CV লেখার ১১টি কমন ভুল | ভুলগুলো শুধরে সিভিকে গ্রহণযোগ্য করুন

চাকরির জন্য নিয়মিত আবেদন করছেন কিন্তু ইন্টারভিউ এর জন্য কল আসছে না? সিভি তৈরি করছেন সঠিক নিয়মে? আপনার তৈরি সিভিতে বিশেষ কিছু ভুল হচ্ছে না তো? এই প্রশ্নগুলোর সাথে যদি আপনি সম্পর্কিত হন তাহলে আজকের লেখাটি আপনার জন্য। আজকের এই আর্টিকেলে জানতে পারবেন CV লেখার ১১টি কমন ভুল। 
CV লেখার ১১টি কমন ভুল | ভুলগুলো শুধরে সিভিকে গ্রহণযোগ্য করুন

ক্যারিয়ার” এর আজকের এই পর্বে আমরা আলোচনা করব CV লেখার ১১টি কমন ভুল অর্থাৎ সিভির ক্ষেত্রে এমন কিছু ভুল যে ভুলগুলোর জন্য শুরুতেই একজন চাকরিপ্রার্থীর সিভি বাদ পড়তে পারে। পুরো বিষয়টি জানতে হলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। 

CV লেখার ১১টি কমন ভুল

আমাদের দেশে প্রতিযোগিতা পূর্ণ চাকরির বাজারে চাকরি পাওয়া যেন চাকরি প্রার্থীদের কাছে সোনার হরিণ হয়ে উঠেছে। চাকরি পাওয়ার জন্য প্রার্থীরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেন, আদা জল খেয়ে পড়াশোনা করেন। তবে চাকরিপ্রার্থীদের একাডেমিক প্রস্তুতির বাইরে অন্যান্য বিষয়ে সামান্য কিছু ভুল অনেক সময় চাকরিদাতাদের নিকট বড় ভুল হিসেবে উপস্থাপিত হয় যার কারণে তাদের সিভিগুলো নির্বাচনের সময় রিজেক্ট করা হয়। 
CV লেখার এবং পাঠানোর ক্ষেত্রে এমন ১১টি কমন ভুল এর ব্যাপারে আমাদের জানা থাকলে প্রত্যাশিত চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা একধাপ এগিয়ে যেতে পারবো। তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেই CV লেখার ১১টি কমন ভুল সম্পর্কে।

সঠিক ফরম্যাটে সিভি প্রস্তুত না করা

সকল ধরনের তথ্য সঠিকভাবে উপস্থাপন করলেন কিন্তু আপনার সিভির ডিজাইন বা ফরম্যাট ঠিক নেই। সিভির পেজের মার্জিন কম বেশি আছে, লাইন স্পেসিং ঠিক নেই, একেক জায়গায় একেক রকমের ফন্ট এবং ফন্ট সাইজের ব্যাপক তারতম্য রয়েছে এই বিষয়গুলো একজন চাকরিপ্রার্থীকে অপেশাদার এবং অদক্ষ হিসেবে উপস্থাপন করে চাকরিদাতার সামনে।

কাভার লেটার না পাঠানো

যেসব বিজ্ঞপ্তিতে কাভার লেটার পাঠানোর উল্লেখ থাকে সেগুলোতে তো পাঠাবেন। আর যেসব বিজ্ঞপ্তিতে কাভার লেটার পাঠানোর কোন নির্দেশনা থাকে না অবশ্যই সেগুলোতেও পাঠাবেন। সিভি সেন্ড করার সাথে কাভার লেটার না পাঠানো চাকরির আবেদনের ক্ষেত্রে একটি প্রথম ভুল। আলাদাভাবে কাভার লেটার তৈরি করে সেখানে উল্লেখ করতে পারেন উক্ত পদের জন্য অভিজ্ঞতার আলোকে আপনি কেন নিজেকে যোগ্য মনে করছেন। 
আবার আপনি ফ্রেশার বা অনভিজ্ঞ হন তাহলে ইন্টার্নশিপ এর কথা উল্লেখ করে বলতে পারেন আপনি আপনার মেধা এবং জ্ঞান কিভাবে উক্ত পদের জন্য কাজে লাগাতে পারেন। তবে কাভার লেটার এবং CV আলাদা ফাইল হিসেবে পাঠালেও একটি ইমেইলেই পাঠাবেন।

সিভির সাথে এটাচমেন্ট না পাঠানো

আমাদের দেশে অনেক চাকরিপ্রার্থী এই ভুলটি খুব সহজে করে থাকেন। বিজ্ঞপ্তিতে অনলাইনে আবেদন অর্থাৎ CV পাঠানোর কথা বলায় তারা শুধুমাত্র সিভি পাঠায়, সাথে কাভার লেটার, সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট, পাঠানোর মত আরো প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস পাঠায় না। তাই সিভির সাথে এসব প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সেন্ড করলে আপনার আবেদনটি আরো শক্তিশালী ও জোরালো হবে এবং চাকরিদাতার কাছে আপনি একজন সচেতন প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হবেন।

স্পষ্ট নয় এবং অসম্পূর্ণ তথ্য দেয়া

অসম্পূর্ণ এবং অস্পষ্ট তথ্যের কারণে অনেক যোগ্যতা সম্পন্ন চাকরিপ্রার্থীর সিভিও প্রাথমিক অবস্থায় বাতিল হয়ে যেতে পারে। আপনি অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করলেন, প্রতিষ্ঠানের নামও উল্লেখ করলেন কিন্তু কোন পদে ছিলেন এবং কি দায়িত্ব পালন করে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন সেটা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেননি। 

অভিজ্ঞতা হিসেবে আপনি কি কাজ করেছেন, কাজটি কিভাবে সম্পন্ন করেছেন এবং ফলাফল হিসেবে কি অর্জন করেছেন সবই স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। শুধুমাত্র “টিম ম্যানেজমেন্ট এর অভিজ্ঞতা রয়েছে” না লিখে বরং লিখতে পারেন “টিমওয়ার্কের মাধ্যমে দুই মাসের মধ্যে ১৫% উৎপাদন এবং বিক্রয় বাড়ানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে”। 
আবার দক্ষতা হিসেবে সিভিতে লিখেছেন কমিউনিকেশন স্কিল এর কথা কিন্তু কোন সেক্টরে- টিম লিডার হিসেবে টিম মেম্বারদের সাথে নাকি ক্লায়েন্টদের সাথে সেটা উল্লেখ করেননি। এই ধরনের অসম্পূর্ণ CV চাকরিদাতাদের সামনে দিলে প্রত্যাশিত চাকরির আশা করা থেকে বিরত থাকুন।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস আলাদা পাঠানো

সিভির সাথে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এবং ছবি একসাথে পাঠাতে হবে। ছবি যদি সম্ভব হয় সিভির সাথে এটাস্ট করবেন আর না হলে আলাদা পাঠাবেন না অর্থাৎ একটা ইমেইলের ভিতরে আপনার সকল ডকুমেন্টস থাকবে।

লেখা জনিত ভুল

অনেক রকম ভুলের মধ্যে অন্যতম একটি ভুল হচ্ছে লেখা জনিত বিভিন্ন রকমের ভুল। এসব ভুলের মধ্যে রয়েছে সঠিক শব্দ চয়ন না করা, ব্যাকরণগত ভুল, বিরাম চিহ্নের ভুল, সঠিকভাবে গুছিয়ে তথ্য উপস্থাপন না করা ইত্যাদি। আপনার বিশেষ যোগ্যতা এবং দক্ষতা গুলোকে হাইলাইট করার জন্য অবশ্যই বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করুন গল্পের মত না লিখে। 

সব জায়গায় “করতে পারি” না লিখে বরং লিখুন “__ বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতা রয়েছে”। বাংলায় ক্রিয়াপদ এবং ইংরেজিতে verb এর অপব্যবহার অত্যন্ত দৃষ্টিকটু। চাকরি দাতাদের চোখে এসব ভুল ধরা পড়লে আপনার সম্পর্কে অবশ্যই তারা ভাববেন আপনি অমনোযোগী, অপেশাদার এবং উদাসীন। CV লেখা সম্পূর্ণ হলে নিজেই বেশ কয়েকবার পড়ে দেখুন ভুল পান কিনা। 

এরপরে অভিজ্ঞ এবং সিনিয়র কোন ব্যক্তিকে দিয়ে চেক করিয়ে নিন। মনে রাখবেন, একটি নির্ভুল সিভি উপস্থাপন কোন কোন নিয়োগকর্তার কাছে বাড়তি যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হয়।

অপ্রয়োজনীয় তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা

অনেক প্রার্থী আছেন অজ্ঞতার কারণে হোক কিংবা বড় সিভির ধারণা থেকেই হোক অপ্রয়োজনীয় এবং অপ্রাসঙ্গিক অনেক তথ্য সিভিতে অন্তর্ভুক্ত করে ফেলেন। ফলে এই ধরনের সিভি নিয়োগকর্তাদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারায়। মনে রাখবেন নিয়োগকর্তার কাছে আপনার CV পড়ার জন্য ১০ মিনিট সময় নেই। তাই প্রতিষ্ঠান এবং বিজ্ঞপ্তির চাহিদার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ তথ্য সংক্ষিপ্ত আকারে উপস্থাপন করে চাকরি দাতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করুন। 
নিয়োগকর্তারা তাদের চাহিদার সাথে মিলে এরকম যোগ্যতা এবং দক্ষতার তথ্যই আপনার কাছ থেকে জানতে চাই। তাই অপ্রয়োজনীয় এবং অপ্রাসঙ্গিক তথ্য যেমন আপনি রাজনীতি পছন্দ করেন কিনা বা কোন দল সমর্থন করেন, বিদেশ ভ্রমণ করেছেন কিনা, আপনি কতগুলো মানুষের উপকার করেছেন ইত্যাদি বিষয়গুলো সিভিতে লেখা থেকে বিরত থাকুন।

সঠিক নামে ইমেইল না খোলা

অনেক প্রার্থী আছেন যারা শিক্ষা জীবনে শখ করে কোন ইমেইল আইডি খোলার পরে পরবর্তীতে চাকরির আবেদন করার ক্ষেত্রে সেই ইমেইল একাউন্ট ব্যবহার করে থাকেন। এই ইমেইল একাউন্টটি যদি প্রার্থীর নামের সাথে মিল রেখে না নামকরণ করা হয় তবে চাকরির ক্ষেত্রে সেটি ব্যবহার করা অনুচিত কাজ হবে। 

প্রার্থীর নাম যদি “আব্দুল জব্বার” হয় তাহলে তার উচিত হবে নামের সাথে মিল রেখে কোন ইমেইল একাউন্ট ব্যবহার করা। ru420@gmail .com , iamtheking@yahoo .com ইত্যাদি এই ধরনের ফানি নাম দিয়ে খোলা ইমেইল একাউন্ট চাকরির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

ইমেইল বডি ফাঁকা রাখা

অনেক চাকরিপ্রার্থী আছেন যারা অনলাইনে CV পাঠাতে বলায় শুধুমাত্র এটাচমেন্টের অপশনে সিভি এটাচ করে সেন্ড করে দেন এবং ইমেইল বডি সম্পূর্ণ ফাঁকা রাখেন। এই আচরণ একজন নিয়োগকর্তার কাছে আনাড়ি হিসেবে বিবেচিত হয়। বিজ্ঞপ্তি লিখা এবং প্রকাশ করার কাজগুলো একটি প্রতিষ্ঠানের নিম্ন পদস্থ কর্মচারী করে থাকলেও রিক্রুটমেন্ট অর্থাৎ প্রার্থী নির্বাচনের কাজগুলো কিন্তু করে থাকেন প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা। 
তাই সিভি সেন্ড করার পাশাপাশি ইমেইল বডিতে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে সম্বোধন করে অল্প কথায় কিছু লিখুন। শত ব্যস্ততার মাঝেও আপনার সিভিটা উনাকে পড়ার জন্য বিনয়ের সাথে অনুরোধ জানাতে পারেন। এই বিষয়টি চাকরি-দাতার নিকট আপনার সম্পর্কে একটি পজিটিভ ধারণা জন্মাতে সাহায্য করবে।

সঠিকভাবে ইমেইল সেন্ড না করা

CV পাঠানোর আগে বিজ্ঞপ্তি ভালো করে পড়ে নিয়ে জেনে নিন সিভির সাথে আর অন্য কিছু পাঠাতে বলেছে কিনা। নির্দিষ্টভাবে কিছু পাঠাতে বলে থাকলে সেগুলো পাঠান আর যদি না পাঠাতে বলে তবে প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্টস সেন্ড করুন সিভির সাথে। অবশ্যই সিভি সহ সকল ডকুমেন্টস doc ফাইলে নয়, PDF ফরম্যাটে সেভ করে সেন্ড করবেন। 

পিডিএফ ফরম্যাটে ফাইল সেভ করে পাঠানোটা অত্যন্ত জরুরী কারণ আপনার কম্পিউটারে আপনি যে Font ব্যবহার করে লিখেছেন নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটারে সেই ফন্ট না থাকলে আপনার সিভির লেখাগুলোকে docs ফাইলে সাংকেতিক চিহ্ন ছাড়া আর কিছুই দেখা যাবে না, কিন্তু PDF করে পাঠালে এই সমস্যা হওয়ার কোন সুযোগ নেই। 

ইমেইল সেন্ড করার আগে Subject এর ঘরে শুধু My CV বা CV লিখে সেন্ড করবেন না। এই ধরেন নামকরণের সিভি শত শত জমা পড়ে। আপনি যদি এভাবে সেন্ড করেন তাহলে নিয়োগকর্তাদের কাছে গ্রহণের আগেই আপনার সিভি বর্জন হয়ে যাবে। Abdul Jobbar_CV এইভাবে সিভির নামকরণ করে সেন্ড করবেন। আবার “To” এর ঘরে অর্থাৎ যে প্রতিষ্ঠানে আবেদনের জন্য ইমেইল করবেন সেই ইমেইল ঠিকানাটা সঠিকভাবে দেখে টাইপ করতে হবে। ভুলভাবে টাইপ করলে আপনার সিভি সঠিক জায়গায় পৌঁছাবে না।

CV তৈরির পূর্ব সতর্কতা

জীবন বৃত্তান্ত বা সিভি বা রিজিউমে এর ক্ষেত্রে কিছু জরুরী বিষয় অবশ্যই খেয়াল করা উচিত চাকরি প্রার্থীদের। সিভি তৈরির আগে নিচের বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল রাখবেন। যেমন-
  1. নিয়োগকর্তার কাছে একজন চাকরিপ্রার্থীর সিভি হল সেই চাকরিরপ্রার্থী সম্পর্কে জানানোর, পরিচয় করানোর অথবা তাকে প্রকাশ করানোর প্রথম পদক্ষেপ। তাই সিভি হতে হবে আকর্ষণীয় এবং তথ্যপূর্ণ। অহেতুক এবং অপ্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে চার-পাঁচ পাতার সিভির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্বলিত দুই পাতার সিভি নিয়োগকর্তাদের কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য।
  2. সিভিকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য রঙিন কাগজ অথবা বিভিন্ন রঙের কালি কখনোই ব্যবহার করবেন না। আপনার কোন যোগ্যতা বা দক্ষতাকে হাইলাইট করতে হলে Bold অথবা Underline করতে পারেন।
  1. প্রায় প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের চাকরিদাতাই সিভি বাছাইয়ের সময় প্রতিটি সিভির জন্য প্রায় ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ড সময় ব্যয় করেন। তাই আপনাকে মাথায় রাখতে হবে, শত শত হাজার হাজার সিভির মধ্যে থেকে মাত্র ২০ সেকেন্ডের ভেতর আপনার সিভিটি কেন বাছাই করবে একজন নিয়োগকর্তা। আপনার সিভিটি পরিপাটি গোছানো, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কিন্তু সংক্ষেপে উপস্থাপন করা আছে, সুন্দর ফরমেটে আকর্ষণীয় ভাবে লিখা থাকলে তবেই আপনার সিভি সিলেক্টেড হতে পারে। আপনার সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অপ্রয়োজনীয় কথা ছাড়াই সংক্ষেপে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারছেন কতটা সেই বিষয়টিও অনেক নিয়োগকর্তা লক্ষ্য করেন।
  2. অনভিজ্ঞ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সিভি বা রেজিউমে হবে আকারে ছোট এবং সংক্ষিপ্ত প্রায় দুই পাতার মতো। সিভি বড় করার জন্য আপনি কি খেতে পছন্দ করেন, কোথায় ঘুরতে পছন্দ করেন, আপনার শখ কি- এইসব অপ্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বহীন তথ্য কখনোই সংযুক্ত করবেন না আপনার সিভিতে। আপনার ভালোলাগা, মন্দলাগা জেনে চাকরি দাতাদের ১% লাভ বা লোকসান নেই। তাই এসব বিষয় অবান্তর।
  3. কোন প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী আপনার সিভি প্রস্তুত করুন। এইজন্য আবেদন করার পূর্বে সেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে যথাসম্ভব বিস্তারিত জানার চেষ্টা করুন। ধরুন চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে চাওয়া হয়েছে একজন টিম লিডার। আপনি যদি আপনার ছাত্র জীবনের কোন অবস্থায় কোন সংঘের সাথে থেকে লিডারশিপ এর দায়িত্ব পালন করে থাকেন এবং সেটি সিভিতে উল্লেখ করলে অবশ্যই আপনার সিভি অন্যদের চাইতে কিছুটা হলেও অগ্রাধিকার পাবে।
  4. সিভি প্রস্তুত করার সময় একটি তথ্যও যেন ভুল বা অসচেতনতা বসত দেয়া না হয়। ইন্টারভিউ বোর্ডে নিয়োগকর্তারা যদি কোন ধরনের ভুল বা মিথ্যা তথ্য পেয়ে থাকে তাহলে চাকরি হওয়ার আগেই আপনাকে চাকরিটা হারাতে হবে
  5. সিভি বাংলা অথবা ইংরেজিতে যে ভাষাতেই লিখুন ব্যাকরণগত অথবা grammatical ভুল যেন না থাকে। ভাইভাতে আপনার সিভিতে নিয়োগকর্তার চোখে কোন ভুল ধরা পরলে আপনার সম্পর্কে এই ধারণা জন্মাবে যে, আপনি কোন কাজ সঠিকভাবে করতে পারেন না এবং সব কাজে আপনার উদাসীনতা রয়েছে। তাহলে এই প্রতিষ্ঠানের উন্নতিতে আপনি কিভাবে অবদান রাখতে পারেন? বাংলা ব্যাকরণ অথবা ইংরেজি গ্রামারে দুর্বল হলে অবশ্যই কোন অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে দিয়ে আপনার সিভিটি চেক করিয়ে নিবেন।

উপসংহার
চাকরি এবং সিভির ব্যাপারে যারা যথেষ্ট সচেতন তারা সিভি তে যে এই ভুলগুলো করা যাবে না এ ব্যাপারে আমার থেকে হয়তো ভালো জানেন। তবে যারা তেমনটা সচেতন নন বা সিভির ক্ষেত্রে এ ভুলগুলো জানেন না তাদেরকে সচেতন করার জন্য আমার আজকের এই লেখা। পুরো লেখাটি পড়ে আশা করি নতুন কিছু তথ্য জানতে পেরেছেন যা হয়তো আগে জানতেন না বা খেয়াল করেননি।
যাইহোক, CV লেখার ১১টি কমন ভুল সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করলাম। আপনাদের মঙ্গল কামনায় আজকে এখানেই শেষ করছি। লেখাটি পড়ে যদি কিছুটা হলেও আপনাদের উপকার হয়ে থাকে তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আর ভুলভ্রান্তি হলে অথবা নতুন কিছু জানার আগ্রহ থাকলে কমেন্ট বক্সে লিখে জানাতে পারেন। সবাই সুস্থ থাকবেন, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুবিন পিডিয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url