ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায় | ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায় জানুন
বাইরে থেকে দেখে বুঝে তেমন কিছু মনে না হলেও ডায়াবেটিস একটি ভয়ংকর মরণব্যাধি রোগ যদি না এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে গেলে যত কষ্টই হোক সুস্থভাবে বাঁচতে হলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের বিকল্প কিছু নেই। প্রতিটি ওষুধেরই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। ডায়াবেটিস হলে দীর্ঘ সময় ধরে লাগাতার ওষুধ খাওয়ার ফলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া স্বরূপ অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আমাদের সকলেরই সচেতন হওয়া উচিত প্রাকৃতিক উপায়ে ডায়াবেটিস কমানোর ব্যাপারে।
“স্বাস্থ্য” এর আজকের এই পর্বে আমরা জানার চেষ্টা করব ওষুধ ছাড়াই কিভাবে আমরা ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের প্রাকৃতিক উপায়গুলো। আশা করি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের ব্যায়াম করার পাশাপাশি নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করা উচিত শারীরিক ব্যায়াম শরীরের গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীদের অবশ্যই প্রত্যেকদিন নিয়ম করে ব্যায়াম করা উচিত কারণ ডায়াবেটিসের সবচেয়ে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব গুলি সৃষ্ট হয় উচ্চ মাত্রার গ্লুকোজের কারণে।
পরিশ্রম করলে শরীরের শক্তি সঞ্চার করার জন্য গ্লুকোজ ব্যবহার করা হয়। ফলে শরীর থেকে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যায়। একজন সুস্থ মানুষ নিয়মিত ব্যায়াম করলে যে সুবিধা গুলো পেয়ে থাকে একজন ডায়াবেটিসের রোগীও সেই সুবিধাগুলোই পায় যেমন শরীর ফিট থাকে, ওজন কমে যায়, অন্যান্য অসুখ-বিসুখ থেকে দূরে থাকে ইত্যাদি।
তবে ডায়াবেটিস রোগীদের বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে দ্রুত ওজন কমতে শুরু করলে এটি অন্য কোন রোগের লক্ষণ হতে পারে, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তবে এখানেও রয়েছে কিছু সতর্কতা। আপনি যদি ডায়াবেটিসের প্রাথমিক স্টেজে থাকেন অথবা আপনার ডায়াবেটিস হয়নি ভবিষ্যৎ হতে পারে এই ভেবে যদি অতিরিক্ত ব্যায়াম করা শুরু করেন এবং আপনার রক্তে যদি শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক বা কম থাকে তাহলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
এটি হলে শরীর দুর্বল লাগতে পারে, মাথা ঘুরতে পারে এমনকি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। এ অবস্থা মোকাবেলায় ব্যায়াম করার সময় অবশ্যই মিষ্টি জাতীয় খাবার, মিষ্টি জাতীয় যে কোন ফল, স্পোর্টস ড্রিংক স্বল্প পরিমাণে খেতে পারেন। বয়স বেশি হলে বা শারীরিকভাবে ব্যায়াম করতে অসুবিধা হলে সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো সকালে এবং বিকালে এক ঘণ্টা করে হাটা।
স্ট্রেস কমান
স্ট্রেস বা মানসিক চাপ শুধু ডায়াবেটিস রোগীদের নয় সাধারণ সুস্থ মানুষদেরও স্বাভাবিক জীবন যাপনে ব্যাঘাত ঘটায়। গবেষণায় দেখা গেছে রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠানামা করার জন্য অনেকাংশে দায়ী মানসিক চাপ। দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা দীর্ঘ মেয়াদে বাড়াতে পারে যেটি মোকাবেলা করতে আপনাকে অতিরিক্ত ওষুধ সেবন অথবা অতিরিক্ত ব্যায়াম করতে হতে পারে। তাই মানসিক চাপ কমানোর জন্য নিজের কাজগুলো করতে পারেন
- অতিরিক্ত নয় পর্যাপ্ত ব্যায়াম করা
- নিয়মিত ধ্যান বা বিভিন্ন আসন গ্রহণ করা
- পর্যাপ্ত ঘুমানো
- মানসিক চাপ এড়ানোর বিভিন্ন পদ্ধতি নিজেকেই খুঁজে বের করা
- সরাসরি কথা বলে মনকে হালকা করা
- চা কফি পরিহার করা
- পছন্দের বা শখের কাজ করে অবসর কাটানো
- উপরের পয়েন্ট গুলো কাজ না করলে সবশেষে একজন থেরাপিস্ট এর শরণাপন্ন হওয়া।
সুস্থ থাকার চেষ্টা করুন
গবেষণা মতে সামান্য সর্দি কাশি হলেও রক্তে শর্করার মাত্রার পরিবর্তন ঘটে, কখনো কখনো বৃদ্ধি পায়। তার ওপর ডায়াবেটিস রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনিতেই কম থাকে। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের অন্যতম সহজ উপায় হল নিজেকে সবসময় সুস্থ সবল রাখা। নিজেকে সুস্থ রাখতে এই কাজগুলো করতে পারেন-
- সুশৃংখল জীবন যাপন করুন
- সময় মত রাতে ঘুমান এবং খুব সকালে ঘুম থেকে উঠুন
- ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সকল খাবার গ্রহণ করুন
- মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছা করলে অত্যন্ত কম পরিমাণে খান
- কাজ করুন অথবা সকাল বিকাল ব্যায়াম এর মাধ্যমে পরিশ্রম করুন
- ঠান্ডা জাতীয় খাবার খাওয়া পরিহার করুন
- ভাত, রুটি, আলু সহ উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার পরিহার করুন।
- সবশেষে সামান্যতম অসুস্থতা বোধ করলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
মাসিকের সময় সতর্ক থাকুন
মধ্যবয়সী এবং বয়স্ক মহিলারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে নিতে হবে বাড়তি সতর্কতা। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নারীদের পিরিয়ড অথবা মেনোপজ এর সময় রক্তে শর্করা ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়, বেশিরভাগ সময়ে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেক নারী পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারেন যে, পিরিয়ডের আগের মুহূর্তে তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়।
এর ফলে সেসব নারীরা অতিরিক্ত ইনসুলিন গ্রহণ করতে অথবা খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন ঘটাতে বাধ্য হন। আবার মেনোপজ এর সময় মহিলাদের ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি ঘুমের ক্ষতি হয় যার ফলে স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ বৃদ্ধি পায় এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়। তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মহিলারা তাদের মাসিক এবং মেনোপজের সময় একজন স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের অন্যতম সহজ উপায় হলো নিয়মিত চিকিৎসকের সংস্পর্শে থাকা। আপনি যদি টাইপ ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তবে প্রথম পর্যায়ে প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ টাইপ 1 ডায়াবেটিসের প্রাথমিক স্টেজে আপনার চিকিৎসা ধরন বিশ্লেষণ করতে অর্থাৎ আপনার সমস্যার সাথে আপনার জীবনধারা, ওষুধ, খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি এডজাস্ট করতে সময় লাগবে।
তবে একবার চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারিত হয়ে গেলে ঘনঘন চিকিৎসকের সাথে দেখা করার প্রয়োজন নেই। তখন তিন-চার মাসে একবার চিকিৎসকের সাথে দেখা করলেই চলবে। এই রুটিন চেকআপের একটি বিশেষ সুবিধা হল আপনি যখনই অসুস্থ হবেন খুব দ্রুত আপনার চিকিৎসক আপনার জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সচেষ্ট হবেন। আমাদের দেশে প্রায় প্রত্যেক বিভাগেই ডায়াবেটিস হাসপাতাল রয়েছে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা এসব হাসপাতালে গিয়ে উন্নত মানের চিকিৎসা সেবা পেয়ে থাকেন।
স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন
চিকিৎসকদের মতে অস্বাস্থ্যকর ওজন অর্থাৎ স্থূলতা টাইপ ২ ডায়াবেটিস এর জন্য অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়। স্থুলতা বা মোটা হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক কাজকর্মের পাশাপাশি যে কোন ধরনের ডায়াবেটিসের নিয়ন্ত্রণে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। ওজন বৃদ্ধির ফলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর ক্ষতির পরিমাণ যদি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে অথবা ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হয় সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকগণ ওজন হ্রাস করার জন্য অস্ত্রপচারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে সাধারণত দুই ধরনের সার্জারি করার সুযোগ রয়েছে।
গ্যাস্ট্রিক বাইপাস সার্জারি - পেটকে সংকুচিত করে অন্ত্রকে আরও ছোট করে দেওয়া হয় যাতে খাবার কম খাওয়া হয় এবং খাবার থেকে কম পরিমাণে ক্যালরি শোষিত হয়। এটি একটি চিরস্থায়ী ব্যবস্থা।ল্যাপারোস্কোপিক গ্যাস্ট্রিক ব্যান্ডিং- পেটের চারপাশে একটি ব্যান্ড আবৃত করে রাখা হয় যাতে পেট ছোট চাপা থাকে এবং কম খাবারে পেট ভরার অনুভব করা যায়। প্রয়োজন হলে এ ব্যান্ড সরানো যায় অর্থাৎ এটি একটি অস্থায়ী ব্যবস্থা।
নিয়মিত পা এবং চোখ পরীক্ষা করুন
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে অন্যতম প্রধান দুটি সমস্যা হল পা এবং চোখের সমস্যা। পূর্ব আপনার পায়ে কোন সমস্যার ইতিহাস থাকুক বা না থাকুক ডায়াবেটিসের কারণে বর্তমানে আপনার শরীরে কোন সমস্যা হোক বা না হোক অন্তত তিন মাস পর পর আপনার পা পরীক্ষা করা উচিত। পা এর পালস, অনুভূতি ঠিক আছে কিনা, পায়ে কোন আলসারের উপস্থিতি আছে কিনা ইত্যাদি বিষয়গুলোই চেক করা হয়।
অন্যদিকে ডায়াবেটিসের কারণে চোখের দৃষ্টি শক্তি কমে যেতে পারে এবং সচেতন না হলে ডায়াবেটিসের মাত্রা বেড়ে গেলে অন্ধ পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে একজন রোগী। তাই চোখের দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখতে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করুন। ডায়াবেটিস থাকলে চোখের যে কোন সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আর সমস্যা না হলে ছয় মাসে অন্তত একবার চোখ পরীক্ষা করলেই চলবে।
খাবার গ্রহনে সচেতন হোন
আপনি যদি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তবে খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ডায়াবেটিস রোগীকে অবশ্যই একজন চিকিৎসক খাবারের চার্ট দিয়ে থাকেন। তবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাধারণভাবে কিছু খাবারের বিষয়ে জেনে নেওয়া ভালো।
- কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার পরিমিত পরিমাণে অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করতে হবে। শস্যদানা জাতীয় খাবার অথবা এসব থেকে তৈরি খাবার যেমন ভুট্টা থেকে তৈরি খাবার গ্রহণে আগ্রহী হতে হবে। তবে যেসব খাবার শস্য দানা কে পরিশোধিত করে তৈরি করা হয় সেসব খাবার এড়িয়ে চলায় ভালো।
- কম ক্যালরিযুক্ত কিন্তু উচ্চ পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন। তেল চপচপে খাবারের পাশাপাশি ধূমপান পরিহার করতে হবে।
- ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন। এই ধরনের খাবার আপনাকে খুব বেশি পুষ্টি দিবে না তবে আপনার ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সব ধরনের সবজি, ফল, শস্যদানায় উচ্চ মাত্রার আঁশ অর্থাৎ ফাইবার রয়েছে।
- চর্বিহীন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান। সাধারণত দেশি মুরগি, বেশিরভাগ সব ধরনের মাছ, বিভিন্ন দুগ্ধ জাত খাবার, বিভিন্ন সবজি, ডিম, চর্বি ছাড়া লাল মাংস ইত্যাদিতে প্রোটিন রয়েছে।
- কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে ডায়াবেটিস রোগীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি এক ধাপ বেশি বাড়িয়ে দেয়। কোলেস্টেরল সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল এবং এইচডিএল বা ভালো কোলেস্টেরল। খারাপ কোলেস্টেরলের উৎসগুলির মধ্যে চর্বিযুক্ত খাবার, ডিমের কুসুম, লিভার বা এই ধরনের মাংস, চর্বিযুক্ত গরুর মাংস, হাঁস মুরগির চামড়া উল্লেখযোগ্য। অন্যদিকে ভালো কোলেস্টেরলের উৎস গুলোর মধ্যে বাদাম, যেকোনো ধরনের মাছ, জলপাই তেল, ওটমিল ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে ভালো কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার খান।
- বিভিন্ন কোমল পানীয়, মিষ্টি, মিষ্টি জাতীয় খাবার, ফাস্টফুড, অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পরিবেশিত অস্বাস্থ্যকর খাবার, পাতে লবণ বা অতিরিক্ত লবণযুক্ত তরকারি ইত্যাদি খাবার পরিহার করতে হবে।
নিয়মিত চেকআপ করুন
যাদের পরিবারে পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে ডায়াবেটিসের সেসব পরিবারের প্রত্যেক সদস্যদের ছয় মাসে অন্তত একবার রক্তে শর্করার উপস্থিতি এবং পরিমাণ চেক করা উচিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ এরকমটাই বলছেন। রক্তে গ্লুকোজ পরীক্ষার জন্য সব সময় হাসপাতালে যেতে হবে এমনটি নয়। এখন বাড়ির আশেপাশে অনেক ফার্মেসিতে স্বল্পমূল্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষার সুযোগ রয়েছে।
পরীক্ষার পরে ডায়াবেটিসের উপস্থিতি সনাক্ত হলে যত দ্রুত সম্ভব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জীবন যাপন করতে হবে। ডায়াবেটিসে সম্পূর্ণ আক্রান্ত হওয়ার পূর্বেই যদি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তবে শুরু থেকেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় থাকবে। তাছাড়া বছরে একবার হলেও লিপিড প্রোফাইল এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা পরীক্ষা করে দেখা উচিত।
শেষ কথা
বর্তমানে ডায়াবেটিসের মতো এই মরণব্যাধি রোগটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রকোপ আকারে দেখা যাচ্ছে। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং শারীরিক পরিশ্রমের অভাবই মূলত এই রোগের জন্য দায়ী। ডায়াবেটিসে কেউ একবার আক্রান্ত হলে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের প্রাকৃতিক কিছু উপায় আলোচনা করা হলো উপরে আশা করি আপনাদের কাজে লাগবে। চিকিৎসকের পরামর্শ আপনারা পাবেন তার পরেও আমি নিজের মত সহজ ভাষায় চেষ্টা করলাম উপস্থাপন করতে।
লেখায় কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। এ ধরনের আরও তথ্যবহুল লেখা পড়তে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। লেখাটি ভালো লাগলে কমেন্ট বক্সে লিখে জানাতে পারেন। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ।
মুবিন পিডিয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url