কিভাবে ভালো ম্যানেজার হওয়া যায় | দক্ষ ম্যানেজারের ১০ গুণ

একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য একজন দক্ষ ম্যানেজার অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদ এবং ব্যক্তি। তার প্রধান দায়িত্ব এবং কর্তব্যই থাকে কর্মচারীদের দেখাশোনা করার পাশাপাশি পুরো প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পর্যালোচনা করা। অনেকে আছেন যাদের মধ্যে ম্যানেজারের গুণাবলীর বেশ কিছু গুণ বিদ্যমান থাকে আবার অনেকে আছেন যারা ম্যানেজার হওয়ার পরে পর্যায়ক্রমে এবং কালক্রমে চেষ্টা করে থাকেন কিভাবে ভাল ম্যানেজার হওয়া যায়।
কিভাবে ভালো ম্যানেজার হওয়া যায় | দক্ষ ম্যানেজারের ১০ গুণ

নিউ ইয়র্ক সিটির ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট ক্লোই কারমাইকেল তার লেখা একটি আর্টিকেলে আলোচনা করেছেন কিভাবে একজন ভালো ম্যানেজার হওয়া যায় অর্থাৎ একজন ভালো ম্যানেজারের বিভিন্ন গুণাবলী। “কর্মক্ষেত্র” এর আজকের এই পর্বে আমরা জানার চেষ্টা করব একজন দক্ষ ম্যানেজারের সেই গুণাবলী গুলো। আশা করি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।

অনুপ্রাণিত করুন

একজন ম্যানেজার হিসেবে আপনি চিন্তা করে দেখুন আপনার অধীনে যেসব কর্মচারী রয়েছে তারা কেন কাজ করছে এখানে? কিসের জন্য এই প্রতিষ্ঠানে এখনো তারা চাকরি করছে? আপনি যদি ধারণা করে নেন যে টাকার জন্য তাহলে সম্ভবত আপনি ভুল। কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করলেও তারা টাকা পাবে। কর্মচারীরা সেই ম্যানেজারের অধীনে কাজ করতে চায় যিনি তাদেরকে এবং তাদের কাজকে গুরুত্ব দেন। 
পৃথিবীর সব মানুষই শুধু টাকার জন্যই এদিক-ওদিক ছোটা ছুটি করে না অনেকে আছে সম্পর্কটাকে প্রাধান্য দেয়। একজন শিক্ষার্থীর কাছে একজন শিক্ষক কেন প্রিয় হতে পারে? সেই শিক্ষকের পড়ানোর ভঙ্গি অসাধারণ হতে পারে শিক্ষকের আচরণ এবং অনুপ্রেরণা তাকে আরো উৎসাহ জোগাতে পারে। এখানেও ব্যাপারটা সেই রকম আপনি তাদের জীবনকে মূল্যায়ন করলে তারাও আপনাকে মূল্যায়ন করবে। আপনি নিজের সৎ এবং কর্মঠ হন, তাদেরকেও সৎ এবং কর্মঠ হওয়ার অনুপ্রেরণা দিন।

প্রশংসা করুন

অধিকাংশ ব্যবস্থাপক অর্থাৎ ম্যানেজার তার অধীনে থাকা কর্মচারীদের প্রশংসা করতে চান না। তারা মনে করেন এটা কর্মচারীদের দায়িত্ব প্রশংসা করার কিছু নেই। অথবা তারা তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছ থেকে কাজের চাপে তাদের অধীনে থাকা কর্মচারীদের প্রশংসা করতে ভুলে যান। কিন্তু একজন সফল ম্যানেজার তার কর্মচারীদের প্রশংসা করতে কখন আর কোন করেন না। প্রশংসা শুনতে কার না ভালো লাগে। 

কর্মচারিদের প্রশংসা করলে তারা একদিকে যেমন উৎসাহী হয় আরেক দিকে তারা চেষ্টা করে তাদের এই প্রশংসাটা যেন অব্যাহত থাকে। আর তাই তারা কাজের গতি আরো বাড়িয়ে দেয়। আপনি যদি নিজের উন্নতি করতে চান তবে খামখেয়ালিপনা অথবা ব্যস্ততা অথবা মেজাজ খিটখিটে যে অবস্থাতেই থাকুন না কেন কর্মচারীদের ভালো কাজের প্রশংসা করুন। একজন সফল ম্যানেজার ভালো করে জানেন তার কর্মচারীদের সক্ষমতা নির্ণয় করার একটি উত্তম উপায় হল তাদের কাজের প্রশংসা করা। 

শুধুমাত্র কর্মচারীদের সামনেই নয় আপনার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সামনেও আপনার অধীনে থাকা কর্মচারীদের কাজের অগ্রগতি তুলে ধরুন। পরবর্তীতে তারা যদি আপনার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছ থেকে আপনার করা প্রশংসার বিষয়ে জানতে পারে তবে কৃতজ্ঞতা স্বরূপ আপনার জন্য তারা আরো উৎসাহী হয়ে সততা এবং নিষ্ঠার সাথে কাজের গতি বাড়িয়ে দেবে।

পুরস্কার দিন

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা পর্যন্ত কে পুরস্কার পেতে ভালবাসে না!!! সব মানুষই পুরস্কার প্রত্যাশী। তাই কর্মচারীদের কাজের উদ্যম বাড়াতে এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজের প্রতি আরো বেশি মনোনিবেশ করতে পুরস্কারের ব্যবস্থা করুন। এর জন্য আপনাকে যে অনেক টাকা খরচ করতে হবে বিষয়টি সেরকম নয়। 
কর্মচারীদের কারো ব্যক্তিগত সফলতা হলে তাকে ২০০ টাকা দিয়ে একটি ওয়ালেট (মানিব্যাগ) বা অল্প টাকার মধ্যে একটি হাতঘড়ি দিতে পারেন। টিম ওয়ার্ক এ সফলতা হলে সবাইকে নিয়ে বিকালের নাস্তা করতে পারেন। এতে আপনার সামান্য কিছু টাকা খরচ হলেও এর প্রতিদান কিন্তু আপনি অনেক বেশি পাবেন।

সমান আচরণ করুন

পক্ষপাতিত্ব না করে সবার সাথে সমান আচরণ করুন। অনেক সময় আমরা সচেতন থাকার পরেও অবচেতন মনে পক্ষপাতিত্বের ঘটনা ঘটে যায়। যদি এমনটা ঘটে যায় তবে সেটি প্রকাশ করুন এবং মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিন পরবর্তীতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে। চাটুকারিতা এবং তোষামোদে আচরণ একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য কখনো কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। 

প্রতিষ্ঠানের উন্নতি সম্ভব কেবলমাত্র সততা, নিষ্ঠা এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে। আপনি নিজে যদি সৎ এবং কঠোর পরিশ্রমী হন তবে কখনোই চাটুকারি তাকে প্রশ্রয় দিবেন না। আজ আপনার ক্ষতি না হলেও একদিন আপনি নিজেও ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। তাই কিছুটা হলেও পক্ষপাতিত্ব যদি করতেই হয় বা আপনি নিজে থেকেই করতে চান তবে সৎ এবং পরিশ্রমী ব্যক্তিদের প্রতি করুন। মনে রাখবেন যারা চাটুকারিতা করে তারা অযোগ্য ব্যাক্তি।

ভালো আচরণ করুন

মানুষ মাত্রই ভুল করে। সচেতন ভাবে কাজ করার পরেও অনেকের কাছে ভুল হয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাকে আলাদাভাবে বুঝিয়ে বলতে পারেন। এতে কাজ না হলে পরবর্তীতে বুঝিয়ে সতর্ক করুন। তাতেও কাজ না হলে উদ্বোধন কর্তৃপক্ষের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করুন। কিন্তু কোন অবস্থাতেই প্রথমবারে কোন কর্মচারীর সাথে খারাপ আচরণ করবেন না। 

কর্মচারীদের সাথে ভালো আচরণ আপনাকে যেমন প্রশংসিত করবে আপনার প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে যাবে অনন্য উচ্চতায়। আপনার ভালো আচরণে কর্মচারীদের মন যদি খুশি থাকে তবে তারা কাজের গতি পাবে। আর কর্মচারীরা মানসিকভাবে সুস্থ থাকলে ক্লায়েন্টদের সাথেও তারা ভালো আচরণ করবে এবং ভাল সেবা দিবে।

লক্ষ্য স্থির করুন

ব্যক্তিগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক উন্নতির সাথে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করা অত্যন্ত জরুরী। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য কর্মীদের কাজের প্রতি মনোনিবেশ করতে সাহায্য করে। ম্যানেজার হিসেবে আপনি তাদের সেই লক্ষ্য স্থির করে দিন, কাজের লক্ষ্য পূরণে কতটা আশা করেন, লক্ষ্য পূরণের সময়সীমা কত এবং পূরণ হলে কি করবেন সেই বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা দিন।

প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করুন

প্রতিটি কাজ বা লক্ষ সেসব মাত্রই প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করুন এই প্রতিক্রিয়া যে সবসময় বকাঝকা অথবা প্রশংসা হতে হবে এর কোন মানে নেই অনেক সময় আছে লক্ষ্য পূরণ হয়নি আপনি তাদেরকে বুঝিয়ে বলতে পারেন। আপনার প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে কর্মীরা সচেতন থাকলে তারা তাদের কাজের উপর দৃষ্টি নিবন্ধ করতে সচেষ্ট থাকবে। 
আলাদাভাবে একেক জনের সাথে অথবা ছোট ছোট গ্রুপ করে কর্মীদের সাথে দেখা করে আপনার মন্তব্য জানান। কিভাবে কাজ করলে কাজটা আরো সহজে সফলতার সাথে শেষ হবে অথবা লক্ষ্য অর্জনে কোনো কাজে কি কি ভুল হয়েছে সেগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী সংক্ষিপ্ত অথবা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরুন।

নিজের অবস্থান ঠিক রাখুন

কর্মীদের কোন ভুল হলে উচ্চবাচ্য হইচই বকাঝকা করে কিন্তু নিজের কোন ভুল হলে তখন বলে- মানুষ মাত্রই ভুল হতেই পারে। এই ধরনের গতানুগতিক ম্যানেজার দেখেই আমাদের সমাজ অভ্যস্ত। এ ধরনের ম্যানেজার ভুলেও হবেন না। প্রতিষ্ঠানের সাথে অথবা কর্মীদের সাথে কোন ভুল হলে সেটা সততার সাথে স্বীকার করুন। 

মনে রাখবেন কর্মীদের চেয়ে আপনার যোগ্যতা বেশি বলে আজকে আপনি ম্যানেজারের পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। তাই আপনি এমন কিছু করবেন না যেটি আপনার কর্মীদেরকে খারাপ দিকে প্রভাবিত করতে পারে কারণ কর্মীরা আপনাকে সব সময় অনুসরণ এবং অনুকরণ করতে চায়।

সঠিকভাবে দায়িত্ব অর্পণ করুন

একজন ম্যানেজার হিসেবে কর্মীদের কাছ থেকে কাজ বুঝে নেওয়াই শুধু আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না বরং তাদেরকে কাজ শিখিয়ে দক্ষ কর্মী হিসেবে গড়ে তোলাও আপনার অন্যতম দায়িত্ব। কর্মীদেরকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে তাদেরকে প্রথমেই ছোট ছোট কাজ দিয়ে দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করুন। 

এই কাজ করতে গিয়ে তারা যে ভুল করবে সেটাতে উত্তেজিত না হয়ে তাদেরকে প্রয়োজন হলে হাতে-কলমে শেখান। এরপর ধাপে ধাপে তাদেরকে আরো বড় কাজ দিন এবং আরও দায়িত্বের সাথে অন্তর্ভুক্ত করুন। তাদের পারদর্শিতা এবং দুর্বলতা গুলোকে খুঁজে বের করুন এবং তাদেরকে সেগুলো জানান। 
এইভাবে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির সাথে সাথে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করুন যাতে তারা আরো কাজের দায়িত্ব নিতে আগ্রহী হয় এবং কাজের ভুল ত্রুটির দায়ভার নিতে প্রস্তুত থাকে। এভাবে আপনার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের জন্য ভবিষ্যতের ম্যানেজার গড়ে উঠবে।

কর্মীদের কৃতিত্ব দিন

একটি বড় কাজে সফলতা পেলে একজন ভালো এবং দক্ষ ম্যানেজার কখনোই সম্পূর্ণ কৃতিত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন না। এ সফলতার পেছনে অবশ্যই ম্যানেজার হিসেবে আপনার অবদান থাকবেই কারণ আপনার নির্দেশনায় আপনার কর্মীরা সঠিকভাবে কাজ করেছে বলে আজকের এই সফলতা অর্জন। তাই নিজের পাশাপাশি কর্মীদেরও সমানভাবে কৃতিত্ব প্রদান করুন। 

আপনার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এই সফলতার বিষয়ে বলতে গেলে আপনার অধীনে থাকা কর্মচারীদেরও কৃতিত্ব দিন। কৃতিত্ব দেওয়ার ফলে বিষয়টি কর্মীদের সাফল্যের পেছনে তাড়া করে ছুটতে অনুপ্রাণিত করবে।

নিজে সততার দৃষ্টান্ত হন

ম্যানেজার হওয়া মানেই পদোন্নতি পেয়ে বেশি বেতন পাওয়া নয়। পদোন্নতির সাথে সাথে দায়িত্ব যেমন বাড়বে ঠিক তেমনি আত্মবিশ্লেষণও বাড়াতে হবে। কাজে কর্মে, কথাবার্তায়, আচরণে, চিন্তাভাবনা, মন-মানসিকতায় সবকিছুতেই আপনাকে ভেতর থেকে উন্নতি আনতে হবে। 

আপনি নিজে ছলচাতুরি করবেন, অন্যের প্রজেক্ট নিজের বলে চালিয়ে দেবেন, কর্মীদের সফলতায় নিজের নাম আগে লিখবেন এসব কাজ করে কিছুদিন হয়তো সুফল পাবেন কিন্তু শেষ পরিণতি ভালো হবে না। আপনি ভালো, সৎ, যোগ্য, দক্ষ, কঠোর পরিশ্রমী, প্রতিষ্ঠানের জন্য নিবেদিত প্রাণ হলে সেটা আপনার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং আপনার অধীনে থাকা কর্মচারীরা সকলেই জানতে পারবে। আপনি এদের সকলের কাছে একজন উৎকৃষ্ট সততার উদাহরণ হয়ে থাকতে পারবেন।

কর্মীদের কাছে বন্ধুত্বপূর্ণ হন

বন্ধুত্বপূর্ণ হওয়ার অর্থ এমন নয় যে কর্মচারীদের সাথে একসাথে বসে আড্ডা দিবেন, একসাথে ধূমপান করবেন। অর্থাৎ বন্ধুর মতো আচরণ নয় তবে বন্ধুত্বপূর্ণ বলতে বোঝায় তারা যখন তখন, যে কোন প্রয়োজনে, যেকোন বিপদে আপনাকে ফোন দিতে বা আপনার সাথে যোগাযোগ করতে যেন সংকোচবোধ না করে। 

কর্মীদেরকে এটা জানিয়ে দিন যে তাদের যেকোনো প্রয়োজনে আপনার আলোচনার দরজা সব সময় খোলা থাকে। একজন অদক্ষ ব্যবস্থাপকের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কর্মচারীদের সাথে তার দূরত্ব অর্থাৎ প্রাতিষ্ঠানিক কাজ ছাড়া কর্মচারীদের সাথে তার কোন রকমের যোগাযোগ হয় না। সব সময় কর্মচারীদের সামনে একটি দেয়াল তুলে রাখেন যাতে করে বুঝিয়ে দেন যে ব্যবস্থাপক মানেই উনাকে সব সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকতে হবে।

মন্তব্য

একটি প্রতিষ্ঠানের উন্নতি এবং সাফল্য অনেকাংশে নির্ভর করে একজন দক্ষ এবং যোগ্য ব্যবস্থাপক তথা ম্যানেজারের উপর। উপরের যে বিষয়গুলো আলোচনা করা হলো এই বিষয়গুলো সাধারণত একজন দক্ষ ম্যানেজারের ভেতরে থাকে। যদি কারো ভেতরে এ গুনাবলী গুলো না থাকে চেষ্টা করা উচিত এই গুণাবলী গুলো অর্জন করার যাতে করে তার নিজের, তার অধীনস্থ কর্মচারীর এবং সর্বোপরি প্রতিষ্ঠানের সাফল্য ত্বরান্বিত হয়।
এতক্ষণ ধৈর্য নিয়ে পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। লেখাটি ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। ভুলত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। এরকম আরো অনেক লেখা রয়েছে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। ভালো থাকবেন, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুবিন পিডিয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url