কম্পিউটারের গতি বৃদ্ধির উপায় | কম্পিউটার স্লো হয়ে গেলে যা করবেন

আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ঠিকমতো কাজ করছে না? দিনে দিনে কম্পিউটারের গতি কমে যাচ্ছে? কাজ করতে অনেক সময় লাগছে? মনে হচ্ছে আছাড় মেরে আপনার কম্পিউটার ভেঙে ফেলবেন? না আপনাকে কিছুই করতে হবে না। আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকের এই আর্টিকেল পড়ে কম্পিউটার স্লো হয়ে গেলে যা করবেন এবং কম্পিউটারের গতি বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন।
কম্পিউটারের গতি বৃদ্ধির উপায় | কম্পিউটার স্লো হয়ে গেলে যা করবেন

কম্পিউটার/ল্যাপটপ” পর্বে আজকের এই লেখায় আমরা জানবো কম্পিউটার স্লো হয়ে গেলে যা করবেন, কম্পিউটারের গতি কমে যাওয়ার কারণ এবং কম্পিউটারের গতি বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে। বিষয়গুলো বিস্তারিত জানার জন্য আর্টিকেলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।

কম্পিউটারের গতি বৃদ্ধির উপায়

বাসায় কিংবা অফিসে, চাকুরী ব্যবসা কিংবা ফ্রিল্যান্সিং সবখানেই কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ছাড়া আমাদের দিন চলে না। নতুন অবস্থায় কম্পিউটার বা ল্যাপটপ খুব দ্রুত গতিতে কাজ করলেও বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ধীরে ধীরে স্লো হতে শুরু করে। তখন আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি এবং কম্পিউটারের গতি বৃদ্ধির জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ি।
কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর জন্য একে ওকে জিজ্ঞেস করি, ইন্টারনেটে গতি বাড়ানোর টিপস খুঁজতে থাকি। আজকের পর থেকে আপনাকে আর এসব কিছু খুঁজতে হবে না, সবকিছুই পেয়ে যাবেন আজকের এই আর্টিকেলে। আজকের এই লেখার মাধ্যমে কম্পিউটার স্লো হয়ে গেলে যা করবেন তা জানতে পারবেন। তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেই কম্পিউটারের গতি বৃদ্ধির উপায় হিসেবে ১৩টি কার্যকরি উপায়।

র‍্যাম বাড়িয়ে নিন

কম্পিউটার বা ল্যাপটপ উভয় ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কম্পিউটার বা ল্যাপটপের তাৎক্ষণিক কাজ এবং কাজের গতি নিয়ন্ত্রণ করে ram। আপনার কম্পিউটার যদি ধীরে কাজ করে তবে সবার প্রথমে খেয়াল করুন র‌্যাম ঠিক মত কাজ করছে কিনা।

আপনার র‍্যাম যদি কম হয়ে থাকে তবে অতিরিক্ত র‍্যাম যোগ করতে পারেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই ভালো কোন কোম্পানির র‍্যাম সংযোজন করতে হবে। সাধারণত র‍্যাম যদি বেশি থাকে তাহলে কম্পিউটারের কাজের গতি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে হ্যাং বা স্লো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।

অপারেটিং সিস্টেম আপডেট করুন

অপারেটিং সিস্টেমের বিভিন্ন ফাইল অথবা আলাদাভাবে ইন্সটল করার বিভিন্ন ফাইল বা অ্যাপ্লিকেশন গুলো পুরাতন হয়ে গেলে কম্পিউটারের কাজের গতি ধীর করে দেয়। অনেক সময় ফাইলে কিছু ত্রুটি দেখা দেয় অথবা আপডেটের অভাবে এমনটা হয়ে থাকে। তাই অপারেটিং সিস্টেমসহ বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন আপডেট করলে সিস্টেমের কাজের সুবিধা হওয়ায় কম্পিউটারের কাজের প্রতি বৃদ্ধি পায়।

কম্পিউটার রিস্টার্ট করুন

অনেক সময় ধরে কাজ করলে অথবা একসাথে অনেকগুলো অ্যাপ্লিকেশন চালু রাখলে কম্পিউটারের সিপিইউ এর উপরে প্রেসার পড়ে। খালি কম্পিউটার শ্লো হয়ে যায় অথবা হ্যাং করে। তাই কম্পিউটার বা ল্যাপটপের অন্য কোন সমস্যা না থাকলে যদি বুঝতে পারেন কাজের গতি কমে গেছে অথবা কম্পিউটার স্লো হয়ে যাচ্ছে তবে সাথে সাথে একবার রিস্টার্ট করুন। দেখবেন সমাধান হয়েছে।

হার্ডডিস্ক বা হার্ড ড্রাইভ ফাঁকা রাখুন

কম্পিউটারের যে কোন ফাইল থেকে শুরু করে যে কোন ধরনের মিডিয়া ফাইল সবকিছুই জমা থাকে হার্ড ড্রাইভে। বিভিন্ন ধরনের বড় সফটওয়্যার, গেম এর সফটওয়্যার, অসংখ্য অডিও ভিডিও ফাইল ইত্যাদি জমা করতে করতে খেয়াল করি না হার্ড ড্রাইভের জায়গা আছে কি নাই।
এইভাবে ফাইল জমা করতে করতে দেখা যায় ৫০০ জিবি অথবা ওয়ান টেরাবাইট হার্ডডিস্ক পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় এত বিশাল পরিমাণ ফাইল ধারণ করতে কম্পিউটার সিস্টেমের উপর একটা প্রেসার পড়ে ফলে কম্পিউটার স্লো হয়ে যেতে পারে। আর এই সমস্যার সমাধানের জন্য অবশ্যই পুরো হার্ডডিস্কের প্রায় ২০ থেকে ৩০% ফাঁকা রাখবেন।
কম্পিউটারের গতি বৃদ্ধির উপায় | কম্পিউটার স্লো হয়ে গেলে যা করবেন

অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন

প্রয়োজনে এবং অপ্রয়োজনে অর্থাৎ বিনোদনের ক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন ওয়েবসাইট ভিজিট করি প্রতিদিনই। ভাইরাস সম্পর্কে যদি আমাদের ধারণা কম থাকে তবে এসব সাইটের মধ্যে কিছু সাইট থাকতে পারে যার মাধ্যমে ওদের কম্পিউটারে ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে। কম্পিউটারে এসব ভাইরাস, স্পাইওয়্যার, মেলওয়্যার প্রবেশ করলেও আমরা অনেক সময় বুঝতে পারি না।

এসব ভাইরাস আমাদের কম্পিউটারে থাকা বিভিন্ন ফাইলকে আক্রমণ করে এবং ফাইলের ক্ষতিসাধন করে থাকে। বিশেষ করে এরা আমাদের কম্পিউটারের সিস্টেম ফাইল বা সফটওয়্যার গুলোকে আক্রমণ করে। ফলে কম্পিউটার স্বাভাবিকভাবেই দুর্বল হয়ে পড়ে এবং কাজের গতি কমে যায়।
এই সমস্যার সমাধানের জন্য অবশ্যই ভালো মানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এরকম কোন অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে। ভালোমানের এন্টি ভাইরাস সফটওয়্যার না হলে সেই সফটওয়্যারই আবার কম্পিউটার কে স্লো করে দিতে পারে।

SSD কার্ড লাগাতে পারেন

বর্তমান সময়ের একদম লেটেস্ট কম্পিউটার বা ল্যাপটপে সাধারণত এসএসডি কার্ড লাগানো থাকে। তবে কয়েক বছর আগের কম্পিউটার বা ল্যাপটপগুলোতে সাধারণত হার্ডডিস্ক বা HDD কার্ড লাগানো থাকতো। এগুলোতে সাধারণত কাজের প্রতি কিছুটা কম থাকে। তবে আপনার কম্পিউটার যদি পুরনো হয়ে থাকে এবং কাজের গতি যদি বাড়াতে চান তবে হার্ডডিস্ক থাকার পাশাপাশি একটি এসএসডি কার্ড লাগিয়ে নিতে পারেন।

যন্ত্রাংশ পরিষ্কার রাখুন

পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে বলা হলে আমরা অনেকেই কম্পিউটার বা ল্যাপটপের উপরের অংশটা মুছে পরিষ্কার করে রাখি। কিন্তু সমস্যা হয় আসলে ভিতরে। কম্পিউটারের কথা যদি ধরি অনেকদিন ব্যবহারের ফলে পরিষ্কার যদি করা না হয় তবে রেম, হার্ডডিস্ক, প্রসেসর, কুলিং ফ্যান ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ময়লা ধুলোবালি জমে থাকে।

এছাড়া কম্পিউটারের ভেতর অর্থাৎ সিপিইউ এর ভেতরে বিভিন্ন পার্টস এর সাথে অন্য পার্টস এর সংযোগ থাকে। ধুলোবালির কারণে এসব সংযোগ বিঘ্নিত হয়। এর ফলে কম্পিউটারে যখন বিভিন্ন কাজ করবেন তখন এসব ধুলাবালির কারণে কিছুটা হলেও কম্পিউটারের গতি কমে যায়। আবার ল্যাপটপের ক্ষেত্রে সহজে বহণযোগ্য বলে আমরা যখন তখন যেখানে সেখানে অর্থাৎ বাসার বাইরে অথবা বাসার ভেতরে বিছানার উপরে রেখে কাজ করি।
এতেও ল্যাপটপের ভেতরে অনেক ধুলোবালি জমে। তাই সচেতনভাবে ল্যাপটপ ব্যবহার করতে চাইলে নির্দিষ্ট টেবিলের উপরে ব্যবহার করা উত্তম। আর দুই মাসে অন্তত একবার কম্পিউটারের সিপিইউ এর ভেতরের যন্ত্রাংশ পরিষ্কার করা উচিত।

সঠিকভাবে ডিভাইস বন্ধ করুন

উদাসীনতা, অলসতা অথবা অজানা- যে কারণেই হোক আমরা অনেকেই আছি সঠিকভাবে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ বন্ধ করি না। আবার অনেকে আছেন খুব জরুরী তাড়ায় থাকলে সময়ের অভাবে সরাসরি পাওয়ার বাটন চেপে কম্পিউটার বন্ধ করেন। এই গাছটি করলে মূলত দুটি সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে।

প্রথমটি হলো পাওয়ার বাটন এর কার্যকারিতা ধীরে ধীরে নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বাটনটি নষ্ট হওয়া শুরু করে। আর দ্বিতীয়টি হল একটি কম্পিউটার চলতে থাকলে ব্যাকগ্রাউন্ডে অনেকগুলো অ্যাপ্লিকেশন থাকতে পারে। সেগুলো সঠিকভাবে বন্ধ না করলে কম্পিউটার সিস্টেমের উপর প্রেসার পড়ে ফলশ্রুতিতে কম্পিউটার স্লো হয়ে যায়। তাই সরাসরি বাটন নাচবে নিয়ম মেনে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ বন্ধ করুন।

C ড্রাইভ ফাঁকা রাখুন

কম্পিউটার বা ল্যাপটপের মস্তিষ্ক বলা হয় সি ড্রাইভ কে। কেননা এই ড্রাইভেই অপারেটিং সিস্টেমের সমস্ত ফাইল ইন্সটল করা থাকে। মূলত এই ড্রাইভ থেকেই পুরো কম্পিউটার পরিচালনার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। তাই সি ড্রাইভ যত ফাঁকা রাখা যাবে কম্পিউটারের কাজের গতি ততই ভালো থাকবে।
আমরা অনেক সময় ডেস্কটপে কিছু শর্টকাট রাখি কাজের সুবিধার স্বার্থে তাই প্রয়োজনের অতিরিক্ত শর্টকাট না রাখাই ভালো। আবার ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করলে কোন ফাইল বা পেনড্রাইভ থেকে নেয়া কোন ফাইল সি ড্রাইভে না রাখাই উত্তম। কম্পিউটারে ছোট বড় যেকোনো ধরনের কাজ করার সময় সি ড্রাইভের উপর আলাদা ভাবে একটি প্রেসার থাকে। তাই এই ড্রাইভ যতটা সম্ভব ফাঁকা থাকলে কম্পিউটার স্লো হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে।

অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার আনস্টল করুন

যাদের গেইম খেলার নেশা রয়েছে তাদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। ছোট বড় নানা ধরনের গেইম ইনস্টল করার কারণে কম্পিউটার অনেক সময় ভারী হয়ে যায়। কারণ এইসব গেইম প্রয়োজনের অতিরিক্ত সফটওয়্যার এবং এসব সফটওয়্যার ইন্সটল করলে অনেক অপ্রয়োজনীয় ফাইল সি ড্রাইভে স্টোর করা হয়।

আবার ফটোশপ এবং ইলাস্ট্রেটরের মতো অনেক বড় এবং ভারী সফটওয়্যার ইনস্টল করলে এবং পর্যাপ্ত ram না থাকলে কম্পিউটার স্লো হয়ে যায়। আবার কিছু কিছু সফটওয়্যার আছে যেগুলো কম্পিউটার অন করার সাথে সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে। এতে করে র‍্যামের অনেকটা অংশ এসব সফটওয়্যার জুড়ে থাকে ফলে কম্পিউটার স্লো হয়ে যায়।

তাই কম্পিউটার বা ল্যাপটপের গতি বাড়াতে এবং স্বাভাবিক রাখতে অবশ্যই অপ্রয়োজন এর সফটওয়্যার আনইন্সটল করুন। একই সাথে, যে কোন সফটওয়্যার ইন্সটল দেওয়ার পূর্বে চিন্তা করে দেখবেন সেটা আসলেই ইনস্টল দেওয়া উচিত হবে কিনা।

সঠিকভাবে ব্রাউজার ব্যবহার করুন

সুপরিচিত কিছু ওয়েব ব্রাউজার যেমন মজিলা ফায়ারফক্স, গুগল ক্রোম ব্রাউজার ইত্যাদি ব্রাউজার ব্যবহার করা উত্তম। মাসে অন্তত একবার হলেও ওয়েব ব্রাউজারের ব্রাউজ হিস্টোরি এবং কুকিজ ডিলিট করুন। এগুলো থাকলে ব্রাউজার স্লো হয়ে পড়ে।
আবার ব্রাউজারে একই সাথে একাধিক ট্যাব ওপেন রাখলেও অনেক সময় ব্রাউজার স্লো হয়ে পড়ে। তাই প্রয়োজনের অতিরিক্ত ট্যাব খুলে রাখবেন না অথবা কাজ শেষ হওয়ার মাত্রই ট্যাবটি বন্ধ করে দিন। আর ব্রাউজার যদি ভালো গতিতে চলে তবে কম্পিউটার বা ল্যাপটপও ভালো গতিতেই চলবে।

ডিস্ক ক্লিন আপ করুন

কম্পিউটারের গতি ফাস্ট রাখতে চাইলে Disk Clean up করা একটি কার্যকর পদ্ধতি হতে পারে। প্রথমে মাই কম্পিউটার ওপেন করে সি ড্রাইভের উপর আপনার মাউস রেখে রাইট বাটন ক্লিক করে properties এ গিয়ে Disk Clean up অপশনে ক্লিক করুন।

কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরে একটি উইন্ডো আসবে সেটিতে সব অপশন গুলোতে টিক চিহ্ন দিয়ে ওকে করুন। এভাবে আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপে যতগুলো ড্রাইভ থাকবে সবগুলোতে ডিস্ক ক্লিনাপ করে কম্পিউটারের গতি বাড়িয়ে নিতে পারেন।

ম্যানুয়ালি টেম্পোরারি ফাইল ক্লিন করুন

এই পদ্ধতিটি কম্পিউটারকে ফাস্ট রাখার জন্য অত্যন্ত কার্যকর। যখনই দেখবেন আপনার কম্পিউটার স্লো হয়ে গেছে, ধীরে কাজ করছে অথবা হ্যাং করছে তখনই সব কাজ বন্ধ করে দিয়ে নিজের পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করতে পারেন।
কম্পিউটার বা ল্যাপটপের Start Menu তে ক্লিক করলে স্ক্রিনের নিচের দিকে একটি সার্চ বক্স আসবে সেখানে Run লিখে ক্লিক করলে একটি উইন্ডো আসবে সেখানে আলাদা আলাদা ভাবে prefetch, temp, %temp%, cookies, recent লিখে ক্লিক করলে আলাদা আলাদা সবগুলোর জন্য ফোল্ডার আসবে। ফোল্ডারের ভেতরের আইটেম গুলোকে ডিলিট করুন। এছাড়া এক ঘণ্টা পর পর স্টার্ট মেনুতে গিয়ে run e ক্লিক করে tree লিখে ওকে করলে র‍্যাম রিফ্রেশ হয় এবং র‍্যাম এর কার্যকারিতা বৃদ্ধির সাথে সাথে কম্পিউটারের গতি বৃদ্ধি পায়।
কম্পিউটারের গতি বৃদ্ধির উপায় | কম্পিউটার স্লো হয়ে গেলে যা করবেন

আরো কিছু বিষয়

অনেকে আছেন যারা খুব বেশি মাত্রায় সৌখিন। তারা চায় তাদের কম্পিউটার বা ল্যাপটপকে সুন্দর করে সাজাতে। এজন্য তারা বিভিন্ন ধরনের এনিমেটেড ওয়ালপেপার, বিভিন্ন ধরনের থিম ইত্যাদি ইন্সটল করে থাকে। এগুলো আসলে দেখতে চমৎকার লাগলেও কম্পিউটারের জন্য ভালো নয়। এগুলো অনবরত ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে এবং কম্পিউটারকে স্লো করে দেয়। তাই কম্পিউটারকে ফাস্ট রাখতে চাইলে এসব অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করা থেকে বিরত থাকুন।

এছাড়াও আমরা অনেক সময় অপ্রয়োজনীয় ছোটখাটো ফাইল ডিলিট করি এবং সেগুলো রিসাইকেল বিন এ গিয়ে জমা হয়। বহুদিন ধরে এভাবে জমা হতে থাকলে তাতেও কম্পিউটার স্লো হয়ে যায়। তাই দু একদিন পরপরই রিসাইকেল বিন ফাকা করুন।
অনেকক্ষণ ধরে কম্পিউটারের কাজ করলে কিছুক্ষণ পর পর ব্রাউজার মিনিমাইজ করে ডেস্কটপে চলে এসে F5 বাটন চাপুন। এতে আপনার পুরো কম্পিউটার রিফ্রেস হবে এবং কম্পিউটারের গতি ঠিক থাকবে।

মন্তব্য
শুধুমাত্র কম্পিউটার স্লো হলে কি করবেন তাই নয় কম্পিউটার কেন স্লো হয় সেই বিষয়গুলোও তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। কম্পিউটার স্লো হওয়ার কারন যে শুধু উপরের বিষয়গুলোই সেরকমটি নয়, এর বাইরে আরো বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। আপনাদের যদি সেরকম কিছু জানা থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে লিখে জানাতে পারেন।

যাইহোক কম্পিউটার স্লো হয়ে গেলে যা করবেন এবং কম্পিউটারের গতি বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করলাম। এই ধরনের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে পরবর্তীতে নতুন কোন লেখায় আবার আপনাদের সাথে যোগাযোগ হবে। নিয়মিত Mubin Pedia ভিজিট করার অনুরোধ থাকলো। সেই পর্যন্ত ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। আর লেখাটি পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুবিন পিডিয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url