৩০ হাজার টাকার মধ্যে মোবাইল ২০২৪ | সেরা ৩টি স্মার্টফোন

বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন ছাড়া যেমন আমরা একজনও চলতে পারি না আবার অনেকের কাছে স্মার্টফোন অত্যন্ত লোভনীয় এবং পছন্দের একটি যন্ত্র। তবে স্মার্টফোন কেনার আগে অবশ্যই আমাদের সবকিছু জেনে কেনা উচিত। অনেকেই আছেন কনফিগারেশন না জেনে স্মার্টফোন কিনে আফসোস করেন। এমনও অনেক স্মার্ট ফোন রয়েছে যেগুলো ডিজাইন অত্যন্ত আকর্ষণীয় কিন্তু ভেতরের পারফরম্যান্স আশানুরূপ নয়। ভালো দাম দিয়ে যখন স্মার্ট ফোন কিনব তখন সব দিক বিবেচনা করেই কেনা উচিত।
৩০ হাজার টাকার মধ্যে মোবাইল ২০২৪ | সেরা ৩টি স্মার্টফোন

“স্মার্টফোন” এর আজকের এই পর্বে আমরা ৩০ হাজার টাকা বাজেটের মধ্যে সেরা ৩টি স্মার্টফোন সহ মোট পাঁচটি স্মার্টফোনের বিস্তারিত জানতে চেষ্টা করব। আশা করি তথ্য গুলো আপনাকে সাহায্য করবে সিদ্ধান্ত নিতে কোন স্মার্টফোনটি আপনি কিনবেন আর কোনটি কেনা উচিত হবে না। তো চলুন জেনে নেই।

Infinix Note 40s

অপারেটিং সিস্টেম
Android 14 with XOS 14
স্ক্রিন সাইজ 
6.78” 
ডিসপ্লে টাইপ
3D Curved AMOLED 
প্রসেসর
MediaTek G99 Ultimate
র‍্যাম
8GB (LPDDR4X)
স্টোরেজ
256GB (UFS 2.2)
মেইন ক্যামেরা
108MP, 2MP Macro sensor 
সেলফি ক্যামেরা
32MP
ভিডিও রেকর্ডিং
2K  30fps
ব্যাটারি
5000mah  
চার্জার
33 Watt 

অন্যান্য সুবিধা
Corning Gorilla Glass প্রটেকশন রয়েছে এই সেটে। Wireless Charging সাপোর্টেড ব্যাক কভার রয়েছে। তবে Wireless Magnetic Charger টি বাজার থেকে কিনে নিতে হবে। JBL এর স্পিকার রয়েছে যার সাউন্ড কোয়ালিটি অনেক উন্নতমানের এবং সেকেন্ডারি নয়েজ ক্যান্সলেশন মাইক রয়েছে। 120 Hz রিফ্রেশ রেট এর সুবিধার জন্য সুপার স্মুথ পারফরম্যান্সের অভিজ্ঞতা পাবেন। 

Smooth গেম খেলার সুবিধা পাবেন অর্থাৎ গেম খেলতে কোন ধরনের ল্যাগ পাবেন না। Lower বেজেল অনেক চিকন হাওয়াই ডিসপ্লের সৌন্দর্য বেড়ে গেছে বহু গুণ। বাজেট হিসেবে ক্যামেরা যথেষ্ট ভালো মানের। ব্যাক ক্যামেরা, ফ্রন্ট ক্যামেরার ছবি সহ ভিডিওগ্রাফিতে সন্তুষ্ট হবেন।
বিশেষ সুবিধা
তিন বছরের সফট ওয়ার আপডেট এর সাথে দুই বছরের এন্ড্রয়েড ভার্সন এর আপডেট পাওয়া যাবে। IP54 এর Water & Dust Resistance Certificate রয়েছে যার ফলে হালকা পানির ছিটেফোটা এবং ধুলাবালি থেকে এই মোবাইল ফোন নিজেকে রক্ষা করতে সক্ষম। ব্যাটারির Power Management হিসেবে যে চিপসেট ব্যবহার করা হয়েছে সেটি হল X1 Cheetah। 

এটার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এটি পাওয়ার consumption কম করে এবং মোবাইলে হিট জেনারেট করে খুবই কম। ফাস্ট চার্জিং সুবিধার কারণে ১০০% চার্জ হতে সময় লাগে প্রায় এক ঘন্টা এবং ব্যাটারি ব্যাকআপও যথেষ্ট ভালো প্রায় দেড় দিন মতো ব্যাকআপ পাওয়া সম্ভব। L1 সাপোর্ট থাকায় Gcam ব্যবহার করতে পারবেন।

অসুবিধা
বাজেট বিবেচনায় Infinix Note 40s এর উল্লেখ করার মতো তেমন কোন অসুবিধা নেই।

ব্যক্তিগত রেটিং
২৬৯৯৯ টাকা অর্থাৎ প্রায় ২৭ হাজার টাকার Infinix Note 40s সেটে নেগেটিভ সাইড নেই বললেই চলে। তাই আমার ব্যক্তিগত রেটিং হচ্ছে ৯/১০ এবং এই স্মার্টফোন কিনার জন্য আপনাদের Highly Recommend করা যায়।

Tecno Camon 30

অপারেটিং সিস্টেম

Android 14 with HiOS 14

স্ক্রিন সাইজ 

6.78” 

ডিসপ্লে টাইপ

LTPO Amoled 

প্রসেসর

MediaTek Helio G99 Ultimate

র‍্যাম

8GB (LPDDR4X)

স্টোরেজ

256GB (UFS 2.2)

মেইন ক্যামেরা

50MP, 2MP depth sensor, AI lense  

সেলফি ক্যামেরা

50MP 

ভিডিও রেকর্ডিং

2K 30fps & 1080p 60fps

ব্যাটারি

5000mah  

চার্জার

70 Watt 



অন্যান্য সুবিধা
Doulby Dual Stereo Speaker থাকায় অনেক উন্নত মানের সাউন্ড এর অভিজ্ঞতা পাবেন। IR Bluster sensor থাকার ফলে বাসায় থাকা এসি টিভির রিমোট কন্ট্রোল হিসেবেও কাজে লাগাতে পারবেন এই স্মার্ট ফোনকে। 120Hz রিফ্রেশ রেট এর কারণে ব্যবহার করে সুপার স্মুথ পারফরম্যান্সের অভিজ্ঞতা পাবেন। Lower Chin bezel ডিসপ্লের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। 

Full HD+ ডিসপ্লেতে দেখতে পাবেন মুভি সিনেমা। অরিজিনাল 50MP লেন্স থাকায় এই সেটের চমৎকার ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি দেখে নিশ্চিত থাকুন আপনার পয়সা উসুল হবে। ব্যাক সাইডে একটি লাল রংয়ের লাইট ইন্ডিকেটর রয়েছে যেটি মূলত কল আসলে, ক্যামেরা অন থাকলে জ্বলে উঠে যা দেখতে বেশ ভালোই লাগে। গেমিং এর পারফরম্যান্স খুবই ভালো তাই গেম লাভাররা নিশ্চিন্তে এই ডিভাইসটি নিতে পারেন।

বিশেষ সুবিধা
৩ বছরের Security Update সহ ২ বছরের Android আপডেট পাওয়া যাবে Tecno Camon 30 তে। L1 সাপোর্ট থাকায় অতিরিক্ত Gcam ব্যবহার করে চমৎকার এবং মনোমুগ্ধকর ছবি তুলতে পারবেন। ক্যামেরা OIS সাপোর্টেড হওয়ায় চলন্ত ছবিও স্থির ক্যাপচার করার পাশাপাশি স্টেবিলাইজ ভিডিও রেকর্ড করার সুবিধা থাকছে। 
ওষুধ ছাড়া প্রাকৃতিক উপায়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করুন আর সুস্থ থাকুন
চার্জ টাইম অনেক কম লাগে অর্থাৎ প্রায় ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের মধ্যে ফুল চার্জ করা সম্ভব। নিজস্ব ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট Ella আছে যার মাধ্যমে যেকোনো ভয়েস কে অন্য ভাষায় ট্রান্সলেট করতে পারবেন এই সুবিধাটি স্মার্টফোনে বিল্টইন অবস্থায় দেয়া আছে। আইফোনের মত AI ফিচার রয়েছে যাতে করে স্ক্রিনে আঁকা sketch কে বাস্তবে রূপ দেয়া যায় সহজেই, সাথে ছবি থেকে object remove এর সুবিধা তো থাকছেই।

অসুবিধা
Tecno Camon 30 তে হিটিং ইস্যু আছে। ব্যাক পার্ট এ অর্থাৎ ক্যামেরা সেকশনে হিটিং ইস্যু দেখা গেছে। এছাড়াও দীর্ঘক্ষণ ধরে গেম খেললে বেশ ভালো হিট জেনারেট হয়। প্রসেসর ম্যানেজমেন্ট আরো উন্নত করা দরকার ছিল এখানে।

ব্যক্তিগত রেটিং
অফিসিয়ালি ২৪৯৯৯ টাকার Tecno Camon 30 তে হিটিং ইস্যু ছাড়া তেমন কোন অসুবিধা নাই। তবে এই সামান্য অসুবিধার তুলনায় এই সেট সুবিধা দিচ্ছে কয়েক গুণ বেশি। স্মার্টফোনের জন্য আমার ব্যক্তিগত রেটিং হচ্ছে ৮/১০। এই সেট আপনারা স্বাচ্ছন্দে কিনতে পারেন।

Realme 12

অপারেটিং সিস্টেম

Android 14 

স্ক্রিন সাইজ 

6.67” 

ডিসপ্লে টাইপ

Amoled

প্রসেসর

Qualcomn Snapdragon 685

র‍্যাম

8GB (LPDDR4X)

স্টোরেজ

256GB (UFS 2.2)

মেইন ক্যামেরা

50MP, 2MP  

সেলফি ক্যামেরা

16MP 

ভিডিও রেকর্ডিং

1080p 30fps

ব্যাটারি

5000mah  

চার্জার

67 Watt (supported)



অন্যান্য সুবিধা
2000 Nit Peak Brightness থাকার ফলে সরাসরি সূর্যের আলোতেও ডিসপ্লে দেখতে কোন সমস্যা হবে না। Dual Speaker এর ফলে সন্তোষজনক সাউন্ড সিস্টেম পাবেন। এই ডিভাইসে তেমন কোনো হিটিং ইস্যু নেই। 120Hz রিফ্রেশ রেট এর সাথে Full HD+ ডিসপ্লেতে মিডিয়া consumption হবে আকর্ষণীয়। এই স্মার্টফোনের ডিজাইন এবং ডিসপ্লে যে কারো নজর কাড়বে। 

বিশেষ সুবিধা
IP54 রেটিং থাকায় এই ডিভাইস নিজেকে অল্প স্বল্প পানি এবং ধুলাবালি থেকে রক্ষা করতে সক্ষম।

অসুবিধা
প্রধান সমস্যা হল দাম অনুযায়ী এই ডিভাইসে প্রসেসর একদম বেমানান। এই প্রসেসর মূলত এনট্রি লেভেলের সেটে দেয়া থাকে। যারা দুইটি সিম এবং একটি মেমোরি কার্ড ব্যবহার করেন তারা আরো একবার হতাশ হবেন Hybrid Sim Slot এর কারণে কেননা এই ডিভাইসে দুইটি সিম অথবা একটি সিম+ একটি মেমোরি কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন। এতে gorilla glass protection দেয়া আছে কিনা তার কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। 
এই বাজেটে কমপক্ষে 2K রেজোলিউশন এর ভিডিও রেকর্ডিং এর সুবিধা থাকা উচিত ছিল। যারা নিয়মিত গেম খেলেন তারা আশানুরূপ ফল পাবেন না অর্থাৎ এটি গেমিং ফোন নয়। 67 Watt সাপোর্ট করলেও বক্সে দেওয়া হয়েছে মাত্র 18 Watt এর চার্জার যা রীতিমতো নিন্দনীয় এই বাজেটে। বাজেট অনুযায়ী ক্যামেরার ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি মোটামুটি অর্থাৎ দেখে খুব ভালো বলতে পারবেন না আবার একদম খারাপও বলা যাবে না। ক্যামেরায় OIS থাকলেও স্টাবিলাইজেশন এ আরেকটু উন্নত করতে পারত Realme।

ব্যক্তিগত রেটিং
২৯৯৯৯ টাকার বাজেটের এই ফোনে মূলত ডিজাইন এবং ডিসপ্লের উপরে ফোকাস করা হয়েছে। যার কারণে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার বেশ কিছু ঘাটতি রয়ে গেছে। সবদিক বিবেচনা করে আমার ব্যক্তিগত রেটিং ৫/১০। যারা সুন্দর ডিজাইন হলেই খুশি তারা এই ডিভাইসটি কিনতে পারেন তবে বাকিরা কিনবেন কিনা খুব ভালো করে ভেবে দেখবেন।

Moto G85 5G

অপারেটিং সিস্টেম

Android 14 with XOS 14

স্ক্রিন সাইজ 

6.67”  

ডিসপ্লে টাইপ

P-Oled Curved Display

প্রসেসর

Snapdragon 6S Gen-3

র‍্যাম

8GB, 12GB (LPDDR4X)

স্টোরেজ

128GB, 256GB (UFS 2.2)

মেইন ক্যামেরা

50MP, 8MP Ultrawide with OIS  

সেলফি ক্যামেরা

32MP

ভিডিও রেকর্ডিং

1080p  30fps

ব্যাটারি

5000mah  

চার্জার

33 Watt 



অন্যান্য সুবিধা
সেকেন্ডারি নয়েজ ক্যান্সলেশন মাইক রয়েছে যার ফলে অপর প্রান্তের ব্যক্তি আপনার কথা একদম পরিষ্কারভাবে শুনতে পাবে। এই বাজেটে 120Hz রিফ্রেশ রেট থাকা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার এবং এই ডিভাইসে সেটি আছে। 1600 Nit Peak Brightness থাকার ফলে বাইরে সূর্যের আলোতে ডিসপ্লে দেখতে মোটামুটি খুব একটা সমস্যা হবে না। 

এটি গেমিং ফোন না হলেও Lower সেটিংস ম্যানেজমেন্ট ফলো করলে মোটামুটি একটা ভালো ফলাফল পেতে পারেন গেম খেলার ক্ষেত্রে। এই ডিভাইসের কালার এবং এর স্লিম ডিজাইন যে কারো নজর কাড়তে বাধ্য। Moto G85 5G এর ক্যামেরা ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফিতে আপনাকে সন্তুষ্ট করতে পারবে।
বিশেষ সুবিধা
ডিসপ্লে প্রোটেকশন দেয়ার জন্য রয়েছে Corning Gorila Glass 5। Chin bezel ন্যারো হাওয়ায় ডিসপ্লে দেখতে অত্যন্ত চমৎকার লাগে। দুই বছরের এন্ড্রয়েড আপডেট পাওয়া যাবে এই ডিভাইসে। প্রসেসর ম্যানেজমেন্ট ভালো হওয়ায় হিটিং ইস্যু তেমন নেই বললেই চলে। Ultrawide শুটারের পাশাপাশি ভিডিওগ্রাফিতে বেশ ভালো মানের স্টাবিলাইজেশন পাবেন।

অসুবিধা
3.5mm হেডফোন জ্যাক এই ডিভাইসে নেই। IP52 এর রেটিং রয়েছে এই ডিভাইসে যা বাজেট বিবেচনায় মানানসই নয়। Realme 12 এর মত Moto G85 5G তেও রয়েছে Hybrid Sim Slot। বাজেট বিবেচনায় 2K রেজোলিউশনের ভিডিও রেকর্ডিং এর সুবিধা দিতে পারতো Moto G85 5G।

ব্যক্তিগত রেটিং
প্রায় ২৭০০০ টাকার এই ফোনের ক্ষেত্রে সবদিক বিবেচনা করে আমার ব্যক্তিগত রেটিং হল ৭.৫/১০। যারা সুন্দর ডিজাইন চান তার সাথে আমার মত পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে অল্পতেই তুষ্ট থাকতে পারেন তারা নিঃসন্দেহে Moto G85 5G কিনতে পারেন।

Honor x8b

অপারেটিং সিস্টেম

Android 13 with Magic OS

স্ক্রিন সাইজ 

6.7”

ডিসপ্লে টাইপ

AMOLED 

প্রসেসর

Qualcomn Snapdragon 680

র‍্যাম

8GB

স্টোরেজ

512 GB (UFS 2.2)

মেইন ক্যামেরা

Main Shooter 108MP, 5MP Ultrawide, 2MP Macro shooter 

সেলফি ক্যামেরা

50MP 

ভিডিও রেকর্ডিং

1080p 30fps

ব্যাটারি

4500mah 

চার্জার

35 Watt 



অন্যান্য সুবিধা
90Hz রিফ্রেশ রেট আছে এই সেটে। Full HD+ রেজোলিউশন থাকায় মিডিয়া consumption হবে দুর্দান্ত। আই ফোনের মত ডায়নামিক আইল্যান্ড রয়েছে যা এই ফোনের লুককে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে এবং দেখতে অনেকটাই iphone এর মতই মনে হয়। অনেকক্ষণ ব্যবহারেও হিট জেনারেট হয় না। এই ফোনের উন্নত মানের স্ক্রিন যে কারো নজর কাড়বে। এই ব্যাটারি দিয়েও যথেষ্ট ভালো ব্যাকআপ পাওয়া যাবে।

বিশেষ সুবিধা
Honor x8b দিচ্ছে 2000 nit peak brightness যার কারণে সরাসরি সূর্যের আলোতেও আপনি নির্বিঘ্নে মোবাইল এ কাজ করতে পারবেন। Lower বেজেল ন্যারো হওয়ায় দেখতে অত্যন্ত চমৎকার লাগে।

অসুবিধা
সাধারণত ২০ হাজার টাকার বাজেটের ফোনেও আমরা ইন ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেখে থাকি। কিন্তু অত্যন্ত হতাশার কথা হচ্ছে ৩০ হাজার টাকার বাজেটের এই ফোনে In display fingerprint sensor এর পরিবর্তে side mounted fingerprint sensor রয়েছে যা এই বাজেটে একদম বেমানান। IR Bluster sensor নেই। বাজেট হিসেবে 120Hz রিফ্রেশ রেট দেওয়া উচিত ছিল। 
L1 সাপোর্ট নেই ফলে আলাদাভাবে Gcam ব্যবহার করতে পারবেন না। কমপক্ষে 2K রেজুলেশন এর ভিডিও রেকর্ড করার সুবিধা দেওয়া উচিত ছিল। ৩০ হাজার টাকার এই সেটে Stabilization এর অনুপস্থিতি অত্যন্ত দুঃখজনক। এন্ট্রি লেভেল এর প্রসেসর দেয়ার কারণে গেম খেলতে গেলে মাঝে মধ্যে ল্যাগ দেখা যায়। এছাড়াও 30K বাজেটের এই ফোনে Gyroscope sensor না থাকায় স্মুথলি গেম খেলতে পারবেন না।

ব্যক্তিগত রেটিং
উপরে আলোচনা থেকে বোঝা যাচ্ছে ৩০ হাজার টাকার এই স্মার্টফোনে “আছে” এর চেয়ে “নাই” এর পরিমাণ বেশি। তাই আমার ব্যক্তিগত রেটিং হচ্ছে ৪/১০। ব্যক্তিগতভাবে এত দাম দিয়ে উপরে ফিটফাট ভেতরে সদরঘাট ট্যাগ পাওয়া এই সেট কেনার জন্য কাউকেই সুপারিশ করা যায় না।

মন্তব্য

উপরের ৩০ হাজার টাকা বাজেটের ভিতরে যে কয়টি মোবাইলের বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করলাম তাদের প্রত্যেকেরই Punch Hole ডিসপ্লে রয়েছে এবং প্রত্যেকেরই (Honor x8b বাদে) ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর রয়েছে। সুবিধা অসুবিধা সহ বেশ কিছু দিক আলোচনার চেষ্টা করেছি। আশা করি স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে তথ্য গুলো আপনাকে কিছুটা হলেও সাহায্য করবে।
আজ এ পর্যন্তই। পরবর্তী কোন লেখায় আবার আপনাদের সাথে যোগাযোগ হবে। লেখাটি ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন আর নতুন কোন ডিভাইস সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকলে কমেন্ট বক্সে লিখে জানাতে পারেন। ভালো থাকবেন, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুবিন পিডিয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url