বাংলাদেশ পাসপোর্ট আইন ২০১৭- জানুন মেয়াদ-অপরাধ-আটক-দন্ড বিষয়ে

পাসপোর্ট আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন কাজের পাশাপাশি বাইরের দেশে অর্থাৎ বিদেশ  গমনের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট একটি অপরিহার্য অংশ। বাংলাদেশ সরকার পূর্বের পাসপোর্ট আইন সংশোধন করে ২০১৭ সালে নতুন করে একটি আইন প্রণয়ন করেন যেটি "বাংলাদেশ পাসপোর্ট আইন ২০১৭" নামে পরিচিত। 
বাংলাদেশ পাসপোর্ট আইন ২০১৭

শুধু পাসপোর্ট তৈরি করলেই হবে না পাসপোর্ট এর উপযুক্ত ব্যবহার, প্রয়োগ এবং সংরক্ষণ বিষয়েও আমাদের গুরুত্বের সাথে সচেতন হওয়া উচিত। বিভিন্ন রকম অপ্রত্যাশিত ঘটনা যেন না ঘটে এবং এর পাশাপাশি কেউ যেন উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে দুর্নীতির উদ্দেশ্যে পাসপোর্ট ব্যবহার এবং প্রয়োগ করতে না পারে সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ পাসপোর্ট আইন ২০১৭ প্রণয়ন করা হয়। নির্দেশনা দেয়া রয়েছে। 

পাসপোর্ট এবং ট্রাভেল ডকুমেন্ট বিষয়ক প্রচলিত আইনসমূহ সুসংহত ও যুগোপযোগীকরণ এবং এতদসংক্রান্ত অন্যান্য আনুষাঙ্গিক বিষয়ে বিধান করার লক্ষ্যে প্রণীত আইন। 
যেহেতু, বাংলাদেশ হতে বাংলাদেশী নাগরিক এবং অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের বহির্গমন নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে পাসপোর্ট এবং ট্রাভেল ডকুমেন্ট ইস্যু করা এবং এর সহায়ক অন্যান্য আনুষাঙ্গিক বিষয়ে নতুন বিধান প্রণয়ন এবং প্রচলিত আইনসমূহের সুসংহত ও যুগোপযোগীকরণ আবশ্যক: সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হল:-

০১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, প্রয়োগ এবং প্রবর্তন

(১) এই আইন বাংলাদেশ পাসপোর্ট আইন, ২০১৭ নামে অভিহিত হবে।
(২) এই আইন বাংলাদেশের সকল নাগরিকের জন্য তাদের অবস্থান নির্বিশেষে প্রয়োগ বা প্রযোজ্য হবে।
(৩) এই আইন অবিলম্বে কার্যকর হবে।

০২। সংজ্ঞা বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোনো কিছু না থাকলে, এই আইনে

(ক) "পাসপোর্ট” অর্থ এই আইনের অধীন ইস্যুকৃত ও ইস্যুকৃত বলে বিবেচিত কোন "পাসপোর্ট" এবং এর সাথে এ উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বাংলাদেশী ভিসাসহ যে কোন দেশের ভিসা কিংবা কোন ব্যক্তিকে বাংলাদেশ হতে বহির্গমন কিংবা বাংলাদেশে প্রবেশ করার অনুমতি প্রদান করে প্রদত্ত অন্য কোন অনুমতিপত্র, ভিসা বা ট্রাভেল ডকিউমেন্টও অন্তর্ভুক্ত হবে।
(খ) "পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ” অর্থ বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর কিংবা এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি দ্বারা পাসপোর্ট এবং ট্রাভেল ডকিউমেন্ট প্রদান করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা কে বুঝাবে।
(গ) "বহির্গমন" অর্থ, এই শব্দের ভিন্নরূপ ব্যবহারসহ, বাংলাদেশ হতে নৌ, স্থল বা আকাশ পথে প্রস্থান বুঝাবে।
(ঘ) "বাংলাদেশের নাগরিক" অর্থ আপাত বলবৎ কোন আইনের অধীন বাংলাদেশের কোন নাগরিক কিংবা নাগরিক বলে বিবেচিত কোন ব্যক্তি।
(ঙ) “বিদেশী নাগরিক" অর্থ বাংলাদেশ ভিন্ন অন্য কোন দেশের নাগরিক।
(চ) "রাষ্ট্রবিহীন ব্যক্তি" অর্থ বাংলাদেশের নাগরিক নয় কিংবা অন্য কোন দেশের নাগরিক নয় এমন কোন ব্যক্তি ।
(ছ) “শিশু" অর্থ আঠার বছর বয়স পূর্ণ করে নাই এমন কোন ব্যক্তি
(ড) “শৃংখলাবিরোধী কর্মকান্ড" অর্থ শৃংখলা বিরোধী কিংবা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং অখন্ডতার বিরুদ্ধে কোন কর্মকান্ড এবং অন্যান্য আইনে সংজ্ঞায়িত শৃংখলাবিরোধী কর্মকান্ডও এর অন্তর্ভুক্ত হবে।
(ঞ) “ট্রাভেল ডকিউমেন্ট" অর্থ এই আইনের অধীন ইস্যুকৃত ও ইস্যুকৃত বলে বিবেচিত কোন “ট্রাভেল ডকিউমেন্ট" ।

০৩। বাংলাদেশ হইতে বহির্গমনের উদ্দেশ্যে পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকিউমেন্ট

(১) কোন ব্যক্তি তার অনুকূলে ইস্যুকৃত বৈধ পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকিউমেন্ট ব্যতিরেকে বাংলাদেশ হতে বহির্গমন করবে না বা বহির্গমনের চেষ্টা করবে না।
(২) কোন ব্যক্তি একই সাথে অননুমোদিতভাবে একাধিক বাংলাদেশী পাসপোর্ট ধারণ করিতে পারিবেন না।

০৪। পাসপোর্ট এবং ট্রাভেল ডকিউমেন্ট এর শ্রেণীসমূহ

(১) এই আইনের অধীন নিম্নোক্ত শ্রেণীর পাসপোর্ট ইস্যু করা যাবে।
(ক) সাধারণ পাসপোর্ট
(খ) অফিসিয়াল পাসপোর্ট
(গ) কূটনৈতিক পাসপোর্ট
(২) কোন ব্যক্তিকে বাংলাদেশে প্রবেশ কিংবা বাংলাদেশ হতে বহির্গমনের জন্য এই আইনের অধীন বিধি দ্বারা নির্ধারিত কোন ট্রাভেল ডকিউমেন্ট ইস্যু করা যাবে।

০৫। পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকিউমেন্ট বৈশিষ্ট্য, রং, আকৃতি (Form) এবং শর্ত

(১) এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি দ্বারা সরকার পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকিউমেন্ট বৈশিষ্ট্য, রং, আকৃতি এবং কোন ব্যক্তিকে কী কী শর্তে এবং কোন শ্রেণীর পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকিউমেন্ট ইস্যু করা হবে তা নির্ধারণ করবে। তবে শর্ত থাকে যে, বিধি-দ্বারা নির্ধারিত শর্তাবলী ছাড়াও পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ সরকারের অনুমতি নিয়ে কোন নতুন শর্ত সাপেক্ষে পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকিউমেন্ট প্রদান করতে পারবে।
(২) এই আইনের অধীন ইস্যুকৃত পাসপোর্ট কিংবা ট্রাভেল ডকিউমেন্ট সর্বদা বাংলাদেশ সরকারের সম্পত্তি হিসাবে বিবেচিত হবে।

০৬। পাসপোর্টের জন্য আবেদন ও পাসপোর্ট ইস্যু ইত্যাদি

(১) এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে নির্ধারিত তথ্য এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ফি প্রদান করে পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকিউমেন্ট এর জন্য পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করতে হবে;
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন আবেদনকারী বিধি-দ্বারা আবশ্যকীয় দলিলাদি ও তথ্যাদি এবং পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক চাওয়া অন্য কোন দলিল বা তথ্য সরবরাহ করতে এবং আবেদনপত্রে স্বাক্ষর ও ছবি সংযুক্ত করতে বাধ্য থাকবে;
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো আবেদনপত্র প্রাপ্তির পর পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে উপযুক্ত সংস্থা কর্তৃক অনুসন্ধানপূর্বক (Inquiry) এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে আবেদনকারীকে শর্তসাপেক্ষে বা বিনা শর্তে লিখিত আদেশ এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক আদেশের মাধ্যমে পাসপোর্ট ইস্যু করবে;
(৪) পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ, আবেদনকারীর বক্তব্য শুনে লিখিত এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক আদেশে নাকচ করার কারণ উল্লেখ পূর্বক এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে তাকে পাসপোর্ট ইস্যু করতে অস্বীকৃতি জানাতে পারবে; 

০৭। কতিপয় দেশে ভ্রমণের জন্য ইস্যুকৃত পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকিউমেন্ট বৈধ না হওয়া

(১) সরকার এই আইনের অধীন ইস্যুকৃত পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকিউমেন্ট কোন দেশ ভ্রমন করার জন্য বা তার অভ্যস্তর দিয়ে অন্য কোন দেশে গমন করার জন্য বৈধ থাকবে না মর্মে গেজেটের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন বা নোটিশ জারী করতে পারবে, যদি উক্ত বিদেশী রাষ্ট্র:
(ক)  বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বা বহিঃ আক্রমনে লিপ্ত হয় অথবা
(খ) বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বা বহিঃ আক্রমন করছে এমন অন্য কোনো দেশকে সহায়তা করে থাকে অথবা
(গ) সশস্ত্র সংঘাত বা গৃহযুদ্ধের সম্মুখীন হয় কিংবা কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বা সংগঠনকে সহায়তা দিয়ে থাকে।
(২) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত প্রজ্ঞাপন জারী সত্ত্বেও সরকার বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে এইরূপ ভ্রমণের জন্য কোনো ব্যক্তিকে বিশেষভাবে অনুমোদন দিতে পারবে।

০৮। পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকিউমেন্ট মেয়াদ

(১) এই আইনের অধীন পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকিউমেন্ট বিধি দ্বারা নির্ধারিত মেয়াদের জন্য ইস্যু, নবায়ন ও পুনঃ ইস্যু করা হবে। তবে শর্ত থাকে যে, জনস্বার্থে কোন পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকিউমেন্ট নির্ধারিত মেয়াদের কম মেয়াদের জন্য ইস্যু, নতুন মেয়াদে পুন: ইস্যু বা নবায়ন করা যাবে। 
(২) এই আইনের অধীন ইস্যুকৃত পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকিউমেন্ট তাতে উল্লিখিত মেয়াদের জন্য বৈধ থাকবে, যদি না তা মেয়াদ শেষ হবার পূর্বে প্রত্যাহত বা রদ হয়ে থাকে।

০৯। পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকিউমেন্ট প্রদানে অস্বীকৃতি

(১) নিম্নলিখিত যে কোন কারনে পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকিউমেন্ট ইস্যু করতে অস্বীকৃতি জানাতে পারবে।
(ক) যদি আবেদনকারী বাংলাদেশী নাগরিক না হন।
(খ) যদি আবেদকারীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্র বা শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে যুক্তিসঙ্গত প্রমান থাকে।
(গ) যদি আবেদনকারী The Bangladesh Collaborators (Special Tribunal) Order (PO NO 8 of 1972)-এর অধীন দণ্ডপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি হন।
(ঘ) যদি আবেদনকারী The International Crimes (Tribunals) Act 1973 (Act No. XIX of 1973)-এর অধীন দন্ড প্রাপ্ত কোন ব্যক্তি হন।

স্মার্টফোন দীর্ঘদিন ভালো রাখতে চাইলে যা করবেন 

(ঙ) যদি তার বিরুদ্ধে রুজুকৃত কোন ফৌজদারী মামলায় উপস্থিতি এড়াবার জন্য অথবা তার কোন অপরাধের বিচার বা দন্ড এড়াবার জন্য বাংলাদেশ ত্যাগ করতে উদ্যোগী হন।
(চ) যদি আবেদনকারীর বিরুদ্ধে কোন আদালত দেশ ত্যাগ না করার অথবা আবেদনকারী শিশু হলে তাকে দেশের বাইরে নিয়ে না যাবার আদেশ প্রদান করে থাকেন।
(ছ) যদি আবেদনকারী মানিলন্ডারিং, মানবপাচার কিংবা মুদ্রা, মাদকদ্রব্য বা অস্ত্র পাচারে অথবা অন্য কোন আইনগতভাবে নিষিদ্ধ ব্যবসায় জড়িত রয়েছেন বলে যুক্তিসঙ্গত প্রমান থাকে।
(জ) সরকার কর্তৃক কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা থাকে।
(২) নিম্নলিখিত যে কোন কারণ বিদ্যমান থাকলে পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যক্তির প্রতি পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকিউমেন্ট ইস্যু করবে না,
(ক) যদি আবেদনকারী বাংলাদেশের নাগরিক না হন;
(খ) যদি পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ বা সরকার কোন তদন্ত রিপোর্ট বা গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতে এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, আবেদনকারী বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং অখন্ডতার বিরুদ্ধে কোন কর্মকাণ্ডে জড়িত হবে বা এইরূপ জড়িত হবার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে অথবা বাংলাদেশ হতে তার বহির্গমন অন্য কোনভাবে বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হবে:
(গ) যদি কোন বিদেশী রাষ্ট্রে আবেদনকারীর অবস্থানের কারণে সেই দেশের বা অন্য কোন দেশের সাথে বাংলাদেশেরত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নষ্ট হবার সম্ভাবনা থাকে।
(ঘ) যদি সরকার এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, আবেদনকারী কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বা সংগঠন কিংবা আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্রের সাথে জড়িত রয়েছেন।

১০। পাসপোর্ট ও ট্রাভেল ডকিউমেন্ট শর্ত (Endorcement) পরিবর্তন

(১) এই আইনের অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ স্বীয় কর্তৃত্বে বা আবেদনকারীর আবেদনক্রমে ইস্যুকৃত পাসপোর্ট ও ট্রাভেল ডকিউমেন্টের কোন পৃষ্ঠাঙ্কন পরিবর্তন বা বাতিল করতে অথবা আরোপিত কোন শর্ত পরিবর্তন বা প্রতিস্থাপন করতে পারবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণের নিমিত্ত পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ কোন পাসপোর্টধারীকে বা ট্রাভেল ডকিউমেন্টধারীকে নোটিশের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তার পার্সপোর্ট বা ট্রাভেল ডকুমেন্ট ফেরৎ প্রদানের আদেশ প্রদান করতে পারবে।

১১। পাসপোর্ট আটক (impounding) এবং প্রত্যাহার

(১) পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট পাসপোর্টধারী বা ট্রাভেল ডকিউমেন্টধারী ব্যক্তিকে কারন অবহিতপূর্বক এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে শুনানি করে কোন পাসপোর্ট প্রত্যাহার বা আটক করতে বা করাতে পারবে, যদি-
(ক) কোন পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকিউমেন্টধারী বেআইনীভাবে সেই পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকিউমেন্ট ধারণ করেন;
(খ) পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, উক্ত পাসপোর্ট মৌলিক কোন তথ্য গোপন করে অথবা মিথ্যা বা ভুল তথ্য প্রদান করে গ্রহণ করা হয়েছে; তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত পাসপোর্টধারীর উল্লিখিত পাসপোর্ট ছাড়া অন্য কোন পাসপোর্ট থাকলে কর্তৃপক্ষ তাও একইভাবে আটক করতে পারবে।

 ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় | ১২ পদ্ধতি জেনে নিন

(গ) সরকার এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, রাষ্ট্রীয় বা বাংলাদেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব এবং অখন্ডতার স্বার্থে উক্ত পাসপোর্ট আটক বা প্রত্যাহার করা আবশ্যক;
(ঘ) কোন পাসপোর্টধারী পাসপোর্ট গ্রহণ করার পর কোন গুরুতর অপরাধ বা নৈতিক স্খলন- জনিত অপরাধের কারণে কোন আদালত কর্তৃক অন্যূন ৫ (পাঁচ) বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন;
(ঙ) কোন আদালত উক্ত পাসপোর্ট প্রত্যাহার বা আটক করার সুপারিশ করেন অথবা উক্ত পাসপোর্টধারীকে দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন;
(চ) কোন পাসপোর্টধারী পাসপোর্টের কোন শর্ত ভঙ্গ করে থাকেন অথবা পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশ সত্ত্বেও উক্ত পাসপোর্ট ফেরৎ দিতে ব্যর্থ হন বা অস্বীকৃতি জানান।
(২) সরকার কিংবা সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ জরুরী ক্ষেত্রে কোন পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকিউমেন্ট অনধিক ৩০ (ত্রিশ) দিনের জন্য সাময়িকভাবে প্রত্যাহার বা আটক করতে পারবে।
(৩) কোন পাসপোর্টধারী স্বেচ্ছায় তাঁর পাসপোর্ট ফেরৎ দিয়ে থাকলে পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ উক্ত পাসপোর্ট প্রত্যাহার করতে পারবে
(৪) এই ধারার অধীন গৃহীত কোনো সিদ্ধান্তের পক্ষে পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ কারণসমূহ লিপিবদ্ধ করবেন এবং উক্ত কারণসহ লিখিত সিদ্ধান্তের একটি অনুলিপি আবেদনকারীকে সরবরাহ করবেন যদি না তাতে রাষ্ট্রীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়ে থাকে।
(৫) কোন ফৌজদারী আদালত কোন পাসপোর্টধারীকে দন্ড প্রদান করলে দন্ড প্রদানের সময় তার পাসপোর্ট প্রত্যাহারের আদেশ দান করতে পারবে। এটা ছাড়াও কোন ফৌজদারী আদালত কোন অভিযুক্তকে জামিন প্রদানের শর্ত হিসেবে সাময়িকভাবে তার পাসপোর্ট আটক করতে পারবে।
(৬) কোন পাসপোর্ট প্রত্যাহার করা হলে, উক্ত পাসপোর্টধারী ব্যক্তি পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত সময়ের মধ্যে প্রত্যাহারকারী কর্তৃপক্ষের নিকট অথবা নিকটতম থানায় উক্ত পাসপোর্ট সোপর্দ করবেন।।

১২। আপীল

(১) এই আইনের অধীন পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষের জারীকৃত কোন আদেশে কিংবা গৃহীত কোনো সিদ্ধান্তে কোন ব্যক্তি সংক্ষুদ্ধ হলে তিনি উক্ত আদেশ কিংবা গৃহীত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ৩০ (ত্রিশ) কার্যদিবসের মধ্যে উপর্যুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট আপীল করতে পারবে; - তবে শর্ত থাকে যে, সরকারের আদেশের বিরুদ্ধে কোন আপীল চলবেনা; কিন্তু সরকার তার এই ধরনের আদেশ স্বীয় কর্তৃত্বে বা আবেদনকারীর আবেদনক্রমে পুনর্বিবেচনা করতে পারবে।

১৩। পাসপোর্ট সংশ্লিষ্ট অপরাধসমূহ ও দন্ড

(১) কোনো ব্যক্তি যিনি,
(ক) ধারা ৩ এর বিধান লঙ্ঘন করে বাংলাদেশ হতে বহির্গমন কিংবা বহির্গমনের চেষ্টা করেছেন অথবা
(খ) একই সাথে অননুমোদিতভাবে একাধিক পাসপোর্ট ধারণ করেছেন অথবা
(গ) পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য সজ্ঞানে (Knowingly) মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন কিংবা উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে প্রয়োজনীয় কোনো তথ্য গোপন করেছেন কিংবা পাসপোর্টের আবেদনের সাথে জালকৃত বা অন্যের দলিল বা কাগজপত্র জমা দি্ছেযেন অথবা
(ঘ) বেআইনীভাবে কোনো পাসপোর্টের বিবরণ বা ছবি বা তাতে সংযুক্ত কোন ভিসা বা তথ্যে পরিবর্তন, ষ্ট্যাম্পিং, ঘষামাজা বা হেরফের করেছেন অথবা

ভিটামিন সি কেন দরকার এবং এর অভাবজনিত রোগ সম্পর্কে জানুন 

(ঙ) অন্যের পাসপোর্ট ব্যবহার করেছেন বা বেআইনীভাবে হেফাজতে রেখেছেন কিংবা সজ্ঞানে (Knowingly) অন্যকে তার নিজের পাসপোর্ট ব্যবহার করিতে দিয়েছেন অথবা
(চ) সজ্ঞানে (Knowingly) কোন জালকৃত বা বেআইনীভাবে পরিবর্তনকৃত পাসপোর্ট অবৈধ উদ্দেশ্যে দখলে বা হেফাজতে রেখেছেন - তিনি অন্যূন এক বছর হতে অনধিক দুই বছরের কারাদন্ডে দন্ডনীয় হবেন এবং অনধিক ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকাক অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
(২) যদি কোন ব্যক্তিঃ-
(ক) পাসপোর্ট পাচার করেন অর্থাৎ অন্যের বা নিজের পাসপোর্ট বাংলাদেশ হতে অন্য দেশে পাচারের কিংবা কোন অপরাধ সংঘটনে ব্যবহার করার জন্য প্রেরণ করেন অথবা অন্য দেশ হতে বাংলাদেশে আনয়ন করেন অথবা হলে
(খ) রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোন কার্যে বা অপরাধে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে কোন পাসপোর্টের অধিকারী হন বা সংগ্রহ করেন, তাহলে - তিনি অন্যূন দুই বৎসর হতে অনধিক পাঁচ বছরের কারাদন্ডে দন্ডনীয় হবেন এবং অনধিক ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত হবেন।
(৩) কোনো ব্যক্তি এই ধারায় বর্ণিত কোন অপরাধ সংঘটনে সহযোগিতা করলে কিংবা অপরাধ সংঘটনে চেষ্টা করলে তিনি সংঘটনে চেষ্টা সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ডের সমপরিমান দন্ডে দন্ডিত হবেন।

১৪ । এই আইনের আওতাধীন অপরাধসমূহের আমলযোগ্যতা ও জামিনযোগ্যতা ইত্যাদি

(১) এই আইনের ১৩ ধারায় বর্ণিত অপরাধসমূহ অ-আমলযোগ্য (non-cognizable) জামিন যোগ্য (bailable) অপরাধ হইবে।

১৫। এই আইনের আওতাধীন অপরাধসমূহের বিচার এবং আপীল

(১) ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ (১৮৯৮ সালের ৫নং আইন) এ যা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অপরাধসমূহ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক কিংবা ক্ষেত্রমত প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যজিষ্ট্রেট কর্তৃক বিচার কাজ হবে এবং উক্ত বিচারের ক্ষেত্রে উক্ত কার্যবিধির অধ্যায় ২২ এ বর্ণিত সংক্ষিপ্ত বিচার পদ্ধতি এই আইনের বিধানাবলীর সাথে অসংগতিপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে অনুসরণ করতে হবে।
(২) এই আইনের অধীন বিচার কার্য সমাপ্ত করার নির্ধারিত সময়সীমা হবে সংশ্লিষ্ট মামলায় অভিযোগ গঠনের তারিখ হতে ১২০ (একশত বিশ) কার্যদিবস; তবে শর্ত থাকে যে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোন মামলা নিষ্পত্তি না হলে তার কারণ লিখিতভাবে লিপিবদ্ধ করে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিষ্ট্রেট উক্ত সময়সীমা অনধিক আরও ৬০ (ষাট) কার্যদিবস বৃদ্ধি করতে পারবেন এবং সেক্ষেত্রে তিনি মহানগর দায়রা জজ
বা ক্ষেত্রমত দায়রা জজের নিকট একটি ব্যাখ্যামূলক প্রতিবেদন প্রেরণ করবেন।
(৩) এই আইনের অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে এর অধীন মামলা বা অভিযোগ দায়ের, তদন্ত এবং অপরাধসমূহের বিচার- সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়ে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ (১৮৯৮ সনের ৫নং আইন) সাক্ষ্য আইন ১৮৭২ (১৮৭২ সনের ১নং আইন) এবং প্রয়োজন হলে দণ্ডবিধি ১৮৬০ (১৮৬০ সনের ৪৫নং আইন) এর তৃতীয় অধ্যায়ের বিধানাবলী প্রযোজ্য হবে।
(৪) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ, রায় বা দন্ডের বিরুদ্ধে আদেশ, রায় বা দণ্ড প্রদানের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে মহানগর দায়রা জজ বা ক্ষেত্রমত, দায়রা জজ আদালতে আপীল করা যাবে।
(৫) উপ-ধারা (৪) এর বিধান অনুসারে কোন আপীল দায়েরের ক্ষেত্রে কিংবা আপীলের নির্ধারিত সময়সীমা গণনার ক্ষেত্রে The Limitation Act 1908 (Act No. V of 1908) প্রযোজ্য হবে।

১৬। তল্লাসী ও জব্দ (seize) করার ক্ষমতা 

(১) উপ পরিদর্শকের নিম্ন মর্যাদার নন এমন কোন পুলিশ কর্মকর্তা অথবা বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা কিংবা সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা যে কোন স্থান তল্লাশী করে যে কোন ব্যক্তির নিকট হতে পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকিউমেন্ট জব্দ করতে পারবেন, যদি সেই ব্যক্তি এই আইনের অধীন দণ্ডনীয় কোন অপরাধ করেছেন বলে তার যুক্তিসঙ্গত সন্দেহ হয়;
(২) এই আইনের ৩ ধারা কিংবা বহির্গমন সংক্রান্ত অন্য কোন প্রচলিত আইনের বিধান লঙ্ঘন করে কেহ বহির্গমনের চেষ্টা করলে উপ-পরিদর্শকের নিম্ন পদ-মর্যাদার নন এমন কোন পুলিশ কর্মকর্তা উক্ত ব্যক্তিকে কোন নৌ, জাহাজ, বিমান বা অন্য কোন বাহন হতে নামিয়ে আনতে পারবেন এবং তার পাসপোর্ট জব্দ করতে পারবেন।
(৩) উপ-ধারা (১) বা উপ-ধারা (২) এর অধীন জব্দকৃত পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকিউমেন্ট যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য অনধিক ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নিকট উপস্থাপন করতে হবে যদি ইতোমধ্যে তা উপযুক্ত আদালতের নিকট উপস্থাপন না করা হয়ে থাকে।

১৭। বিদেশী নাগরিকের প্রতি পাসপোর্ট ইস্যু 

এই আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার জনস্বার্থে সমীচীন মনে করলে কিংবা অন্য কোন প্রচলিত আইনের বিধান বাস্তবায়নের নিমিত্ত প্রয়োজন হলে, কোন বিদেশী নাগরিক বা রাষ্ট্রবিহীন ব্যক্তিকে এই
আইনের অধীন পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকিউমেন্ট প্রদান করতে পারবে।

১৮। বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর 

(১) বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর নামে একটি অধিদপ্তর থাকবে, যা একজন মহাপরিচালক এবং সরকার যেরূপ নির্ধারণ করবে সেইরূপ অন্যান্য কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত হবে এবং এই আইন ও অন্যান্য আইন কর্তৃক তার উপর ন্যস্ত কার্যাবলী সম্পাদন করবে।
(২) বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তার অধীনস্থ কর্তৃপক্ষসমূহের কার্যাবলীসহ পাসপোর্ট, ভিসা ও ট্রাভেল ডকিউমেন্ট সংক্রান্ত সকল কার্যাবলী এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ করবেন।

১৯। ক্ষমতা অর্পণ এবং অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষমতা 

(১) এই আইনের অধীনে প্রণীত বিধি মোতাবেক কোন ক্ষমতা বা কার্য উক্ত বিধিতে নির্দিষ্টকৃত ক্ষেত্রে এবং পদ্ধতিতে প্রয়োগ বা পালন করার জন্য যে-সকল দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস নাই সেই সকল দেশে সরকারের নিযুক্ত কোন বিদেশী কনস্যুলার বা কর্মকর্তাকে অর্পণ করতে পারবে।
(২) এই আইনের কোন বিধান কার্যকর করার ক্ষেত্রে কোন অস্পষ্টতা (ambiguity) বা অসুবিধা (difficulty) দেখা দিলে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, উক্তরূপ অস্পষ্টতা বা অসুবিধারত অপসারণ করতে পারবে।

২০। পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকিউমেন্ট সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ 

এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি দ্বারা সরকার পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকিউমেন্ট এর কি কি তথ্য কোন মেয়াদে কি পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা হবে এবং তা কাকে কাকে কোন পদ্ধতিতে কত ফিসের মাধ্যমে সরবরাহ করা যাবে উহা নির্ধারণ করবে।

২১। এই আইনের বিধানাবলীর অন্যান্য আইনের অতিরিক্ত পরিপুরক হওয়া অস্পষ্টতা দূরীকরণ ইত্যাদি 

(১) এই আইনের বিধানাবলী পাসপোর্ট, বহির্গমন, ইমিগ্রেশন, বৈদেশিক সম্পর্ক, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় এবং বিদেশী নাগরিক নিয়ন্ত্রন বিষয়ক আপাত বলবৎ অন্যান্য আইনের বিধানাবলীর পরিপূরক হবে এবং তাদের ব্যত্যয়ে ব্যবহৃত হবে না।

২২। সরল বিশ্বাসে কৃত কাজকর্মের রক্ষণ 

এই আইনের অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কার্যের জন্য সরকার কিংবা কোন সরকারি কর্মচারীর (Public servant ) বিরুদ্ধে কোন মামলা বা অন্য কোন আইনগত কার্যধারা গ্রহণ করা যাবে না।

২৩। বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা 

(১) এই আইন বলবৎ হবার পর, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করবে।
(২) উপরে বর্ণিত ক্ষমতাসমূহের সামগ্রিকতা ক্ষুণ্ণ না করে এইরূপ বিধি দ্বারা, অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে, নিম্নোক্ত বিষয়ে বিধান করা যাইবে;
(ক) পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষের নিয়োগ, এখতিয়ার, নিয়ন্ত্রণ এবং দায়িত্ব;
(খ) বিভিন্ন শ্রেণীর পাসপোর্ট ও ট্রাভেল ডকিউমেন্ট ইস্যু, নবায়ন বা পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকিউমেন্ট বা কোন এন্ডোর্সমেন্ট যাচাইপূর্বক প্রত্যয়ন কিংবা তাতে কোন পৃষ্ঠাঙ্কন করার শর্তাবলী, সময়সীমা ও পদ্ধতি নির্ধারণ এবং সংশ্লিষ্ট আবেদনপত্রের ছক, আবেদনপত্রে প্রদেয় বিবরণ ও অন্যান্য বিষয়াদিঃ
(গ) পাসপোর্ট ও ট্রাভেল ডকিউমেন্ট কোন মেয়াদে ইস্যু বা নবায়ন করা হবে তা এবং এর বৈধতার বা কার্যকারিতার মেয়াদ এবং নবায়ন করার সময়-সীমা;
(ঘ) পাসপোর্ট ও ট্রাভেল ডকিউমেন্ট ইস্যু, নবায়ন, পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকিউমেন্ট বা কোন এন্ডোর্সমেন্ট যাচাই বা যাচাইপূর্বক প্রত্যয়ন অথবা পাসপোর্ট ও ট্রাভেল ডকিউমেন্ট কোন পৃষ্ঠাঙ্কনের জন্য প্রদেয় ফি এবং এই আইনের অধীন আপীল এর ফি নির্ধারণ;
(ঙ) ধারা ১২ এর অধীন আপীল কর্তৃপক্ষের নিয়োগ, এর এখতিয়ার এবং কর্মপন্থা ও পদ্ধতি নির্ধারণ;
(চ) পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকিউমেন্ট হারানো যাওয়া বা নষ্ট হবার ক্ষেত্রে Duplicate বা পূর্ণ মেয়াদী অবিকল পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকিউমেন্ট ইস্যুসহ এই আইনের অধীন প্রদেয় অন্যান্য সেবাসমূহ এবং সেইসব সেবার ফি নির্ধারণ;
(ছ) ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে তথ্য সংরক্ষণ এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার সংক্রান্ত বিষয়:
(জ) শিশুদের কল্যান এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার সংক্রান্ত বিষয়:
(ঝ) উপরি-উক্ত উদ্দেশ্যসমূহ পূরণকল্পে আবশ্যক আনুষাঙ্গিক অন্য কোন বিষয়;

২৪। রহিতকরণ, হেফাজত ও বরাত 

(১) এতদ্বারা The Bangladesh Passport Order, 1973 (President's Order No 9 of 1973 ) এবং (The Passport (Offences) Act, 1952 (Act No. LVI of 1952) রহিত করা হল।
(২) উক্তরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও রহিতকৃত আইনসমূহের অধীন ইস্যুকৃত কোন পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকিউমেন্ট, জারীকৃত আদেশ, প্রদানকৃত নির্দেশনা বা কৃত কোন কাজ-কর্ম বা দায়েরকৃত মামলা এই আইন প্রবর্তনের তারিখ হইতে এই আইনের আওতায় ইস্যুকৃত, প্রণীত, জারীকৃত, গৃহীত, কৃত বা দায়েরকৃত হয়েছে ইয়েলে গণ্য হবে এবং চলমান থাকবে।
(৩) অন্য কোন আইনে The Bangladesh Passport Order, 1973 (President's Order No 9 of 1973) এবং (The Passport (Offences) Act, 1952 (Act No. LVI of 1952) এর বরাত বা উল্লেখ থাকলে তা এই আইনের বা ক্ষেত্রমত, এর সংশ্লিষ্ট অংশবিশেষের প্রতি বরাত বা উল্লেখ হিসাবে, যথাযথ সংযোজন সাপেক্ষে (adaptation) পঠিত হবে।

২৫। আইনের প্রাধান্য 

এই আইন বলবৎ হওয়ার পর পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিষয়ে অন্য কোন আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন
এই আইনের বিধানাবলী প্রযোজ্য হবে।

২৬। আইনের ইংরেজীতে অনুদিত পাঠ 

এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার যথাশীঘ্র সম্ভব, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজীতে অনুদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রকাশ করবে; - তবে শর্ত থাকে যে, মূল বাংলা পাঠ এবং ইংরেজী পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাবে ।

শেষ কথা
পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে এবং সেই সাথে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কেউ পাসপোর্টের অপব্যবহার করলে তার তদন্ত এবং তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছেও সেগুলো বাংলাদেশ পাসপোর্ট আইন ২০১৭ এর মাধ্যমে আমাদের জানা প্রয়োজন। 
এতক্ষণ ধৈর্য ধরে এত বড়লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ভবিষ্যতে যে কোন প্রয়োজনের জন্য লেখাটি সংগ্রহ করে রাখতে পার। কোন মন্তব্য থাকলে কমেন্ট বক্সে লিখে জানাতে পারেন।


তথ্যসূত্র: সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুবিন পিডিয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url