ভালো বন্ধুর যেসব গুণ | কিভাবে ভালো বন্ধু হওয়া যায়

আমাদের জীবনে আমাদের পরিবার অর্থাৎ বাবা-মা ভাই-বোন এর পরেই একজন সত্যিকারের ভালো বন্ধুর স্থান। পরিবার ছাড়া আমাদের জীবন যেমন সুখকর হয় না তেমনি ভালো বন্ধু ছাড়াও আমাদের জীবনে অনেক অতৃপ্তি থেকে যায়। কারণ পরিবারের পরে একজন ভালো বন্ধুর সাথে আমাদের জীবনের অনেকটা সময় কেটে যায়। তবে ভালো বন্ধুত্বের জন্য অপর প্রান্তের ব্যক্তিটিকে যেমন ভালো হতে হয় তেমনি নিজেকেও হতে হয় বিভিন্ন গুণের অধিকারী। আমরা অনেকেই হয়ত ভেবে দেখি না বা বুঝতে চাই না কিভাবে ভালো বন্ধু হওয়া যায়।
ভালো বন্ধুর যেসব গুণ  কিভাবে ভালো বন্ধু হওয়া যায়

আজকের এই লেখায় ভালো বন্ধুর কিছু বৈশিষ্ট্য তুলে ধরার চেষ্টা করব। কি কি গুণাবলী থাকলে আমি অন্যের কাছে ভালো বন্ধু হব অথবা অন্য একজন আমার কাছে ভালো বন্ধু হিসেবে বিবেচিত হবে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক বিষয়গুলো।

প্রতিশ্রুতি বজায় রাখুন

বাবা মা ভাই বোন সন্তান-সন্ততি আত্মীয়স্বজনের মত বন্ধুর সাথে ও প্রতিশ্রুতি বজায় রাখার চেষ্টা করুন। আপনার বন্ধুকে আপনি তখনই প্রতিশ্রুতি দেবেন যখন আপনি সেটা রাখতে পারবেন। প্রতিশ্রুতি রাখতে না পারলে কখনোই প্রতিশ্রুতি দেবেন না। 

সৎ উদ্দেশ্যে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরে যদি কোন বিশেষ কারণে রাখতে না পারেন তবে অবশ্যই বন্ধুকে সেটা খুলে বলুন, বুঝিয়ে বলুন দরকার হলে দুঃখ প্রকাশ করুন। তবে খেয়াল রাখবেন পরবর্তীতে যেন প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়। এতে করে আপনার বন্ধুর কাছে আপনি অবিশ্বস্ত হয়ে উঠবেন।

নির্ভরযোগ্য হন

নির্ভরযোগ্যতা একজন মানুষের জন্য ভালো গুণগুলোর মধ্যে একটি। একজন মানুষ আর একজন মানুষের বেস্ট ফ্রেন্ড বা সবচেয়ে ভালো বন্ধু হয় তখনই যখন সে তার বন্ধুর কাছে নির্ভরযোগ্য হয়। শুধু আর্থিকভাবে নির্ভরযোগ্য নয় সামাজিক পারিপার্শ্বিক মানসিক সহ যেকোনো ধরনের ব্যাপারে নির্ভর করতে পারলেই একজন ভালো বন্ধু হওয়া যায়। 

শুধুমাত্র সুসময়ে বন্ধুদের সাথে সঙ্গ দিলে কিন্তু নির্ভরযোগ্য হওয়া যায় না দুঃসময় আপনাকে সমানভাবে থাকতে হবে। মনে রাখবেন আজকে আপনি যদি আপনার বন্ধুর সুসময়ে থাকেন তবে আপনার সেই বন্ধুরাও কিন্তু আপনার দুর্দিনে আপনার পাশে থাকবে না। 

সমাজে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যাদের কথার সাথে কাজের মিল থাকে না। এ ধরনের মানুষের সাথে আমাদেরকে ওঠাবসা করতে হয় ঠিক তবে এ ধরনের মানুষকে আমরা কখনোই বন্ধু হিসেবে চাই না।

ক্ষমাপ্রার্থী হন

ভুলের ঊর্ধ্বে আমরা কেউ নই এবং আমরা কেউ ফেরেশতাও নই। জীবনে চলতে অনিচ্ছাকৃতভাবে ছোটখাটো কিছু ভুল আমাদের হয়েই যায়। বন্ধুদের সাথেও যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তবে আপনি নিঃসংকোচে আপনার বন্ধুর কাছে ভুল স্বীকার করুন। এমন আচরণ কখনোই করবেন না যে আপনি ভুলের উর্ধ্বে বা আপনি ইচ্ছে করে ভুল করেননি তাই এতে কারো কিছু মনে করার নেই। 

আপনি বন্ধুর কাছে দুঃখ প্রকাশ করুন, আপনি যে অনুতপ্ত তা আপনার কন্ঠের মাধ্যমে আপনার বন্ধুকে বুঝাতে সাহায্য করুন। একটি ভুল করার পরে আপনি যদি আপনার ভুলের দায় স্বীকার করে নেন তবে সাথে সাথে আপনার বন্ধুরা আপনার প্রতি খুশি হবে না যেহেতু আপনি একটা ভুল করেছেন তবে আপনার প্রতি তাদের বিশ্বাস বেড়ে যাবে যে আপনি সত্যবাদী এবং সৎ সাহস রাখেন সত্য কথা বলার।

নিজে সৎ হন

একটি ভালো বন্ধুত্বের অন্যতম উপাদান হচ্ছে সততা। আপনি যদি সত্যিই একজন ভালো বন্ধু হতে চান তবে আপনার বন্ধুর আচরণ, কথাবার্তা এবং আপনাদের বন্ধুত্ব সম্পর্কে কি ভাবেন, কতটা ভাবেন সেই বিষয়ে বন্ধুর সাথে কথা বলুন। যা আপনার বন্ধুর জন্য ক্ষতিকর সেটি আপনার বন্ধুকে বুঝিয়ে বলুন এতে আপনার বন্ধু যদি মনঃক্ষুণ্য হয় তবুও। 

জড়তা দূর করে নিঃসংকচে সে কাজটি করা থেকে বিরত থাকতে বন্ধুকে বলুন। ধরুন আপনার বন্ধু অতিমাত্রায় ধূমপান সেবন করে। তাকে ধূমপান করতে নিষেধ করলে যদি সে বিরক্ত হয় এটা ভেবে যদি না বলেন তবে আপনার ভেতরে সততার ঘাটতি রয়েছে। 

তবে আপনার নিজেকে আগে বুঝতে হবে ধূমপান করা স্বাস্থ্যের জন্য সত্যি ক্ষতিকর। আবার ধরুন আপনার বন্ধু একটা পোশাক পরে আপনার সাথে দেখা করতে এসেছে যে পোশাকে তাকে একদমই বেমানান লাগছে। তবে বেমানান লাগার বিষয়টা তাকে বলা উচিত হবে না।

শ্রদ্ধার সাথে দ্বিমত পোষণ করুন

খুব ভালো বন্ধু বলেই সব বিষয়ে যে আপনি আপনার বন্ধুর সাথে একমত হবেন ব্যাপারটি একদমই সেরকম নয়। কোন বন্ধু আপনার কাছে কিছু শেয়ার করলে সেটা যদি আপনার কাছে আপত্তি করে মনে হয় তবে সেই বিষয়ে আরো জানার জন্য বন্ধুর কাছে আরও তথ্য নিন অথবা বিষয়টি জানার চেষ্টা করুন। এরপরও যদি আপনার কাছে বিষয়টি ভুল মনে হয় তবে সেটা বন্ধুকে শান্তভাবে যুক্তিসহকারে বুঝিয়ে বলুন যে তার এই বিষয়টি সঠিক নয়। 

অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আপনার শারীরিক প্রতিক্রিয়া যেন সংযত হয়। আপনার মতামতের বিপক্ষে বা আপত্তিকর কোন বিষয়ে আপনি রেগে যাবেন এটাই স্বাভাবিক তবে রাগ নিয়ন্ত্রণ করে যদি আপনার বন্ধুকে আপনার মতামত জানান তবে সেটা সম্মানজনকভাবে দ্বিমত পোষণ করা হবে।

মানুষকে ব্যবহার করবেন না

নিজের সুবিধার কথা চিন্তা করে বন্ধুকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবেন না। তাহলে এটা কোন বন্ধুত্ব হবে না এবং এ ধরনের সম্পর্ক কখনোই টেকে না। একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য পূরণের জন্য যদি কারো সাথে বন্ধুত্ব করতে চান তবে একদিন না একদিন সেটি প্রকাশ পাবেই এবং অন্য লোকেরাও আপনার সাথে বন্ধুত্ব করতে আগ্রহ হারাবে। 

যেকোনো সম্পর্কের মাঝে “দেওয়া এবং নেয়া” ব্যাপারটি থাকে, বন্ধুত্বের মধ্যেও এটি থাকবে নিশ্চিত। বন্ধুর কাছ থেকে আপনি যেকোনো ধরনের সুবিধা নিতেই পারেন তবে খেয়াল রাখতে হবে বিনিময়ে আপনি আপনার বন্ধুর জন্য কতটুকু কি করছেন!

অনুগত হন

আপনার বন্ধু যদি আপনাকে বিশ্বাস করে তার কোন ব্যক্তিগত কথা আপনার সাথে শেয়ার করে এবং অন্য কাউকে বলতে নিষেধ করে তবে অবশ্যই তার সেই অনুরোধের গুরুত্ব দিন, অনুগত হন এবং তার বিশ্বাসের মর্যাদা রাখার চেষ্টা করুন। অন্য কারো কাছে আপনার বন্ধু সম্পর্কে গসিপ করবেন না এবং অন্য কাউকেও আপনার বন্ধুর সম্পর্কে গসিপ করতে প্রশ্রয় দেবেন না।

শ্রদ্ধাশীল হন

আপনার বন্ধুর কথা বার্তা, আচরণ, চালচলন, চিন্তাভাবনা যেকোনো কিছুই আপনার কাছে বিরক্তিকর মনে হতে পারে। কিন্তু ভালো বন্ধুত্বের একটি বিশেষ গুণ হচ্ছে বন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা। ধরুন আপনার বন্ধু যখন হাসে প্রচন্ড উচ্চস্বরে হাসে, এই জিনিসটা আপনার পছন্দ যদি নাও হয় তবুও আপনি তার বিরুদ্ধে কোন কথা বলতে পারেন না। 

কেননা উচ্চ হাসির কারণে আপনার বা তার নিজের কোন ক্ষতি হচ্ছে না। আবার কথায় কথায় যদি তার আচরণগত সমস্যা গুলো তুলে ধরেন বা সেগুলোর প্রতিক্রিয়া জানান তবে আপনার বন্ধু আপনার সাথে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করবে না অর্থাৎ তার বাক স্বাধীনতার হস্তক্ষেপ করা হবে।

বন্ধুকে সাহায্য করুন

জীবনের এমন অনেক বিপদ আসে যখন পাশে একজন সত্তিকারের ভালো বন্ধু থাকলে সহজে সেটাকে অতিক্রম করা যায়। বন্ধুর যেকোনো ধরনের বিপদে যথাসম্ভব পাশে থাকার চেষ্টা করুন। ধরুন আগামী পরশুদিন আপনার একটি পরীক্ষা আছে, আজকে আপনার বন্ধুর বাবা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আজকের দিনটাও পড়তে পারলে আপনার জন্য খুব ভালো হতো কিন্তু বন্ধুর বাবার জন্য আপনার কিছুটা ক্ষতি স্বীকার করে হলেও হাসপাতালে গিয়ে বন্ধুকে সাহায্য করা উচিত। 

বাবার এরকম পরিস্থিতিতে হয়তো আপনার বন্ধু বুঝে উঠতে পারছেন না কি করা উচিত। তাই আপনি মাথা ঠান্ডা রেখে সুচিন্তিত পরামর্শ দিন। আবার সাহায্য সহযোগিতা বলতে শুধু আর্থিকভাবে সাহায্য সহযোগিতা সেরকমটি নয়, বন্ধুর বিপদে যদি আপনি মানসিক সাপোর্ট দিতে পারেন সেটিও অনেক সময় অনেক কাজে দেয়।

ক্ষমাশীল হন

ক্ষমা প্রার্থী হওয়া এবং ক্ষমা করে দেওয়া দুটোই বন্ধুত্বের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। পূর্বের আলোচনাতে বলা হয়েছে কেউ ভুলের উর্ধ্বে নয়। আপনার বন্ধু যদি কোন ভুল করেই থাকে এবং তার পরে যদি সে তার ভুল স্বীকার করে তবে অবশ্যই তাকে ক্ষমা করে দিন। 

মনের তিক্ততা বাঁচিয়ে রেখে দূরত্ব তৈরি করবেন না। তবে আপনার বন্ধু সত্যি যদি আপনার সাথে এমন কোন ক্ষমার অযোগ্য কাজ করে থাকে তবে তাকে ক্ষমা করার পরিবর্তে এড়িয়ে চলাই উত্তম। নিজের ক্ষতি জেনেও এরকম বন্ধুকে ক্ষমা করে দেওয়া নিজের ধ্বংস ডেকে আনার শামিল।

বন্ধুকে বন্ধুর মতই থাকতে দিন

ধরুন আপনি রক্ষণশীল পরিবারের সন্তান হওয়ায় সর্বদা বোরখা পরে বাইরে যান। কিন্তু আপনার বন্ধু রক্ষণশীল পরিবারের না হওয়ায় সর্বদাই আধুনিক পাশ্চাত্যের পোশাক পরে। তাকে সর্বোচ্চ বোরখা পরার উপকারিতা এবং ইসলামের ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা গুরুত্ব বোঝাতে পারেন কিন্তু কখনোই জোর করে পাশ্চাত্যের পোশাক পরা ছাড়তে বাধ্য করতে পারেন না। বন্ধুকে বন্ধুর মতই থাকতে দিতে হবে জোর করে নিজের মতামত বন্ধুর উপর চাপিয়ে দেওয়া সমীচীন নয়।

যোগাযোগ রাখুন

যত যাই হোক যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করবেন বন্ধুর সাথে। লেখাপড়া শেষ করে সাধারণত বিভিন্ন জায়গায় আমাদেরকে চলে যেতে হয় চাকরির সুবাদে। অনেকে তো দেশের বাইরে চলে যায় তবে বর্তমানে যোগাযোগের অনেক সুব্যবস্থা থাকার কারণে যেখানেই থাকেন না কেন বন্ধুর সাথে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করবেন। ব্যস্ততার কারণে এমন হয় মাসের পর মাস অথবা বছরের পর বছর চলে যায় যোগাযোগ করার সময় হয়ে ওঠেনা। ছয় মাসে অন্তত একবার যোগাযোগ করুন বন্ধুত্বের সম্পর্কের যত্ন নিন।

বন্ধুত্বকে বিকশিত হতে দিন

আমরা মানুষদের যেমন বয়স হয় আমাদের বন্ধুত্বেরও ঠিক তেমন বয়স হয়। সব বয়সে আমরা যখন এতক্ষন থাকি না আমাদের আচরণ এক রকম হয় না ঠিক আমাদের বন্ধুত্বেরও কিছুটা পরিবর্তন হয়। বন্ধুত্বের ঘনত্ব এবং গুরুত্ব চাইলে আমরা একই রকম রাখতে পারি। ধরুন স্কুলে পড়ার সময় আমাদের বন্ধুত্ব একরকম ছিল অর্থাৎ আমরা যখন চাইতাম তখনই একে অপরকে পেতাম। 

এরপর যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি তখন আমাদের বন্ধুত্ব একই রকম থাকলেও পড়াশোনা এবং বিভিন্ন কাজের চাপে সব সময় হয়তো একসাথে আড্ডা মারার সময় হয়ে ওঠে না। পড়াশোনা শেষ করে আপনি চাকরি করছেন এবং আপনার বন্ধুও চাকরির পাশাপাশি বিয়ে করেছে, তার এখন আলাদা সংসার হয়েছে। নিঃসন্দেহে আপনার চাইতে আপনার বন্ধু এখন আরও বেশি ব্যস্ত এবং আপনি চাইলে যখন তখন তার সাথে দেখা করা বা আড্ডা দিতে পারবেন না। 

এই বিষয়গুলোকে মেনে নিয়ে আপনাদের বন্ধুত্বকে বিকশিত হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। আপনাদের বন্ধুত্ব ১৫ বছর আগে যেমন ছিল ঠিক সেরকমই এখন করার চেষ্টা করবেন না। বিষয়টিকে জটিল বা কঠিন না ভেবে স্থিতিস্থাপক হিসেবে ভাবুন।

কিছু কথা

একজন ভালো বন্ধু আমাদের জীবনের জন্য একটি সম্পদ। একজন ব্যক্তিকে ভালো বন্ধু হিসেবে পাওয়া অনেক কঠিন তো বটেই সেই বন্ধুত্বটাকে টিকিয়ে রাখা আরো কঠিন। সত্যিকারের বন্ধুত্ব কখনো স্বার্থ দেখেনা, সত্যিকারের বন্ধুত্ব টিকে থাকে পারস্পরিক বিশ্বাস এবং সমর্থনের উপর।

আমরা সঠিক বন্ধু নির্বাচন করি এবং একজন ভালো বন্ধু হওয়ার চেষ্টা করি। এতক্ষণ লেখাটি ধৈর্য নিয়ে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখব। এই ধরনের আরো নতুন কিছু পড়তে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুবিন পিডিয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url