ড. মুহাম্মদ ইউনুস | বাংলাদেশের - বাঙালি জাতির গর্ব | পর্ব ০১

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্বেই একটি আলোচিত নাম অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস। মুহাম্মদ ইউনুস বলতেই আমাদের সবার সামনে চলে আসে নোবেল প্রাইজ এর বিষয়টি। তবে নোবেল প্রাইজ ছাড়াও তার সম্পর্কে জানার অসংখ্য তথ্য রয়েছে যা আমরা অনেকেই জানিনা। নোবেল পুরস্কার ছাড়াও তার মত এত অসংখ্য পুরস্কার আর কয়জন বিজ্ঞ অর্থনীতিবিদ এবং বাঙালি পেয়েছেন সেটা সত্যি জানার বিষয়।
ড. মুহাম্মদ ইউনুস বাঙালি জাতির-বাংলাদেশের গর্ব

আজকের এই লেখায় বাঙালি জাতি এবং বাংলাদেশের গর্ব মুহাম্মদ ইউনুস কে নিয়ে আমরা জানার চেষ্টা করব।

জন্ম এবং পরিবার

ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর বাবার নাম ছিল হাজী দুলা মিয়া সওদাগর। তিনি পেশায় ছিলেন একজন জহুরী। ইউনুস এর মায়ের নাম ছিল সুফিয়া খাতুন এবং তিনি ছিলেন একজন গৃহিণী। ১৯৪০ সালের ২৮ জুন মুহাম্মদ ইউনুস একটি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মস্থান হল চট্টগ্রামের হাটহাজারীর কাপ্তাই সড়কের বাথুয়া গ্রাম। বৈবাহিক জীবনে মুহাম্মদ ইউনুস দুটি বিয়ে করেন। 

প্রথম স্ত্রী ছিলেন রাশিয়ান বংশোদ্ভূত ভেরা ফরস্তেনকো। তিনি আমেরিকার নিউ জার্সিতে বসবাসকারী রাশিয়ান অভিবাসীদের একজন কন্যা ছিলেন। ১৯৬৭ সালে ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনার সময়ে ভেরা ফরস্তেনকোর সাথে পরিচয় হয় এবং ১৯৭০ সালে তারা বিয়ে করেন। তাদের প্রথম কন্যা মনিকা ইউনুস জন্মের কিছুদিন পরে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। 

বিবাহ বিচ্ছেদের পরে মেয়ে মনিকা ইউনুসকে নিয়ে আমেরিকায় থাকতে শুরু করেন ভেরা ফরস্তেনকো। বর্তমানে মনিকা ইউনুস আমেরিকার একজন জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী। এরপর ১৯৮৩ সালে মুহাম্মদ ইউনুস আফরোজী ইউনুস কে বিয়ে করেন। আফরোজী ইউনুস জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন এবং কিছুদিনের জন্য চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেন। 

মুহাম্মদ ইউনুস এবং আফরোজী ইউনূসের ঘরেও একটি কন্যা সন্তান জন্ম লাভ করে। মুহাম্মদ ইউনুস এর ভাই মুহাম্মদ ইব্রাহিম ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক। তাছাড়াও তিনি একজন পদার্থবিজ্ঞানী, বিজ্ঞান লেখক এবং বিজ্ঞান সংগঠক ছিলেন। তিনি সেন্টার ফর মাস এডুকেশন ইন সাইন্স এর প্রতিষ্ঠাতা। মুহাম্মদ ইউনুস এর আরেক ভাই মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর ছিলেন একজন জনপ্রিয় টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব।

ছাত্রজীবন

তার শিশুকাল গ্রামে কাটলেও ১৯৪০ সালে তার পরিবার চট্টগ্রাম শহরে চলে আসায় তিনি সেখানকার লামা বাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এরপর চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন (বর্তমান এসএসসি) পরীক্ষায় পাশ করেন এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে মেধা তালিকায় কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৬তম স্থান অধিকার করেন। 

এরপর ভর্তি হন চট্টগ্রাম কলেজে। কলেজে অধ্যায়নরত অবস্থায় তিনি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে নিজেকে নিযুক্ত করেন। নাটকে অভিনয় করে তিনি পুরস্কার অর্জন করেন। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদনা এবং আজাদী পত্রিকায় কলাম লেখার মত কাজেও অবদান রেখেছিলেন। 

সপ্তম শ্রেণীতে অধ্যায়ন কালে তিনি বয় স্কাউটে যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে ১৫ বছর বয়সে বয় স্কাউটের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ভারত, পাকিস্তান সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেন। ১৯৫৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর বিএ সম্পন্ন করেন ১৯৬০ সালে এবং এমএ সম্পন্ন করেন ১৯৬১ সালে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় ইউনুস

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ইউনুস নাগরিক কমিটি নামে একটি কমিটি প্রতিষ্ঠা করেন। সে সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করায় সেখানে বসবাসরত অন্যান্য বাংলাদেশীদের সাথে মুক্তিযুদ্ধের জন্য সমর্থন সংগ্রহ করতে বাংলাদেশ ইনফরমেশন সেন্টার পরিচালনা করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ইনফরমেশন সেন্টার ইউনুসকে সভাপতি নির্বাচিত করলে তিনি বাংলাদেশের পক্ষে “বাংলাদেশ নিউজ লেটার” প্রকাশ করতেন।

কর্মজীবন

মাস্টার্স কমপ্লিট করার পর মুহাম্মদ ইউনুস তার কর্মজীবন শুরু করেন অর্থনীতি বুরোতে গবেষণা সহকারী হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে। এরপর গবেষণা ব্যুরো ছেড়ে দিয়ে ১৯৬১ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। তারপর ফুল ব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে ১৯৬৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান পড়াশোনার জন্য। 

ভ্যানডার বিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের Graduate Program in Economic Development (GPED) থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন ১৯৭১ সালে। দেশে ফেরার আগ পর্যন্ত ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত ইউনুস মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে অর্থনীতির সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

যুদ্ধ শেষে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে ফিরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে পুনরায় যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে বিভাগের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি অধ্যাপক পদে উন্নীত হন।

১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের সংঘটিত মারাত্মক দুর্ভিক্ষের সময় ইউনুস বাংলাদেশের দারিদ্র বিমোচনের কর্মকান্ড শুরু করেন। তিনি উপলব্ধি করেন বিশ্বের অর্থনীতি উন্নয়নের জন্য তিনি যে কাজ করে যাচ্ছেন তা তৎকালীন সময়ে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একদমই অকার্যকর। মানুষের জীবনের নিশ্চয়তা নেই, মানুষের ঘরে খাবার নেই। 

ইউনুস বুঝতে পারেন সামান্য কিছু ঋণ দেওয়া হলেই এসব হতদরিদ্র দুর্ভাগা মানুষ তাদের ভাগ্যকে ফেরাতে সক্ষম হতে পারে। তাই পরীক্ষা মূলক ভাবে তিনি ‘গ্রামীন অর্থনৈতিক প্রকল্প’ চালু করেন। এর পরপরই তিনি তেভাগা খামার প্রতিষ্ঠা করেন যা সরকার পরবর্তীতে প্যাকেজ প্রোগ্রামের আওতায় অধিগ্রহণ করে। এছাড়া তার এই প্রকল্পটিকে কার্যকরী করার জন্য তিনি আরও বেশ কিছু “গ্রাম সরকার” কর্মসূচি প্রস্তাব করেন যেটি পরবর্তীতে ১৯৭০ এর দশকে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রবর্তন করেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনুস বাঙালি জাতির-বাংলাদেশের গর্ব

রাজনৈতিক অবস্থান

নাগরিক সমাজের বেশকিছু গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে ২০০৬ সালে ইউনুস একটি বিশেষ প্রচারণায় অংশ নেন। এসব গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যে ছিলেন কামাল হোসেন, দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, মাহফুজ আনাম, মতিউর রহমান প্রমুখ। পরবর্তীতে তিনি রাজনীতিতে প্রবেশের ইচ্ছা প্রকাশ করলে ২০০৭ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ইউনুস বাংলাদেশের জনগণের প্রতি একটি খোলা চিঠি লিখেন যেটি ডেইলি স্টারে প্রকাশিত হয়েছিল। 

সেই চিঠিতে তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে তার রাজনীতিতে প্রবেশের মতামত জানানোর জন্য বলেন। তার রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্য ছিল সঠিক নেতৃত্ব দান এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। ২০০৭ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশ তত্ত্বাবধায়ক সরকার এর অধীনে ছিল। অবশেষে ২০০৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি “নাগরিক শক্তি” নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করার ঘোষণা দেন ইউনুস। 

তবে এরপরে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দিন আহমেদ এর সাথে সাক্ষাতের পর এক অজানা কারণে তিনি তার রাজনৈতিক পরিকল্পনা বাতিল করার ঘোষণা দেন।তাছাড়া এর আগে ১৯৯৬ সালে সাবেক প্রধান বিচারপতি মোঃ হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মুহাম্মদ ইউনুস। 

সে সময় তিনি পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সবশেষে মুহাম্মদ ইউনুস তার বর্ণাঢ্য জীবনের শেষ প্রান্তে এসে ২০২৪ সালে ছাত্র সমাজের অনুরোধে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন। 

গত ৫ই আগস্ট ২০২৪ তারিখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজ তাদের অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করান এবং দেশে বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হলে ছাত্রসমাজ মুহাম্মদ ইউনুস কে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য প্রস্তাব করেন। এরপর রাষ্ট্রপতির সম্মতিক্রমে ৮ ই আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনুস ২০২৪ সালের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।

বিভিন্ন মামলায় হয়রানি

গোটা বিশ্বের কাছে মুহাম্মদ ইউনুস একজন মহৎ ব্যক্তি হলেও বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে উনি হয়েছেন একজন হতভাগা। এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ইউনুস ১৭০ টিরও বেশি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন যার মধ্যে ১৭০ টি ছিল দেওয়ানি মামলা। মুহাম্মদ ইউনুস সহ তার আইনজীবীরা বরাবরই বলে এসেছেন এই মামলাগুলি রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্য প্রণোদিত। 

বিশিষ্টজনেরা ইউনূসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলার কারণ খুঁজতে গিয়ে বেশ কয়েকটি ধারণার স্পষ্টতা খুঁজে পেয়েছেন এবং এটি অবশ্যই রাজনৈতিক। ধারণা করা হয় ২০০৬ সালে ইউনুস বেশ কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তি নিয়ে “নাগরিক শক্তি” নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করার চিন্তা করেছিলেন যদিও পরবর্তীতে তিনি তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন অর্থাৎ রাজনীতি থেকে বিদায় নেন। 

তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। এরপরে ২০০৯ সালে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে তার বিরুদ্ধে অযৌক্তিকভাবে বিভিন্ন মামলা দায়ের করা হয়। নিউ ইয়র্ক টাইমসও এ ধারণার সাথে অনেকটাই একমত পোষণ করে। তাছাড়া ১৯৯৭ সালের “পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি” রক্ষার কারণে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ভেবেছিলেন তিনি হয়তো নোবেল পুরস্কার পেতে পারেন কিন্তু বিশ্বব্যাপী সমাদৃত ইউনুসকে দেয়া হলো নোবেল পুরস্কার।

এটিও তার বিরুদ্ধে দায়ের করা বিভিন্ন মামলার কারণ বলে মনে করেন বিশিষ্ট জনেরা। তার বিরুদ্ধে আনা বিভিন্ন অভিযোগ গুলির মধ্যে ছিল কর ফাকি, দুর্নীতি ও অর্থপাচার, শ্রম আইন লঙ্ঘন ইত্যাদি যা বরাবর ইউনুস এবং তার আইনজীবী প্রত্যাখ্যান করে আসছিলেন। ২০১০ সালে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে হাসিনা ইউনুসকে বিচারের কাঠগড়ায় তোলেন এবং অনেকটা জোরপূর্বক তাকে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে অপসারণ করান। 

ইউনূসের বিরুদ্ধে এরকম উদ্দেশ্য প্রণোদিত ধারাবাহিক বিচার বিশ্বনেতাদের কাছে ইউনুসকে কিছুটা হলেও হেও প্রতিপন্ন করে। সর্বশেষ ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আদালত ইউনুস এবং গ্রামীণ ব্যাংকের তিনজন কর্মচারীকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের জন্য ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল পর্যন্ত ইউনুসের বিরুদ্ধে আনিত এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিচার ব্যবস্থার “স্পষ্ট অপব্যবহার” হিসেবে উল্লেখ করে।

নোবেল পুরস্কার

নিজ দেশে অনেক মামলা মোকদ্দমায় হেনস্তার স্বীকার হলেও বাংলাদেশের বাইরে বিশ্বের সব জায়গায় তিনি যে একজন অত্যন্ত সম্মানিত ব্যাক্তি তার অজস্র প্রমাণ রয়েছে। অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করার জন্য এবং সামাজিক মূল্যবোধ উন্নয়নের চেষ্টার জন্য ইউনুস এবং গ্রামীণ ব্যাংককে যৌথভাবে ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়। 

নোবেল কমিটি একটি বিবৃতি নিম্নরূপ- “মুহাম্মদ ইউনুস নিজেকে এমন একজন নেতা হিসেবে প্রমাণ করেছেন যিনি লক্ষ লক্ষ মানুষের কল্যাণের জন্য দৃষ্টিভঙ্গিকে বাস্তবিক পদক্ষেপে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়েছেন শুধু বাংলাদেশেই নয় বরং অন্যান্য অনেক দেশেও। আর্থিক নিরাপত্তা ছাড়াই দরিদ্র মানুষদের ঋণ দেওয়া অসম্ভব ধারণা মনে হয়েছিল। 

তিন দশক আগে এই ধারণা থেকে ইউনুস প্রধানত গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ঋণ কে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামে একটি ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ারে পরিণত করেছেন।” এছাড়াও প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ইউনুসকে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার ব্যাপারে সব সময় জোরালো বক্তব্য দিয়ে এসেছেন। 

২০০২ সালে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া একটি ভাষণে প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন বলেন- “একজন ব্যক্তি হিসেবে যার অনেক আগেই নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল এবং আমি এই কথা বলতে থাকবো যতক্ষণ না তারা অবশেষে তাকে এই পুরস্কারটি প্রদান করে।” মুহাম্মদ ইউনুস একমাত্র বাংলাদেশি যিনি প্রথমবারের মতো নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।

বিভিন্ন পুরস্কার

১৯৭৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ড. ইউনূস জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সহ প্রায় ১৪০ টি পুরস্কার অর্জন করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে-
  • প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড (১৯৭৮),
  • রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার (১৯৮৪),
  • কেন্দ্রীয় ব্যাংক অ্যাওয়ার্ড (১৯৮৫),
  • স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৮৭),
  • আগা খান অ্যাওয়ার্ড (১৯৮৯),
  • কেয়ার পুরস্কার (১৯৯৩),
  • নোবেল পুরস্কার (শান্তি) (২০০৬),
  • মানবহিতৈষণা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৩),
  • মুহাম্মদ সাহেবুদ্দিন বিজ্ঞান (সামাজিক অর্থনীতি) পুরস্কার, শ্রীলংকা (১৯৯৩),
  • রিয়াল এডমিরাল এম এ খান স্মৃতি পদক,বাংলাদেশ (১৯৯৩),
  • বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার,যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৪),
  • পিফার শান্তি পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৪),
  • ড. মুহাম্মাদ ইব্রাহিম স্মৃতি স্বর্ণ পদক, বাংলাদেশ (১৯৯৪),
  • ম্যাক্স সছমিধেইনি ফাউন্ডেশন ফ্রিডম পুরস্কার, সুইজারল্যান্ড (১৯৯৫),
  • ঢাকা মেট্রোপলিটন রোটারারি ক্লাব ফাউন্ডেশন পুরস্কার, বাংলাদেশ (১৯৯৫),
  • আন্তর্জাতিক সাইমন বলিভার পুরস্কার (১৯৯৬),
  • ভ্যানডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয় বিশিষ্ট আলামনাই পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৬),
  • আন্তর্জাতিক একটিভিটিস্ট পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৭),
  • প্লানেটরি কনশিয়াশনেস বিজনেস ইনোভেশন পুরস্কার, জার্মানি (১৯৯৭),
  • হেল্প ফর সেলফ হেল্প পুরস্কার,নরওয়ে (১৯৯৭),
  • শান্তি মানব পুরস্কার (ম্যান ফর পিস এওয়ার্ড), ইতালি (১৯৯৭),
  • বিশ্ব ফোরাম পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৭),
  • ওয়ান ওয়ার্ল্ড ব্রডকাস্টিং ট্রাস্ট মিডিয়া পুরস্কার, যুক্তরাজ্য (১৯৯৮) ,
  • দ্যা প্রিন্স অফ আউস্তুরিয়া এ্যাওয়ার্ড ফর কনকর্ড, স্পেন (১৯৯৮),
  • সিডনি শান্তি পুরস্কার, অস্ট্রেলিয়া (১৯৯৮),
  • অযাকি (গাকুডো) পুরস্কার, জাপান (১৯৯৮),
  • ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কার, ইন্ডিয়া (১৯৯৮),
  • জাস্টটি অফ দ্যা ইয়ার পুরস্কার,ফ্রান্স (১৯৯৮) ,
  • রোটারারি এ্যাওয়ার্ড ফর ওয়ার্ল্ড আন্ডারস্ট্যান্ডিং, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৯),
  • গোল্ডেন পেগাসাস এ্যাওয়ার্ড, ইটালি (১৯৯৯),
  • রোমা এ্যাওয়ার্ড ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়ান, ইটালি (১৯৯৯),
  • রাথিন্দ্রা পুরস্কার, ইন্ডিয়া (১৯৯৮),
  • অমেগা এ্যাওয়ার্ড অফ এক্সিলেন্সি ফরব লাইফ টাইম এচিভমেন্ট, সুইজারল্যান্ড (২০০০),
  • এ্যাওয়ার্ড অফ দ্যা মেডেল অফ দ্যা প্রেসিডেন্সি,ইটালি (২০০০),
  • কিং হুসেইন হিউম্যানিটারিয়ান লিডারশীপ এ্যাওয়ার্ড, জর্ডান (২০০০),
  • আই ডি ই বি গোল্ড মেডেল এ্যাওয়ার্ড, বাংলাদেশ (২০০০),
  • আরতুসি পুরস্কার, ইটালি (২০০১),
  • গ্র্যান্ড প্রাইজ অফ দ্যা ফুকুওকা এশিয়ান কালচার পুরস্কার, জাপান (২০০১),
  • হো চি মীণ পুরস্কার, ভিয়েতনাম (২০০১),
  • আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পুরস্কার 'কাজা ডি গ্রানাডা', স্পেন (২০০১),
  • নাভারা ইন্টারন্যাশনাল এইড এ্যাওয়ার্ড, স্পেন (২০০১),
  • মহাত্মা গান্ধী পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০২),
  • বিশ্ব টেকনলজি নেটওয়ার্ক পুরস্কার, যুক্তরাজ্য (২০০৩),
  • ভলভো পরিবেশ পুরস্কার, সুইডেন (২০০৩),
  • জাতীয় মেধা পুরস্কার, কলম্বিয়া (২০০৩),
  • দ্যা মেডেল অফ দ্যা পেইন্টার অসওয়াল্ড গুয়ায়াসামিন পুরস্কার, ফ্রান্স (২০০৩),
  • তেলিছিনকো পুরস্কার, স্পেন (২০০৪),
  • সিটি অফ অরভিতো পুরস্কার, ইটালি (২০০৪),
  • দ্যা ইকোনমিস্ট ইনোভেশন পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৪),
  • ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল অ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৪),
  • লিডারশিপ ইন সোশ্যাল অন্টাপ্রিনেয়ার অ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৪)।
  • প্রিমিও গ্যালিলীয় ২০০০ স্পেশাল প্রাইজ ফর পিস ২০০৪, ইটালি (২০০৪)
  • নিক্কেই এশিয়া পুরস্কার, জাপান (২০০৪)
  • গোল্ডেন ক্রস অফ দ্যা সিভিল অর্ডার অফ দ্যা সোশ্যাল সলিডারিটি,স্পেন (২০০৫)
  • ফ্রিডম এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৫)
  • বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি গোল্ড মেডেল, বাংলাদেশ (২০০৫)
  • প্রাইজ ২ পন্টে, ইটালি (২০০৫)
  • ফাউন্ডেশন অফ জাস্টিস, স্পেন (২০০৫)
  • হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি নেউসতাদ এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৬)
  • গ্লোব সিটিজেন অফ দ্যা ইয়ার এ্যাওয়ার্ড,যুক্তরাষ্ট্র (২০০৬)
  • ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট স্বাধীনতা পুরস্কার, নেদারল্যান্ড (২০০৬)
  • ইতু বিশ্ব তথ্য সংগঠন পুরস্কার, সুইজারল্যান্ড (২০০৬)
  • সিউল শান্তি পুরস্কার, কোরিয়া (২০০৬)
  • কনভিভেঞ্চিয়া (উত্তম সহকারিতা) সেউতা পুরস্কার, স্পেন (২০০৬)
  • দুর্যোগ উপশম পুরস্কার, ইন্ডিয়া (২০০৬)
  • সেরা বাঙালী, ইন্ডিয়া (২০০৬)
  • গ্লোবাল ট্রেইলব্লেজার পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  • এ বি আই সি সি এ্যাওয়ার্ড ফর লিডারশীপ ইন গ্লোবাল ট্রেড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  • সামাজিক উদ্যোক্তা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  • বিশ্ব উদ্যোগী নেতৃত্ব পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  • রেড ক্রস স্বর্ণ পদক, স্পেন (২০০৭)
  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্ম শত বার্ষিকী স্মারক, ইন্ডিয়া (২০০৭)
  • ই এফ আর বাণিজ্য সপ্তাহ পুরস্কার,নেদারল্যান্ড (২০০৭)
  • নিকলস চ্যান্সেলর পদক, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  • ভিশন এ্যাওয়ার্ড, জার্মানি (২০০৭)
  • বাফি গ্লোবাল এচিভমেন্ট এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  • রুবিন মিউজিয়াম মানডালা এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  • সাকাল বর্ষ ব্যক্তিত্ব পুরস্কার, ইন্ডিয়া (২০০৭)
  • ১ম আহপাডা গ্লোবাল পুরস্কার, ফিলিপাইন (২০০৭)
  • মেডেল অফ ওনার, ব্রাজিল (২০০৭)
  • জাতিসংঘ সাউথ- সাউথ সহযোগিতা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  • প্রোজেক্ট উদ্যোগী পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮)
  • আন্তর্জাতিক নারী স্বাস্থ্য মিশন পুরস্কার, নিউইয়র্ক (২০০৮)
  • কিতাকইয়ুশু পরিবেশ পুরস্কার, জাপান (২০০৮)
  • চ্যান্সেলর পদক, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮)
  • প্রেসিডেন্স পদক, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮)
  • মানব নিরাপত্তা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮)
  • বাৎসরিক উন্নয়ন পুরস্কার, অস্টিয়া (২০০৮)
  • মানবসেবা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮)
  • শিশু বন্ধু পুরস্কার,স্পেন (২০০৮)
  • এ জি আই আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান পুরস্কার, জার্মানি (২০০৮)
  • করিনি আন্তর্জাতিক গ্রন্থ পুরস্কার, জার্মানি (২০০৮)
  • টু উয়িংস প্রাইজ,জার্মানি (২০০৮)
  • বিশ্ব মানবতাবাদী পুরস্কার, ক্যালিফোর্নিয়া (২০০৮)
  • ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল এ্যাওয়ার্ড ,ক্যালিফোর্নিয়া (২০০৮)
  • এস্টরিল গ্লোবাল ইস্যু’স ডিসটিনগুইশড বুক প্রাইজ, পর্তুগাল (২০০৯)
  • এইসেনহওয়ের মেডেল ফর লিডারশীপ অ্যান্ড সার্ভিস, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৯)
  • গোল্ডেন বিয়াটেক এ্যাওয়ার্ড, স্লোভাকিয়া (২০০৯)
  • গোল্ড মেডেল অফ ওনার এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৯)
  • প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৯)
  • পি আই সি এম ই টি এ্যাওয়ার্ড, পোর্টল্যান্ড (২০০৯)
  • বৈরুত লিডারশীপ এ্যাওয়ার্ড (২০০৯)
  • সোলারওয়ার্ল্ড আইন্সটাইন এ্যাওয়ার্ড (২০১০)
  • কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডাল (২০১০)
  • St. Vincent de Paul Award by DePaul University, Chicago, Illinois (২০১১) 
  • Elon University Medal for Entrepreneurial Leadership, USA (২০১১)
  • Outstanding Entrepreneur of Our Time and The Best Humanitarian of the Year by OFC Venture Challenge, USA (২০১২) 
  • Transformational Leadership Award, USA (২০১২) 
  • International Freedom Award by the National Civil Rights Museum, USA (২০১২)
  • Salute to Greatness Award 2013 by Martin Luther King Center, USA (২০১৩)
  • Albert Schweitzer Humanitarian Award 2013 by Quinnipiac University, USA (২০১৩)
  • Global Treasure Award by Skoll Foundation, Oxford, UK (২০১৩) 
  • Forbes 400 Philanthropy Forum Lifetime Achievement Award for Social Entrepreneurship by Forbes Magazine, USA (২০১৩)
  • ওয়েস্টমন্ট লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড (২০১৪)
  • লোটাস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড (২০১৪) 
  • প্রিন্স আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ গ্লোবাল অন্টারপ্রিনিউয়ারশিপ অ্যাওয়ার্ড (২০১৪) 
  • আলবেনিয়া এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড (২০১৪)
  • ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাওয়ার্ড (২০১৫)
  • জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্ট’স মেডেল (২০১৬)
  • ভারতের গোল্ড মেডেল (২০১৭)
  • যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ফোর্ড ফ্যামিলি নটরডেম অ্যাওয়ার্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সলিডারিটি (২০১৮) 
  • ভারতের কেআইএসএস হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাওয়ার্ড (২০১৮) 
  • ইটালির নুভো রিনাসিমেন্টো অর নিউ রেনেসান্স অ্যাওয়ার্ড (২০১৮)
  • সুইজারল্যান্ডের গ্লোবাল উইমেন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড (২০১৯)
  • ভারতের ফিফথ ড. এপিজে আবদুল কালাম মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড (২০২০)  
  • দ্য পিস প্রাইজ ফ্রম স্লোভেকিয়া (২০২০)
  • অলিম্পিক লরেল পুরস্কার (২০২১) 
  • জাতিসংঘ ফাউন্ডেশনের ‘চ্যাম্পিয়ন অব গ্লোবাল চেঞ্জ’ পুরস্কার (২০২১) 
  • জার্মানির অপিনিয়ন মেকার অ্যাওয়ার্ড (২০২১)
  • ওয়ার্ল্ড ফুটবল সামিট পুরস্কার। (২০২৩)
  • ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার (২০২৪)

উপসংহার

মুহাম্মদ ইউনুস গোটা বিশ্বের মানুষের কাছে সম্মানিত হলেও একমাত্র বাংলাদেশেই তিনি অসম্মানিত হয়ে আসছেন। যেই ব্যক্তিটির কারণে একটি দেশ তাদের সংবিধান পরিবর্তন করতে পারে সেই মহৎ ব্যক্তিটি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত হতে পারেন না। ইউনূসের বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ হল উনি সুদ খান অর্থাৎ উনার প্রতিষ্ঠান সুদ নেয়। 

তবে বিষয়টা হল বিশ্বের এমন কোন অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান (ব্যাংক সহ) নেই যেটাতে সুদের ব্যবস্থা নেই। গোটা বিশ্বের অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে সুদের উপর ভর করে। সেখানে ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাংক সুদ ছাড়া অর্থনীতির উন্নয়ন করবে কিভাবে?

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুবিন পিডিয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url