চাকরির ইন্টারভিউ এর প্রশ্ন ও উত্তর
ইন্টারভিউ বা সাক্ষাৎকার বিষয়টি যখন সামনে আসে তখনই এটি উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, ভয়, টেনশন নার্ভাস এর কারণ হয়ে দাঁড়ায় যদি। তবে সামান্য কিছু প্রস্তুতি এবং অনুশীলন এই ভয় আত্মবিশ্বাসে রূপান্তরিত হতে পারে। সাক্ষাৎকারে প্রশ্নকর্তা কি কি প্রশ্ন করবেন এটা কারো পক্ষে জানা সম্ভব নয় তবে সাধারণত যেসব প্রশ্ন করা হয় চাকরির ইন্টারভিউ এর এমন প্রশ্ন উত্তর নিয়েই আজকের এই আয়োজন।
তো চলুন জেনে নেওয়া যাক চাকরিতে কি কি কমন প্রশ্নগুলো করা হয়।
আপনার নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন?
বেশিরভাগ সাক্ষাৎকারের একদম শুরুর দিকে এ ধরনের প্রশ্ন হয়ে থাকে। প্রার্থী যে বিষয়ে লেখাপড়া করে থাকুক না কেন অনেক নিয়োগকারী আছেন যিনি এ প্রশ্নটি ইংরেজিতে করে থাকেন- please, introduce yourself. ইন্টারভিউ বোর্ডের সদস্যরা প্রার্থী সম্পর্কে এমন কোন তথ্য শুনতে চান যেটি তাদেরকে আশ্চর্য করবে, প্রার্থী সম্পর্কে পজেটিভ ধারণা দেবে এবং যে বৈশিষ্ট্যের কারণে চাকরিতে নিয়োগ দেওয়ার কথা চিন্তা করবেন।
নিজের সবল দিকগুলো এবং পড়াশোনার পাশাপাশি এমন কিছু বলুন যা চাকরির সাথে সম্পর্কিত। আপনি কি খেতে পছন্দ করেন, আপনার হবি কি, আপনি কোথায় ঘুরতে যেতে ভালোবাসেন, কার সাথে ঘুরতে যান, ভাই বোন কতজন, তাদের নাম, বংশের পরিচয় এসব মূল্যহীন প্রশ্ন সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করবেন না।
এর পরিবর্তে নিজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করুন। নিজের সম্পর্কে কিভাবে গুছিয়ে সুন্দরভাবে পজিটিভলি নিয়োগকর্তাদের সামনে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারছেন এটিও সাক্ষাৎকার এর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
কাজের প্রচণ্ড চাপ হলে নিজেকে কিভাবে সামলান?
আপনার পূর্ববর্তী কোন চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলে সে অভিজ্ঞতার আলোকে বলুন আপনি কিভাবে কাজের সময় চাপ সামলেছেন। আবার পূর্ববর্তী কোনো কাজের অভিজ্ঞতা না থাকলে আপনি কিছু পয়েন্ট প্রস্তুত করে রাখুন যেগুলো এই চাকরি পেলে যথাযথভাবে কাজে লাগাবেন। মূলত নিয়োগকর্তারা আপনার কাছে শুনতে চান যে কোন ক্রিটিকাল মুহূর্তে নিজেকে সামলে কিভাবে এগিয়ে যান সে বিষয়গুলো।
উদাহরণস্বরূপ উত্তরটি দিতে পারেন এভাবে- আমি শেষ যে কোম্পানিতে চাকরি করেছি সেখানে মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলাম। সেখানে একটি প্রোডাক্ট লঞ্চ হওয়ার পরে আমাদের কৌশল অনুযায়ী প্রোডাক্ট একদম বিক্রি হচ্ছিল না। আমাদের টিমের প্রত্যেকে আমরা খুব মানসিক চাপের মধ্যে পড়ে যাই।
সেই সময় আমি মাথা ঠান্ডা রেখে সমস্ত টিম মেম্বারকে নিয়ে একটি মিটিংয়ে বসি এবং আমরা একদিন সেল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেই যদিও সিদ্ধান্তটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। মিটিং এ আমরা কিছু নতুন কৌশল অবলম্বন করেছিলাম যার ফলে পরবর্তীতে আমাদের সেল অনেক বেড়ে গিয়েছিল। এভাবে আমরা সফল হয়েছিলাম।
আপনি কেন এ পেশায় আসতে চাচ্ছেন?
এ ধরনের প্রশ্ন করে প্রশ্নকর্তা জানতে চান যে এই চাকরি বা এই কাজের গুরুত্ব আপনার কাছে আছে নাকি শুধুই চাকরি করতে হবে তাই করবেন। তাই বুঝে শুনে চিন্তা ভাবনা করে এমন উত্তর দিতে হবে যেনো প্রশ্নকর্তার কাছে আপনার উত্তরটি গ্রহণযোগ্যতা পায়। ধরুন আপনি ব্যাংকের একজন অফিসার হতে চান। উত্তর দিতে পারেন এভাবে- আমি গ্রাম থেকে বড় হয়েছি।
আমার বাবা ছোটখাটো ব্যবসায়ী ছিলেন। ব্যবসা থেকে কিছু টাকা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য বাবা আমাদের গ্রাম থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে একটি ব্যাংকে প্রতি মাসে জমা রাখতেন। সেই টাকা থেকেই পরবর্তীতে আমি অনার্স এবং মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করি। তখন থেকে আমার ইচ্ছা ছিল আমার বাবার মত আরও অনেক পরিবারকে আর্থিক নিশ্চয়তা দেয়ার জন্য আমি ব্যাংকে চাকরি করব।
আপনার কি কি পজিটিভ দিক রয়েছে?
এই প্রশ্নের মাধ্যমে প্রশ্নকর্তা যাচাই করতে চায় আপনি নিজের সম্পর্কে কতটুকু জানেন। যতগুলো কমন প্রশ্ন রয়েছে ইন্টারভিউতে তার মধ্যে এটি অন্যতম। আমি সহজ সরল সৎ- এই ধরনের উত্তর দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। উদাহরণস্বরূপ উত্তর দিতে পারেন এভাবে- যেকোনো সমস্যা সমাধানে সর্বপ্রথম আমি ধৈর্য ধরার চেষ্টা করি।
মন প্রাণে বিশ্বাস করি আমি ধৈর্য ধরলে সে কোন সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। যেকোনো কাজ করার পূর্বে আমি একটি পরিকল্পনা তৈরি করি এবং সে পরিকল্পনা মাফিক নিখুঁতভাবে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। তারপর আমি নিত্যনতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পছন্দ করি। নতুন কাজ বা প্রজেক্ট অর্থ হল নতুন অভিজ্ঞতার সুযোগ পাওয়া।
আপনার দুর্বল দিকগুলো বলুন?
একটি সাক্ষাৎকারে প্রশ্নকর্তারা প্রার্থীর সবল এবং দুর্বল উভয় দিক অথবা যে কোন একটি দিক সম্পর্কে প্রশ্ন করতে পারেন। এই প্রশ্নের মাধ্যমেও প্রশ্নকর্তারা বুঝতে চান যে আপনি নিজেকে কতটুকু জানেন। অনেক প্রার্থী আছেন যারা নিজের দুর্বল দিক খুঁজে পান না। বানিয়ে বানিয়ে ভালো দিক বলতে পারলেও খারাপ দিক বলার সময়ে সবাই চুপ থাকেন। চাকরির ক্ষেত্রে এটি আরো বড় হুমকি।
তবে দুর্বল বা খারাপ দিক সম্পর্কে বললেও সেই খারাপ দিকগুলোকে আপনি কিভাবে ভাল দিকে পরিণত করতে চান বা করছেন সেটি বলতে পারলে আপনার জন্য বোনাস। উত্তরটি দিতে পারেন এভাবে- আমার প্রধান দুর্বলতা হল আমি খুব আবেগপ্রবণ মানুষ। তবে আবেগ প্রবণ হওয়ার কারণে আমার অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছে।
বর্তমানে আমি এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছি এবং আবেগপ্রবণ যে কোন ক্ষেত্রে আমি যুক্তিখন্ডন করার চেষ্টা করি যে এই কাজটি করা আমার আদৌ ঠিক হবে কি হবে না। আশা করছি খুব শীঘ্রই আমি এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারব। খেয়াল করে দেখুন এই সমস্যাটি অতটা গুরুত্ব সমস্যা নয় যার জন্য আপনার চাকরি না হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
আবার আপনি আপনার দুর্বলতাকে কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছেন এটি প্রশ্নকর্তাদের জন্য একটি ইতিবাচক দিক। তাই এমন দুর্বলতার কথা কখনোই বলবেন না যেটি আপনার পক্ষে শুধরানো সম্ভব নয়।
পাঁচ বছর পর নিজেকে কোন পজিশনে দেখতে চান?
এই প্রশ্নের উত্তরে পাঁচ বছর পরে আপনি কোম্পানির চেয়ারম্যান বা সিইও হতে চান এই ধরনের অসংলগ্ন কথাবার্তা বলবেন না। কারণ পাঁচ বছরে আপনার পক্ষে বড় কোন পদে যাওয়া খুব একটা সহজ কথা নয় আর সিইও বা চেয়ারম্যান হওয়া তো অসম্ভব। বরং বলতে পারেন- নিজের কর্মদক্ষতা এবং প্রচেষ্টায় পাঁচ বছর পরে আমি কোন প্রজেক্ট ম্যানেজার অথবা টিম লিডার হিসেবে নিজেকে দেখতে চাই।
আপনি কেমন বেতন আশা করেন?
এর উত্তরে একটি মানানসই অ্যামাউন্ট বলতে পারেন তবে খেয়াল রাখবেন সেটি যেন পদ অনুযায়ী অনেক বেশিও না হয় আবার একদম কমও না হয়ে যায়। আর এর জন্য অবশ্যই আপনাকে ইন্টারনেটের সাহায্য নিতে হবে। অন্যান্য দেশি বা বিদেশি প্রতিষ্ঠান এই পদের জন্য কি রকম বেতন দিচ্ছে সেটা জানাটা জরুরী।
আগের চাকরি ছাড়ার কারণ?
উত্তর দিতে গিয়ে কখনোই আগের প্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং সহকর্মীদের বিরুদ্ধে কোন কথা বলবেন না। আগের প্রতিষ্ঠানে যদি আপনার বেতন কম বা অন্য কোন ছোটখাটো কারণে চাকরি ছেড়ে থাকেন তবে উত্তর দিতে পারেন এভাবে- আমি সব সময় আমার কাজের দক্ষতা এবং যোগ্যতা বৃদ্ধির জন্য সচেষ্ট থাকি। আমি মনে করেছি পূর্ববর্তী প্রতিষ্ঠানের চাইতে এই প্রতিষ্ঠানে আমার দক্ষতা বৃদ্ধির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
তাই আমি আগের চাকরি ছেড়ে এই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার জন্য আবেদন করেছি। আর যদি কোন গুরুতর অপরাধের কারণে আপনি চাকরিচ্যুত হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই সত্য কথাটি বলুন চাকরি হোক বা না হোক তাদের চোখে অন্তত আপনি সত্যবাদী হিসেবে পরিচিত হবেন। তাছাড়া বর্তমান প্রযুক্তির যুগে আপনার সম্পর্কে পূর্ববর্তী প্রতিষ্ঠান থেকে জানা কোন ব্যাপার নয়।
আমাদের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কি জানেন?
প্রশ্নকর্তা নিশ্চিত হতে চায় যে আপনি এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে কতটা আগ্রহী। কোন বিষয়ের প্রতি আগ্রহ থাকলেই মানুষ সেই বিষয় সম্পর্কে জানার প্রতি উৎসাহী হয়। তাই ইন্টারভিউ তে যাওয়ার আগে অবশ্যই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করুন এবং খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন বলার মত কোন পজেটিভ দিক পান কিনা। বিস্তারিত জানার জন্য সেই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট এবং গুগল সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করতে পারেন।
লেখাপড়া শেষ করে এতদিন কোন চাকরি করেনি কেন?
এই প্রশ্নটি তাদের জন্য যাদের কাজের কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই অর্থাৎ প্রথম চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিতে যারা যান। প্রশ্নটি শুনে ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই। উদাহরণস্বরূপ উত্তর দিতে পারেন এভাবে- বর্তমানে চাকরির বাজার অত্যন্ত প্রতিযোগিতা পূর্ণ। আর আমি মনে করি দক্ষ ব্যক্তিরা কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবে তাই লেখাপড়া শেষ করেই আমি বিভিন্ন কোর্স করেছি এবং সেখান থেকে বেশ কিছু দক্ষতা বা স্ক্রিল অর্জন করেছি যেমন ……(কোর্স এবং দক্ষতার নামগুলো বলবেন।)
এতগুলো প্রার্থীর মধ্য থেকে আমরা কেন আপনাকে নিব?
এই প্রশ্নটির আরও বেশ কয়েকটি সংস্করণ রয়েছে যেমন আপনি এ কোম্পানিতে কতটা অবদান রাখতে পারবেন? অথবা আপনি নিজেকে কেন এই প্রতিষ্ঠানের জন্য যোগ্য মনে করছেন? যাইহোক, এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে আপনাকে সবচেয়ে সাবধানে, ভেবেচিন্তে এবং নিখুঁতভাবে। কারন এই উত্তরের উপরেই আপনার চাকরি পাওয়ার নিশ্চয়তা অনেকটাই নির্ভর করে।
কারণ এই উত্তরের জন্যই অনেক প্রার্থীর ভালো যোগ্যতা এবং দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও চাকরি হয় না। ধরুন যদি আপনি বলে বসেন এভাবে যে আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং দক্ষতার কারণে নিজেকে যোগ্য মনে করছি এ প্রতিষ্ঠানের জন্য। বাকিটা আপনাদের দয়া এবং ইচ্ছের উপর নির্ভর করছে। অর্থটা এমন দাঁড়ালো যে নিয়োগকর্তাদের ইচ্ছা হলে আপনাকে দিবে না হলে নাই আপনার এতে কিছু যায় আসে না।
আসলেই কি তাই? চাকরিটা দরকার আপনার, আপনি ছাড়াও বাইরে আরো অনেক প্রার্থী অপেক্ষা করছে। প্রতিষ্ঠানের আপনাকে না হলে কোন অসুবিধা হবে না। অথবা ওভার কনফিডেন্স দেখাতে গিয়ে যদি বলে বসেন যে আমি সততা এবং দক্ষতার সাথে কাজ করব যে প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশের সেরা কোম্পানিতে প্রতিষ্ঠিত করব। আপনাদের আমি এটা গ্যারান্টি দিয়ে বলছি।
ব্যবসা চাকরিতে কখনো গ্যারান্টি হয় না, উত্থান পতন লাভ লস নিয়েই একটি প্রতিষ্ঠান। তাই এ ধরনের হাস্যকর উত্তর দেয়া থেকে সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলুন। তাই সঠিক উত্তর হিসেবে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সাথে মিল রেখে আপনি যে দক্ষতা অর্জন করেছেন সেটি বলুন এবং অর্জিত দক্ষতাকে আপনি প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্য করে কাজে লাগিয়ে আপনি কিভাবে নিজে সামনে এগিয়ে যাবেন এবং প্রতিষ্ঠানের উন্নতি করতে পারবেন সেই বিষয়গুলো তুলে ধরুন।
আপনার কিছু জানার আছে?
সাক্ষাৎকারের একদম শেষ পর্যায়ে এ ধরনের প্রশ্ন করা হয় প্রার্থীদেরকে। কিছু জানা বলতে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানার বিষয়ে বোঝায়। উত্তরে যদি আপনি সরাসরি বলে বসেন “না, কোন প্রশ্ন নাই” তাহলে নিয়োগ কর্তারা আপনার সম্পর্কে ধারণা পাবে যে আপনি এ প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে তেমন আগ্রহী নন এবং একটা দায়সারা সাক্ষাৎকার দিতে এসেছেন।
প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে একটি যুক্তিসঙ্গত প্রশ্ন আপনার সম্পর্কে নিয়োগ কর্তার ইতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করতে বাধ্য। আপনি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় প্রশ্ন করতে পারেন যেমন প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক গ্রোথ কিরকম, এই সাক্ষাৎকারের রেজাল্ট কবে হতে পারে? চাকরিতে জয়েন করলে পরবর্তীতে আর কোনো বিশেষ দক্ষতা অর্জন করতে হতে পারে কিনা, কোম্পানির অন্য কোন ডিপার্টমেন্টে কাজ করার সুযোগ আছে কিনা ইত্যাদি।
মন্তব্য
সাক্ষাৎকার বিষয়টি অত্যন্ত জটিল এবং বুদ্ধিদীপ্ত। সাক্ষাৎকারের প্রত্যেকটি প্রশ্নই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অর্থাৎ কোন প্রশ্নের উত্তরের মাধ্যমে আপনাকে কিভাবে যাচাই করবেন সেটি একমাত্র প্রশ্নকর্তাই জানেন, প্রার্থীর পক্ষে এটি বোঝা সম্ভব নয়। কোন কোন নিয়োগকর্তার কাছে প্রার্থী কতটা জানে বা যোগ্যতা আছে সেটি মুখ্য বিষয় নয়, বরং নিজেকে কত সুন্দরভাবে যোগ্য ভাবে উপস্থাপন করছেন সেটিই মুখ্য বিষয়।
উপরে উল্লেখিত প্রশ্নগুলো ছাড়াও আরো কিছু প্রশ্ন রয়েছে যেগুলো বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে সাধারণত প্রার্থীদেরকে করা হয়ে থাকে। তবে সেগুলোর মধ্য থেকে যে প্রশ্নগুলো সবচেয়ে বেশি এবং সচরাচর করা হয় সেগুলো উল্লেখ করা হলো। সাক্ষাৎকারে যাওয়ার পূর্বে নিয়োগকর্তা কি কি ধরনের প্রশ্ন করতে পারেন তার একটি ধারণা নিয়ে যাওয়া ভালো।
আজ এ পর্যন্তই। আমাদের ওয়েবসাইটে এরকম তথ্যবহুল আরো অনেক নিবন্ধ রয়েছে সেগুলো ভিজিট করার অনুরোধ রইলো। উপরের প্যান্টগুলোর বাইরেও যদি আরো কিছু পয়েন্ট থেকে থাকে অথবা আজকের লেখায় কোন ভুল ত্রুটি হলে কমেন্ট বক্সে লিখে জানাতে পারেন। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ।
মুবিন পিডিয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url