মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার সেরা উপায় | অফলাইন
সংসার খরচ চালানোর জন্য মাসে যদি ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে চান এবং কি উপায়ে বা কি ব্যবসা করে ইনকাম করবেন তা খুজে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন অফলাইনে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার সেরা উপায় সমূহ।
“অনলাইন ইনকাম” এর আজকের এই পর্বে আমরা জানার চেষ্টা করব অনলাইন ইনকামের পাশাপাশি অফলাইনে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার সেরা উপায় সম্পর্কে। সবগুলো উপায় সম্পর্কে ধারণা নিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই আর্টিকেলটি পড়তে হবে।
মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার সেরা উপায়
বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং অনিয়ন্ত্রিত বাজারের কারণে স্বল্প আয়ের মানুষদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই ছাত্র অথবা গৃহিণী কিংবা চাকরিজীবীদের জন্য অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনেও মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার সেরা উপায় গুলো নিয়ে আজকে হাজির হয়েছি আপনাদের সাথে।
তবে মনে রাখবেন সবগুলো উপায় সবাই একসাথে কাজে লাগাতে যাবেন না। সবদিক বিবেচনা করে যে উপায়গুলো যার জন্য উপযুক্ত মনে হবে শুধুমাত্র সেই উপায়টিকে কাজে লাগিয়ে ইনকাম করুন। তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক।
টিউশনি করে আয় করুন
আপনার যদি স্টুডেন্ট পড়ানোর অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে টিউশনি করিয়ে মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন। গণিত, ইংরেজি এবং বিজ্ঞান বিষয়গুলোর চাহিদা থাকলেও অন্য বিষয়ে আপনার দক্ষতা থাকলে প্রাইভেট পড়িয়ে ইনকাম করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ভালো শিক্ষক হতে হবে এবং আপনার পড়ানোতে স্টুডেন্টের ফলাফল যদি ভাল হয় তাহলে পরবর্তীতে স্টুডেন্ট পেতে সমস্যা হবে না।
বর্তমানে শুধু ছাত্র অবস্থায় অথবা বেকাররাই টিউশন করায় না, ঢাকা শহরে অনেক শিক্ষিত ব্যক্তিও টিউশনিকে পেশা হিসেবে নিয়ে মোটা অংকের টাকা ইনকাম করছেন। আপনার বাসার একটি রুম থাকলে অথবা বাইরে কোন একটি রুম ভাড়া নিয়ে ব্যাচ করে প্রাইভেট পড়ানোর পাশাপাশি স্টুডেন্টের বাসায় গিয়েও পড়াতে পারেন।
পশুপাখি পালন করে আয় করুন
আপনার যদি পশুপাখি পালন করার শখ থেকে থাকে তাহলে এই শখ কে কাজে লাগিয়ে প্রাথমিক অবস্থায় মাসে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা অনায়াসে আয় করতে পারবেন। এই ব্যবসার জন্য আপনি ছোটখাটো দোকান দিতেও পারেন আবার নিজের বাসা থেকেও এ ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারেন। পশুর মধ্যে রয়েছে বিদেশি প্রজাতির কুকুর, বিড়াল, খরগোশ এবং পাখির মধ্যে রয়েছে বিদেশি প্রজাতির সব নানা রঙের আকর্ষণীয় পাখি, কথা বলতে পারা টিয়া ইত্যাদি।
তবে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে যখন একসাথে অনেক পশু পাখি পালন করবেন তখন এগুলোর লালন পালনের পদ্ধতি আপনাকে জেনে নিতে হবে কোন পশু চিকিৎসকের কাছ থেকে। বিদেশি পশু পাখির যথেষ্ট চাহিদা এবং দাম থাকায় এ ব্যবসা করে ইনকাম করা সহজ।
গার্মেন্টস এর ব্যবসা করে উপার্জন করুন
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে পোশাক শিল্প এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের উল্লেখযোগ্য অংশ আসে পোশাক শিল্প রপ্তানি করে। তাই আপনি যদি গার্মেন্টস এর ব্যবসা কে পেশা হিসেবে বেছে নিতে চান তবে আপনার সিদ্ধান্ত সঠিক। বাংলাদেশে বর্তমানে কম পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসার মধ্যে অন্যতম কাপড়ের ব্যবসা।
বিভিন্ন ধরনের গার্মেন্টস যেমন শার্ট প্যান্ট এর কাপড়, শাড়ি, থ্রি পিস, বাচ্চাদের জামা, গামছা, লুঙ্গি ইত্যাদি বিক্রি করে মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব। সামান্য কিছু টাকা ইনভেস্ট করে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে পারেন এবং পরবর্তীতে লাভের টাকা থেকে আপনার ব্যবসা বড় করার সুযোগ পাবেন।
অনেকেই আছেন নিজের বাসাতে অথবা নিজের এলাকায় কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন তবে এক্ষেত্রে লাভের সম্ভাবনা কম থাকে। কাপড়ের ব্যবসা সাধারণত বাজারে দোকান দিয়ে করা উচিত। আবার সরাসরি দোকান দিয়ে কাপড়ের ব্যবসা যদি করতে না চান তবে ঢাকার বিভিন্ন গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি থেকে জামা কাপড় পাইকারি দরে কিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সেগুলো সরবরাহ করেও ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
প্রাইভেট সেন্টার চালু করে আয় করুন
আপনার বাসায় ফাঁকা জায়গা থাকলে অথবা এলাকার কোন একটা সুবিধা জনক জায়গায় কয়েকটি রুম অথবা একটা বাসা ভাড়া নিয়ে প্রাইভেট সেন্টার অথবা কোচিং সেন্টার চালু করে মাসে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে এর জন্য আপনাকে কিছু টাকা ইনভেস্ট করতে হবে জায়গা ভাড়া এবং কয়েকজন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার জন্য। স্টুডেন্ট সংগ্রহের জন্য প্রচারণা চালাতে হবে। এর পাশাপাশি সকল বিষয়ে পড়ানোর সুবিধার সাথে বিশেষ ছাড় দেয়ার অফার দিতে হবে।
ডেলিভারি ম্যান হিসেবে উপার্জন করুন
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রচুর সংখ্যক ই-কমার্স কোম্পানি (অনলাইনে কেনাকাটার দোকান বা বাজার) রয়েছে। এসব ই-কমার্স কোম্পানির ডেলিভারি ম্যান হিসেবে কাজ করে মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। এসব কোম্পানি থেকে সাধারণত প্রতিটা ডেলিভারি হিসেবে আপনাকে পেমেন্ট করা হয় অর্থাৎ আপনি যত বেশি পণ্য ডেলিভারি করবেন আপনার ইনকাম তত বাড়বে। এই কাজে তেমন টাকা পয়সা ইনভেস্ট করতে না হলেও ভাল রোজগার করতে চাইলে প্রচুর পরিশ্রমী হতে হবে আপনাকে।
খাবার সার্ভিস দিয়ে আয় করুন
আপনি যে এলাকায় থাকেন সেখানে অথবা আপনার আশেপাশের এলাকাতে অফিস আদালত, বিশ্ববিদ্যালয়, মেস (ছাত্রাবাস/ছাত্রী নিবাস), যে কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থাকলে এই কাজটি করে আপনি মাসে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। শুধু দুপুর নয় কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী সকাল কিংবা রাতেও খাবার সার্ভিস দিতে পারবেন।
খাবার সার্ভিসের কাজ করতে চাইলে দুটি বিষয়ে আপনাকে ভালোমতো মনে রাখতে হবে। প্রথমত, হাতের রান্না ভাল হতে হবে, খাবার যেন সুস্বাদু হয় এবং দ্বিতীয়ত, খাবার যেন স্বাস্থ্যসম্মত হয়। আপনি নিজে রান্না না পারলেও পরিবারের কাউকে দিয়ে রান্না করিয়ে নিতে পারেন। তবে এই কাজে প্রত্যেকদিন কাঁচাবাজার করার ঝামেলা থাকলেও মোটা অংকের টাকা ইনভেস্ট করার প্রয়োজন পড়ে না।
হাঁস মুরগির খামার দিয়ে ইনকাম করুন
বর্তমানে লাভজনক ব্যবসা গুলোর মধ্যে হাঁস মুরগির খামার করে ইনকাম করা অন্যতম। যদিও এ ব্যবসা করতে টাকা ইনভেস্ট করার পাশাপাশি প্রচুর পরিশ্রম করতে হয় তারপরও ঠিকঠাক মত ব্যবসা চালিয়ে গেলে মাস শেষে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা ইনকাম করা সহজ। বর্তমানে অনেক শিক্ষিত ব্যক্তি ও লেখাপড়া শেষে হাঁস মুরগির খামার করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
এটি লাভ জনক ব্যবসা হওয়ার অন্যতম কারণ হলো হাঁস মুরগির চাহিদা সারা বছরই থাকে আমাদের দেশে। নিজের বাসায় ফাঁকা জায়গা থাকলে সেখানে খামার করতে পারেন অথবা অন্য কোন ফাঁকা জায়গা ভাড়া বা লিজ নিয়ে সেখানেও খামার করে ব্যবসা করতে পারবেন।
হাঁস মুরগির মধ্যে রয়েছে দেশি-বিদেশি প্রজাতির বিভিন্ন হাঁস, দেশি মুরগি, ব্রয়লার মুরগি সহ বিভিন্ন প্রজাতির মুরগি ইত্যাদি। প্রাথমিক অবস্থায় হাঁস মুরগির বাচ্চা কিনে সে লালন পালন করে বাজারে বিক্রি করলেও ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এর পাশাপাশি যদি ডিম উৎপাদন করতে পারেন তাহলে আপনার ইনকামে যুক্ত হবে বাড়তি আয়ের তালিকা।
প্রসাধনীর ব্যবসা করে উপার্জন করুন
অল্প পরিশ্রমে লাভজনক ব্যবসা করতে চাইলে প্রসাধনীর ব্যবসা করতে পারেন। ভালো পজিশনে বাজারে কসমেটিক্স এর দোকান দিতে চাইলে অল্প হলেও কিছু টাকা আপনাকে ইনভেস্ট করতে হবে। তবে যেহেতু এটি মূলত নারীদের ব্যবহৃত পণ্য তাই বেচা বিক্রি সবসময় চলতে থাকে এবং পণ্যের গুণগত মান ঠিক রাখলে এ ব্যবসা থেকে মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম সহজেই করতে পারবেন।
বিউটি পার্লার এর ব্যবসা করে উপার্জন করুন
বর্তমান সময়ে মানুষ বিশেষ করে নারীরা খুব বেশি পরিমাণ সৌন্দর্য সচেতন। বিউটি পার্লারে তাদের নিয়মিত যাতায়াত লেগেই থাকে। তাই আপনিও এই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে মাসে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন। একটি বিউটি পার্লার খুলতে চাইলে অবশ্য আপনাকে বেশ কিছু টাকা বিনিয়োগ করতে হবে এবং এর পাশাপাশি কিছু জনবলও প্রয়োজন হবে।
আবার অন্যদিকে বিয়ে-শাদী, বিবাহ বার্ষিকী, জন্মদিনের পার্টি ইত্যাদিতে হোম সার্ভিস দিয়েও আয় করতে পারেন। এর জন্য অবশ্য এলাকাতে আপনার একটা পরিচিতি বা প্রচারণা থাকতে হবে। তবে যেটিই করেন না কেন অবশ্যই আপনাকে বিউটিসিয়ান কোর্স করে দক্ষতা এবং পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জন করতে হবে। বিউটিসিয়ান কোর্স বিভিন্ন জায়গা থেকে করা যায় অথবা কোন বিউটি পার্লারে কিছুদিন কাজ করে সেখান থেকে শিখে নিতে পারেন।
কমার্শিয়াল স্পেস ভাড়া দিয়ে ইনকাম করুন
আপনার বাসা যদি মফস্বল শহর কিংবা জেলা শহর অথবা বিভাগীয় শহরে হয়ে থাকে তবে কমার্শিয়াল স্পেস হিসেবে ভাড়া দিয়ে মাসে অনায়াসে ৩০ হাজার বা তার চেয়ে বেশি ইনকাম করতে পারবেন। কমার্শিয়াল এর মধ্যে প্রাইভেট অফিস, ব্যাংক, এটিএম ফ্রাঞ্চাইজি, শোরুম ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান পড়ে। কমার্শিয়াল স্পেস ভাড়া দেওয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে সে প্রতিষ্ঠানের ব্যাঙ্ক একাউন্ট, NOC, ট্রেড লাইসেন্স ইত্যাদি তথ্য যাচাই করে ভাড়া দিতে হবে।
ভাড়া খাটিয়ে আয় করুন
আপনার বাসা যদি কয়েকতলা হয়ে থাকে তবে সেগুলো ভাড়া দিয়ে সহজেই মাসে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন যদি আপনার বাড়ি শহরে হয়ে থাকে। আবার আপনার বাসার ভেতরে অতিরিক্ত ঘর থাকলে সেটিকে সাবলেট হিসেবে ভাড়া দিয়েও উপার্জন করা যায়।
এছাড়াও বাসার নিচে যদি ফাঁকা জায়গা অথবা গ্যারেজ থাকে সেটিকেও দিন অথবা মাসিক চুক্তিতে ভাড়া দিয়ে আয় করা সম্ভব। আবার আপনার এলাকাতে যদি বড় ফাঁকা জায়গা পড়ে থাকে সেটি ভাড়া নিয়ে পার্কিং লট বা গ্যারেজ বানিয়ে সেখান থেকেও গাড়ি প্রতি অথবা মাসিক চুক্তিতে ভাড়া দিয়ে আয় করতে পারেন। এক্ষেত্রে অবশ্য আপনাকে বেশ কিছু টাকা ইনভেস্ট করতে হতে পারে।
Street Food এর দোকান দিয়ে আয় করুন
একদম অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসার আরেকটি উদাহরণ হল স্ট্রিট ফুডের দোকান দিয়ে ইনকাম করা। বর্তমানে পুরো বাংলাদেশের শহর অঞ্চলে তো বটেই গ্রাম্য অঞ্চলেও এই ব্যবসার প্রসার ঘটেছে। বাসা থেকে বের হলে নির্দিষ্ট কোন দোকানে না গিয়ে রাস্তার ধারেই মুখরোচক খাবার পাওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ হেপাটাইটিস বি কেন হয়- লক্ষণ ও প্রতিকার
স্ট্রিট ফুড এর দোকানে বিভিন্ন খাবারের মধ্যে থাকে চিকেন মাটন বার্গার, পাস্তা, নুডুলস, চিকেন ফ্রাই, আইসক্রিম সহ বিভিন্ন খাবার। এ ব্যবসার একটি বিশেষ সুবিধা হল রাস্তার ধারে সুবিধামতো যে কোন স্থানে দোকান দিয়ে ব্যবসা করা যায়। খাবারে মান ভালো রাখলে এ ধরনের স্ট্রিট ফুডের দোকান থেকেই মাসে খুব সহজেই ৩০ হাজার টাকা আয় করা যাবে।
রেস্টুরেন্ট বানিয়ে আয় করুন
না, আলাদাভাবে রেস্টুরেন্ট না বানিয়ে বরং আপনার বাসাবাড়ির অব্যবহৃত জায়গা কে রেস্টুরেন্ট বানিয়ে আয়ের একটি উৎস করতে পারেন। অনেক মানুষই এখন বাড়ির ছাদকে ক্যাফে বা রেস্তোরাঁয় রূপ দিয়ে মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করে থাকছেন।
তবে এর জন্য জনবল প্রয়োজন হওয়ায় এবং ডেকোরেশন বাবদ বেশ ভালো অংকের টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। ভালো লোকেশনে যদি এ ধরনের রেস্টুরেন্ট বানাতে পারেন এবং কাস্টমার আকৃষ্ট করতে পারেন তবে এখান থেকে একটি ভালো অংকের টাকা মাস শেষে আয় করতে পারবেন।
পুকুরে মাছ চাষ করে ইনকাম করুন
যারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করে বড় হয়েছেন অথবা কৃষি কাজের প্রতি যাদের আগ্রহ রয়েছে তারা পুকুরে মাছ চাষ করে মাসে ৩০ হাজার টাকার মত ইনকাম করতে পারবেন। নিজের কুকুর যদি না থাকে তবে অন্যের কুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে আপনাকে কিছু টাকা বিনিয়োগ করার পাশাপাশি কিছু জনবলের প্রয়োজন হবে। আপনি যদি একজন উদ্যোক্তা হিসেবে এই ব্যবসা শুরু করতে চান তবে মাছ চাষের সাথে জড়িত কাওকে অবশ্যই আপনার ব্যবসার সাথে সংযুক্ত করুন। এতে আপনার ব্যবসা খুব দ্রুত সফলতার মুখ দেখবে।
টি স্টল দিয়ে রোজগার করুন
ভ্রু কুচকে যদি ভেবে থাকেন চায়ের দোকান দিয়ে মোটামুটি মানের ইনকাম? তাহলে বলবো, আপনার ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। অফলাইনে যতগুলো ইনকামের ধারণা দেওয়া হল তার মধ্যে সবচাইতে কম পরিশ্রমে এবং কম ইনভেস্টে লাভজনক ব্যবসা হচ্ছে টি স্টল দিয়ে ইনকাম করা।
টি স্টল যদি উপযুক্ত লোকেশনে স্থাপন করতে পারেন এবং রকমারি চা তৈরি করে কাস্টমারকে আকৃষ্ট করতে পারেন তবে মাসে ৩০ হাজার বা তার চেয়েও বেশি ইনকাম করা সম্ভব। চা এমন একটা খাবার যেটি মানুষ প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে, সময়-অসময়ে যে কোন পরিস্থিতিতে খেয়ে থাকে। তাই সততা আর পরিশ্রমের সাথে কাজ করে গেলে টি স্টল থেকে লসের সম্ভাবনা অত্যন্ত কম।
পরিশেষে
উপরের আলোচনা থেকে অফলাইনে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার সেরা উপায় গুলো জানলেন। যদি সত্যি ইনকাম করতে চান তবে উপরের উপায়গুলো থেকে কোনটি আপনার জন্য উপযুক্ত হবে সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পালা আপনার। মনে রাখবেন এখানে শুধু মাত্র ধারণা আলোচনা করা হয়েছে তবে আপনি সত্যি যখন ব্যবসার জন্য মাঠে নামবেন তখন আনুষঙ্গিক অনেক বিষয় এবং ঝামেলা পোহাতে হবে।
আমার প্রিয় পাঠকদের উদ্দেশ্যে আমি আরেকটা কথা বলতে চাই, কোন কাজকে কখনোই ছোট করে দেখবেন না। জীবনধারণের জন্য যে কাজই করেন না কেন সৎ ভাবে পরিশ্রমের সাথে হালাল উপায়ে ইনকাম করাই হলো সম্মানের এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর পরিকল্পনামাফিক নিয়মিত কঠোর পরিশ্রম করে গেলে আপনার সেই পরিশ্রম কখনো বিফলে যাবে না, আজ নয়ত কাল সফলতা পাবেনই।
আপনাদের সকলের সফলতা এবং মঙ্গল কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। লেখাটি পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। লেখাটি পড়ে যদি ভালো লাগে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এরকম তথ্যবহুল লেখা পড়তে চাইলে নিয়মিত ওয়েবসাইট ভিজিট করার অনুরোধ থাকলো। ভালো থাকবেন, ধন্যবাদ।
মুবিন পিডিয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url