অনলাইনে নিরাপদ থাকার ৫ উপায় | সাবধানতা পারে নিরাপত্তা বাড়াতে। পর্ব ০২
অনলাইনে নিজেদের তথ্য সুরক্ষিত রাখার এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধির বিভিন্ন কৌশল নিয়ে লিখিত আর্টিকেলের দ্বিতীয় পর্বে আপনাদের স্বাগতম। প্রয়োজনের তাগিদে আমাদের অনলাইনে কাজ করাটা যেমন জরুরী ঠিক তেমনটাই জরুরী অনলাইনে নিরাপত্তা বিষয়ে জানা। তাই সাবধানতার সাথে অনলাইন নিরাপত্তা বাড়াতে আজকে আলোচনা করতে যাচ্ছি অনলাইনে নিরাপদ থাকার ৫ উপায় সম্পর্কে।
"তথ্য প্রযুক্তি" এর আজকের এই পর্বে আমরা জানার চেষ্টা করব পুরস্কার প্রাপ্ত ভবিষ্যবাদী এবং প্রভাবক স্কট স্টেনবার্গ এর গবেষনার আলোকে অনলাইনে নিরাপদ থাকার ৫ উপায় সম্পর্কে। আশা করি অনলাইন নিরাপত্তার প্রথম পর্ব ইতোমধ্যেই পড়েছেন।
অনলাইনে নিরাপদ থাকার ৫ উপায়
ইন্টারনেট ব্যবহারের একদম শুরুর দিকে হ্যাকিং সাইবার অপরাধ সাইবার আক্রমণ এ বিষয়গুলোর সাথে মানুষ পরিচিত না হলেও যত দিন গেছে তত প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে আমাদের ইন্টারনেটের ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে এই বিষয়গুলোর সাথে আমরা পরিচিত হতে বাধ্য হয়েছি। মানুষ তার প্রয়োজনে যতটা ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে তৃতীয় পক্ষ অর্থাৎ সাইবার অপরাধী বা হ্যাকাররাও ততটাই কৌশলী হয়ে উঠেছে তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য।
তাই আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে অনলাইনে নিরাপদ থাকার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে জানার। অনলাইন নিরাপত্তার দ্বিতীয় পর্বে আজকে আমরা আলোচনা করতে চলেছি অনলাইনে নিরাপদ থাকার ৫ উপায় সম্পর্কে।
অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইউজ করুন
অনলাইন নিরাপত্তা বৃদ্ধির সবচেয়ে উত্তম পন্থা হলো অ্যান্টিভাইরাস ইউজ করা সেটা কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপের জন্যই হোক কিংবা স্মার্টফোনের জন্যই হোক। কিছু অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার টাকা দিয়ে কিনতে হয় এবং কিছু সফটওয়্যার আছে যেগুলো সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পাওয়া যায়। পেইড অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার এর মধ্যে রয়েছে McAfee, Set, Webroot, Norton ইত্যাদি।
আবার ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার এর মধ্যে AVG, Avast, Avira উল্লেখযোগ্য। অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার অথবা অ্যাপ আপনার স্মার্টফোন অথবা কম্পিউটার/ল্যাপটপকে বাইরের যে কোন ভাইরাস থেকে সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি আপনার ডিভাইসের যেকোন তথ্যকে রাখবে সুরক্ষিত। আবার আপনার ডিভাইসে কোন ভাবে যদি ভাইরাস প্রবেশ করে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনার ফাইল এর ক্ষতি হতে পারে।
কিন্তু অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার বাইরে থেকে প্রবেশকৃত ভাইরাসকে সনাক্ত করতে, অপারেটিং সিস্টেমের বিভিন্ন ভাইরাস সনাক্ত করতে, বিভিন্ন বিপদজনক কোড শনাক্ত করতে এবং এগুলোকে পৃথকীকরণের সাথে ডিলিট করতেও সহায়তা করে। তাছাড়া এসব সফটওয়্যার এর ভেতরে থাকা বিভিন্ন স্পাইওয়্যার প্যাকেজগুলো আপনার ডিভাইসের অভ্যন্তরে বিভিন্ন কার্যকলাপকে ভাইরাস বা হ্যাকার গ্রুপের কাছ থেকে আড়াল করে রাখে।
নেট ব্রাউজিং এর সময় বিভিন্ন প্রকার নোটিশ আসে যেগুলো ইউজ করলে সাধারণত হ্যাকাররা আপনার তথ্য চুরি করতে পারে। এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার গুলো এই পপ আপ নোটিশগুলো কেও বন্ধ করতে সক্ষম। এছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় কোন ডেটা সংগ্রহ করার জন্য অথবা কোন তথ্যের আবেদন করলে তথ্যটি সরাসরি আপনার কাছে না এসে ফিল্টার হয়ে আসে।
ফলে অ্যান্টিভাইরাস গুলোতে থাকা ফিল্টার সিস্টেম আপনার ডিভাইসকে ভাইরাসের আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখে। মনে রাখতে হবে কিছু কিছু অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারে অটো স্ক্যান সিস্টেম থাকলেও আপনাকে নিজ তাগিদেই ২-৩ দিন পরপর ম্যানুয়ালি স্ক্যান করতে হবে ভাইরাস সনাক্তের জন্য। অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার গুলোতে অটো আপডেট সেটিং অন করে রাখা ভালো কারণ প্রতিনিয়ত ভাইরাস এবং হ্যাকারদের কৌশল এবং ধরন পরিবর্তিত হচ্ছে।
অনলাইন নিরাপত্তা বৃদ্ধির অন্যতম উত্তম পন্থা হলো অ্যান্টিভাইরাস ইউজ করা ছবিঃ ইন্টারনেট
নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার করুন
ইন্টারনেটের যেকোনো কাজ করার পূর্বে প্রতিটি ব্যবহারকারীরি উচিত সচেতন থাকা। এই ধরনের সচেতনতার প্রথম ধাপ হচ্ছে আমরা কম্পিউটারে অথবা স্মার্টফোনে যে অ্যাপ অথবা সফটওয়্যার গুলো ডাউনলোড করি সেগুলো অবশ্যই কোন নির্ভরযোগ্য এবং সুরক্ষিত সাইট থেকে ডাউনলোড করতে হবে।
Apple ব্যবহারকারীরা যে কোন অ্যাপ বা সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে চাইলে “অ্যাপেল স্টোর” ব্যবহার করতে পারেন এবং Android ব্যবহারকারীরা অ্যাপ ডাউনলোডের জন্য “গুগল প্লে স্টোর” ব্যবহার করতে পারেন। অনলাইনে বিভিন্ন সাইট থেকে পরিষেবা নেওয়ার পর সেগুলোকে অবশ্যই বন্ধ করবেন এবং আপনার স্মার্টফোন অথবা কম্পিউটার/ল্যাপটপ থেকেও সাইন আউট অথবা লগ আউট করবেন।
এতে আপনার পরিচিত বা বন্ধুবান্ধবের মত কেউ আপনার ডিভাইসে কোন অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার বা অ্যাপ ইনস্টল করতে পারবে না। তাছাড়া আপনার ডিভাইস থেকে যত পুরনো বিভিন্ন প্রোগ্রাম application বা বিভিন্ন অ্যাড অন অর্থাৎ এক্সটেনশন আছে সেগুলোকে রিমুভ করার ব্যবস্থা করবেন।
এই প্রোগ্রামগুলোতে অনবরত আপডেটের ব্যবস্থা থাকে কিন্তু যদি আপডেট অপশনটা চালু না থাকে এবং আপনি যদি এগুলো সচরাচর ব্যবহার করে না থাকেন তবে সাইবার অপরাধীরা এই এক্সটেনশন গুলোর মাধ্যমে আপনার পিসিতে ভাইরাস প্রবেশ করণের মাধ্যমে সুযোগ নিতে পারে।
সামাজিক নেটওয়ার্ক এবং অ্যাপ এর অনুমতি সেট করুন
বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন গুলোকে আপনার তথ্য এক্সেস করার অনুমতি দিয়ে আপনার তথ্যের গোপনীয়তা এবং অনলাইন নিরাপত্তা কে হুমকির মুখে ফেলা থেকে বিরত থাকুন। অর্থাৎ যে কোন সোশ্যাল মিডিয়া বা মোবাইল এর সকল অ্যাপ্লিকেশনের এক্সেস অনুমতি দেবেন না।
জনপ্রিয় বেশ কিছু সোশ্যাল application যেমন LinkedIn, Twitter, Instagram, Snapchat, Facebook ইত্যাদিতে প্রাইভেসি সেটিংস দেয়া থাকে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি নির্ধারণ করতে পারবেন আপনার ব্যক্তিগত তথ্যগুলোকে অর্থাৎ কে আপনার পোস্ট দেখবে এবং কাকে আপনি পোস্টগুলো দেখাতে চাচ্ছেন।
তার সাথে আপনার বিভিন্ন রকম তথ্য যেমন পরিচিতি, ফাইল, ক্যামেরা, অবস্থান, মাইক্রোফোন ইত্যাদির এক্সেস করার অনুমতি চেয়ে অনুরোধ করলে অ্যাপের ভিতর থেকে অথবা আপনার ডিভাইসের সেটিংস এ গিয়ে প্রয়োজন ছাড়া এ অনুমতি গুলো দেবেন না। প্রয়োজনীয় অনুমতি যেমন ভয়েস চ্যাটের সময় আপনাকে মাইকের এক্সেস দিতে হবে।
আবার জনপ্রিয় এসব অ্যাপের বাইরেও বেশ কিছু অ্যাপ রয়েছে যেগুলো আপনার কাছ থেকে এই ধরনের বিভিন্ন অ্যাক্সেস এর অনুমতি চাইবে এবং আপনার তথ্যগুলো কোন থার্ড পার্টির কাছে অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করবে। যারা কিনে নেবে তারা সব সময় যে আপনাকে ব্ল্যাকমেইল করবে তেমনটা নয়। অনেকে আছেন যারা আপনার তথ্যগুলো নিয়ে বিভিন্ন রকম রিসার্চ বা মার্কেটিং এর কাজে লাগানোর জন্য কিনে থাকে।
আপনি অজান্তে এই অযাচিত অ্যাক্সেস গুলো দিয়ে যাচ্ছেন কিনা তার নিয়মিত নিরীক্ষা করার জন্য আপনার ডিভাইসে সেটিংস মেনুতে গিয়ে প্রতিটি অ্যাপ এর পারমিশন গুলো চেক করা উচিত। আপনি যে তথ্য এবং ভিডিও শেয়ার করছেন তা নিরাপদ কিনা সেটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য নিয়মিত অ্যাপের সেটিংস গুলো চেক করার বিষয়টি আপনাকে হ্যাকারদের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে এবং আপনার ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাকারদের হাতে চলে যাওয়া থেকেও রক্ষা করতে পারে।
মাল্টি ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন চালু করুন
ডিজিটাল প্লাটফর্মে বেশ কিছু সাইট রয়েছে যেগুলো ইমেইল কেন্দ্রিক অর্থাৎ আপনি জিমেইল বা ইয়াহুতে লগ-ইন থাকলে সেই সাইট গুলোতে প্রবেশ করে আপনার প্রয়োজনের কাজ সারতে পারবেন। শুধু জিমেইল নয় অন্য আরো বেশ কিছু সাইটে রয়েছে যখন আপনি লগ-ইন করতে যাবেন তখন দুটো বা তিনটে অতিরিক্ত ধাপ আপনাকে অতিক্রম করতে হবে।
এটি মূলত ডিজিটাল গোপনীয়তার দ্বিতীয় পর্যায়ের বা লেভেলের উচ্চমানের নিরাপত্তা। এই উচ্চমানের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য সেটিংস টি যখন আপনি অন করবেন তখন ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড ইনপুট করে লগ-ইন করে প্রবেশ করার সময় আপনাকে অতিরিক্ত সিকিউরিটি কোড সম্বলিত একটি টেক্সট, কোন প্রশ্ন বা আপনার ইমেইল নিশ্চিতকরণের নোটিফিকেশন আসবে, এমনকি ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই করন বা ভয়েস রেকর্ডিং লাগতে পারে যাচাই করনের জন্য যে এটা সত্যিই “আপনি” নাকি কোন হ্যাকার!
মূলত এটিকে বলে “মাল্টিফ্যাক্টর প্রমাণিকরণ” বা “Two factor Authentication” । এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দুই বা তার বেশি আইডি যাচাই-করণের দ্বারা আপনার পরিচয় আসলে দুইবার চেক করা হয়। দুইবার বলতে প্রথমবার ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড দিলেন এবং দ্বিতীয়বার সিকিউরিটি কোড দিলেন। এই সার্ভিসটি চালু করা থাকলে কোন তৃতীয় পক্ষ অর্থাৎ সাইবার অপরাধী আপনার একাউন্টে কোন অসৎ উদ্দেশ্যে প্রবেশ করতে চাইলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনি নোটিফিকেশন পেয়ে যাবেন।
এটি মূলত ডিজিটাল গোপনীয়তার উচ্চমানের নিরাপত্তা ছবিঃ ইন্টেরনেট
ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের ব্যাপারে সচেতন হোন
আমাদের বাসার ওয়াইফাই কানেকশন এর মাধ্যমেও হ্যাকিং সম্ভব এটা আমরা অনেকেই খেয়াল করি না। তাই বাসার ওয়াইফাই কানেকশন কে আরো নিরাপদ এবং শক্তিশালী করতে আর তার বিহীন রাউটারের পাসওয়ার্ড আপডেট করুন। শক্তিশালী অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আপনি ব্যক্তিগত ফায়ারওয়াল বা ভিপিএন ইউজ করতে পারেন যেগুলো আপনার তথ্য কে এনক্রিপ্ট করবে এবং আপনার ইন্টারনেট কার্যক্রম ও অবস্থানকে আড়াল করে রাখবে।
আপনার বাসায় আগত অতিথিদের জন্য আপনি আলাদা একটি নেটওয়ার্ক সেটআপ করে রাখতে পারেন। অর্থাৎ তারা আপনার ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড ইউজ করে ওয়াইফাই ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে না। বাড়ির বাইরে অনিরাপদ ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন কারণ পাবলিক নেটওয়ার্ক এ হ্যাকাররা ওৎ পেতে থাকে আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হ্যাক করার জন্য।
অবশ্যই পড়ুন
বাইরে কোন পাবলিক প্লেসে আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন ব্যাংক একাউন্টের কোন তথ্য জানার প্রয়োজন হলে পাবলিক ওয়াইফাই এর কানেকশন বন্ধ করে আপনার স্মার্টফোনের কানেকশন ব্যবহার করে তথ্য জানুন। অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা যেতে পারে সেটি হল আপনার স্মার্টফোনের অটো ওয়াইফাই এবং ব্লুটুথ কানেকশন বন্ধ করে রাখুন যাতে বাইরে কোন পাবলিক প্লেসে যাওয়া মাত্রই আপনার ফোন সেই অসুরক্ষিত নেটওয়ার্কের সাথে কানেক্টেড না হয়।
সাইবার অপরাধ এবং সাইবার আক্রমণ সম্পর্কে আপনি অধিক সচেতন হলে আপনার ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা খুব কঠিন হবে না। যে কোন হোটেলের ওয়াইফাই ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। আপনি বর্তমান সময়ে প্রযুক্তি কিভাবে এবং কি কাজে ব্যবহার করছেন তার উপরেও অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় অনেকাংশে।
গুগলে সেফ সার্চ অপশন চালু করুন
এটি খুব ছোট এবং সহজে একটি পদ্ধতি অনলাইন নিরাপত্তার ক্ষেত্রে। প্রতিদিনই আমাদের google এ যে কোন বিষয়ে তথ্যের জন্য সার্চ করতে হয়। এভাবে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে আমরা অনেক সময় অনেক আজেবাজে বা বিপদজনক সাইটে প্রবেশ করে যাই। এই সাইট গুলোর মধ্যে হয়তো কোন জুয়ার সাইট বা কোন পর্ন ভিডিওর সাইট থাকতে পারে।
আবার এসব সাইটে প্রকাশ করার পরেও বিভিন্ন বিজ্ঞাপন এবং ফিশিং লিঙ্ক থাকে যা মূলত হ্যাকিংয়ের জন্যই দেয়া থাকে। আমরা প্রথম ভুল করে যদি সাইটে ঢুকে পড়ি এবং প্রবেশ করার পরে যদি দ্বিতীয় ভুল করি সেই ফিশিং সাইটগুলোতে ক্লিক করে তাহলে আমাদের আর রক্ষা নেই। আমাদের স্মার্ট ফোনের বা কম্পিউটার/ল্যাপটপের সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চলে যেতে পারে হ্যাকারদের হাতে।
তারপরের ঘটনাটি আশা করি বুঝতেই পারছেন। তো এখন এই সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়ার একটি উপায় হল আপনার google ক্রমে “Safe Search” অপশনটি চালু করে দেয়া। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে অপশনটি চালু করবেন এভাবে- Settings > Safe Search > select Filter/Blur/Off । এদের মধ্যে অবশ্যই ফিল্টার অপশনটি সিলেক্ট করবেন। তাহলে এ ধরনের কোন আজেবাজে বা ক্ষতিকর সাইটের লিংক আপনার সার্চ পেজে শো করবে না। অ্যাপেল ফোন এবং কম্পিউটারেও একইভাবে সেটিংসটি চালু করা যাবে।
মন্তব্য
আসলে ইন্টারনেট ছাড়া আমাদের জীবন অসম্পূর্ণ ইন্টারনেট বা অনলাইনে উপরে আমরা এতটা নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি যে ইন্টারনেট ছাড়া আমরা কল্পনাও করতে পারি না। কিন্তু এই ইন্টারনেট বা অনলাইনে কাজ করতে গিয়ে যদি আমাদের বিভিন্ন গোপনীয়তা বা তথ্য ক্ষতির সম্মুখীন হয় তাহলে সেটা অবশ্যই চিন্তার বিষয়। তাই উপরে যে বিষয়গুলো দুইটি পর্ব মিলে আলোচনা করা হলো আশা করি সেই সব বিষয়ের প্রতি আমরা সজাগ এবং সচেতন থাকবো।
যাইহোক, অনলাইনে নিরাপদ থাকার ৫ উপায় সম্পর্কে সচেতন করার চেষ্টা করলাম। উপরের লেখা তথ্য গুলো যদি আপনাদের কোন কাজে আসে তবে আমার এই লেখাটি সার্থক। ধৈর্য নিয়ে পড়ার জন্য সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে লিখে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট
মুবিন পিডিয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url