তীব্র গরমে সুস্থ থাকতে কী খাবেন
আবহাওয়া অত্যন্ত গরম। তীব্র তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ট হওয়ার উপক্রম। প্রচন্ড তাপে শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তিরা সহজে অসুস্থ হয়ে পড়ে। আবার প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরাও পিছিয়ে নেই অসুস্থ হওয়া থেকে। আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না তীব্র গরমে সুস্থ থাকতে কি খাব আর কি খাব না।
তীব্র গরমের সুস্থ থাকতে কি খাবেন আর কি খাবেন না এইসব বিষয়ে বিশদ আলোচনা করার চেষ্টা করব আজকের এই লেখায়। আশা করি বেশ কিছু তথ্য জানতে পারবেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ার অনুরোধ থাকলো।
গরমে সুস্থ থাকতে যা খেতে পারেন
তীব্র গরমে সুস্থ থাকতে চাইলে বেশ কিছু খাবারের বিধি নিষেধ রয়েছে। কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে আপনি উপকৃত হবেন আবার বেশ কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে আপনার শরীরে আরো ক্ষতি হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক তীব্র তাপদাহে কোন কোন খাবারগুলো শরীরের জন্য উপকারী।
তরল খাবার
প্রচন্ড গরমে আমাদের শরীরের প্রধান যে সমস্যা হয় সেটি হল শরীর থেকে ঘামের কারণে অতিমাত্রায় পানি এবং লবণ বের হয়ে যায় ফলে পানি শূন্যতা সৃষ্টি হয় এবং এটা থেকেই শরীরে বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দেয়। কাজেই গরমের দিনে সুস্থ থাকার অর্থ হল শরীরের পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি মজুদ রাখা। শরীরের পানির শূন্যতা দূর করতে আমরা বেশ কিছু তরল জাতীয় খাবার খেতে পারি। যেমন-
পানি
এই প্রচন্ড তাপদাহে সবচেয়ে বেশি যেটিকে খেতে হবে প্রয়োজনে এবং অপ্রয়োজনে সেটি হল বিশুদ্ধ পানি। প্রচন্ড গরমে সুস্থ থাকতে প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পানের বিকল্প কিছু নেই। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যত্রতত্র পানি পান করা উচিত নয়, সেটা বিশুদ্ধ কিনা যাচাই করে পান করতে হবে। এই তীব্র গরমে আমাদের শরীর থেকে প্রচুর ঘাম এবং প্রস্রাবের সাথে পানি, সোডিয়াম, পটাশিয়াম সহ বিভিন্ন খনিজ উপাদান বের হয়ে যায়।
তাই শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ এবং এসব খনিজ উপাদান পূরণে প্রচুর পানি পান করতে হবে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দৈনিক ৩ থেকে ৪ লিটার পানি পান করা উচিত। তীব্র গরমে পানির এই পরিমাণ আরো বাড়তে পারে। তবে কিডনি রোগীদের অবশ্যই চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে দৈনিক পানি পানের পরিমাণ।
আখের রস
শরীরকে ঠান্ডা রাখতে একটি অত্যন্ত কার্যকরী পানীয় হলো আখের রস। গরমের দিনে আখের রস যেকোনো জায়গায় পাওয়া যায় এবং এটি অনেক সহজলভ্য, দামে অনেক সস্তা। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবারই আখের রস পছন্দ। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এর গুনাগুন একদম ঠান্ডা। আখের রসের সাথে এক চিমটি লবণ এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেলে স্বাদ বেড়ে যায় দ্বিগুণ।
বেলের শরবত
আমাদের পেটের পরিবেশ ঠান্ডা রাখার অন্যতম হাতিয়ার হল বেলের শরবত। এটিও খুব সহজলভ্য এবং সস্তা একটি ফল কিন্তু গরমের দিনে এটি অত্যন্ত কার্যকারী। বেলে বিদ্যমান বিভিন্ন ভিটামিন যেমন ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২, ভিটামিন সি, খনিজ যেমন ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, প্রোটিন ইত্যাদি উপাদান পেট এবং শরীর ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।
লেবুর শরবত
সেই প্রাচীন কাল থেকে লেবুর শরবতের সাথে আমরা পরিচিত। এটি অত্যন্ত উপকারী এবং মুখরোচক একটি পানীয়। এক গ্লাস পানিতে লেবুর কয়েক ফোটা রস মিশিয়ে খেতে পারেন। আবার স্বাদ বাড়িয়ে দেবার জন্য চিনি অথবা লবণ যোগ করতে পারেন। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের চিনি না মেশানোই ভালো। লেবুর শরবত আমাদের ক্লান্তি ভাব দূর করে শরীরকে সতেজ রাখে।
জিরা পানি
কাঁচা জিরার একটি ঔষধি গুণ হচ্ছে এটি আমাদের হজমে সাহায্য করে। জিরা পানি স্বাদ কিছুটা নোনতা হওয়ায় এর সাথে চিনি বা মধু মেশালে স্বাদ অনেক বেড়ে যাবে। বর্তমানে আমাদের দেশে জিরা পানির কোমল পানীয় কিনতে পাওয়া যায়।
টক দই
স্বাদে মিষ্টি কিন্তু গুণে ঠান্ডা এমনই একটি খাবার হল টক দই। পেট ঠান্ডা রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে টক দই। শুধু টক দই খাওয়া ছাড়াও চিড়া, ভাত, রুটি দিয়ে, পানিতে গুলে টক দই খাওয়া যায়।
পুদিনার শরবত
মাঝারি আকারের চার থেকে পাঁচটি পুদিনা পাতা, কয়েক টুকরো বরফ, এক চিমটি বিট লবণ একসাথে ব্লেন্ড করে খেলে স্বাদ হবে অতুলনীয়। শরীরকে ঠান্ডা করতে এবং চাঙ্গা রাখতে পুদিনা শরবতের জুড়ি নেই।
পাতলা সুপ
শুধুমাত্র রোগীরাই যে সুপ খাবে ব্যাপারটি একদমই সেরকম নয়। সুস্থ মানুষও প্রত্যেকদিন সুপ খেতে পারে। অনেকে মনে করতে পারেন তীব্র গরমে স্যুপ খাওয়ার উপকারিতা আবার কি? স্যুপ শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ করার পাশাপাশি সহজে হজম হয়, আমাদের শরীরকে ঠান্ডা রাখে। বিভিন্ন সবজির স্যুপ খাওয়া যেতে পারে।
কাঁচা আমের শরবত
কাঁচা আমের শরবত খেলে শরীরে পানির ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ হয়। জিভে জল আসার মত একটি শরবত হল কাঁচা আমের শরবত। একটি কাঁচা আমকে টুকরো টুকরো করে কেটে স্বাদমতো বিট লবণ, চিনি, বরফ এবং পরিমাণ মতো পানি একসাথে ব্লেন্ড করে কাঁচা আমের শরবত খেতে পারেন। কাঁচা আমে বিদ্যমান ভিটামিন সি এবং ম্যাগনেশিয়াম শরীর সতেজ এবং ঠান্ডা রাখে।
ডাবের পানি
আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ইলেকট্রোলাইটের একটি ভালো উৎস হতে পারে ডাবের পানি। ডাবের পানি একদিকে যেমন আমাদের পানির ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে অন্যদিকে শরীরের ক্লান্তি ভাব দূর করে শরীরকে করে সতেজ।
স্যালাইন
তীব্র গরমে আমাদের শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে ঘাম বেরিয়ে যায় এবং এই ঘামের সাথে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম, পটাশিয়াম অর্থাৎ লবণ বের হয়ে যায়। ফলে আমাদের শরীরের দুর্বলতা দেখা দেয়। এই দুর্বলতা দূর করার জন্য এক গ্লাস পানিতে এক চিমটি লবণ এবং এক চিমটি চিনি ভালোভাবে নেড়ে স্যালাইন বানিয়ে খেতে হবে। এছাড়াও বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যালাইন কিনতে পাওয়া যায়।
বিভিন্ন ফল
গ্রীষ্মকালে বেশ কিছু সিজনাল ফল পাওয়া যায় যেগুলো এই তীব্র গরমে আমাদের শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করবে। তরমুজ একটি রসালো এবং সুস্বাদু ফল হাওয়ায় এর চাহিদা অনেক। তরমুজ খেলে পানির ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি শরীর সতেজ হয়। এরপরে বাঙ্গি খাওয়া যেতে পারে। খুব সহজলভ্য এবং সস্তা একটি ফল তবে আমাদের পেট ঠান্ডা রাখতে খুবই উপকারী এই বাঙ্গি।
এরপর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ফল হচ্ছে শসা। শসা কাচা লবণ দিয়ে খাওয়া যায়, শসা রান্না করে খাওয়া যায়, শসা চপ করে খাওয়া যায়। শশা একটি রসালো ফল এবং এটি আমাদের শরীর ঠান্ডা রাখে। ফল সাধারণত আমাদের শরীরের জন্য সব সময় ভালো। তাই গ্রীষ্মকালে অন্য যে ফল পাওয়া যায় সেগুলো খাওয়া যেতে পারে।
সবজি
গ্রীষ্মকালে বাজারে অনেক ধরনের সবজি পাওয়া যায় তার মধ্যে বেশ কিছু সবজি রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য উপকারী অর্থাৎ শরীরকে ঠান্ডা রাখতে কিছুটা হলেও সাহায্য করে। যেমন চালকুমড়া, সজনে ডাটা, লাউ, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, পটল ইত্যাদি।
এছাড়াও কাঁচা পেঁপে, ধুন্দল, শসা, টমেটো ইত্যাদিতে পানির পরিমাণ বেশি থাকায় এগুলো যেমন আমাদের পুষ্টি যোগায় তেমনি আমাদের পানির চাহিদা কিছুটা হলেও মেটায়। তাছাড়া মসুরের ডাল খাওয়া যেতে পারে এতে একদিকে আমিষের চাহিদা পূরণ হয় অন্যদিকে তরল খাবার খাওয়া হচ্ছে। কালাইয়ের ডাল আমাদের পেট ঠান্ডা রাখে।
গরমে সুস্থ থাকতে যে খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন
এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো গরমের দিনে খেলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে তো চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারগুলো আমরা গরমের দিনে এড়িয়ে চলব।
বিভিন্ন সফট ড্রিংস
প্রচন্ড গরমে একটু শান্তি পেতে আমরা সহজেই ঝুঁকে পড়ি বিভিন্ন সফট ড্রিংকস বা কোমল পানীয় পানের উপর। আমরা মনে করি বিভিন্ন কোমল পানীয় ফ্রিজ থেকে বের করে ঠান্ডা খেলে শরীর ঠান্ডা হয়ে যাবে। তবে এ ধারণা আসলে সঠিক নয়।
ফ্রিজ থেকে বের করা খুব ঠান্ডা পানীয় খেলে শরীরের ভেতরের তাপমাত্রার সাথে সামঞ্জস্য করতে পারে না বিধায় ঠান্ডা, কাশি, সর্দি, লাগার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে। তাছাড়া এসব সফট ড্রিংকস খাওয়ার পরে শরীরের পানির ঘাটতি দেখা দেয় ফলে আমাদের তৃষ্ণা অনুভূত হয়। আবার এসব সফট ড্রিংকসে সুগারের মাত্রা অনেক বেশি থাকায় ঘন ঘন এসব খেলে আমাদের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আইসক্রিম
তীব্র গরমে কোমল পানীয় পান করার মতো আইসক্রিম খেলেও একই ধরনের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আইসক্রিম অত্যন্ত ঠান্ডা অবস্থায় খেতে হয় বিধায় ঠান্ডা, সর্দির পাশাপাশি গলা ব্যথা, টনসিল ব্যথা হয়। কোমল পানীয়র মতো আইসক্রিমও শরীরে পানি শূন্যতা সৃষ্টি করে। তাই বোঝা যাচ্ছে শরীর ঠান্ডা করার জন্য আইসক্রিম খেলেও আসলে শরীর ঠান্ডা না হয়ে আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়।
ফাস্টফুড
আমাদের শরীরের জন্য আরেকটি ভিলেন হচ্ছে ফাস্টফুড। এই ফাস্টফুড দেখতে এবং খেতে অত্যন্ত চমৎকার হলেও এর গুনাগুন অত্যন্ত ভয়ংকর। যেকোনো ধরনের ফাস্টফুড সুস্বাদু করার জন্য এতে প্রচুর পরিমাণে শর্করা, সুক্রোজ, চিনি, ফ্যাট মেশানো হয় যেগুলো হজম হতে প্রচুর সময় লাগে এবং মাঝে মাঝে বদ হজমের সমস্যা সৃষ্টি করে। তাই পিজ্জা, বার্গার, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, ফ্রাইড চিকেন ইত্যাদি ফাস্টফুড এড়িয়ে চলুন।
ভাজাপোড়া খাবার
বাসায় কিংবা রেস্টুরেন্টে অথবা রাস্তার ধারে ফুটপাতে ভাজাপোড়া খাবার দেখলে আমাদের জিভে জল আসতে বাধ্য। কিন্তু এসব ভাজাপোড়া খাবার যতটা মুখরোচক ততটাই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বাইরের এসব খাবার অনেক দিনের বাসি, পচা বা বকেয়া তেলে ভাজা হয় বলে পেটে বদহজম হতে পারে, একই সাথে আমাদের শরীরে পানি শূন্যতা সৃষ্টি করে। তাই তীব্র গরমে পেট ঠান্ডা রাখতে এসব ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন।
চা কফি
তীব্র গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে যতটা সম্ভব ঠান্ডা বা স্বাভাবিক তাপমাত্রার খাবার খাওয়া উচিত। চা বা কফির মত গরম পানীয় পান করা মোটেও উচিত নয়। চা বা কফি গরম খেতে হয় এবং শরীরে এটি প্রবেশ করলে শরীর আরো গরম করে তোলে।
অতিরিক্ত মসলা জাতীয় খাবার
সুস্বাদু এবং মুখরোচক খাবারের কথা বললে প্রথমেই মনে আসে মসলাযুক্ত খাবারের কথা। তবে তীব্র গরমে আপনি যদি সুস্থ থাকতে চান তবে অবশ্যই অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার বাদ দিতে হবে। কিছু কিছু মসলার গুনাগুন গরম এবং অনেকগুলো মসলা একসাথে মিশে শরীরের জন্য অস্বস্তিকর অবস্থায় সৃষ্টি করে যার ফলে হজম প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে। তাই যতটুকু মসলা না দিলেই নয় ঠিক ততটুকু মসলা দিয়েই বাসায় খাবার রান্না করে খেতে হবে।
তেল চর্বিযুক্ত খাবার
যেকোনো ধরনের মাংস যেমন খাসি, গরু, হাঁস, মুরগি, ভেড়া ইত্যাদির মাংস অতিমাত্রায় চর্বিযুক্ত হওয়ায় এগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য সবসময় ভালো হয় না বিশেষ করে তীব্র গরমে। এ মাংসগুলো পছন্দ করে না এরকম মানুষ পৃথিবীতে বিরল। তবে অত্যন্ত পছন্দের এবং মুখ খাবার হলেও তীব্র গরমে শরীর সুস্থ রাখতে চাইলে এসব খাবারকে এড়িয়ে যেতে হবে।
আবার কোন অনুষ্ঠানে দাওয়াত পেলেও খেয়াল রাখতে হবে শরীরের কথা। তাই পরিমিত পরিমাণে যতটা সম্ভব কম খাওয়া যায় খেতে হবে। একই সাথে বাসায় তৈরি বা রেস্টুরেন্টে অথবা কোন অনুষ্ঠানে তেহারি, কাচ্চি বিরিয়ানী, মোরগ পোলাও, বিরিয়ানি এসব তেল যুক্ত খাবারও এড়িয়ে চলা উচিত।
অতিরিক্ত লবণ
মানব শরীরের চিরশত্রু অতিরিক্ত লবণ এবং চিনি। এ দুইটা জিনিস বেশি খেলে শরীরের যেকোনো ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে যেমন কিডনির সমস্যা ডায়াবেটিসের মত সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ বা নিম্ন রক্তচাপের সৃষ্টি হওয়া ইত্যাদি। তীব্র গরমে যেহেতু শরীর এবং পেট ঠান্ডা রাখতে হয়, তাই পাতে অতিরিক্ত লবণ এবং যেকোনো খাবারে অতিরিক্ত চিনি এড়িয়ে চলুন। বাইরের যে কোন প্রক্রিয়াজাতকরণ খাবারকে না বলুন।
শেষ কথা
শরীরটা যেহেতু আমাদের তাই আমাদেরকেই বেছে নিতে হবে কিভাবে আমাদের শরীর সুস্থ থাকবে এই তীব্র গরমে। আবার তীব্র গরমের কারণে আমরা সব সময় বাসায় বসে থাকতে পারবো না, আমাদের বাইরে যেতেই হবে, কাজ করতেই হবে। এক্ষেত্রেও সুস্থ থাকাটা খুবই জরুরী। প্রচন্ড তাপদাহে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য বেশ কিছু টিপস শেয়ার করা হলো।
এতক্ষণ সময় খরচ করে ধৈর্য নিয়ে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ভালো লেগে থাকলে পরিচিতজনদের সাথে শেয়ার করতে পারেন আর নতুন কিছু জানার আগ্রহ থাকলে কমেন্ট বক্সে লিখে জানাতে পারেন।
মুবিন পিডিয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url