ভ্রমণে যাওয়ার পূর্ব প্রস্তুতি | ভ্রমণের সময় যা মনে রাখবেন
মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার সেরা উপায় | অনলাইন
অফিসের কাজের চাপে জীবনটা একঘেয়ে হয়ে গেছে? লেখাপড়ার চাপে আর ভালো লাগছে না? তাই কোথাও ভ্রমণে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন? কিন্তু ভ্রমণের সময় যা মনে রাখবেন তা কি জানেন? ভ্রমণে যাওয়ার পূর্ব প্রস্তুতি সম্পর্কে কি কোন ধারণা আছে? যদি না থেকে থাকে তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
"ভ্রমণ গাইড" এর আজকের এই পর্বে আমরা জানার চেষ্টা করব ভ্রমণের সময় যা মনে রাখবেন এবং ভ্রমণে যাওয়ার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে কি কি পদক্ষেপ নেয়া জরুরী। সবগুলোই আপনারা জানেন তবে আমি চেষ্টা করেছি গুছিয়ে এক জায়গায় আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতে যাতে করে ভ্রমণে যাওয়ার সময় আপনাদের এই জিনিসগুলো সহজে মনে থাকে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ভ্রমন সম্পর্কিত বিষয় গুলো।
ভ্রমণে যাওয়ার পূর্ব প্রস্তুতি
ব্যস্ততার এই যান্ত্রিক জীবনে কাজ করতে করতে অথবা পড়াশোনার চাপে এবং পরীক্ষা দিতে দিতে আমরা অনেক সময় হাঁপিয়ে উঠি। প্রতিদিন একঘেয়ে জীবনের রুটিন বদলাতে এবং মনকে একটু শান্তি দিতে আমরা যে কোন স্থানে ভ্রমনে যাই। তবে আনন্দের জন্য ভ্রমণে গেলেও কিছু বিষয় আছে যেগুলো খেয়াল না করলে আনন্দের পরিবর্তে ভ্রমনের পাশাপাশি জীবনটা বিষাদময় হয়ে উঠতে পারে। তাই ভ্রমণের সময় যা মনে রাখবেন সে ব্যাপারে আমাদের সচেতন থাকা উচিত অর্থাৎ ভ্রমণে যাওয়ার পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিত।
যাওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করুন
কোন জায়গায় ভ্রমণ করতে চাইলে তার আগে সুষ্ঠু পরিকল্পনা করা অত্যন্ত প্রয়োজন। ছাত্র অবস্থায় হুটহাট করে ভ্রমণে বেরিয়ে যাওয়া যায় কিন্তু আপনি যদি চাকরিজীবী হন তাহলে হুটহাট করে ভ্রমণে বের হতে পারবেন না। ভ্রমণে কবে যাবেন, কার সাথে যাবেন, কয়দিন থাকতে পারবেন, ছুটি নেয়ার ব্যাপার ইত্যাদি এসব বিষয়গুলো নজরে আনতে হয় ভ্রমণে যাওয়ার পূর্বে।
আর কোন ভ্রমণে যাওয়ার বিষয়ে আপনি নিজে যদি উদ্যোগ নেন তব কোন বন্ধু-বান্ধবদের সাথে যাবেন অথবা আপনার অফিসের কলিগদের সাথে যাবেন অবশ্যই তাদেরকে জানাতে হবে, তাদের যাওয়ার সম্মতি নিতে হবে। এসব বিষয়গুলো আগে থেকেই খেয়াল রাখতে হয়।
ভ্রমণের স্থান নির্বাচন করুন
সাধারণত দূরে কোথাও ভ্রমণে গেলে একা একা ভ্রমণে কোন মজা নেই। তাই গ্রুপ করে সবাই ভ্রমনে যায় সঙ্গী হতে পারে আপনার বন্ধু বান্ধব, কাজিন, অফিসের কলিগ অথবা পরিবার। বন্ধুবান্ধব কলিং অথবা কাজিনের সাথে যদি কথা বলে যেতে চান তবে যে কোন জায়গায় পছন্দমত যেতে পারেন সবার মতামত নিয়ে একটা জায়গা নির্বাচন করতে পারেন। তবে আপনাদের ভ্রমণ সঙ্গী যদি কোন বয়স্ক ব্যক্তি হয়ে থাকে তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে পাহাড় পর্বত অথবা সমুদ্রের ধারে কাছে যাওয়া উচিত হবে কিনা।
ভ্রমণের স্থান সম্পর্কে ধারণা নিন
নিজ উদ্যোগে যদি কোথাও ভ্রমণ করতে চান তাহলে ভ্রমণের স্থান নির্বাচন করা হয়ে গেলে ইন্টারনেট থেকে অথবা সরাসরি কারো মাধ্যমে স্থান সম্পর্কে ধারণা নেয়ার চেষ্টা করুন। সেই স্থানের আবহাওয়া কেমন, লোকজনের সংস্কৃতি কেমন, তাদের ভাষা কেমন, তাদের আচার-আচরণ কেমন হতে পারে, সেই স্থানে ঘোরাঘুরির ব্যাপারে কোন বিধিনিষেধ আছে কিনা ইত্যাদি বিষয়গুলো জেনে থাকা ভালো।
আর যদি কোন এজেন্সির মাধ্যমে কোথাও ভ্রমণ করতে চান তবে অবশ্যই তাদের টুরিস্ট গাইড থাকবে এবং ভ্রমণের সময় আপনাদের টুরিস্ট গাইডের নির্দেশনা মেনে চলা উচিত কারণ এই ব্যাপারে তাদের যথেষ্ট অভিজ্ঞতা থাকে।
যানবাহন স্থির করুন
ভ্রমণের সময় যানবাহনের সিদ্ধান্ত নেওয়া অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ধরুন কয়েকজন মিলে আপনারা ভ্রমণে যাচ্ছেন, সবার সমস্যা না থাকলেও একজনের হয়ত বমি হওয়ার সমস্যা আছে। আবার আর একজনের হয়তো হাইট ফোবিয়া অর্থাৎ প্লেনে ভ্রমণ করতে সমস্যা থাকতে পারে।
আরও পড়ুনঃ তীব্র গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার ১০ উপায়
সে ক্ষেত্রে আপনাদের সবার মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন যানবাহনে আপনারা ভ্রমণে যেতে পারেন। ভ্রমণের ক্ষেত্রে সবার সবচেয়ে পছন্দের তালিকায় প্রথমেই থাকবে ট্রেন ভ্রমণ। ট্রেনে ভ্রমণ করার বিষয়টি সত্যি মজাদার এবং আরামদায়ক।
থাকার ব্যবস্থা নিয়ে পরিকল্পনা করুন
এরপর আপনাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে থাকার ব্যবস্থা নিয়ে। ভ্রমণ স্থানে গিয়ে পরিচিত কেউ থাকলে তাদের বাসায় থাকবেন কিনা অথবা কোন আবাসিক হোটেলে থাকবেন কিনা, আবাসিক হোটেলে থাকলে কিরকম বাজেটের ভেতরে থাকবেন, হোটেল ভাড়া কেমন হতে পারে এগুলো সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ভ্রমণে যাওয়ার পূর্বেই।
খাবারের দিকে সচেতন থাকুন
যারা ভোজন রসিক রয়েছেন তাদের সবচাইতে বেশি জরুরী খাবারের দিকে যথেষ্ট পরিমাণে সচেতন থাকা। যেকোনো ভ্রমণের সময় সাধারণত স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হয় কারণ আপনি অন্য একটা পরিবেশে অন্য একটা জায়গায় যখন যাবেন সেই এলাকার আবহাওয়া, জলবায়ু, পানি, খাবার সবকিছুই আপনার শরীরের সাথে মানিয়ে নিতে সময় লাগে।
তার উপর যদি অস্বাস্থ্যকর খাবার, স্ট্রিট ফুড, তেলে ভাজা খাবার, অতিরিক্ত মসলা জাতীয় খাবার খান তবে সাময়িক স্বাস্থ্যের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর আনন্দ করতে গিয়ে ভ্রমণে যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন তবে ভ্রমণের আনন্দটাই মাটি হয়ে যায়।
প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিন
ভ্রমনে গিয়ে আপনি দুইদিন থাকেন আর এক সপ্তাহ থাকেন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আপনাকে নিতেই হবে। একসাথে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিতে গিয়ে অনেক জিনিসই আমরা নিতে ভুলে যাই। ভ্রমণ স্থানে গিয়ে হয়তো মনে পড়ে যে এটা ভুলে গিয়েছি। তাই ভ্রমণের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার দুই তিন দিন আগে থেকেই আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের লিস্ট একটি কাগজে লিখে রাখুন এবং ভ্রমণে রওনা দেওয়ার আগের দিন সেই লিস্ট অনুযায়ী জিনিসপত্রগুলো আপনার ব্যাগে গুছিয়ে রাখুন।
প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ব্রাশ, পেস্ট, পানির বোতল, ছাতা, ভ্রমণের সময় সঙ্গে জিনিসপত্র রাখার জন্য ছোট ব্যাগ, মাথায় পরার ক্যাপ, সানগ্লাস ইত্যাদি। ছোটখাটো যেকোনো ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য ওষুধপত্র যেমন মাথা ধরার জন্য বা শরীর ব্যথা করলে প্যারাসিটামল, আমাশয়ের, ডায়রিয়ার জন্য ওষুধ, এসিডিটির জন্য ওষুধ, ঠান্ডা লাগলে কাশির জন্য যে কোন নরমাল সিরাপ, অতিরিক্ত গরম থাকলে কয়েক প্যাকেট স্যালাইন নিতে পারেন।
সঠিক পোশাক নির্বাচন করুন
ভ্রমণের ক্ষেত্রে সঠিক পোশাক নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বেশিরভাগ মানুষই যেটা করেন সেটা হলো সৌন্দর্যকে প্রাধান্য দেন অর্থাৎ কোন পোশাকে তাকে বেশি সুন্দর লাগবে, ছবি তুললে আকর্ষণীয় লাগবে সেদিকে নজর দেন। তবে এটি করা যেতে পারে শীতকালে ভ্রমন করলে।
শীতকালের তাপমাত্রা কোন ব্যাপার থাকে না তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ গরম জামা কাপড়, মাফলার সোয়েটার মাস্ক-টুপি ইত্যাদি নিলেই চলে। তবে গরমকালে ভ্রমণ করলে পোশাকের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিতেই হবে। সব সময় চেষ্টা করবেন হালকা রংয়ের এবং সুতি পাতলা আরামদায়ক কাপড় পোশাক হিসেবে নির্বাচন করতে।
এটা আপনার পোশাকের রং যদি ভালো না হয় ছবি তোলার সময় ক্যামেরায় যদি ভাল দেখা না যায় তাতেও ভ্রুক্ষেপ না করে আপনার আরাম কে প্রাধান্য দিতে হবে বেশি। কারণ ভ্রমণ করতে যেয়ে মাথার উপর যতই রোদ থাকুক একখানে চুপচাপ বসে থাকা যায় না। বিভিন্ন জায়গায় হাঁটাহাঁটি দৌড়াদৌড়ি করার জন্য অবশ্যই আপনাকে হালকা এবং ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করতে হবে।
প্রয়োজনীয় গেজেট নিন
গেজেট বা বিভিন্ন ডিভাইসের কথা না বললেও এখনকার তরুণ প্রজন্ম যেকোনো জায়গায় ভ্রমনে গেলে এগুলো সাথে নিবেনই। তারপরেও আপনার ছবি তোলার প্রতি যদি বিশেষ আকর্ষণ থেকে থাকে তবে অবশ্যই কিছু বিষয় আপনাকে নজরে আনতেই হবে।
যেমন আপনার যদি একাধিক মোবাইল থাকে অবশ্যই যেটিতে ভালো ছবি উঠে সেটি নির্বাচন করবেন, মোবাইলের চার্জার এবং পাওয়ার ব্যাংক সাথে নিবেন, ট্রাইপড বা সেলফি স্টিক যেটা প্রয়োজন সেটা গুছিয়ে রাখবেন, ওটিজি সাপোর্টেড ফোন হলে একটি পেনড্রাইভ সাথে রাখতে পারেন। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ভ্রমণে যাওয়ার পূর্বে আপনার মোবাইলের স্টোরের ফাঁকা করে রাখা, তাহলে ভ্রমণের সময় ছবি তোলায় বা ভিডিও করায় কোন বিঘ্ন ঘটবে না।
পর্যাপ্ত টাকা পয়সা নিন
ভ্রমণ স্থান সম্পর্কে পর্যাপ্ত খোঁজখবর নিলেই জানতে পারবেন থাকা, খাওয়া, যাওয়া আসা বাবদ কত খরচ হতে পারে। এছাড়াও হাতে আরও বেশ কিছু টাকা রাখা দরকার বিভিন্ন জিনিসপত্র কেনাকাটার জন্য। ধারণা করে সর্বমোট একটি খরচের হিসাব করে সেই পরিমাণ টাকার সাথে আরো কিছু টাকা বেশি নিবেন। কারণ ভ্রমণে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়তে হতে পারে। আপনার কোন সমস্যা না হলেও অন্য কারো আর্থিক কোন সমস্যা হলে আপনি সেখানে সাহায্য করতে পারবেন।
স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতন থাকুন
পূর্বে বলা হয়েছে স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতন থাকতে বিশেষভাবে খাবারের প্রতি নজর দিতে হবে অর্থাৎ স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে। এর বাইরেও বিশেষ কিছু বিষয় রয়েছে। যেমন মাথার উপর প্রচন্ড রোদ, অনেকক্ষণ ধরে হাটাহাটি করছেন, অনেক পিপাসা পেয়েছে, সাথে সাথেই ঠান্ডা পানি খেয়ে নিলেন। এমনটি একদমই করা যাবে না, এতে আপনার ঠান্ডা সর্দি লাগার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকবে।
আবার আপনি যদি পাহাড়ি এলাকায় ভ্রমণ করতে যান অবশ্যই আপনি পাহাড়ের উপরে উঠতে পারবেন কিনা সেটা আগে নিজেই যাচাই করে তারপর উপরে ওঠার চেষ্টা করবেন। উপরে উঠতে গিয়ে যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে যায় তাহলে আপনার পুরা ভ্রমণটাই বৃথা যাবে। পানিতে একটু ভিজলে যদি আপনার ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সমস্যা থাকে তবে অবশ্যই সমুদ্রে ভ্রমনে গিয়ে বেশিক্ষণ পানিতে ভিজা থেকে বিরত থাকুন।
ভ্রমণ বিষয়ক জরুরি কিছু টিপস
- ভ্রমণ স্থানে গিয়ে সেখানকার স্থানীয় লোকদের সাথে কোনক্রমেই বাক-বিতণ্ডায় বা কোন রকম তর্কে জড়াবেন না।
- ভ্রমণের সময়ের ব্যাপারে সচেতন থাকুন। সঠিক সময়ে হাতে সময় নিয়ে বাসা থেকে রওনা দিবেন ভ্রমণের উদ্দেশ্যে। খেয়াল রাখবেন আপনার জন্য কাউকে যেন ওয়েট করতে না হয়। ভ্রমণ একটা আনন্দের বিষয়, আনন্দের শুরুতেই কারো জন্য অপেক্ষা করা বিরক্তিকর।
- ভ্রমনে যাওয়ার সময় যে কোন যানবাহনে আনন্দ করতে গিয়ে যেন অন্য কারো ক্ষতি না হয় এ বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।
- যাদের সাথে ভ্রমণে যাচ্ছেন তাদের সাথে কোন রকম মনোমালিন্য বা তর্কে না জড়ানোর চেষ্টা করবেন। মতের অমিল থাকতেই পারে তবে সবাইকে সেটা মেনে নিয়েই ভ্রমণে যাওয়া উচিত।
- অতিরিক্ত একজোড়া জুতো এবং স্যান্ডেল সঙ্গে রাখুন।
- গরমকালে ভ্রমণ করলে একটু পর পর ছায়াযুক্ত স্থানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে পানি পান করুন। এতে পানি শূন্যতা হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
- যে হোটেলে গিয়ে থাকবেন সেই হোটেলের নাম এবং প্রয়োজনীয় ফোন নাম্বার আপনার পরিবারকে জানিয়ে রাখুন।
- ভ্রমণের সময় ডেবিট অথবা ক্রেডিট কার্ড অত্যন্ত সাবধানতার সাথে রাখুন।
- যে হোটেলে থাকবেন সেখানকার অথবা বাইরের কোথাও পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
- কোন টুরিস্ট এজেন্সির অধীনে ভ্রমণে গেলে টুরিস্ট গাইডের নাম্বার ফোনে সেভ করে রাখুন।
- ভ্রমণরত অবস্থায় আপনার সাথে থাকা ব্যাগে শুকনো খাবার যেমন বিস্কিট, কেক, পাউরুটি অথবা ড্রাই ফ্রুট যেমন খেজুর, বাদাম ইত্যাদি রাখতে পারেন।
- টিস্যু এবং ওয়েট ওয়াইপস আপনার ব্যাগে সবসময় রাখুন। ভ্রমণ কালে গরমে ঘেমে গেলে এসব ব্যবহার করলে কিছুটা সতেজ লাগে।
মন্তব্য
ভ্রমণ পছন্দ করেন না এরকম ব্যক্তি আমার মনে হয় বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়া যাবে না। ভ্রমণ যে শুধু মনের খোরাক যোগায় তাই নয় এর সাথে আমরা সাধারণ জ্ঞান অর্জন করে থাকি। ভ্রমণের মাধ্যমে আমরা নতুন সংস্কৃতিকে জানতে পারি, নতুন ভাষাকে জানতে পারি, অনেক নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারি।
তবে এত কিছু ভালোর মাঝেও আমরা যদি ভুলে যায় ভ্রমণের সময় যা মনে রাখবেন এবং ভ্রমণে যাওয়ার পূর্ব প্রস্তুতি গুলো তবে ভ্রমণটা আমাদের বিফলে চলে যেতে পারে। একটু অসচেতনতার কারণে ভ্রমণে গিয়ে আমরা বিভিন্ন রকম বিপদে পড়তে পারি। তাই ভ্রমণে যাওয়ার পূর্বে উপরে উল্লেখিত বিভিন্ন বিষয়ের প্রতি আমরা খেয়াল রাখবো এবং ভ্রমণ স্থানে গিয়েও আমরা সর্বদা সচেতন হয়ে উপভোগ করব।
সম্পূর্ণ নিজের মতো করে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করলাম ভ্রমণ বিষয়ের প্রস্তুতি গুলো। ভালো লেগে থাকলে পরিচিতজনদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আর এই ধরনের আরো বেশ কিছু লেখা রয়েছে Mubin Pedia তে সেগুলো একবার দেখে আসতে পারেন। ধন্যবাদ।
মুবিন পিডিয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url