মোবাইল ফোন আমাদের শরীরের জন্য কতটা ক্ষতির কারণ

প্রযুক্তি বিশেষ করে মোবাইল ফোনের কল্যাণে এখন পুরো বিশ্ব আমাদের হাতের মুঠোয়। আমরা সেকেন্ডের ভিতরে পৃথিবীর এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্তে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারি। যেকোনো মুহূর্তে যেকোনো সময় জানতে পারি আমাদের প্রয়োজনমতো বিভিন্ন তথ্য। কিন্তু প্রকৃতির নিয়ম কোন জিনিসেরই শুধু সুবিধা বলে কিছু হয় না, তার কিছু অসুবিধা থাকে। এত সুবিধা থাকার পরেও মোবাইল ফোন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য নিয়ে এসেছে কিছু ঝুঁকি। আমরা অনেকেই হয়তো খেয়াল করি না যে, মোবাইল ফোন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতির কারণ হতে পারে।
মোবাইল ফোন আমাদের শরীরের জন্য কতটা ক্ষতির কারণ

“স্মার্টফোন” এর আজকের এই পর্বে আমরা জানার চেষ্টা করব মোবাইল ফোনের ব্যবহারের ফলে আমাদের শরীরের কি কি ক্ষতি হতে পারে। বিভিন্ন গবেষকদের মতামত এবং গবেষণার ফলাফল উল্লেখ করার চেষ্টা করব। আশা করি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।

মোবাইল ফোন কিভাবে কাজ করে

তারবিহীন মোবাইল ফোন কিভাবে কাজ করে সে প্রশ্ন কি আমাদের মনে কখনো এসেছে? মোবাইল ফোন মূলত রেডিও ফ্রিকুয়েন্সি ওয়েভের মাধ্যমে কাজ করে যার জন্যই আসলে মোবাইল ফোনে কোন তারের প্রয়োজন হয় না। এই ওয়েভ স্বল্প মাত্রার কিছু বিকিরণ ব্যবহার করে যার মাধ্যমে মূলত তথ্য আদান-প্রদান সম্ভব হয়। 
এই বিকিরণ সাধারণত আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি বা এক্সরেতেও থাকে তবে এগুলোর চাইতে মোবাইলের বিকিরণ অনেক কম শক্তিশালী। মোবাইলে এক ধরনের তেজস্ক্রিয় পদার্থ থাকে যেটা থেকেই মূলত এই বিকিরণ নির্গত হয়। বহু বছর ধরে বিজ্ঞানীরা চেষ্টা চালিয়ে আসছেন জানার জন্য মোবাইল ফোন থেকে যে বিকিরণ নির্গত হয় সেটি আসলে মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকর কিনা? তবে গবেষণা এখনো চলমান। 
তাঁরা এখনো সুস্পষ্ট হতে পারেননি এই বিকিরণ ক্ষতিকর কিনা অথবা ক্ষতিকর হলেও কতটা ভয়ানক। তবে সাধারণভাবে বিবেচনা করা যায়, যে কোন বিকিরণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর, সে হিসেবে মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে নির্গত বিকিরণ আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।

অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের যে সমস্যাগুলো হতে পারে

আগেই বলা হয়েছে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা চলছে। তবে বিভিন্ন গবেষণা থেকে প্রাথমিক যে ফলাফল পাওয়া গেছে তার ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা কিছু ক্ষতিকর বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন। হাফিংটন পোস্ট এর প্রতিবেদন থেকে কিছু অংশ উল্লেখ করা হলো।

দৃষ্টিশক্তির সমস্যা

মানুষের চোখে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি হল হাইপারমেট্রোপিয়া বা দীর্ঘ দৃষ্টি অর্থাৎ দূরের জিনিস স্পষ্ট দেখা গেলেও কাছে জিনিস দেখতে সমস্যা হয় বা ঝাপসা মনে হয়। এটি সাধারণত বয়স বাড়ার সাথে সাথে হয়ে থাকে। আরেকটি হল মায়োপিয়া বা ক্ষীণদৃষ্টি অর্থাৎ কাছের জিনিস স্পষ্ট দেখা গেলেও দূরের জিনিস কিছুটা ঝাপসা লাগে বা দেখতে সমস্যা মনে হয়। 

বিজ্ঞানীরা বলছেন অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের ফলে যে বিকিরণ নির্গত হয় সেটি মূলত চোখের মাইয়োপিয়া সমস্যা সৃষ্টির জন্য দায়ী। গবেষণামতে আমরা যখন বই বা খবরের কাগজ পড়ি তখন চোখ থেকে সেটি প্রায় 40 সেন্টিমিটার দূরত্বে থাকে। কিন্তু যখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তখন চোখ থেকে সেটি প্রায় ১৮ সেন্টিমিটার দূরত্বে থাকে যার ফলে অনেকক্ষণ ধরে মোবাইল ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখে ক্ষতি অর্থাৎ মায়োপিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। 

পরবর্তীতে বিভিন্ন জিনগত সমস্যা হতে পারে এবং সন্তান সন্ততিদের মাইয়োপিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। ভারতের সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদন মতে মোবাইল ফোন থেকে যে রশ্মি গুলো নির্গত হয় তার মধ্যে সব কটি আলোই থাকে তবে এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে থাকে নীল আলো এবং এই নীল আলো ক্ষতিও করে বেশি ফলে দৃষ্টিশক্তির বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। 
এ নীল আলোক রশ্মির কারণে চোখে বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে মূলত চোখে চুলকানি হওয়া, চোখে ঝাপসা বা স্পষ্ট দেখা, দূরের জিনিস দেখতে সমস্যা হওয়া, চোখ শুষ্ক হয়ে যাওয়া, রেটিনা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার মাধ্যমে দৃষ্টি শক্তি হারানো ইত্যাদির সমস্যা হতে পারে। গবেষকদের মতে একটানা ঘন্টার পর ঘন্টা মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে চোখ রেখে কাজ করা উচিত নয়। ১৫-২০ মিনিট কাজ করার পরে একটু মোবাইল থেকে চোখ সরিয়ে কিছুটা বিশ্রাম দেওয়া প্রয়োজন।

শ্রবণ শক্তির হ্রাস

অনেক ব্যবহারকারী আছেন যারা অতিমাত্রায় ইয়ারফোন অথবা হেডফোন ব্যবহার করে থাকেন। গবেষণা মতে, এগুলোতে উচ্চ শব্দে গান শোনার ফলে অন্তঃকর্নের বিভিন্ন কোষের ক্ষতি সাধন হয়, ধীরে ধীরে শ্রবণ শক্তি কমতে থাকে, অনেক সময় বধির হয়ে যাওয়ারও একটা সম্ভাবনা থাকে।

শুক্রাণু কমে যেতে পারে

মুঠো ফোন থেকে উচ্চমাত্রার ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক ফ্রিকোয়েন্সি নির্গত হয়। গবেষকদের মতে এই ক্ষতিকর তরঙ্গের প্রভাব পুরুষদের প্রজননতন্ত্রের উপরেও পড়তে পারে। এ ক্ষতিকর তরঙ্গ পুরুষদের শুক্রানুর ঘনত্ব কমানোর পাশাপাশি পরিমাণও কমিয়ে দিতে পারে। এ সমস্যাটি আরো বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কারণ পুরুষরা প্যান্টের পকেটে মোবাইল ফোন রাখে। ফলে শুক্রাশয় এর খুব কাছে মোবাইল থাকে এবং তরঙ্গ দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে

প্রযুক্তি আমাদের জীবনযাত্রার মানকে সহজ করে দেয়ায় প্রয়োজনে এবং অপ্রয়োজনে আমরা বিভিন্ন প্রযুক্তিপণ্য ব্যবহার করতে বাধ্য হই। সারাদিনের পাশাপাশি রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে টেলিভিশন কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ট্যাব স্মার্টফোন স্মার্ট ওয়াচ এগুলো আমরা ব্যবহার করতে থাকি। 

আবার একটা সময় ছিল এসব প্রযুক্তি পণ্যগুলো বাড়ি প্রতি একটা কিন্তু বর্তমানে জনপ্রতি একটা করে এসব প্রযুক্তি পণ্য রয়েছে। এইসব ডিভাইস গুলো থেকে যে পরিমাণ তরঙ্গ নির্গত হয় সেগুলো আমাদের মেলাটোনিন নিঃসরণে বাধা প্রদান করে ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্যা ঘটতে থাকলে অনেক সময় স্লিপিং ডিজঅর্ডার এ আক্রান্ত হতে পারে ব্যবহারকারী।

রিংটোন ফোবিয়া হতে পারে

শুনে আশ্চর্য হচ্ছেন যে এইটা আবার কি ধরনের ফোবিয়া? যারা মোবাইল ফোনে অতিমাত্রায় আসক্ত যারা অতিরিক্ত আকারণে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অথবা যারা বড় ব্যবসায়ী রয়েছেন যাদের বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদানের সারাদিন হাতে মোবাইল রাখতেই হয় তারা এক ধরনের মানসিক সমস্যায় ভুলতে পারেন। 

গবেষকদের মতে এই ধরনের ব্যক্তিদের সমস্যা হচ্ছে রিংটোন না বাজলেও তাদের মনে হয় রিংটোন বাজছে অথবা নোটিফিকেশন টোন বাজছে। মাঝে মাঝে ফোন সাইলেন্ট থাকার পরেও তাদের মনে হতে পারে মোবাইলে ভাইব্রেশন হচ্ছে। এটি মূলত রিংটোন ফোবিয়া। এটা কেও এক ধরনের মেন্টাল ডিসঅর্ডার বলা যেতে পারে। অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে তাদের মনে সব সময় মোবাইল নিয়েই চিন্তাভাবনা থাকে।

নো মো ফোবিয়া হতে পারে

গবেষকদের মত অনুযায়ী এর পূর্ণরূপ হচ্ছে নো মোবাইল ফোন ফোবিয়া। অর্থাৎ মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা এত মাত্রায় মোবাইল ফোন আসক্ত হয়ে যান যে তাদের মনে সব সময় একটা চিন্তার উদ্রেক থাকে, তার মোবাইলটি সঠিক জায়গায় আছে কিনা অর্থাৎ নারীরা তাদের মোবাইল ফোন ব্যাগে ঠিকমতো রেখেছেন কিনা বা এখন পর্যন্ত সেটা আছে কিনা। 
আবার পুরুষদের ক্ষেত্রে প্যান্টের পকেটে মোবাইল ফোন আছে কিনা, কিছুক্ষন পরপর হাত দিয়ে সেটাকে চেক করা ইত্যাদি। কয়েক বছর আগেও এই রোগের কোন অস্তিত্ব ছিল না তবে বর্তমানে গবেষণা অনুযায়ী এই রোগে আক্রান্ত যুক্তরাজ্যের ৫৩ শতাংশ এবং ভারতের ২৯ শতাংশ তরুণ তরুণী।

কব্জিসহ বিভিন্ন হাড় এবং মাংসপেশীতে ব্যথা হয়

একটানা মোবাইল ফোনে কয়েক ঘন্টা কাজ করলে কব্জির পাশাপাশি আপনার বৃদ্ধাঙ্গুলেও ব্যথা হওয়া খুবই স্বাভাবিক। দীর্ঘদিন যাবত এর সমস্যা চলতে থাকলে অনেক সময় আর্থাইটিসের মতো রোগেও আক্রান্ত হতে পারেন। অনেকে আছেন বাসায় বা অফিসে টেবিল চেয়ারে ঝুঁকে বসে অনেকক্ষণ ধরে মোবাইল ইউজ করেন এক্ষেত্রে তাদের ঘাড় এবং কোমরে ব্যথা হতে পারে। 

আবার অনেকেই আছেন হাত দিয়ে কম্পিউটার কাজ করছেন আর কাঁধ এবং কানের সংযোগস্থলে মোবাইল চেপে ধরে অনেকক্ষণ যাবৎ কথা বলছেন। সে ক্ষেত্রে কানে এবং ঘাড়ে ব্যথা হওয়া সম্ভবনা খুব বেশি থাকবে।

জীবাণুর আস্তানা মোবাইল ফোন

ভাবছেন মোবাইলে আবার জীবাণু আসবে কোথা থেকে? হ্যাঁ মোবাইলে হতে পারে জীবাণুর আস্তানা কারণ আমরা মোবাইল নিয়মিত ধুয়ে পরিষ্কার করি না। আমাদের ওয়াশরুম বা টয়লেটের চাইতেও ১০ থেকে ১৫ গুণ বেশি জীবাণু থাকে আমাদের মোবাইলে মার্কিন গবেষকরা এমনটাই জানিয়েছেন। তাদের মতে এসব জীবাণু মারাত্মক ক্ষতিকর না হলেও আমাদের শরীরে ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম হতে পারে এ জীবাণু গুলো। গবেষকরা জীবাণুনাশক স্প্রে দিয়ে নিয়মিত মোবাইল ফোন পরিষ্কার করার পরামর্শ দিয়েছেন।

মস্তিষ্ক এবং হৃদপিন্ডের সমস্যা

মোবাইল ফোন থেকে যে ইলেকট্রন ম্যাগনেটিক রেডিয়েশন নির্গত হয় সেটি কথা বলার সময় আমাদের মস্তিষ্কের বিভিন্ন কোষের ক্ষতি করতে পারে। আবার আমরা শার্টের বুক পকেটে মোবাইল ফোন রাখি এক্ষেত্রেও সেই রেডিয়েশনটি আমাদের হৃদপিন্ডের কোষ কে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

শরীরের বিভিন্ন ক্ষতি থেকে বাঁচতে করণীয়

  • রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে অবশ্যই অন্ধকারে মোবাইল ব্যবহার করবেন না
  • রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে বিছানার আশেপাশে মোবাইল ফোন রাখবেন না
  • ফোনে দীর্ঘ সময় ধরে কথা বলবেন না
  • সর্বোচ্চ আধাঘন্টা ব্যবহারের পরে ১০ মিনিট বিরতি দিয়ে আবার ব্যবহার করুন। একটানা দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করবেন না।
  • সোজা ভাবে দাঁড়িয়ে অথবা চেয়ারে সোজাভাবে বসে সঠিকভাবে মোবাইল ধরে ঘাড় সোজা রেখে মোবাইলে কথা বলুন।
  • সকালে ঘুম থেকে উঠেই মোবাইল স্ক্রিনের দিকে তাকাবেন না।
  • শরীর থেকে যতটা সম্ভব দূরে মোবাইল ফোন রাখার চেষ্টা করুন।
  • চোখ থেকে যতটা সম্ভব দূরত্বে মোবাইল রেখে ব্যবহার করুন।
  • কানে ইয়ারফোন বা হেডফোন অতিরিক্ত ব্যবহার করবেন না এবং ভলিউম যতটা সম্ভব কম রেখে ব্যবহার করুন।
মন্তব্য

প্রযুক্তির কল্যাণে এখন আমাদের জীবনযাত্রা অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছে এবং আমরাও প্রযুক্তির উপর এতটা নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি যে সারাদিন আমাদের বিভিন্ন ডিভাইস ছাড়া একদমই চলে না। আর এসব ডিভাইসের মধ্যে অন্যতম প্রধান হচ্ছে মোবাইল ফোন। 
তবে প্রয়োজনের কথা বিবেচনার পাশাপাশি আমাদের শরীরের যত্নের কথাটাও মাথায় রাখতে হবে। আমাদের শরীরই যদি ঠিক না থাকে তাহলে আমরা প্রযুক্তির সুফল ভোগ করব কিভাবে? তাই অতিরিক্ত নয়, পর্যাপ্ত এবং প্রয়োজন মত মোবাইল ফোন সাবধানে ব্যবহার করব আমরা।

এই ধরনের আরো অনেক তথ্যবহুল লেখা আছে এই ওয়েবসাইটে, নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। এতক্ষণ ধরে ধৈর্য নিয়ে পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আবারও দেখা হবে নতুন কোন লেখায়, ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুবিন পিডিয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url