অনলাইনে নিরাপদ থাকার ৫ উপায় | সচেতনতা নিরাপত্তার প্রথম শর্ত। পর্ব ০১

বিভিন্ন কারণে দিনের বেশ কিছুটা সময় আমাদের অনলাইনে থাকতে হয়। তবে সচেতনতার অভাবে আমরা বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে পারি এ বিষয়টি কখনো ভেবে দেখেছেন? যদি ভেবে না থাকেন তবে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আজকে জানতে পারবেন অনলাইনে নিরাপদ থাকার ৫ উপায় সম্পর্কে। 
অনলাইনে নিরাপদ থাকার ৫ উপায় সচেতনতা নিরাপত্তার প্রথম শর্ত

আজকে ‘তথ্যপ্রযুক্তির’ এ পর্বে আমরা জানব পুরস্কার প্রাপ্ত ভবিষ্যবাদী এবং প্রভাবক স্কট স্টেনবার্গ এর গবেষণা থেকে অনলাইনে নিরাপদ থাকার ৫ উপায় সম্পর্কে যার অনেকগুলোই আমাদের জানা আবার কিছুটা অজানা। যাইহোক আশা করি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।

অনলাইনে নিরাপদ থাকার ৫ উপায়

বর্তমানে আমরা ডিজিটাল যুগে বসবাস করছি। প্রত্যেকদিন প্রতিটি কাজেই আমাদের ইন্টারনেটের প্রয়োজন। দেশের সরকারি থেকে বেসরকারি যে কোন পরিষেবা আমরা অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে পেয়ে থাকি। ইন্টারনেট বা অনলাইন সেবা আমাদের জীবনকে যেমন সহজ করেছে ঠিক তেমনি ফেলেছে বেশ কিছু হুমকির মুখেও। 

এসব হুমকি বা ঝুঁকি দেখে বাঁচার জন্য প্রতিনিয়ত আমাদের সচেতন থাকতে হয় অনলাইনে নিরাপদ থাকার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে। আর তাই অনলাইনে নিরাপদ থাকার ৫ উপায় সম্পর্কে আজকে আলোচনা করার চেষ্টা করব স্কট স্টেনবার্গ এর আলোকে। আমাদের সকলের মনে রাখা উচিত সচেতনতা নিরাপত্তার প্রথম শর্ত। তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নিই উপায়গুলো।

শক্তিশালী পাসওয়ার্ড দিন

অনলাইন সিকিউরিটির ক্ষেত্রে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে পাসওয়ার্ড সেট আপ। ফেসবুক থেকে শুরু করে বিভিন্ন সোশ্যাল সাইট এবং অনলাইনের বিভিন্ন সাইট বা একাউন্টে আমাদের পাসওয়ার্ড দিতে হয়। এই পাসওয়ার্ড যত শক্তিশালী হবে আমাদের তথ্য ততটাই সুরক্ষিত থাকবে। পাসওয়ার্ড ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদেরকে বিশেষভাবে সতর্ক হওয়া উচিত অনেকে আছেন একদমই সহজ কিছু সংখ্যা দিয়ে পাসওয়ার্ড দেন যেটা একদম উচিত নয়। 

কিছু কিছু সাইটে উল্লেখ করে দেয় আবার কিছু সাইটে উল্লেখ থাকে না তবে উল্লেখ না থাকলেও পাসওয়ার্ড কমপক্ষে ৮ থেকে ১২ ক্যারেক্টারের মধ্যে হওয়া উচিত। সহজে অনুমান করতে পারবে কেউ এরকম ঘটনা বা বিষয় থেকে পাসওয়ার্ড নির্বাচন করা বিপদজনক। আপনার বিবাহ বার্ষিকী, জন্মদিন, আপনার সন্তানের জন্ম তারিখ, আপনার বাবা-মায়ের বা নিজেদের মোবাইল নাম্বার এগুলো একদমই অসুরক্ষিত পাসওয়ার্ড হবে। 
এবার আসুন জেনে নেয়া যাক আসুন জেনে নেয়া যাক শক্তিশালী পাসওয়ার্ড কিভাবে দিবেন। একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড দিতে আপনাকে বিভিন্ন ক্যারেক্টারে কম্বিনেশন করতে হবে। এক্ষেত্রে ইংরেজি বড় হাতের অক্ষর, ছোট হাতের অক্ষর, বিভিন্ন প্রতীক বা সিম্বল, সংখ্যা দিয়ে একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হবে। 

উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে আপনি প্রথমে একটি শব্দ বা শব্দগুচ্ছ যেমন “thank you” মনে করলেন এখন এটিকে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড এ রূপান্তর করতে পারেন এভাবে- “TH@nK_y0u” । আরেকটি বিষয় বিশেষভাবে খেয়াল রাখা উচিত একটি পাসওয়ার্ড সব সাইটের একাউন্টে ইউজ করা উচিত হবে না। 

আপনার মূল্যবান শক্তিশালী পাসওয়ার্ড কোন ডাইরিতে, কোন নোটবুকে বা সাধারণ কোন জায়গায় যেখান থেকে সহজে কারো চোখে পড়বে এমন জায়গায় লিখে রাখা উচিত হবে না। সে ক্ষেত্রে আপনার তথ্যগুলো হুমকির মুখে পড়ার সম্ভাবনা থাকবে। পাসওয়ার্ডটি আপনার ব্রেনে খুব ভালোভাবে স্টোর করে রাখাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
অনলাইনে নিরাপদ থাকার ৫ উপায় সচেতনতা নিরাপত্তার প্রথম শর্ত
একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড আপনাকে হ্যাকার মুক্ত রাখতে পারে।           ছবিঃ ইন্টারনেট

পাসওয়ার্ড সেভ করার অনুমতি দেবেন না

অনেক অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যেগুলোতে প্রবেশ করার সময় লগ-ইন পাসওয়ার্ডটি মনে রাখতে বা সেভ করে রাখতে চায় যাতে করে পরবর্তীতে প্রবেশ করার সময় আপনাকে আর পাসওয়ার্ড দিতে না হয়। আপনি যদি এপ্লিকেশন টিকে আপনার পাসওয়ার্ড মনে রাখার বা সেভ করে রাখার অনুমতি দিন তাহলে সাময়িক সুবিধা পাবেন বটে তবে পরবর্তীতে বিভিন্ন ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। 

দুর্ঘটনা বসত যদি কোন হ্যাকার আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে অনলাইনে হ্যাক করার চেষ্টা করে অথবা আপনার মোবাইলটি যদি কখনো হারিয়ে যায় সেই ক্ষেত্রে আপনার অ্যাকাউন্টের বিভিন্ন তথ্য সাইবার অপরাধীদের হাতে চলে যাবে। তাই অনলাইনে ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কখনোই কোন ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশনে পাসওয়ার্ড সেভ করে রাখার অনুমতি দিবেন না।

সন্দেহজনক ইমেইল এবং লিংক এর ব্যাপারে সতর্ক থাকুন

অনলাইন নিরাপত্তার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ হুমকি হলো অযাচিত email অথবা যেকোনো ধরনের লিংক। Facebook, messenger, whatsapp, email সহ যেকোনো সামাজিক সাইটের পাশাপাশি আপনার অনলাইনে যেকোনো অ্যাকাউন্টে এই ধরনের অযাচিত ভাইরাস সম্বলিত লিংক আসতে পারে। অনেক সময় বিভিন্ন পণ্যের ডিসকাউন্ট এর বিজ্ঞাপন সম্মিলিত লিংক থাকে, বিভিন্ন মুভি দেখার লিংক থাকে। 

এগুলো মূলত ফিশিং লিংক যা হ্যাকাররা পাঠিয়ে থাকে আপনার তথ্য চুরি করে আপনাকে ব্ল্যাকমেইল করার জন্য। এসব ইমেইল বা লিংকে ক্লিক করেছেন তো মরেছেন। এই ধরনের লিংক চেনার একটি উপায় হল এই লিংকে ব্যাকরণগত যে কোন ত্রুটি থাকতে পারে, ভুল বানান থাকতে পারে এবং আরো বেশ কিছু অসঙ্গতি আপনার চোখে পড়তে পারে।

ইনকগনিটো মোড ব্যবহার করুন

বাসা এবং অফিসের বাইরেও আমাদের এমন কিছু পরিস্থিতি হয়ে যায় যখন অনলাইনে বেশ কিছু কাজ করার প্রয়োজন পড়ে। আবার দেখা যায় সে কাজগুলো হয়তো আপনার স্মার্ট ফোন দিয়েও সুষ্ঠুভাবে করা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে আমাদের কোন বন্ধুর বাসায় অথবা সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে কাজটি করতে হয়। 

আর এখানে আপনাকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে আপনার অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য। আপনি যদি গুগল ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহার করে থাকেন তবে সেখানে একটি সুন্দর অপশন রয়েছে যার নাম “New Incognito Tab”। 

এই অপশনটির বিশেষত্ব হচ্ছে আপনি অন্য কারো কম্পিউটারে যখন কাজ করবেন তখন এই ইনকগনিটো ট্যাব ওপেন করে কাজ করলে আপনার কোন তথ্যই সেই কম্পিউটারে সংরক্ষিত থাকবে না অর্থাৎ আপনি কাজ শেষে যখন ট্যাবটি ক্লোজ করবেন সাথে সাথে আপনার সকল তথ্য (যেমন যেকোনো সাইটে প্রবেশ করার জন্য লগ-ইন পাসওয়ার্ড) ভ্যানিশ হয়ে যাবে। 

এই সুবিধাটি আপনি অ্যান্ড্রয়েড ফোনেও পাবেন। এই সুবিধাটি ব্যবহার করার ফলে একদিকে যেমন আপনার তথ্য সংরক্ষিত থাকছে অন্য কারো হাতে চলে যাচ্ছে না অপরদিকে আপনি যে সাইবার ক্যাফেতে কাজ করলেন সেখানকার কোন ব্যক্তি আপনার কোন তথ্য পাবে না তাহলে আপনি বিভিন্ন সাইবার ঝুঁকি থেকে সুরক্ষা পাবেন।
অনলাইনে নিরাপদ থাকার ৫ উপায় সচেতনতা নিরাপত্তার প্রথম শর্ত
অনলাইন সুরক্ষার অন্যতম হাতিয়ার হতে পারে ইনকোগনিটো মোড।       ছবিঃ ইন্টারনেট

ক্লাউড স্টোরেজে সেবা নিতে সাবধান থাকুন

ক্লাউড স্টোরেজের নাম আমরা কম বেশি সবাই জানি। অনেকে এটি ব্যবহারও করি। তবে ক্লাউড স্টোরেজ এর কাজটা কি আসলে? আপনার প্রয়োজনীয় ফাইল এবং ফোল্ডারগুলি দূরবর্তী অবস্থানে থাকা কম্পিউটার নেটওয়ার্কগুলির মাধ্যমে সংরক্ষণ করে রাখাই হলো ক্লাউড স্টোরেজের কাজ। ব্যবহারকারীরা সাধারণত তাদের ডিভাইসের স্টোরেজ এবং গতি বাড়ানোর জন্য ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করে থাকে। 

বেশ কিছু জনপ্রিয় ক্লাউড স্টোরেজদের মধ্যে রয়েছে ওয়ান ড্রাইভ, google drive, box, ড্রপবক্স ইত্যাদি। তবে একটি কথা আমাদের স্মরণ রাখা উচিত এসব ক্লাউড স্টোরেজগুলি কোনটিই শতভাগ সুরক্ষিত নয়। যেকোনো সেনসিটিভ তথ্য ক্লাউড স্টোরেজে স্টোর করে রাখা উচিত হবে না কারণ এসব পরিষেবা গুলোতে যে কোন তথ্যই তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে হ্যাক, ডাউনলোড বা অন্য যেকোনো ধরনের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হতে পারে। 

সুতরাং যে কোন সাধারণ ফাইল যা আপনার ডিভাইসে স্টোরেজ কমিয়ে দিচ্ছিল সেগুলো রাখতে পারেন তবে সেনসিটিভ তথ্য যেমন আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স, জাতীয় পরিচয় পত্রের স্ক্যান করা ছবি, আপনার বিভিন্ন একাউন্ট এর প্রয়োজনীয় পাসওয়ার্ড, ব্যাংক একাউন্টের প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী ইত্যাদি বিভিন্ন ঝুঁকি এড়াতে ক্লাউড স্টোরেজে রাখবেন না। 

সবচেয়ে নিরাপদ হলো আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ফাইলস এবং ফোল্ডারগুলো নিয়মিত ব্যাকআপ করতে পারেন অথবা একটি পোর্টেবল হার্ড ড্রাইভে সংরক্ষণ করতে পারেন পাসওয়ার্ড সহকারে। ফলে আপনার তথ্যগুলো হ্যাকিং এবং চুরি হওয়া থেকে রক্ষা পাবে।
অনলাইনে নিরাপদ থাকার ৫ উপায় সচেতনতা নিরাপত্তার প্রথম শর্ত
ক্লাউড স্টোরেজে তথ্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে।           ছবিঃ ইন্টারনেট

ফাইল শেয়ারের সময় সাবধান থাকুন

সোশ্যাল নেটওয়ার্ক এবং অনলাইন ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম গুলো আমাদের সব সময় উৎসাহিত করে আমাদের তৈরি বিভিন্ন ভিডিও আপলোড করতে বা শেয়ার করতে। কিন্তু আমাদের খেয়াল রাখা দরকার আমরা সোশ্যাল সাইটের যা কিছু ভিডিও আপলোড করি না কেন তা কিন্তু তৃতীয় পক্ষের অর্থাৎ সাইবার অপরাধীর নজরে থাকে। 

কোন তৃতীয় পক্ষ যদি আপনার ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে আপনাকে লক্ষ্য করে তাহলে আপনার যেকোনো ধরনের তথ্য যেমন আপনার ঠিকানা, জন্মদিন, ফোন নাম্বার, আপনি পরিবার নিয়ে কোথায় যাচ্ছেন, আপনার বাচ্চারা কোন স্কুলে পড়ে, আপনার বাবা-মা বন্ধু-বান্ধব সম্পর্কে, আপনি কোন জায়গায় বেড়াতে গেছেন, সেখানকার হোটেলের ঠিকানা ইত্যাদি বিভিন্ন কিছু তারা পর্যবেক্ষণে রাখে। 


আরও পড়তে পারেন

বিশেষ করে ফেসবুকে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য এবং পারিবারিক তথ্য সহ “চেক ইন” দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। অনলাইনে যে কোন সামাজিক মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করার সময়ে অবশ্যই বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে কারণ এ ধরনের মিটিংয়ে বিভিন্ন ধরনের মানুষ অংশগ্রহণ করে থাকে। সবাইকে আপনি হয়তো নাও চিনতে পারেন। 

তবে অনলাইনে অফিসিয়াল মিটিং এর ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতার প্রয়োজন নেই কারণ মিটিং এ অংশগ্রহণকারী সবাই আপনার সহকর্মী, আপনি সবাইকে চেনেন। বেশ কিছু জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের নিজস্ব কিছু ডেটা গোপনীয়তা এবং সুরক্ষার সেটিংস রয়েছে যেগুলো আপনি অ্যাক্টিভেট করতে পারেন। 

“জিওট্রাকিং” নামে একটি পরিষেবা রয়েছে যেটির কিছু সুবিধা থাকার পরেও কিছু ক্ষেত্রে আপনার সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই আপনার গতিবিধির কোন রকম স্বচ্ছ ধারণা তৃতীয় পক্ষকে দিতে না চাইলে জিওট্রাকিং পরিষেবাটি বন্ধ রাখুন।

অপ্রয়োজনীয় তথ্য দেবেন না

এমন বেশ কিছু পরিষেবা এপ্লিকেশন বা ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো পরিষেবা নিতে হলে আপনাকে ব্যক্তিগত অভিমত তথ্য যেমন নাম ঠিকানা জন্মদিন বয়স জন্ম সাল ইত্যাদি জানতে চাইবে। এই তথ্যগুলো দেওয়ার আগে অবশ্যই আপনি খেয়াল করে দেখবেন ওয়েবসাইটটি যেরকম এবং পরিষেবাটি যেমন আপনি নিতে যাচ্ছেন তার সাথে কি তাদের এই তথ্য চাওয়ার বিষয়টির সামঞ্জস্য রয়েছে কিনা! 

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় তথ্য চাওয়ার বিষয়টি অপ্রয়োজনীয়। কিছু কিছু অ্যাপ্লিকেশন অযথা এসব তথ্য চায় আবার কিছু অ্যাপ্লিকেশন আছে যারা তৃতীয় পক্ষের সাথে এসব তথ্য বিনিময় করে বিশেষ কোন উদ্দেশ্যে। তাই যদি জরুরী না হয় তবে এসব ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান না করে বরং ফেক বা জাল তথ্য দিয়ে আপনার নিজের ডিজিটাল গোপনীয়তা বজায় রাখতে পারেন। 

উদাহরণস্বরূপ ধরুন আপনার বয়স এর তথ্য কোনোরকম ভেরিফাই করা ছাড়াই যদি ৩৫ এই জায়গায় ৩০ দেয়া যায় তবে সেটি দেয়াই উত্তম। একইভাবে ভেরিফিকেশন এর কোন ঝামেলা না থাকলে সঠিক মোবাইল নাম্বার না দিয়ে অন্য কোন ভুল নাম্বার দিতে পারেন যে নাম্বারটি আপনি ইউজ করেন না বা কোন কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। 

একইভাবে যখন কোন নতুন সাইটে রেজিস্টার করবেন তখন আপনার সেনসিটিভ তথ্যগুলো না দিয়ে বরং সেকেন্ডারি তথ্য দিতে পারেন যেমন ইমেইল একাউন্টের ক্ষেত্রে আপনার মেইন ইমেইল অ্যাকাউন্ট না দিয়ে একটি সেকেন্ডারি ইমেইল একাউন্ট দিতে পারেন। এটি আপনাকে স্প্যাম কল এবং ইমেইল ফিলটার করতে সাহায্য করবে।

মূল কথা

যেকোনো বিষয়ে হোক সেটা অনলাইন অথবা অফলাইন, সচেতনতাই নিরাপত্তার প্রথম শর্ত এটি আমাদের মানতেই হবে। আমরা যেকোনো সাইট এর জন্য শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করব এবং পাসওয়ার্ড সেট করার অনুমতি দিব না। আবার সচেতন না হলে কিন্তু যেকোনো ধরনের অস্বাভাবিক বা ফিশিং লিংকে আমরা ক্লিক করে ফেলব। তাই নিজের, পরিবারের এবং দেশের সুরক্ষার জন্য আসুন আমরা অনলাইনে নিরাপত্তার ব্যাপারে সচেতন হই।
যাইহোক অনলাইনে নিরাপদ থাকার ৫ উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। তাছাড়া অনলাইনে নিরাপদ থাকার আরো বেশ কিছু কার্যকরী উপায় আলোচনা করা হয়েছে দ্বিতীয় পর্বে। সেগুলো পড়ার এবং জানার বিশেষ অনুরোধ থাকলো। আশা করি এই লেখাটি পড়ে কিছুটা হলেও উপকৃত হয়েছেন। ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুবিন পিডিয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url