে নেয়া যাক ভিটামিন ডি এর অভাবে কি রোগ হয়।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার জন্য ভিটামিন ডি এর অভাব কিছুটা হলেও দায়ী।
- দিনের বেশিরভাগ সময় ক্লান্তি ভাব বা দুর্বলতা দেখা যায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে।
- শিশুদের ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি এর অভাব হলে খাদ্যে অনীহা দেখা দেয়।
- অনিহার কারণে ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া না করলে শিশুদের ওজন কমে যায়।
- ভিটামিন ডি এর অভাবে শিশুদের ঘুমের সমস্যা হয়। রাতে ঠিকমতো ঘুম আসে না অথবা ঘুম আসলেও পর্যাপ্ত পরিমান ঘুম হয় না। এতে করে শিশুদের মন মেজাজ খিট খিটে হয়ে থাকে।
- ভিটামিন ডি এর ঘাটতিতে ক্যালসিয়াম সহজে হাড়ে শোষিত হতে পারে না ফলে হাড় ক্ষয় হতে শুরু করে আর হাড় ক্ষয় হওয়া মানে আর্থ্রাইটিসের সূত্রপাত হওয়া।
- দাঁতে কোনরকম সমস্যা হলেই আমরা ধরে নেই এটি ক্যালসিয়ামের অভাবে হয়েছে। তবে আশ্চর্যের বিষয় হল ভিটামিন ডি এর অভাবে অনেক সময় দাঁতে ব্যথা হয়, সামান্য কিছু খেতে গেলে দাঁত ভেঙে যায়।
- হাড়ের চারপাশে যে মাংসপেশী থাকে সেগুলো অনেক সময় খুব দুর্বল হয়ে পড়ে ভিটামিন ডি এর অভাবে। দুর্বল হতে হতে এক সময় মাংসপেশিগুলো কাঁপতে শুরু করে যার ফলে একটি অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়।
- এই ভিটামিনের অভাবে যে শুধু শিশুদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে তা নয় বড়দেরও একই সমস্যা হয়। যেহেতু আপনার ঘুম ঠিক মতো হয় না তাই সারাদিন আপনি ক্লান্তি অনুভব করেন এবং আপনার ঘুম ঘুম লাগে তবে ঘুমাতে পারেন না। ফলে আপনি আপনার কাজে মনোনিবেশ করতে পারবেন না।
- ভিটামিন ডি এর অভাবে শিশুদের রিকেটস নামক রোগ হয়। এ রোগে শিশুদের হাড় অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে, হাড় বেঁকে যায়, সহজেই হাত-পা ভেঙে যায়।
ভিটামিন ডি এর পরিমাণ বেশি হলে কি হয়
ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করার জন্য অথবা ভিটামিন ডি এর অভাব যাতে না হয় সেজন্য সচেতনতা হিসেবে যদি ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার বা ভিটামিন ডি ট্যাবলেট বেশি মাত্রায় খেয়ে থাকেন তবে অতিরিক্ত ভিটামিন ডি এর কারণে রক্তের ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যায় ফলে বমি বমি ভাব দেখা দেয়, কিডনির সমস্যা হতে পারে।
ভিটামিন ডি এর অভাবে কি চুল পড়ে যায়
গবেষণা এবং চিকিৎসকদের মতে চুল পড়ে যাওয়ার জন্য ভিটামিন ডি এর অভাবকে দায়ী করা যায়। ভিটামিন ডি চুলের গোড়া শক্ত করে এবং চুলের ফলিকল কে মজবুত করে। সাধারণত দিনে ৫০ থেকে ১০০ টি চুল পড়লে সেটিকে স্বাভাবিক হিসেবে ধরা হয়। তবে এর চেয়ে বেশি পড়লে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত অথবা ভিটামিন ডি এর টেস্ট করা উচিত।
মাথায় টাক পড়ার সাথেও ভিটামিন ডি এর ঘাটতি সরাসরি জড়িত। আমেরিকার এক গবেষণায় দেখা গেছে ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সে যেসব নারীদের মাথায় টাক পড়ার বা চুল অতিমাত্রায় কমে যাওয়ার সমস্যা আছে তাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি লক্ষ্যনীয়।
শেষ কথা
শরীরকে সুস্থ রাখতে ভিটামিন ডি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ভিটামিন। ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণের জন্য উল্লেখিত খাবার গুলো যে সবসময় খেতে হবে ব্যাপারটি সেরকম নয়। সুষম খাবারের উপর জোর দিতে হবে সেই সাথে নিয়মিত সূর্যের আলোর সংস্পর্শে যেতে হবে। তাহলে প্রাকৃতিকভাবেই আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ হবে এবং আমরা সুস্থ থাকবো।
ভিটামিন ডি সম্পর্কিত যে বিষয়গুলো উপরে আলোচনা করা হলো তা শুধু ধারণা মাত্র। সচেতনভাবে জীবন যাপন করার পরেও যদি ভিটামিন ডি এর অভাবজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
যাইহোক, ভিটামিন ডি এর অভাব কেন হয়, ভিটামিন ডি এর অভাবজনিত লক্ষণ, ভিটামিন ডি এর অভাবে কি রোগ হয় সহ ভিটামিন ডি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে এবং এতক্ষণ ধৈর্য নিয়ে পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। পরিচিতজনদের সাথে শেয়ার করতে পারেন, প্রয়োজনে কমেন্ট বক্সে মন্তব্য লিখতে পারেন।
মুবিন পিডিয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url