ন্যাটোর (NATO) উদ্দেশ্য কি- ন্যাটোর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
বিশ্ব রাজনীতি সম্পর্কে জানার জন্যই হোক কিংবা সাধারণ জ্ঞান বৃদ্ধির জন্যই হোক ন্যাটো সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানার চেষ্টা করি। ন্যাটোর সম্পূর্ণ অর্থ জানলেও আরো বেশ কিছু বিষয়ে আমরা জানিনা, যেমন নাটোর উদ্দেশ্য কি।
আজকের এই লেখায় আমরা ন্যাটো এবং ন্যাটোর সাথে সম্পর্কিত বেশ কিছু বিষয় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। আশা করি পুরো লেখাটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
ন্যাটো
ন্যাটো (NATO) এর পূর্ণরূপ হচ্ছে North Atlantic Treaty Organisation বা উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংগঠন। ১৯৪৯ সালের ৪ই এপ্রিল এ প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল আটলান্টিক মহাসাগরের দুই পাশে অবস্থিত ১২টি দেশ নিয়ে। ন্যাটো একটি সামরিক সহযোগিতার জোট। ন্যাটো জোটভুক্ত প্রত্যেকটি দেশ একে অন্যকে সামরিকভাবে সাহায্য সহযোগিতা করতে বদ্ধপরিকর।
ন্যাটোর সদর দপ্তর বর্তমানে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অবস্থিত হলেও পূর্বে এর সদর দপ্তর ছিল ফ্রান্সের প্যারিসে। ন্যাটোর একটি নীতি বাক্য রয়েছে আর সেটি হল- “Animus in consulendo liber” যার অর্থ “মুক্ত মনে বিবেচনা করা”। ন্যাটোর সাথে “স্নায়ুযুদ্ধ” এবং “সোভিয়েত ইউনিয়ন” এই দুটি বিষয় নিবিড়ভাবে জড়িত। ন্যাটো সম্পর্কে জানতে হলে এই দুটি বিষয় সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা জরুরী।
শীতল যুদ্ধ বা স্নায়ুযুদ্ধ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে গোটা বিশ্ব যখন অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিকভাবে বিধ্বস্ত তখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ জোট বাঁধা শুরু করেছিল তাদের নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য। এরই ধারাবাহিকতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র রাষ্ট্র সমূহ এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন ও তার মিত্র রাষ্ট্র সমূহের মধ্যে মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব বা মানসিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলতে থাকে।
দুই গ্রুপের বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে কখনোই কোন সামরিক যুদ্ধ সংঘটিত হয়নি। তবে তাদের মধ্যে ব্যাপক আকারে ছিল পারস্পরিক অসহযোগিতার মনোভাব, অবিশ্বাস এবং অন্যকে হেয় করে নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার মনোভাব। মূলত এটিকেই বলা হয় স্নায়ুযুদ্ধ বা Cold War। ১৯৪০ সালের মাঝামাঝি থেকে ১৯৮০ সালের শেষ পর্যন্ত স্নায়ুযুদ্ধ বা শীতল যুদ্ধ স্থায়ী ছিল।
পুঁজিবাদ বা গণতন্ত্রের পক্ষে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র রাষ্ট্রসমূহ। অন্যদিকে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও তার মিত্র রাষ্ট্র সমূহ ছিল সমাজতন্ত্রপন্থী বা সাম্যবাদের পক্ষে। দুই গ্রুপের আদর্শ ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত ধর্মী- স্নায়ুযুদ্ধের এটি অন্যতম কারণ ছিল। স্নায়ু যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী দেশ ছিল ফ্রান্স, পশ্চিম জার্মানি, জাপান, কানাডা এবং যুক্তরাজ্য।
অন্যদিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের সহযোগী রাষ্ট্র ছিল চেকোস্লোভাকিয়া, পোল্যান্ড, পূর্ব জার্মানি, রোমানিয়া, হাঙ্গেরি এবং বুলগেরিয়া। এ রাষ্ট্রগুলোর বাইরে যে যেসব রাষ্ট্র এই দুই গ্রুপের কাউকেই সমর্থন দিত না তারা নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত হতো। সোভিয়েত ইউনিয়নের আকস্মিক পতনের মাধ্যমে স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে।
সোভিয়েত ইউনিয়ন
সোভিয়েত ইউনিয়ন ছিল একনায়ক তন্ত্রের একটি সমাজতান্ত্রিক দেশ। সহজ কথায় বলা যায় কয়েকটি সাম্রাজ্যের বেশ কয়েকটি রাষ্ট্র নিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন গঠিত হয়েছিল যেটি একটি একক রাষ্ট্র হিসেবে পৃথিবীতে আত্মপ্রকাশ করেছিল। তুর্কির ওসমানীয় সাম্রাজ্য, রুশ সাম্রাজ্যের রাশিয়া গণপ্রজাতন্ত্রী লুহানস্ক, জর্জিয়ার দক্ষিণ ওসেটিয়া আরমানিয়া সাম্রাজ্য সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
সোভিয়েত ইউনিয়ন কয়েকটি রাষ্ট্র মিলে একটি একক দলীয় রাষ্ট্র ছিল যেখানে কারো কোন ব্যক্তিগত সম্পদ বলে কিছু ছিল না অর্থাৎ সকলের সমস্ত সম্পত্তি রাষ্ট্রের অধীনে ছিল। এই সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র অর্থাৎ সোভিয়েত ইউনিয়নের রাজধানী ছিল মস্কো, তিবিলিসি ও ইয়েরেভান। ১৯১৮ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের স্থায়িত্ব ছিল।
সোভিয়েত ইউনিয়ন সম্পর্কে একটা আশ্চর্যের বিষয় হল, যতটা হাক ডাক করে এটি গঠন করা হয়েছিল ঠিক ততটাই নাটকীয় এবং আকস্মিকভাবে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তি ঘটে। ১৯৯১ সালের ডিসেম্বর মাসে সোভিয়েত ইউনিয়নের তিনটি প্রধান প্রজাতন্ত্র রাষ্ট্র যথা বেলারুশ, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের নেতাগণ একটি গোপন বৈঠক করেন এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্যান্য রাষ্ট্রের নেতাদেরকে না জানিয়ে একটি গোপন চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
পরে গোপন চুক্তির বিষয়ে জানাজানি হলে অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রগুলো প্রথমদিকে রাজি না হলেও পরবর্তীতে সোভিয়েত ইউনিয়ন বিলুপ্তির ব্যাপারে একাত্মতা ঘোষণা করে। এই গোপন চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে সোভিয়েত ইউনিয়নের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচভ পদত্যাগ করেন এবং তার এই পদত্যাগের সাথে সাথেই সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তি ঘটে।
বিলুপ্তির আগ পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের একমাত্র অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তির পর ১৫ টি রাষ্ট্রের পুনর্জন্ম হয়। সেগুলো হলো- রাশিয়া, লাতভিয়া, বেলারুশ, লিথুয়ানিয়া, তুর্কমেনিস্তান, এস্তোনিয়া, উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান, জর্জিয়া, আরমানিয়া, ইউক্রেন, মলদোভা, কিরগিজস্থান, তাজিকিস্তান, আজারবাইজান।
ন্যাটো প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ ন্যাটো প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব অনুভব করতে শুরু করেন। তারা মূলত নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে ন্যাটো প্রতিষ্ঠা করেন। তৎকালীন সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের হুমকি এবং বিভিন্ন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্যই ন্যাটো প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।
অবশ্যই পড়ুনঃ ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে স্মার্টফোনন্যাটোর সর্বপ্রথম মহাসচিব লর্ড ইসমের মতে তৎকালীন সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের মোড়ল তথা রাশিয়ানদের দূরে রাখা, মিত্র আমেরিকানদের কাছে এনে সাহায্য সহযোগিতা করা এবং জার্মানিদের দাবিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে ন্যাটো প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। তবে মূলত নেটো প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোকে বাইরের যেকোন শক্তির হামলা থেকে রক্ষা করা এবং নিজেদেরকে সামরিক শক্তিতে শক্তিশালী করে তোলা।
জোটভুক্ত যেকোনো একটি দেশের উপর হামলা হওয়ার অর্থ হলো ন্যাটোর উপর হামলা হওয়া এবং এই চুক্তি অনুযায়ী অন্যান্য দেশগুলো মিলে আক্রান্ত দেশকে সামরিকভাবে সাহায্য করে উদ্ধার করা।
ন্যাটোর সদস্য দেশ
বর্তমানে ন্যাটোর ৩৩ টি সদস্য রাষ্ট্র রয়েছে। এর মধ্যে ইউরোপ মহাদেশের ৩০ টি দেশ এবং উত্তরা আমেরিকা মহাদেশের দুটি দেশ রয়েছে। সর্বশেষ সদস্য সুদান ন্যাটোতে যোগদান করে গত ৭ মার্চ, ২০২৪ তারিখে।
ন্যাটো-ইউক্রেন-রাশিয়া সংকট
বর্তমানে রাশিয়া ইউরেন যুদ্ধের কথা আলোচনা করতে গেলে সবার সামনে চলে আসে ন্যাটো প্রসঙ্গ। মূলত ইউক্রেন-রাশিয়া-ন্যাটো-ইউরোপীয় দেশ একই সূত্রে গাথা। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সদস্য দেশ ছিল রাশিয়া এবং ইউক্রেন। রাশিয়ার সঙ্গে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব আজীবনের।
রাশিয়া বরাবরই চেয়ে আসছে তার প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেন যেন কখনোই নাটকে যোগদান করতে না পারে। রাশিয়ার ধারণা ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগদান করলে ন্যাটোর সামরিক সম্প্রসারণ ইউক্রেন পর্যন্ত চলে আসবে অর্থাৎ একদম রাশিয়ার কাছাকাছি চলে আসবে। এতে রাশিয়ার সামরিক শক্তি দুর্বল হবে এবং তার প্রতি চাপ বাড়বে।
তাই রাশিয়া চায় ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে চিরস্থায়ী ভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। রাশিয়া আরো চায় ন্যাটোর সকল ধরনের সামরিক সম্প্রসারণ বন্ধ করতে। তবে নেটওয়ার্ক রাশিয়ার এই যুক্তিকে অস্বীকার করে এবং মনে করে রাশিয়া ইউক্রেনের মত একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
ন্যাটো প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের যেকোনো আগ্রাসন কে মোকাবেলা করার জন্য। ইউরোপের দেশগুলো যেকোনো হামলা মোকাবেলার জন্য ন্যাটোকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছিল। প্রায় ৩-৪ দশক পরে ২০২২ সালের দিকে দেখা যায় মধ্য এবং পূর্ব ইউরোপের অনেক দেশে ন্যাটোর প্রভাব বেশ ভালোভাবেই বিস্তার লাভ করেছে।
ন্যাটোর এই প্রভাব বিস্তার লাভের অন্যতম কারণ হলো সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন। ফলে এটা স্পষ্ট যে রাশিয়ার খুশি হওয়ার কোন কারণ নেই। ন্যাটোর সামরিক প্রভাব যত রাশিয়ার কাছাকাছি পৌঁছাবে ততই সেটা রাশিয়ার জন্য হুমকি স্বরূপ হবে। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্র হলেও বর্তমানে ইউক্রেন, জর্জিয়া, বসনিয়া ন্যাটোর সদস্য পদ পেতে চায়।
আর প্রতিবেশী দেশগুলোর এই সিদ্ধান্তটি রাশিয়ার জন্য মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে চাইলেও এখন পর্যন্ত ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যপদ পাইনি। এর পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। প্রথমত, ন্যাটোর জোটভুক্ত প্রত্যেকটি দেশের সম্মতিতে নতুন একটি দেশ সদস্য পদ লাভ করে থাকে। কিন্তু বেশ কয়েকটি রাষ্ট্র ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্যপদ দিতে দ্বিধাগ্রস্থ।
দ্বিতীয়ত, ন্যাটোর সদস্য পদ পেতে হলে একটি রাষ্ট্রকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামরিকভাবে বেশ কিছু মানদন্ড পূরণ করতে হয় যেগুলো ইউক্রেন এখনো পূরণ করতে পারেনি। তৃতীয়ত, ন্যাটোর অনেক সদস্য রাষ্ট্র মনে করে ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্যপদ দিলে রাশিয়ার সাথে ন্যাটোর সরাসরি যুদ্ধ শুরু হবে।
সম্প্রতি ন্যাটোর কিছু কর্মসূচি
ন্যাটোর সর্বশেষ অর্থাৎ ৩২ তম সদস্য হিসেবে সুইডেন অনুমোদন পেয়েছে। সুইডেনের নেটওয়ার্ক সদস্য পদ লাভের পরে ভার্জিনিয়ার নকফোক বন্দর ছেড়ে ইউরোপের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের নৌ বাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ ইউএসএস “গানস্টন হল” রওনা দেয়। এ যাত্রার মধ্যে দিয়ে ন্যাটো জোটের ২০২৪ এর সামরিক মহড়ার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হল।
স্নায়ু যুদ্ধের পর ন্যাটোর এটি সবচেয়ে বড় কোন সামরিক মহড়া। এই সামরিক মহড়ার একমাত্র মূল উদ্দেশ্য হল জোটভুক্ত কোন দেশ আক্রান্ত হলে ন্যাটো কিভাবে হামলা করে সেই পরাশক্তিকে প্রতিরোধ করবে সেটি পরীক্ষা করা। ন্যাটোর যে প্রতিরক্ষা বিধি-বিধান রয়েছে তা কিভাবে কার্যকরী করা যায় সেটিরও একটি গবেষণা হয়ে যাবে এই মহড়াটিতে।
শেষ কথা
ন্যাটো মূলত প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল স্নায়ুযুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন এর বিভিন্ন হঠকারিতার প্রতি উত্তর দেয়ার জন্য। তবে স্নায়ুযুদ্ধ এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন এর বিলুপ্তি হলেও ন্যাটো এখনো টিকে রয়েছে। বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু সামরিক অভিযানে ন্যাটো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিস এর পার্থক্য | জানুন লক্ষন ও প্রতিকারউত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংগঠন বা ন্যাটো সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করলাম। আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াসে যদি আপনারা বিন্দুমাত্র উপকৃত হয়ে থাকেন তবে পরিচিতজনদের সাথে শেয়ার করতে পারেন আর নতুন কিছু জানার আগ্রহ থাকলে কমেন্ট বক্সে লিখে জানাতে পারেন।
মুবিন পিডিয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url