সাধারণ জ্ঞানে অসাধারণ হওয়ার কৌশল | কিভাবে সাধারণ জ্ঞান বাড়ানো যায়

একাডেমিক পরীক্ষায় বা চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় সাধারণ জ্ঞান পারছেন না? কিভাবে সাধারণ জ্ঞান বাড়ানো যায় তার উপায় খুঁজছেন? তাহলে আপনি সঠিক ওয়েবসাইটের সঠিক আর্টিকেল পড়ছেন। এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন সাধারণ জ্ঞানে অসাধারণ হওয়ার কৌশল সম্পর্কে। 
সাধারণ জ্ঞানে অসাধারণ হওয়ার কৌশল | কিভাবে সাধারণ জ্ঞান বাড়ানো যায়

সান ফ্রান্সিসকোর প্রতিযোগিতামূলক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (GMAT, GRE ভিত্তিক) ওয়ারউইক স্ট্র্যাটেজিজ এর প্রেসিডেন্ট ব্রাইস ওয়ারউইক তার লেখা একটি নিবন্ধে আলোচনা করেছেন সাধারণ জ্ঞানে অসাধারণ হওয়ার কৌশল। সেই আলোকে “লেখাপড়া” এর আজকের এই পর্বে আমরা জানার চেষ্টা করব কিভাবে সাধারণ জ্ঞান বাড়ানো যায় অর্থাৎ সাধারণ জ্ঞান বৃদ্ধির কার্যকরী কিছু উপায় সম্পর্কে। তো চলুন জেনে নিই কথা না বাড়িয়ে। আশা করি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়বেন

সাধারণ জ্ঞানে অসাধারণ হওয়ার কৌশল

সাধারণ জ্ঞান বলতে এমন একটি জ্ঞান বোঝায় যেটি কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর প্রতিষ্ঠিত নয়। এ বিশ্বে যতগুলো বিষয় আছে জানার সবগুলোর তথ্য মিলেই সাধারণ জ্ঞান হয়। সাধারণ জ্ঞান পারদর্শী হলে অন্যদের কাছে যেমন প্রশংসার পাত্র হওয়া যায় ঠিক তেমনি নিজের কাছেও আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায়। 
বর্তমানে আমাদের দেশে প্রায় প্রত্যেকটি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় সাধারণ জ্ঞানের একটা অংশ থাকেই। আমরা অনেকেই আছি প্রতিনিয়ত চিন্তা করি কিভাবে সাধারণ জ্ঞান বাড়ানো যায়। এই চিন্তা দূর করতেই আজকের এই আয়োজন। তো চলুন জেনে নেই সাধারণ জ্ঞানে অসাধারণ হওয়ার কৌশল গুলো। 

বই পড়ুন

সাধারণ জ্ঞান অর্জনের মূল চাবিকাঠি হল পড়া, পড়া এবং পড়া। পড়ার কোন বিকল্প নেই। কি ধরনের বই পড়বেন এটা নিয়ে চিন্তিত না হয়ে যেকোনো ভালো বই পড়তে থাকুন। সাধারণ জ্ঞানের যেমন কোন নির্দিষ্ট সীমা নেই কাজেই সাধারণ জ্ঞান অর্জনের জন্য কোন বই পড়বেন এটার কোন নির্দিষ্ট সীমা নেই। যে কোন ধরনের বই পড়লে আপনার সাধারণ জ্ঞান অর্জন হবে। 

সাধারণ জ্ঞানে যদি দক্ষ হতে চান তবে বই পড়াকে আপনার দৈনন্দিন রুটিনের একটি আবশ্যকীয় অংশ হিসেবে ধার্য করতে হবে। গুগলে সার্চ দিয়ে আপনার পছন্দের ক্যাটাগরির বিভিন্ন বইয়ের নাম জেনে নিতে পারেন। অথবা আপনার পরিচিত যদি এমন কেউ থাকে যে বই পড়তে আগ্রহী তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য এবং বই পেতে পারেন। 

আমাদের দেশে প্রায় সব জায়গাতে সাধারণ পাঠাগার থাকে। এ ধরনের সাধারণ অর্থাৎ পাবলিক লাইব্রেরীতে রেজিস্ট্রেশন ফি ফ্রি না হলেও খরচ অনেক কম। এখান থেকে আপনি আপনার পছন্দের বই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিয়ে আবার ফেরত দিতে পারবেন। এছাড়াও পরিচিত কোন বইয়ের দোকান থাকলে সেখান থেকে অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বই ধার নিয়ে পড়তে পারেন তবে খেয়াল রাখবেন বইয়ের যেন কোনরকম ক্ষতি না হয়।

সংবাদপত্র পড়ুন

সংবাদপত্রকে বলা হয় জ্ঞানের ভান্ডার। আপনি যখন একটি নির্দিষ্ট বই পড়বেন তখন নির্দিষ্ট প্রকারের জ্ঞান অর্জন করবেন। ধরুন আপনি কোন সাইন্স ফিকশনের বই পড়ছেন সেখানে আপনি কল্পনা মেশানো বিজ্ঞানের বিভিন্ন মজার জিনিস জানতে পারবেন। কিন্তু একটি সংবাদপত্রে বিজ্ঞান থেকে শুরু করে রাজনীতি, ফ্যাশন, খাদ্য, খেলাধুলা, দেশ-বিদেশের খবর, বিনোদনের খবর সহ সকল ধরনের জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। 
সংবাদপত্র গুলির মধ্যে স্থানীয় এবং জাতীয় সংবাদপত্র বেশি আমাদের দেশে দেখা যায়। চেষ্টা করবেন ইংরেজি সংবাদপত্র পড়ার এতে করে সাধারণ জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি আপনার ইংরেজি ভোকাবুলারি এবং গ্রামার এই দুটো ক্ষেত্রেই দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী অথবা চাকরিজীবী হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই সংবাদপত্রকে সকালের সঙ্গী করে নিন অর্থাৎ সকালে ঘুম থেকে উঠেই সংবাদপত্র পড়ার অভ্যাসে পরিণত করুন। 

আর যদি আপনি একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তবে বিকেলবেলা অথবা দিনের যেকোনো সময় সংবাদপত্র পড়বেন এটা মনস্থ করে ফেলুন। এখন প্রায় প্রতিটি সংবাদপত্রেরই অনলাইন সংস্করণ থাকে তাই আপনি চাইলে ইন্টারনেটে অর্থাৎ মোবাইলেও সংবাদপত্র পড়ে সাধারণ জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।

পত্রিকা পড়ুন

সংবাদপত্র এবং বইয়ের পাশাপাশি পত্রিকা বা ম্যাগাজিন পড়তে পারেন। সংবাদপত্রের দোকানগুলোতে সাধারণত পত্রিকা বা ম্যাগাজিন পাওয়া যায়। তবে দেশি ম্যাগাজিনের পাশাপাশি বিদেশী মেলার জন্য পাওয়া যায়। বিদেশি ম্যাগাজিন গুলো সাধারণত ইংরেজি ভাষায় লেখা থাকে ফলে সেগুলো পড়লে আপনার ইংরেজি ভাষা আত্মস্থ করতে সুবিধা হবে। 

ম্যাগাজিন সাধারণত মাসে একবার বা দুইবার প্রকাশিত হয়। এতেও বিনোদনের পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে আর্টিকেল লেখা থাকে যা সাধারণ জ্ঞান অর্জনের জন্য সহায়ক। কোন অফিসে গিয়ে কারো সাথে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করতে হলে অথবা ডাক্তার, ডেন্টিস্টদের এপোয়েন্টমেন্ট থাকলে অপেক্ষা করার সময় ম্যাগাজিনের মাধ্যমে সাধারণ জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।

জার্নাল পড়ুন

ম্যাগাজিনের বিশদ সংস্করণ হল জার্নাল। অর্থাৎ জার্নালের নিবন্ধ গুলো ম্যাগাজিনের চাইতে আরো দীর্ঘ ব্যাখ্যা সম্বলিত এবং ব্যাপক উদ্ধৃতি ব্যবহার করে। জার্নাল সাধারণত একাডেমিক গবেষণা প্রদান করে এবং এগুলোর পাঠক তারাই যারা একাডেমিক বিষয়ে বিশদ জ্ঞান অর্জন করতে চান। ম্যাগাজিনের মত বিভিন্ন বিষয়ে নিবন্ধ জার্নাল থাকে না। 
জার্নালে একটি নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে খুব নির্দিষ্ট তথ্য থাকে। সংবাদপত্র, বই, ম্যাগাজিনের তুলনায় জার্নাল পড়া বা প্রাপ্তির বিষয়টি একটু জটিল অর্থাৎ সহজলভ্য নয় তবে জার্নালে যে তথ্যগুলো থাকে সেটি আরো অনেক বেশি খুঁটিনাটি এবং প্রমাণ সহকারে উপস্থাপন করা হয়। 

আপনি যদি জার্নাল নিয়মিত পড়তে চান তবে শিক্ষিত এক ধরনের গ্রুপ বা শ্রেণী রয়েছে যারা নিয়মিত জার্নালের বিভিন্ন তথ্য এবং শিক্ষা নিয়ে গবেষণা করে সেই ধরনের গ্রুপে জয়েন করতে পারেন। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরীতে যেকোনো অ্যাকাডেমিক বিষয়ে শত শত বিভিন্ন জার্নাল পেতে পারেন যেগুলো প্রধানত বিভিন্ন শিক্ষা গবেষণায় কাজে লাগে।

বলার চেয়ে শুনুন বেশি

বন্ধু, সহকর্মী, সহপাঠী, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, পরিচিত মানুষদের সাথে যোগাযোগ রাখুন সর্বদা। আপনি যত বেশি লোকের সংস্পর্শে থাকবেন তত বেশি বুদ্ধিমান এবং তথ্যপূর্ণ কথোপকথনে নিযুক্ত হয়ে বিভিন্ন জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। যেকোনো ব্যক্তি চমকপ্রদক এবং বিস্ময়কর তথ্যপূর্ণ কোন খবরের প্রতি আগ্রহী থাকে। 

মানুষদের সাথে মেলামেশা করলে এই ধরনের তথ্যের আদান-প্রদান হয় সহজেই। জীবনে চলার পথে বিভিন্ন মানুষের সাথে আমাদের পরিচয় হয় এবং চলতে হয়। এদের মধ্যে থেকে অভিজ্ঞ, বুদ্ধিমান এবং শিক্ষিত ব্যক্তিদের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে পারেন। প্রয়োজন না থাকলেও সপ্তাহে অন্তত একদিন এদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করুন। 
কারণ এদের সাথে আপনি অযথা সময় কাটালেও কিছু না কিছু নতুন সাধারণ জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। এই ব্যক্তিদের সাথে বন্ধুত্ব এবং তাদের কথোপকথন আপনাকে নতুন কোন বিষয়ে চিন্তা করতে, নতুন কোনো বিষয় ধারণা দিতে সচেষ্ট থাকবে। দেখা হলে আপনি যে নতুন কিছু জেনেছেন সেটাও তাদের সাথে আলোচনা করুন এটা আপনার অর্জিত জ্ঞান চর্চার মধ্যে থাকবে।

সেমিনারে অংশগ্রহণ করুন

ব্যস্ততার মাঝেও সময় পেলে বিভিন্ন সেমিনার সমাবেশ বা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করুন। এগুলোতে সাধারণত একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর আলোচনা উপস্থাপন করা হয়। একটি সেমিনারে অংশগ্রহণ করলে একটি সাধারন বিষয়ের উপর যেমন আপনার সাধারণ জ্ঞান বাড়বে ঠিক তেমনি উপস্থাপক কিভাবে উপস্থাপনা করছে অর্থাৎ তার উপস্থাপনা ভঙ্গি, ধরন, পদ্ধতি এসব বিষয় সম্পর্কেও আপনি মোটামুটি একটি ধারণা পাবেন। 

যদিও সেমিনারে মানুষ শোনার জন্য যায় কিন্তু আপনি যদি সেমিনারে শোনা জ্ঞানগুলোকে নিজের মস্তিষ্কে ধরে রাখতে চান অথবা পরবর্তীতে কোথাও ব্যাবহার করতে চান তবে সাথে নোটপ্যাড নিতে পারেন। আলোচনার সময় মূল টপিকগুলো লিখে রাখতে পারেন।

ক্লাব বা সংস্থার সাথে জড়িত হন

আপনার এলাকায় যদি কোন ক্লাব বা সংস্থা থাকে তাহলে সেগুলোতে জয়েন করুন। ধরুন আপনি একটি স্পোর্টস ক্লাবে জয়েন করলেন। আপনি কোন খেলায় পারদর্শী অথবা আপনাকে কোন খেলা খেলতেই হবে বিষয়টি এরকম নয়। সেই স্পোর্টস ক্লাবে বিভিন্ন রকমের খেলার ব্যবস্থা যদি থাকে তবে আপনি সেগুলো সম্পর্কে ধারণা পাবেন। 
ক্রিকেট এবং ফুটবল খেলা সম্পর্কে আমরা কম বেশি সবাই জানি। তবে যদি কাবাডি খেলা সম্পর্কে ধারনা না থাকে তবে স্পোর্টস ক্লাবের মাধ্যমে আপনি সেই খেলা সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য পেতে পারেন। এভাবে খেলা বিষয়ে আপনার সাধারণ জ্ঞান ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে।

টেলিভিশন দেখুন

সেই প্রাচীন কাল থেকে আজ পর্যন্ত টেলিভিশন হতে পারে সাধারণ জ্ঞান অর্জনের একটি উপযুক্ত উৎস। অনেক আগে অর্থাৎ প্রযুক্তির উন্নয়নের আগে টেলিভিশনে এত চ্যানেলের সংখ্যা ছিল না অল্প কিছু চ্যানেলে যা দেখাতো মোটামুটি সবগুলো ছিল বিনোদনে ভরা এবং তথ্যপূর্ণ। তবে বর্তমানে শত শত চ্যানেল হওয়ায় সব চ্যানেলেই যে ভালো শিক্ষনীয় তথ্যপূর্ণ কিছু দেখাবে তা নয় সন্দেহজনক বা অশ্লীল অনেক কিছুই থাকতে পারে। 

সেগুলো আমাদেরকে এড়িয়ে যেতে হবে। আমাদের দেশেই শুধু খবরের চ্যানেল অনেকগুলো রয়েছে। এছাড়া বিদেশি চ্যানেলের মধ্যে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেল, ডিসকভারি চ্যানেল, এনিমেল প্লানেট এই চ্যানেলগুলো থেকে জীবজন্তু, পশু-পাখি সম্পর্কে ব্যাপক তথ্য অর্জন করা সম্ভব। তাই বলে জ্ঞান অর্জনের জন্য সারাদিন টেলিভিশনে বসে থাকবেন ব্যাপারটা সেরকম নয়। দিনে একটি নির্দিষ্ট সময় অল্প কিছুক্ষণের জন্য টেলিভিশন দেখুন এবং সাধারণ জ্ঞানের প্রসার ঘটান।

সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করুন

বর্তমান সময়ে আমাদের অন্যতম জ্ঞান উৎসের নাম সার্চ ইঞ্জিন। প্রয়োজনে এবং অপ্রয়োজনে যেকোনো তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে আমরা এই সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে থাকি। বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের মধ্যে google, ইয়াহু এবং বিং উল্লেখযোগ্য। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে এই সার্চ ইঞ্জিন গুলো আমাদের কাঙ্ক্ষিত তথ্যগুলো উপস্থাপন করতে সক্ষম। তাই নিয়মিত সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করুন এবং আপনার সাধারণ জ্ঞানের পরিধি বাড়িয়ে তুলুন।

গেম খেলুন

অনলাইন অথবা অফলাইন যেকোনো ধরনের গেম খেলতে পারেন যেগুলো মূলত বুদ্ধি উদ্দীপক। গেমগুলো আপনাকে অনেক চিন্তা ভাবনা করে বুদ্ধি খাটিয়ে খেলতে হবে। এতে করে আপনার বুদ্ধি যেমন চর্চা হয় তেমনি গেম খেলার স্বার্থে নিত্যনতুন কৌশল জানার জন্য আপনাকে বিভিন্ন তথ্য আহরণ করার প্রয়োজন পড়বে। 
এই গেমগুলোর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন পাজল, শব্দ মিলকরণ, সুডোকু ইত্যাদি। বিভিন্ন ওয়েবসাইট প্রতিদিন সাধারণ জ্ঞান, ইতিহাস, বর্তমান বিশ্ব, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি ইত্যাদি বিষয়ের উপর কুইজ নিয়ে থাকে। আপনার সাধারণ জ্ঞানকে প্রসারিত করতে চাইলে এসব কুইজে অংশ নিন। চেষ্টা করেন দিনে অন্তত একটি কুইজ খেলার।

মন্তব্য

সাধারণ জ্ঞান অর্জন অনেকটাই লেখাপড়ার ডিগ্রি অর্জনের মত। আপনি চাইলেই একদিনেই মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করতে পারবেন না। সেজন্য আপনাকে ধাপে ধাপে পড়াশোনা করে প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। তেমনি রাতারাতি সাধারণ জ্ঞান অর্জন সম্ভব নয়। এটি একটি অধ্যাবসায়ের মতো, আপনাকে নিয়মিত চর্চা করতে হবে। অবসর সময়কে জ্ঞান অর্জনের জন্য কাজে লাগান, অন্যদের চাইতে সাধারণ জ্ঞানে আপনি অবশ্যই এগিয়ে থাকবেন।
যাই হোক, সাধারণ জ্ঞানে অসাধারণ হওয়ার কৌশল এবং কিভাবে সাধারণ জ্ঞান বাড়ানো যায় তার কিছু বিশেষ উপায় উপস্থাপনের চেষ্টা করলাম। আজ এ পর্যন্তই। পরবর্তী কোন লেখায় আবার হয়তো আপনাদের সাথে যোগাযোগ হবে। লেখায় ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আর ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। নতুন নতুন তথ্যবহুল এরকম লেখা পড়তে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুবিন পিডিয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url