ভালো বস হওয়ার উপায় | জেনে নিন ১৪ টি গুণাবলী

নতুন বস হয়েছেন কিন্তু কাজের চাপে বুঝে উঠতে পারছেন না কিভাবে আপনার অধীনস্থ কর্মচারীদের সামলাবেন আর প্রতিষ্ঠানের উন্নতি সাধন করবেন। অথবা অনেকদিন ধরেই বসের দায়িত্ব পালন করছেন কিন্তু আপনি প্রতিষ্ঠানে এবং ঊর্ধ্বতন মহলের কাছে সমাদৃত হতে না পেরে কি করবেন ভেবে উঠতে পারছেন না। অনেক কর্মকর্তাই বুঝতে পারেন না কিভাবে একজন ভাল বস হওয়া যায়।
ভালো বস হওয়ার উপায় জেনে নিন ১৪ টি গুণাবলী

“কর্মক্ষেত্র” এর আজকের পর্বে আমরা জানার চেষ্টা করব একটি জনপ্রিয় অনলাইন পাবলিকেশনের সিইও এলিজাবেথ ডগলাস এর আর্টিকেল থেকে কিছু বিষয় যেখানে তিনি আলোচনা করেছেন একজন দক্ষ বস হতে হলে কি কি গুণাবলী থাকা প্রয়োজন।

কর্মচারীদের আস্থাভাজন হন

একজন যোগ্য বসের অন্যতম গুণাবলীর মধ্যে একটি হচ্ছে কর্মচারীদের আস্থাভাজন হওয়া। একজন যোগ্য বসের উচিত তার কর্মচারীদের সাথে সেই সম্পর্ক বজায় রাখা যাতে করে তার কর্মচারীরা ব্যক্তিগত অথবা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে যে কোন প্রয়োজনে তার কাছে পরামর্শের জন্য আসতে পারে। তার সাথে এটাও নিশ্চিত করতে হবে কর্মচারীরা যেন বুঝতে পারে তাদের বস তাদের প্রতি যথেষ্ট সদয় এবং তাদের যেকোনো সমস্যাকে গুরুত্বের সাথে নেন।

কর্মচারীদের কাজকে গুরুত্ব দিন

আপনি যদি কোন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকেন অথবা একটি দলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন তবে এতদূর আসার পেছনে আপনার অধীনে থাকা কর্মচারীদের অবদান অস্বীকার করতে পারেন না। তাদের কঠোর পরিশ্রমকে স্বাগত জানানোর মাধ্যমে তাদেরকে এ ধরনের কঠোর পরিশ্রম অব্যাহত রাখতে সাহায্য করুন। যেকোনো মানুষই নিজেদের প্রশংসা শুনতে পছন্দ করে। তাই কর্মচারীদের কঠোর পরিশ্রমের স্বীকৃতি হতে পারে তাদেরকে আরো কঠোর পরিশ্রম করতে উদ্বুদ্ধ করার একটি হাতিয়ার।

কাজের পরিবেশ তৈরি করুন

বস হিসেবে আপনার অন্যতম দায়িত্বের মধ্যে পড়ে আপনার কর্মচারীরা যেন সুষ্ঠু পরিবেশে কাজ সম্পাদন করতে পারে। কর্মচারীদের সাথে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করতে পারেন কাজের জায়গাটিতে যেন পর্যাপ্ত আলো বাতাস থাকে। যতদূর সম্ভব দূরত্ব বজায় রেখে কর্মচারীদের সাথে পার্সোনাল যোগাযোগ রাখা যেতে পারে যেমন ফেসবুকে কর্মচারীদের কোন পোস্টে রিয়েকশন দেয়া ইত্যাদি। 

আরও পড়ুন

শুধু তাই নয় প্রতি মাসে যারা সবচেয়ে ভালো কাজ করবে তাদের জন্য পুরস্কার যেমন পিজ্জা পার্টির ব্যবস্থা করতে পারেন। “এমপ্লয়ি অফ দ্যা ইয়ার” চালু করে বছর শেষে বেস্ট এমপ্লয়ীকে সার্টিফিকেট দিতে পারেন। এছাড়াও নোটিশ বোর্ডে প্রতি সপ্তাহে বেস্ট কর্মচারীদের নাম লিখতে পারেন যারা তাদের টার্গেট এচিভ করে।

সকলের সাথে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করুন

বস অথবা টিম লিডার হওয়ার কারণে আপনার কাজের চাপ থাকবে অন্য সকলের চাইতে বেশি এটাই স্বাভাবিক। তবে আপনার অধস্তন কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে আপনার যোগাযোগ থাকলেও একদম নিম্ন পর্যায়ের কর্মচারীদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এতে করে সেই লেভেলের কর্মচারীদের সাথে বসের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। 

প্রতি মাসে অন্তত একবার সকল শ্রেণীর কর্মচারীদের নিয়ে ওভারঅল মিটিং এর ব্যবস্থা করতে পারেন। সেই মিটিংয়ে প্রত্যেক জনের সাথে কথা বলতে পারেন কার কাজের অগ্রগতি কেমন সেসব বিষয়ে জানতে পারেন। এতে করে পুরো অফিসে কাজ কেমন চলছে সেই বিষয়ে যেমন আপনি ধারণা পাবেন ঠিক তেমনি একদম চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা তাদের কাজে ফাঁকি দেওয়ার সাহস পাবে না। অন্য কর্মচারীকে সাথে নিয়ে আপনার কোম্পানি/ফ্যাক্টরি সপ্তাহে অন্তত একবার ভিজিট করতে পারেন।

কর্মচারীদের সাহায্য করার পরিবেশ সৃষ্টি করুন

জুনিয়র কর্মচারীদের অভিজ্ঞতা অর্জনের লক্ষ্যে অর্পিত দায়িত্বের পাশেও আরো বেশ কিছু কাজ করতে দিন। যদি দেখা যায় তারা সে কাজটি ভালোভাবে উতরে যেতে পারছে না বা কোন জায়গায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তবে যদি সম্ভব হয় আপনি নিজে সাহায্য করুন অথবা কোন সিনিয়র কর্মচারীকে সাহায্য করার পরামর্শ দিন। এতে করে যখন জুনিয়র কর্মচারী নতুন কোন কাজ পাবে কাজটা কঠিন হওয়া সত্ত্বেও তারা মনবল হারাবে না।

ট্রেনিং দরকার হলে কর্মচারীদের ট্রেনিং দিন

যেকোনো ট্রেনিং কর্মচারীকে যেমন দক্ষ করে তোলে তেমনি কাজটিও সহজ হয়ে যায়। তাই একজন বস হিসেবে আপনার অবশ্যই লক্ষ্য করা কর্তব্য যে, আপনার কর্মচারীরা প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করতে পারছে কিনা। যদি প্রতিষ্ঠানের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম না হয় তবে তাদের উন্নতির জন্য ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করুন, প্রয়োজনে বাহির থেকে এক্সপার্ট নিয়ে আসতে পারেন। তবে ট্রেনিং টা যেন তাদের উপর বোঝা না হয়, তাদেরকে বোঝাতে হবে এটি তাদের কাজের সহায়ক।

প্রতিদিন কাজের পর্যালোচনা করুন

একজন ভালো দক্ষ বস তার কর্মচারীদের পারফরমেন্সে সন্তুষ্ট হলে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানাতে কার্পণ্য করেনা। প্রতিদিন সম্ভব না হলেও দুই একদিন পরপর প্রত্যেককেই তাদের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানিয়ে রাখুন। ভালো কাজের জন্য যদি প্রশংসা করতে হয় তবে একা বা আড়ালে না করে সকলের সামনে করুন। 

এতে সে কর্মচারী যেমন উৎসাহিত হবে তেমনি তার প্রশংসা দেখে বাকি কর্মচারীরাও ভালো কাজ করতে উৎসাহিত হবে। প্রেজেন্টেশন দেওয়ার পরে, মিটিংয়ে আলোচনা অবস্থায় অথবা আপনি পুরো অফিস যখন রাউন্ডে যান তখন কর্মচারীদের কাজের প্রশংসা করতে পারেন।

গঠনমূলক সমালোচনা সবার সামনে করবেন না

কর্মচারীদের প্রশংসা যেমন সবার সামনে করা উচিত ঠিক তেমনি কাজে ভুল হলে বা আশানুরুপ ফলাফল অর্জন করতে না পারলে সমালোচনা যদি করতেই হয় তবে আলাদা ডেকে নিয়ে করুন। সবার সামনে করলে সেই কর্মচারী যেমন লজ্জিত হবে ঠিক তেমনি কাজের উৎসাহ এবং উদ্যম হারিয়ে ফেলবে। 

পরবর্তীতে যেকোনো সমস্যায় পড়লে আপনাকে জানাতে অনিহা প্রকাশ করবে এবং যেকোনো নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সাহস হারাবে। মনে রাখতে হবে সমালোচনা করার পূর্বে দুই একটি পজিটিভ কথাবার্তা বলে নিবেন।

ইমেইল এ রিপ্লাই দিন

কোন কর্মচারী যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ বা নোটিশ ইমেইলের মাধ্যমে জানায় তবে রিপ্লাই হিসেবে শর্টকাটে কিছু জানাবেন না। “ঠিক আছে”, “ধন্যবাদ”, “আচ্ছা”, “হুম” এগুলোর পরিবর্তে বরং লিখুন “সচেতনভাবে আমাকে বিষয়টি জানানোর জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা।”

প্রয়োজন হলে কর্মচারীদের কাছে সাহায্য নিন

বস হলেও আপনারাও কখনো কখনো আপনার কর্মচারীদের সাহায্য নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। আপনি যদি আপনার কর্মচারীদের কাছে সাহায্য চান তবে এ ব্যাপারটিকে তারা পজেটিভ গ্রহণ করবেন এই ভেবে যে, আপনি সবকিছু জানেন এমনটা নয়, আপনারও কিছু অজানা রয়েছে, আপনি তাদের কাছে সাহায্য নিতে আপনার কোন অহংকার বোধ নেই এবং আপনি আপনার অধস্থন কর্মচারীদের মতামতকে মূল্যায়ন করছেন। 
তবে সরাসরি “আমাকে সাহায্য করুন” টাইপের কিছু না বলে বরং বলতে পারেন “গতকালকের প্রজেক্ট এর ব্যাপারে আমি নিচের এই সিদ্ধান্তটি নিয়েছি। তবে আমার মনে হচ্ছে আপনাদের মতামত জানাটা প্রয়োজন। আপনাদের মধ্যে কেউ যদি কোন মতামত জানাতে চান আমি খুবই উপকৃত হব। মতামত জানান অবশ্যই বিকাল তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে।”

সমালোচনা নিতে প্রস্তুত থাকুন

কোন মানুষই ভুলের উর্ধ্বে নয়। একজন মানুষ হিসেবে বস হওয়ার পরেও আপনার কোন কাজে বা সিদ্ধান্তে ভুল হতেই পারে। আপনার কোন ভুল সিদ্ধান্তে কোন কর্মচারী যদি সমালোচনা করে তবে তাতে উত্তেজিত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে বরং এটিকে পজিটিভলি গ্রহণ করে শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করুন। এতে করে কর্মচারীদের মনে আপনার জন্য যেমন একটা সম্মানবোধ তৈরি হবে তেমনি আপনাকে দেখে তারাও শিখবে যে, ভুল হলে সমালোচনা হবেই এবং এটিকে পজিটিভলি গ্রহণ করতে হবে।

কঠোর পরিশ্রমের প্রশংসা করুন

একজন দায়িত্বজ্ঞানহীন বস কখনোই তার অধীনস্থ কর্মচারীদের কাজের ক্রেডিট দিতে চায় না বরং সম্পূর্ণ ক্রেডিট নিজেই নিতে চায়। একজন দক্ষ, জনপ্রিয় এবং ভালো বস হতে চাইলে এই বদ অভ্যাস থেকে একশ হাত দূরে থাকুন। যখন একটি বড় সফলতা আসবে সবার আগে আপনার কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান, তাদেরকে স্বাগত জানান এবং পারলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। 
কারণ তাদের কঠোর পরিশ্রমের কারণেই আজ আপনার অবস্থানটা আরো শক্ত হলো। এ সফলতার জন্য আপনার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যদি আপনাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তবে অবশ্যই সাথে সাথে আপনার অধীনস্ত কর্মচারীদের কঠোর পরিশ্রমের কথা উল্লেখ করে তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন পুনরায়।

সকল কর্মচারীকে সমানভাবে বিবেচনা করুন

পৃথিবীতে সকল মানুষ একই কর্মদক্ষতা নিয়ে জন্মায় না। কর্মচারীদের ভিতর কেউ বেশি সফল হবে কেউ একটু কম সফল হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে একজন ভালো বস হতে চাইলে অবশ্যই আপনার উচিত হবে না ভালো পারফরম্যান্স করা কর্মচারীর প্রতি পক্ষপাত মূলক আচরণ করা। 

এতে করে যারা ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেনি তারা আপনার প্রতি যেমন বিরক্ত হবেন তেমনি তাদের কাজের উৎসাহ দমে যাবে। পক্ষপাত মূলক আচরণ পৃথিবীর কোন মানুষই সমর্থন করে না। কারো সাফল্যে তার উদ্দেশ্যে যদি লাঞ্চ পার্টি আয়োজন করেন তবে খেয়াল রাখবেন প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মচারী যেন দাওয়াতে উপস্থিত থাকেন।

কর্মচারী থেকে কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখুন

বস হিসেবে কর্মচারীদের সাথে আপনার অবশ্যই একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকতে হবে তবে বন্ধু হওয়া যাবে না। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সেটিও শুধুমাত্র কর্মক্ষেত্রের জন্যই। বস এবং কর্মচারীর ভেতরে যতটুকু দূরত্ব বজায় রাখা প্রয়োজন ততটুকু বজায় রেখেই এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চালিয়ে যেতে হবে সকলের কাজের সুবিধা স্বার্থে। 

কর্মচারীদের সাথে যদি বন্ধু হয়ে ওঠেন তবে আপনার কর্তৃত্ব এবং বিশ্বাসযোগ্যতা খুব দ্রুতই হারাতে শুরু করবেন। এমনকি অফিস থেকে কোন পার্টির আয়োজন করলে সেখানেও ব্যক্তিগত কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করা থেকে বিরত থাকবেন। কর্মচারীদের সাথে যদি আড্ডা দিতেই হয় তবে অবশ্যই আলোচনার বিষয়বস্তু হবে কর্মক্ষেত্র ঘিরেই। 

অন্য কোন কর্মচারীর বিরুদ্ধে গসিপ বা সমালোচনা, দুর্নাম এসব করবেন না। আপনার মাধ্যমে যদি ব্যক্তিগত সমালোচনা বা দুর্নাম কর্মচারীদের মাঝেও ছড়িয়ে পড়ে এবং তারা নিজেদের মধ্যে যদি এই বদভ্যাস চর্চা শুরু করে তবে নিশ্চিত থাকুন খুব শীঘ্রই আপনি কর্মচারীদের কাছে এবং আপনার উদ্বোধন কর্তৃপক্ষের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবেন।

শেষ কথা

একজন ভালো বসের উচিত সব সময় ধমক অথবা কাজের প্রেসার দিয়ে কর্মচারীদের নিকট থেকে কাজ আদায় না করে বরং হাসিমুখে একটু কথা বলে ভালো করে বুঝিয়ে কর্মচারীদের উৎসাহিত করা। তবে যেসব কর্মচারী সত্যিই ফাঁকিবাজ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে চায় না তাদের জন্য আলাদা শাসনের ব্যবস্থা রাখতেই হবে।
তো যাই হোক আজকে এ পর্যন্তই। একজন আদর্শ বসের গুণাবলী যে শুধু উপরের এগুলোই তা নয় আরো বেশ কিছু থাকতে পারে, আপনাদের জানা থাকলে কমেন্ট বক্সে লিখে জানাতে পারেন। আশা করি পুরো লেখাটি পড়ে সামান্য হলেও নতুন কিছু জানতে পেরেছেন। ভালো লেগে থাকলে পরিচিতজনদের সাথে শেয়ার করতে পারেন এবং এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করার আমন্ত্রণ রইল। ধন্যবাদ।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুবিন পিডিয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url