চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার প্রস্তুতি | যেভাবে চাকরির ইন্টারভিউ এর প্রস্তুতি নেবেন

চাকরির প্রত্যাশীরা ইন্টারভিউয়ের কথা আসলেই তারা একাডেমিক লেখাপড়া অথবা জ্ঞানের প্রতি নজর দেন। কিন্তু একাডেমিক লেখাপড়া বা জ্ঞান ছাড়াও আরো বেশ কিছু প্রস্তুতি রয়েছে যেগুলোর প্রতি আমরা অতটা সচেতন নই। অথবা এমনও হয়েছে এই প্রস্তুতি গুলোর অভাবেই অনেক প্রার্থী যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও হয়তো কাঙ্খিত চাকরি পায়নি।
চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার প্রস্তুতি | যেভাবে চাকরির ইন্টারভিউ এর প্রস্তুতি নেবেন

প্রফেশনাল সার্টিফাইড কোচ (PCC) এলিসন গ্যারিডো তার লেখা একটি নিবন্ধে সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন ইন্টারভিউ এর আগে কি কি প্রস্তুতি নেওয়া জরুরী। "ক্যারিয়ার" এর আজকের এই পর্বে আমরা সেই প্রস্তুতি গুলো সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেই। আশা করি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।

সাক্ষাৎকার

বাংলায় সাক্ষাৎকার আর ইংরেজিতে Interview । সাক্ষাৎকার হলো একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বৃন্দ এবং চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে একটি আলোচনা যার মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থীগণ তার যোগ্যতা তুলে ধরবেন এবং প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ চাকরি প্রার্থীর সকল যোগ্যতা যাচাই করে দেখবেন।

চাকরির বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা রাখুন

যে চাকরির বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে আপনি কোন পোস্টে আবেদন করেছেন বা করবেন সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা রাখা জরুরী। প্রথমেই দেখে নেবেন বিজ্ঞপ্তিতে চাকরির পোস্টিং কোথায় হবে, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং বিভিন্ন দক্ষতার বিষয়ে কি কি চাহিদা রয়েছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং দক্ষতার বিষয়ে যে চাহিদাগুলো রয়েছে তার সবগুলো আপনার ভেতরে রয়েছে কিনা যাচাই করুন। 
যদি না থাকে তবে চিন্তা ভাবনা করুন আপনার কি এমন গুণ রয়েছে যার পরিপ্রেক্ষিতে আপনাকে তারা নিয়োগ দিতে পারেন। যে দক্ষতাগুলো বিজ্ঞপ্তিতে চাওয়া হয় সেগুলো ভালো করে মনে রাখুন এবং সেগুলোকে হাইলাইট করার চেষ্টা করুন সাক্ষাৎকার অর্থাৎ ইন্টারভিউয়ের সময়। 

উদাহরণস্বরূপ যদি প্রতিষ্ঠান থেকে চাওয়া হয় প্রার্থীকে অবশ্যই কঠোর পরিশ্রমী হতে হবে এবং আপনি যদি সত্যি কঠোর পরিশ্রমী হয়ে থাকেন তবে সাক্ষাৎকারের সময় প্রশ্নকর্তার কে বলুন যে আপনি এর আগে আপনার জীবনে কিভাবে কঠোর পরিশ্রম করেছেন অথবা কোন চাকরি করলে সেখানে আপনি কিভাবে কঠোর পরিশ্রম করে প্রতিষ্ঠানকে সুফল এনে দিয়েছেন।

প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান রাখুন

যে প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য আবেদন করেছেন বা করবেন সে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা রাখুন। বর্তমানে তার প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকে। ওয়েবসাইটে যান, তাদের পূর্ববর্তী কাজের নমুনা দেখুন, পূর্ববর্তী বিভিন্ন বছরের সফলতা দেখুন, তাদের উত্থান পতন সম্পর্কে ধারণা রাখুন, প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য কি এবং তারা কি উপায়ে কাজ করে থাকে, এর রীতিনীতি ইত্যাদি বিষয়ে সম্যক ধারণা রাখুন। 

ইন্টারভিউ এর সময় প্রয়োজন এবং সুযোগ অনুযায়ী এসব বিষয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করুন। এতে করে ইন্টারভিউ বোর্ডের সদস্যরা আপনার সম্পর্কে ধারণা রাখবে যে, আপনি তাদের প্রতিষ্ঠান এবং এই চাকরির প্রতি আগ্রহী এবং উৎসাহী।

জীবন বৃত্তান্তের প্রতি নজর দিন

কোন চাকরির জন্য আবেদন করার পূর্বেই নিজের জীবন বৃত্তান্তের (curriculum vitae বা resume বা bio data) প্রতি নজর দিন। প্রতিষ্ঠান অথবা ইন্টারভিউ বোর্ডের সদস্যদের প্রয়োজন নেই এমন কোন তথ্য আপনার জীবন বৃত্তান্তে রাখবেন না। বেশিরভাগ প্রশ্নকর্তাই আপনার প্রদত্ত জীবন বৃত্তান্তের উপর ভিত্তি করে আপনাকে বেশ কিছু প্রশ্ন করে থাকবেন। 
সেই প্রশ্ন সম্পর্কিত উত্তর যেন সুন্দর ভাবে দিতে পারেন তার প্রস্তুতি নিন। তবে প্রশ্নকর্তা যদি আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং দক্ষতার বিষয়ে কোন প্রশ্ন না করে থাকেন তবে আপনি নিজে থেকেই চেষ্টা করবেন আপনার যে দক্ষতা গুলো আছে সেগুলো তাদের সামনে তুলে ধরার।

ইন্টারভিউ এর প্রশ্ন উত্তর চর্চা করুন

সাক্ষাৎকারের সময় যেকোনো ধরনের মানসিক দুশ্চিন্তা এবং নার্ভাসনেস কাটিয়ে ওঠার জন্য সবচাইতে ভালো উপায় হচ্ছে সাক্ষাৎকারে যেসব প্রশ্ন করার সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলো চর্চা করা। এ চর্চা আপনার ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সাথে অথবা ভাই বোনের সাথে সামনাসামনি বসে প্রশ্ন উত্তর চর্চা করতে পারেন। 

বিষয়টি তাৎক্ষণিক হাস্যকর মনে হলেও ভবিষ্যতে আপনারা দুজনেই ব্যাপক লাভবান হবেন। যদি ভাই বোন, বন্ধুবান্ধব বা অন্য কাউকেই চর্চা করার জন্য না পান তবে প্রশ্ন-উত্তরগুলো সংগ্রহ করে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চর্চা করবেন। নিচে ইন্টারভিউ এর কিছু নমুনা প্রশ্ন দেয়া হলো।

অফিসিয়াল পোশাক পরুন

ইন্টারভিউ এর দিন পোশাকের ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন হন এবং সেই ব্যাপারে প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। ওয়েবসাইট বা কোম্পানির কোন সোশিয়াল পেজ থাকলে সেখান থেকে জেনে নিতে পারেন প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট কোন ড্রেস কোড আছে কিনা। থাকলে সেই অনুযায়ী পোশাক পরবেন আর যদি না ও থাকে তবুও সম্পূর্ণ ফরমাল অর্থাৎ অফিশিয়াল পোশাক করুন। 
যেকোনো গাঢ় কালারের পরিবর্তে হালকা রংয়ের পোশাক পরাই উত্তম। পুরুষরা অবশ্যই শার্ট, প্যান্ট, অফিশিয়াল জুতো, টাই পরবেন। পরিপাটি করে চুল আঁচড়ানো থাকবে, ক্লিন সেভ থাকবে আর যদি আপনি সুন্নত অনুযায়ী দাড়ি রাখেন সেটা আলাদা বিষয়। 

আর নারীদের ক্ষেত্রে হালকা রঙের ইস্ত্রী করা পরিষ্কার সালোয়ার কামিজ অথবা শাড়ি, তার সাথে জুতো অথবা মানানসই অফিশিয়াল স্যান্ডেল পরবেন। তবে অবশ্যই পেন্সিল হিল পরা থেকে বিরত থাকবেন। উপযুক্ত এবং সঠিক পোশাকে দেখলে প্রশ্ন-কর্তাদের প্রথম ইমপ্রেশনটা আপনার সম্পর্কে ভালো হবে।

সময় মত প্রতিষ্ঠানে পৌঁছান

ইন্টারভিউ দেয়ার জন্য কমপক্ষে দশ মিনিট পূর্বে প্রতিষ্ঠানে পৌঁছান। একদম শেষ মুহূর্তে পৌঁছালে মানসিকভাবেও দুশ্চিন্তার শিকার হবেন। কোন কারনে দেরি হলে প্রশ্নকর্তার সামনে কখনোই ট্রাফিক জ্যামের অজুহাত দিবেন না। 

এই অজুহাত যদি কখনো দেন নিশ্চিত থাকুন আপনি চাকরিটা পাচ্ছেন না। আপনি যদি ঢাকা শহরে থাকেন অথবা ঢাকার বাইরে যেখানেই থাকুন না কেন আপনার বাসস্থান থেকে প্রতিষ্ঠানের দূরত্ব আগে থেকে জেনে প্রস্তুতি নিয়ে রাখবেন কতক্ষণ আগে বের হলে সময় মতো পৌঁছাতে পারবেন। ইন্টারভিউ বোর্ডের সদস্যগণ সব সময় সময়ানুবর্তিতা পছন্দ করেন।

জীবন বৃত্তান্তের সঠিক ব্যাখ্যা দিন

জীবন বৃত্তান্তে যেকোনো ধরনের দুর্বলতা, ঘাটতি যদি থাকে তবে সেটার পক্ষে যথোপযুক্ত কারণ সহকারে ব্যাখ্যা দেওয়ার মানসিক প্রস্তুতি নেন। মনে রাখবেন ঘটনা যতই নেগেটিভ হোক না কেন সাক্ষাৎকারের সময় প্রশ্নকর্তার সামনে কোন ধরনের কোন নেগেটিভ কথাবার্তা বলা যাবে না। মনে করেন লেখাপড়া শেষ করে আপনি দুই তিন বছর কোথাও চাকরি না করে এই প্রতিষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দিতে এসেছেন। 
প্রশ্নকর্তা আপনাকে অবশ্যই এ বিষয়ে প্রশ্ন করবেন। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে আপনি কিভাবে এর ব্যাখ্যা উপস্থাপন করবেন তাদের সামনে সেই প্রস্তুতি আপনাকে নিতে হবে। আপনি যদি কোন দক্ষতা অর্জনের জন্য সে সময়টা কাজে লাগান অথবা দেশে-বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার কারণে সে সময়টাতে চাকরি থেকে দূরে থাকেন তবে সেটিকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করুন। আপনার অর্জিত জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা আপনি কিভাবে চাকরিতে কাজে লাগাতে পারেন সেই বিষয়টিকে হাইলাইট করার চেষ্টা করবেন।

ব্যাখ্যা করুন আপনার শক্তিশালী দিকগুলো

দুর্বলতার পাশাপাশি প্রশ্নকর্তা আপনার কি কি পজিটিভ অর্থাৎ শক্তিশালী দিক রয়েছে সে বিষয়েও প্রশ্ন করবে। এক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা বললে বিষয়টি সম্পন্ন হাস্যকর হয়ে দাঁড়াবে। এর পরিবর্তে অন্যদের চেয়ে চাইতে আপনি দক্ষতার দিক দিয়ে কোন কোন বিষয়ে এগিয়ে আছেন সে বিষয়গুলো উল্লেখ করবেন। 

উদাহরণস্বরূপ, আপনি বলতে পারেন- “এর আগে একটি কল সেন্টারে চাকরি করতাম। সেখানকার অভিজ্ঞতা থেকে আমি শিখেছি কাস্টমারদের সাথে কিভাবে বিনয় এবং ধৈর্যের সাথে যে কোন আলোচনা ফলপ্রসু করতে হয়। সেই অভিজ্ঞতাটা আমি এই প্রতিষ্ঠানেও কাজে লাগাতে পারব।”

কেন চাকরি করতে চান তা বলুন

বিভিন্ন প্রশ্নের একপর্যায়ে প্রশ্নকর্তা অবশ্যই জিজ্ঞেস করবেন আপনি কেন এই প্রতিষ্ঠানকে বেছে নিলেন চাকরি করার জন্য। আগে থেকেই প্রতিষ্ঠান ওয়েবসাইট থেকে জানা বিভিন্ন তথ্যের আলোকে এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবেন। 
আপনি কোম্পানির রীতিনীতি, সংস্কৃতি, বৈশিষ্ট্য, জব পজিশন, চাহিদার সাথে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার মিলে যাওয়া ইত্যাদি বিষয়গুলো উল্লেখ করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ আপনি সাক্ষাৎকারের সময় এভাবে বলতে পারেন- “বিজ্ঞপ্তি দেখার সাথে সাথেই আমি এই প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য আবেদন করি। আমার সবচাইতে ভালো লেগেছে এই প্রতিষ্ঠান তার কর্মচারীদের সাথে খুবই ভালো আচরণ করে।”

সাক্ষাৎকারের জন্য দুই তিনটি প্রশ্ন প্রস্তুত করে রাখুন

সাক্ষাৎকারে যে ধরনের প্রশ্ন প্রার্থীকে করা হয় সেগুলো চর্চার পাশাপাশি প্রশ্নকর্তাকেও দুই তিনটি প্রশ্ন করার জন্য প্রস্তুতি নেন। অনেক ইন্টারভিউতেই সাক্ষাৎকারের একদম শেষ পর্যায়ে প্রশ্নকর্তা প্রার্থীকে কিছু প্রশ্ন করতে বলেন অথবা তার কোন প্রশ্ন আছে কিনা জানতে চান। 

এই সময়ে প্রশ্ন কর্তাকে প্রশ্ন করলে আপনার সম্বন্ধে তাদের একটি ইতিবাচক ধারণা জন্ম নেবে। তারা বুঝবে যে আপনি তাদের প্রতিষ্ঠান এবং তাদের কাজের প্রতি আগ্রহী। উদাহরণস্বরূপ প্রশ্ন করতে পারেন- “এই পজিশনে (অর্থাৎ আপনি যে পজিশনে আবেদন করেছেন) কি কি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হতে পারে?”

কিছু বিশেষ টিপস

  • সাক্ষাৎকারের সময় চেয়ারে সোজা হয়ে বসতে হবে এজন্য বাসাতেই সব সময় সোজা হয়ে বসার চর্চা করুন।
  • সাক্ষাৎকার পক্ষে প্রবেশের পূর্বে অবশ্যই অনুমতি নিবেন। অনুমতি ছাড়া কক্ষে প্রবেশ করবেন না।
  • কক্ষে প্রবেশের পর অবশ্যই সালাম দিবেন।
  • ইন্টারভিউ বোর্ডের সদস্যগণ বসতে না বললে দাঁড়িয়েই থাকবেন। বসতে বললে শব্দ না করে চেয়ারে সোজা হয়ে বসবেন।
  • শুরুতেই আপনার নাম বলে কথা শুরু করবেন।
  • প্রশ্ন কর্তাদের দিকে চোখে চোখ রেখে আত্মবিশ্বাসের সাথে উত্তর দিবেন। এদিক ওদিক তাকানো, নিচের দিকে তাকিয়ে কথা বলা দুর্বলতার প্রতীক।
  • প্রশ্নকর্তাদের প্রশ্ন বুঝতে না পারলে দুঃখিত বলে পুনরায় প্রশ্ন জিজ্ঞেস করুন।
  • উত্তর জানা না থাকলে সরাসরি বলুন “এই উত্তরটি আমার জানা নেই।” অযথা উল্টাপাল্টা উত্তর দিয়ে প্রশ্ন কর্তাদের বিরক্ত করবেন না।
  • প্রশ্ন কর্তা ব্যঙ্গাত্মক কোন কথা বললেও প্রতি উত্তরে উত্তেজিত হবেন না। আপনাকে সব রকম ভাবে যাচাই করার এটিও একটি প্রক্রিয়া হতে পারে তাদের।
  • জীবন বৃত্তান্তের দুই থেকে তিন কপি সাথে নিয়ে যাবেন এক কপি প্রশ্ন কর্তাদের দিবেন এবং আর এক কপি আপনার সামনে রাখবেন যাতে করে সেখান থেকে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে সুবিধা হয়।
  • ইন্টারভিউ বোর্ডে যদি একজন প্রশ্নকর্তা থাকে তবে পরিস্থিতি বুঝে সুযোগ হলে করমর্দন করতে পারেন। আর বেশি জন থাকলে ভদ্রভাবে সালাম দিয়ে বের হয়ে আসবেন।
  • ইন্টারভিউ বোর্ডে কখনোই বলবেন না যে, এই চাকরিটা আপনার খুবই প্রয়োজন।
  • প্রশ্নকর্তাদের প্রশ্নে নার্ভাস হলেও তাদের সামনে সেটি প্রকাশ করবেন না।
মন্তব্য

আমাদের দেশে একটি কথা খুবই প্রচলিত সেটি হল “আগে দর্শনধারী তো পরে গুণবিচারী”। প্রথম দর্শনেই আপনার প্রতি যদি ইন্টারভিউ বোর্ডের সদস্যরা আকৃষ্ট হতে পারে তবে পরবর্তী যাত্রাটুকুতে আপনার জন্য স্ট্রেস বা মানসিক চাপ অনেকটাই কমে যাবে। আর এই প্রথম দর্শনে জন্যই উপরের বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখলে আমাদের উপকার হবে।
এতক্ষণ ধরে লেখাটি পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। উপরের বিষয়গুলো ছাড়াও আরো যদি কিছু থেকে থাকে তবে কমেন্ট বক্সে লিখে জানাতে পারেন। ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। পরবর্তী কোন লেখায় আবারও আপনাদের সাথে কথা হবে যোগাযোগ হবে। সে পর্যন্ত ভালো থাকবেন, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুবিন পিডিয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url