শীতে ঘর গরম রাখবেন যেভাবে
তীব্র শীতে কাবু হয়ে যাচ্ছেন? কাজকর্ম, খাওয়া দাওয়া, ঘুম সবকিছুতেই বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন ঠান্ডা কারণে? কম্বল বা লেপ মুড়ি দিয়ে বসে থাকতে হচ্ছে ঘরের ভেতর? এসব সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে সহজ কিছু কৌশল অবলম্বন করলে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন, আজকের এই আর্টিকেল থেকে জানবেন শীতে ঘর গরম রাখবেন যেভাবে।
“আবহাওয়া” এর আজকের পর্বে ম্যাসাচুসেট এর বেস্ট হ্যান্ডিমান ইনকর্পোরেশন এর সিইও এবং হোম ইমপ্রুভমেন্ট স্পেশালিস্ট রায়ান টাটল এর প্রতিবেদন অবলম্বনে বেশি খরচ না করে অর্থাৎ সস্তায় এবং প্রাকৃতিক উপায়ে শীতে ঘর গরম রাখবেন যেভাবে তার কিছু কৌশল বা উপায় সম্পর্কে জানতে যাচ্ছি আমরা। উপায় গুলো সম্পর্কে সম্পূর্ণ জানতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।
শীতে ঘর গরম রাখবেন যেভাবে
কনকনে শীতে আমরা বাইরে বের হতে চাই না প্রয়োজন ছাড়া তাই ঘরকেই আরামদায়ক করতে প্রয়োজন উষ্ণতা। শীতকালে ঠান্ডা কমানোর অর্থাৎ উষ্ণতার অন্যতম শর্ত হলো আমাদের শরীরে যেন গরম অনুভূত হয়। গরম জামা কাপড় পরার দিক দিয়ে তো আমাদের কোন কমতি থাকে না। তারপরও শীত যখন বেশি হয় আমাদের পুরো বাসাকে না হলেও অন্তত আমাদের ঘরটাকে গরম করার চেষ্টা করি।
আরও পোড়ুনঃ কোরবানির দিনে যে ১০ টি কাজ অবশ্যই করবেন
আমাদের অনেকের বাসায় ঘর গরম করার বিভিন্ন যন্ত্র যেমন হিটার, এয়ার কন্ডিশন ইত্যাদি নেই অথবা কিনবো কিনবো করেও কেনা হচ্ছে না। আবার এসব যন্ত্র থাকলে সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামত সব মিলিয়ে ঝামেলা এবং খরচ হয় ভালোই। তাই রুম হিটার বা কোন রকম যন্ত্র ছাড়া সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে শীতে ঘর গরম করার কিছু কৌশল জানলে কেমন হয়? অবশ্যই ভালো হবে। তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেই শীতে ঘর গরম রাখবেন যেভাবে।
ঘরের জানালা খোলা রাখুন
ভাবছেন শীতের দিনে আবার জানালা খোলা রাখতে বলা হচ্ছে কেন? অবশ্যই জানালা খোলা রাখবেন তবে সেটি দিনের বেলা এবং একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। কারণ শীতের দিনের ঘর গরম রাখার সবচাইতে সহজ এবং সস্তা উপায় হল ঘরে সূর্যের আলো অর্থাৎ রোদ প্রবেশ করানো। শীত কালে প্রতিদিন একই সময়ে সূর্য ওঠে না।
তাই সূর্য ওঠার ওপর নির্ভর করে সকাল দশটা থেকে সূর্য অস্ত যাওয়ার আগেই অর্থাৎ বিকাল চারটা পর্যন্ত জানালা খোলা রাখতে হবে যাতে করে ঘরে রোদ এসে কিছুটা হলেও ঘরের তাপমাত্রা কমিয়ে ঘরকে উষ্ণ করতে সাহায্য করতে পারে। এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে আপনার ঘরের যে জানালা দিয়ে রোদ আসতে পারে সে জানালাটি খুলতে হবে।
যেদিকে রোদ আসে না সে জানলা খুললে ঘর তো গরম হবেই না উল্টো বাইরের ঠান্ডা ঘরে প্রবেশ করে ঘর আরো ঠান্ডা হয়ে যাবে। সাধারণত দক্ষিণমুখী জানালা হলে সবচাইতে ভালো হয় তবে পূর্ব এবং পশ্চিম দিকে জানালা থাকলেও দিনের অল্প সময় আপনার ঘরের রোদ আসতে পারে। তবে আপনার ঘরে উত্তর দিকে যদি জানালা থেকে থাকে তবে সেটা না খোলাই উত্তম কারণ উত্তর দিকের জানালা দিয়ে কখনোই ঘরে সূর্যের আলো প্রবেশ করবে না।
গরম জামা কাপড় পড়ুন
ভাবতে পারেন শীতকালে গরম জামা কাপড় সবাই পরে এ আবার নতুন কি!!! হ্যাঁ, শীতকালে আমরা সকলেই গরম জামা কাপড়ের মধ্যে উলের সোয়েটার, জ্যাকেট ছাড়াও বিভিন্ন জমা কাপড় রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করে থাকি। তবে আরও বেশ কিছু কাপড় রয়েছে যেগুলো আপনাকে অতিরিক্ত উষ্ণতা দিতে পারে।
যেমন পলিস্টার বা টেট্রন কাপড়ের শার্ট, প্যান্ট, ট্রাউজার আপনার শরীরকে অন্য সুতি কাপড়ের তুলনায় অনেক বেশি গরম করবে কারণ এগুলো দিয়ে বাতাস চলাচল করতে পারে না সহজে। বাংলাদেশের মতো গোটা বিশ্বে যেসব এলাকায় শীতের প্রকোপ মারাত্মক বেশি সেসব এলাকায় ঘর গরম করার চেয়ে মানুষজন নিজের শরীরকে গরম করার দিকে ঝুঁকে থাকে বেশি।
পানির বোতল ব্যবহার করুন
ঘন শীতে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে লেপ বা কম্বল ভেঙে যখন আমরা শুতে যাই তখন মারাত্মক শীতের ঠান্ডা বিছানার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা আমাদের সকলের রয়েছে। কারণ সে সময় আমরা সোয়েটার বা জ্যাকেট খুলে সাধারণত ঘুমাই। তাই এই ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে না চাইলে ব্যবহার করতে পারেন একটি পানির বোতল, হতে পারে সেটি কাঁচের অথবা প্লাস্টিকের।
খুব ভালোভাবে পানি গরম করে একটি বা দুটি বোতলে ভরে বিছানার উপর রেখে দিয়ে তার উপরে লেপ বা কম্বল খুলে সম্পূর্ণ বিছিয়ে দিন ঘুমোতে যাওয়ার প্রায় ২০ মিনিট আগে। ধীরে ধীরে বোতলের পানির তাপমাত্রা কমতে থাকবে এবং কম্বলের ভেতরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। শুতে যাওয়ার সময় যখন লেপ বা কম্বল উঠিয়ে শুবেন তখন জ্যাকেট বা সোয়েটার খোলার আগের উষ্ণতার অভিজ্ঞতাই পাবেন।
ঘরের ফাঁক ফোকর বন্ধ করুন
শীতে ঘর গরম রাখতে হলে ঘরের সকল প্রকারের ফাঁক ফোকর বন্ধ করার চেষ্টা করুন। আপনার ঘরে যদি কাঠের দরজা জানালা থাকে তবে সেগুলোতে গ্রীষ্মকালে তৈরি হওয়া সূক্ষ্ম চিড় বা ছিদ্র সনাক্ত করুন। আবার আপনার জানান ঘরের জানালা যদি থাই গ্লাস হয় তবে সেখান দিয়েও বাতাস প্রবেশ করতে পারে ঘরের ভেতর।
তাছাড়াও দরজার নিচ দিয়ে ঠান্ডা বাতাস ঢুকে আমাদের ঘরের তাপমাত্রা আরও কমিয়ে ঘরকে ঠান্ডা করে দেয়। জানালা বন্ধ থাকলেও জানালার ফাঁক ফোকর দিয়ে বাতাস ঘরের ভেতরে ঢুকেছে কিনা বোঝার জন্য থাই গ্লাসের মাঝখানে হাত রাখুন অথবা একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে যেখানে মনে হবে ছিদ্র দিয়ে বাতাস প্রবেশ করছে সেখানে ধরুন তাহলে বুঝতে পারবেন বাতাস ঘরে আসছে কিনা।
আরও পড়তে পারেনঃ বাত রোগ কেন হয়- লক্ষন এবং ঘরোয়া চিকিৎসা
এসব ফাক ফোকর বন্ধ করার জন্য পুরাতন সুতি কোন কাপড় কিংবা ফোম অথবা স্পঞ্জ ব্যবহার করতে পারেন। ঘরকে উষ্ণ করতে গিয়ে ঘরের সকল ফাঁকফোকর বন্ধ করার সাথে সাথে ভেন্টিলেটর বন্ধ করার চিন্তাও মাথায় আনবেন না। শ্বাস প্রশ্বাস জনিত সমস্যা হয়ে জীবননাশের সম্ভাবনা ও থাকতে পারে।
ঘরের লোক সংখ্যা বাড়িয়ে নিন
শীতের দিনে ঘর গরম করার আরেকটি সহজ উপায় হলো বাসার সকল লোকজন এক ঘরে থাকা। একটি ঘরে লোকজন যত বেশি হবে ঘর তত গরম হবে। আমাদের শরীর থেকে তাপমাত্রা নির্গত হবে এবং সেই সাথে নিঃশ্বাসের সাথেও গরম বাতাস বের হয়ে ঘরের তাপমাত্রা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। শুধু যে মানুষ থাকতে হবে এমন কথা নেই পোষা কুকুর বিড়ালও এভাবে ঘর গরম করতে সাহায্য করতে পারে।
তবে ঘরে থাকা লোকজনকে অবশ্যই সক্রিয় হতে হবে অর্থাৎ কোন কাজ করতে হবে। ঘরে থাকা লোকজন যত বেশি সক্রিয় হবে তাদের শরীরের তাপমাত্রার মাধ্যমে ঘরের তাপমাত্রা ততই বাড়তে থাকবে। তবে মানুষ ছাড়া অন্যান্য শীতল রক্ত বিশিষ্ট প্রাণী যেমন মাছ বা টিকটিকি ঘরকে উষ্ণ করার ক্ষেত্রে কোন ভূমিকা রাখবে না। আবার ঘরের মধ্যে অ্যাকুরিয়াম না রাখাই ভালো। এক্ষেত্রে মানুষের শরীরের তাপমাত্রা যেটুকু জমা হবে তা অ্যাকুরিয়ামের ঠান্ডা পানি কে গরম করতে খরচ হয়ে যাবে ফলে আমরা উষ্ণতা থেকে বঞ্চিত হব।
হেয়ার ড্রায়ার
শীতে ঘর উষ্ণ রাখার জন্য একটি সহজ, হাস্যকর এবং কৌতুক পূর্ণ কিন্তু কার্যকরী উপায় হতে পারে আপনার ব্যবহৃত হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে বিছানা গরম রাখা। ঘুমোতে যাওয়ার আগে মুহূর্তে হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে আপনার বিছানার উপরে বেশ কিছুক্ষণ ব্লো করুন। তবে অবশ্যই বিছানার উপরে লেম বা কম্বল বিছিয়ে রাখতে হবে। সাথে এটিও খেয়াল রাখতে হবে যে হেয়ার ড্রায়ারের সামনের দিকের অংশের সাথে বিছানার কোন অংশ যদি গলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেটি যেন স্পর্শ না হয়।
মেঝে ঢেকে রাখুন
খোলা মেঝের কারণেও ঘর অনেক সময় ঠান্ডা অনুভূত হয় এ বিষয়টি আমরা অনেকেই জানিনা অথবা কল্পনাতেও আনি না। কার্পেট বা ম্যাট বিছানো মেঝের চেয়ে টাইলস, মোজাইক, মার্বেল অথবা সিমেন্টের মেঝে অর্থাৎ কিছু বিছানো নেই এরকম খালি মেঝে তাপমাত্রা অনেক বেশি শোষণ করে ফলে ঘরে তাপের বিকিরণ হয় কম এবং ঘর থাকে ঠান্ডা (যে অবস্থাটি আসলে গরমের দিনের জন্য উপযুক্ত)।
অন্যভাবে বলা যায় কার্পেট বিছানো ঘরের মেঝে অনেকক্ষণ তাপমাত্রা ধরে রাখতে পারে ফলে ঘরের ঠান্ডা কম অনুভূত হয় এবং ঘর উষ্ণ থাকে অনেকক্ষণ। ম্যাট বা কার্পেট ব্যবহার করা সম্ভব না হলে যেকোনো সুতি বা উলের দুই তিনটা মোটা কাপড় অথবা পুরনো কম্বল মেঝেতে বিছিয়েও ঘরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করতে পারেন।
একইভাবে ঘরের চার দেয়ালকে যদি আবৃত করে রাখা যেতে পারে তাহলে ঘর দ্বিগুণ মাত্রায় উষ্ণ থাকবে। তবে এটি সাধারণত সম্ভব নয় তাই ম্যাট বা কার্পেট জাতীয় উপকরণ বা গৃহসজ্জা সামগ্রী দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখলেও কিছুটা উষ্ণতা পেতে পারেন।
মোটা পর্দা ব্যবহার করুন
গরমের দিনে ঘরকে শীতল রাখতে এবং পর্যন্ত আলো বাতাসের জন্য যতটা সম্ভব পাতলা হালকা পর্দা ব্যবহার করা উচিত। আর শীতকালে ঠিক তার উল্টোটা করতে হবে। জানালায় যত মোটা এবং ভারী পর্দা দেয়া যায় ঘরের তাপমাত্রা তত স্থির থাকার পাশাপাশি উষ্ণতা বজায় থাকবে।
তাপমাত্রা কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম জানালা, তাই জানালার সামনে যদি মোটা পর্দা দেয়া যায় তবে ঘর থেকে তাপমাত্রা বাইরে যেতে পারবে না অথবা বাইরে থেকে ঠান্ডা সহজে ভেতরে এসে তাপমাত্রা কমাতে পারবে না। কোন কারনে মোটা পর্দা দেয়া সম্ভব না হলে বাড়িতে থাকা যে কোনো সুতি মোটা কাপড় জানালায় লাগিয়ে দিন শীতকালের জন্য তাহলে ঘর অনেকটাই উষ্ণ থাকবে তুলনামূলকভাবে।
একাধিক লেপ/কম্বল ব্যবহার করুন
আপনার কাছে আপনার ঘর তখনই উষ্ণ মনে হবে যখন আপনি শারীরিকভাবে উষ্ণতা অনুভব করবেন। অনেকেরই একটি লেপ বা কম্বলে হয় না, অনেকের আবার ঠান্ডা বেশি লাগে যার কারণে দুইটি বা তিনটি লেপ/ কম্বল ব্যবহার করতে পারেন। লেপ-কম্বল যত বেশি হবে আপনার শরীরের তাপমাত্রা ততই বিছানার সাথে সঞ্চিত অবস্থায় থাকবে।
সচেতন থাকুন
পূর্বেই বলা হয়েছে একটি রুম তখনই আপনার কাছে উষ্ণ মনে হবে যখন আপনি শারীরিকভাবে উষ্ণতা অনুভব করবেন। উষ্ণতা অনুভবের জন্য আমাদের সব সময় সচেতন থাকা প্রয়োজন এজন্য যে শরীরের তাপমাত্রা যেন বের হয়ে না যায়, যে কোন ভাবে হোক তাপমাত্রা যেন শরীর এবং জামা কাপড়ের মাঝে স্থির থাকে।
অবশ্যই পড়ুনঃ মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
আমরা রাতে লেপ/কম্বল গায়ে দিয়ে শুয়ে পড়ি কিন্তু মাথা এবং ঘাড় অনেক সময় ফাঁকা থাকে। ফলে মাথা এবং ঘাড় দিয়ে কিন্তু আমাদের শরীরের বেশ কিছু তাপমাত্রা বের হয়ে যায়। তাই রাতে শোয়ার সময়ও আমাদের আরামদায়ক টুপি এবং গলায় মাফলার দিয়ে ঘুমানো উচিত। প্রাচীনকাল থেকে একটি ধারণা প্রচলিত আছে টুপি বা মাফলার পরে শুলে মাথা গরম হয়ে যায়, মাথায় রক্ত উঠে যায় ইত্যাদি। এ ধারণা গুলো সম্পূর্ণ ভুল।
পরিশেষে
শীতকালে নানা রকম সমস্যা রোগ বালাই অসুখ-বিসুখ হয়ে থাকে এসব থেকে মুক্তি থাকতে হলে আমাদেরকে ঠান্ডা থেকে দূরে থাকতে হবে আমাদের শরীর যেমন গরম রাখার প্রয়োজন শীতকালে ঠিক তেমনি আমাদের বাসস্থান অর্থাৎ ঘর এবং বাসা গরম রাখা দরকার। শীতে ঘর গরম রাখবেন যেভাবে তার কিছু কৌশল উপরে জানানোর চেষ্টা করলাম।
আপনাদের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে আবার আপনাদের সামনে হাজির হব। লেখাতে কোন ভুল-ভ্রান্তি থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন আর ভালো লেগে থাকলে পরিচিতজনদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। সবাই ভালো থাকবেন, ধন্যবাদ।
মুবিন পিডিয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url