জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থাসমূহ

সমগ্র বিশ্বের বিভিন্ন জাতির কল্যাণে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জাতিসংঘ। তবে সব রকমের জনকল্যাণমূলক কাজ জাতিসংঘ একা করে থাকে না। জাতিসংঘের অধীনস্থ বিভিন্ন সংস্থা এসব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানবো জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থাসমূহ সম্পর্কে। 
জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থাসমূহ

"সাধারণ জ্ঞান" এর আজকের এ পর্বে জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থাসমূহ এর সংক্ষিপ্ত তথ্য জানানোর চেষ্টা করেছি। আপনাদের সুবিধার্থে সংস্থাগুলোর সকল তথ্য এক জায়গায় একত্রিত করে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি, আশাকরি উপকৃত হবেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।

জাতিসংঘ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যেসব রাষ্ট্র বিজয় লাভ করেছিল তারা একত্র মিলে একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করে যেটি তাদের পরবর্তীতে বিভিন্ন যুদ্ধ ও সংঘাত থেকে রক্ষা করার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় “লীগ অফ নেশন্স” যেটি কয়েক বছর পরে বিভিন্ন কারণে বিলুপ্ত হয়। 

এরপর ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর লীগ অফ নেশন্স এর জায়গায় আরেকটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয় যেটির নাম দেয়া হয় “ইউনাইটেড নেশন্স” বা “জাতিসংঘ”। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে জাতিসংঘের মোট সদস্য রাষ্ট্র ছিল ৫১ টি, বর্তমানে সে সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৯৩ এ। জাতিসংঘের সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থিত। 

সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পাঁচটি রাষ্ট্র স্থায়ী অর্থাৎ কেবল এই পাঁচটি রাষ্ট্রেরই ক্ষমতা রয়েছে যে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে ভেটো প্রদানের। রাষ্ট্রগুলো হল রাশিয়া, চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্স। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ পদের অধিকারী ব্যক্তি হলেন মহাসচিব। জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব পর্তুগালের নাগরিক অ্যান্টোনিও গুতারেস।

জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গ সংস্থা

জাতি বর্ণ নির্বিশেষে প্রান্তিক পর্যায়ের হতদরিদ্র, অসহায় মানুষ থেকে শুরু করে উন্নত বিশ্বের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য জাতিসংঘ সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে। কাজের সুবিধার নিমিত্তে বর্তমানে বেশ কিছু সংখ্যক অঙ্গ সংস্থা চালু রয়েছে জাতিসংঘে। 

জাতিসংঘের মূল অঙ্গ সংস্থা রয়েছে মোট ছয়টি, সেগুলো হলো- সাধারণ পরিষদ, নিরাপত্তা পরিষদ, সচিবালয়, অছি পরিষদ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ এবং আন্তর্জাতিক আদালত। এ ছয়টি মূল অঙ্গ সংস্থার অধীনে আরো ১৫টি বিশেষায়িত সংস্থা কার্যকরী ভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। যেমন
  • বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
  • খাদ্য ও কৃষি সংস্থা
  • আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা
  • বিশ্ব ব্যাংক
  • জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা
  • বিশ্ব মেধা সম্পদ সংস্থা
  • বিশ্ব পর্যটন সংস্থা
  • আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল
  • বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা
  • আন্তর্জাতিক সমুদ্র চলাচল সংস্থা
  • আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন
  • আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা
  • আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল
  • জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থা
  • বিশ্ব ডাক ইউনিয়ন
জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থাসমূহ

এ সংস্থা গুলোর মধ্যে থেকে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বিশেষায়িত সংস্থা সম্পর্কে আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব।

জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থাসমূহ

জাতিসংঘের নাম এবং এর কার্যাবলী সম্পর্কে আমরা কম বেশি সবাই জানি। তবে জাতিসংঘ শুধুমাত্র একটি প্রতিষ্ঠান নয়, জাতিসংঘের অধীনে আরো বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো বিভিন্ন লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে থাকে জনকল্যাণে। এ প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয় জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা। আজকের আর্টিকেলে জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থাসমূহ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা নেয়ার চেষ্টা করব অর্থাৎ কোন সংস্থা কি কাজ করে। তো চলুন বিষয়গুলো জেনে নেই।

খাদ্য ও কৃষি সংস্থা

Food & Agricultural Organisation

প্রতিষ্ঠিত হয়

১৬ অক্টোবর, ১৯৪৫

সদর দফতর

রোম, ইতালি

সংস্থা প্রধান

কু ডোঙ্গিউ, মহাপরিচালক (চীন) 

সংক্ষিপ্ত নাম

FAO

উদ্দ্যেশ্য

উন্নত এবং উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোকে কৃষির আধুনিকরণ, উন্নত বন এবং মৎস্য চাষে সাহায্য করে সকল মানুষের জন্য পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

সদস্য সংখ্যা

১৯৫ টি রাষ্ট্র (ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ)

ভাষা

ইংরেজি, ফরাসি, স্প্যানিশ

স্লোগান

fiat panis অর্থ “রুটি হোক”

বাংলাদেশের

সদস্য পদ লাভ

১২ অক্টোবর, ১৯৭৩



বিশ্ব ডাক ইউনিয়ন

Universal Postal Union

প্রতিষ্ঠিত হয়

৯ অক্টোবর, ১৮৭৪

সদর দফতর

বার্ন, সুইজারল্যান্ড

সংস্থা প্রধান

মাসিকো মেটোকি, মহাসচিব (জাপান)

সংক্ষিপ্ত নাম

UPU

উদ্দ্যেশ্য

বিশ্বব্যাপী ডাক ব্যবস্থার উন্নয়ন

সদস্য সংখ্যা

১৯২ টি রাষ্ট্র

ভাষা

ইংরেজি, ফরাসি, স্প্যানিশ

বাংলাদেশের

সদস্য পদ লাভ

৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৩

বি: দ্র: ৯ অক্টোবর বিশ্ব ডাক দিবস হিসেবে পালিত হয়।

বিশ্ব পর্যটন সংস্থা

World Tourism Organization 

প্রতিষ্ঠিত হয়

১৯৭৫

সদর দফতর

মাদ্রিদ, স্পেন

সংস্থা প্রধান

তালেব রিফাই, মহাসচিব (জর্ডান)

সংক্ষিপ্ত নাম

WTO 

উদ্দ্যেশ্য

বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক পর্যটনের সকল তথ্য সংগ্রহ করে এবং পরিসংখ্যানগত তথ্য বিতরণ করে থাকে। বৈশ্বিক পর্যটনের মানদন্ড নির্ধারণ করে থাকে।

সদস্য সংখ্যা

১৫৯ টি রাষ্ট্র

ভাষা

আরবী, ইংরেজি, ফরাসি, রুশ, স্প্যানিশ 

বাংলাদেশের

সদস্য পদ লাভ

১ জানুয়ারি, ১৯৯৫



বিশ্ব ব্যাংক

World Bank 

প্রতিষ্ঠিত হয়

জুলাই, ১৯৪৪

সদর দফতর

ওয়াশিংটন ডি.সি, যুক্তরাষ্ট্র

সংস্থা প্রধান

অজয় বাঙ্গা, প্রেসিডেন্ট (যুক্তরাষ্ট্র)

সংক্ষিপ্ত নাম

WB 

উদ্দ্যেশ্য

বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বিমোচনের পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলোর উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের জন্য ঋণ ও অনুদান প্রদান করে থাকে। 

সদস্য সংখ্যা

১৮৯ টি রাষ্ট্র

ভাষা

আরবী, ইংরেজি, ফরাসি, রুশ, স্প্যানিশ

বাংলাদেশের

সদস্য পদ লাভ

১৭ আগস্ট, ১৯৭২



আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল

International Monetary Fund

প্রতিষ্ঠিত হয়

২২ জুলাই, ১৯৪৪

সদর দফতর

ওয়াশিংটন ডি.সি (যুক্তরাষ্ট্র)

সংস্থা প্রধান

ত্রিস্তালিনা জর্জিয়েভা, মহাপরিচালক (বুলগেরিয়া)

সংক্ষিপ্ত নাম

IMF

উদ্দ্যেশ্য

সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মুদ্রানীতি এবং মুদ্রামানের হ্রাস বৃদ্ধি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা।

সদস্য সংখ্যা

১৯০ টি রাষ্ট্র

ভাষা

ইংরেজি, ফরাসি, স্প্যানিশ

বাংলাদেশের

সদস্য পদ লাভ

১৭ আগস্ট, ১৯৭২



জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা   

The United Nations Educational Scientific 

and Cultural Organisation

প্রতিষ্ঠিত হয়

৪ নভেম্বর, ১৯৪৫

সদর দফতর

প্যারিস, ফ্রান্স

সংস্থা প্রধান

আদ্রে আজুলে, মহাপরিচালক (ফ্রান্স) 

সংক্ষিপ্ত নাম

UNESCO

উদ্দ্যেশ্য

সদস্য রাষ্ট্রসমূহের বিজ্ঞান, শিক্ষা ও সংস্কৃতির উন্নয়ন ও প্রসার ঘটানোর মাধ্যমে মানুষের জীবনের উন্নয়ন ঘটানো। 

সদস্য সংখ্যা

১৯৫ টি রাষ্ট্র

ভাষা

আরবী, ইংরেজি, ফরাসি, রুশ, স্প্যানিশ

বাংলাদেশের

সদস্য পদ লাভ

১৯৭২



বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

World Health Organization

প্রতিষ্ঠিত হয়

৭ এপ্রিল, ১৯৪৮

সদর দফতর

জেনেভা, সুইজারল্যান্ড

সংস্থা প্রধান

টেডরস আধানম ঘেব্রেইয়েসুস, মহাপরিচালক (ইথিওপিয়া) 

সংক্ষিপ্ত নাম

WHO 

উদ্দ্যেশ্য

আন্তর্জাতিক জনসাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

সদস্য সংখ্যা

১৯৪ টি রাষ্ট্র

ভাষা

ইংরেজি, ফরাসি, রুশ, স্প্যানিশ

বাংলাদেশের

সদস্য পদ লাভ

১৭ মে, ১৯৭২



আন্তর্জাতিক সমুদ্র চলাচল সংস্থা

International Maritime Organization

প্রতিষ্ঠিত হয়

১৯৪৮

সদর দফতর

লন্ডন, যুক্তরাজ্য

সংস্থা প্রধান

কিতাক লিম, মহাসচিব (দক্ষিণ কোরিয়া) 

সংক্ষিপ্ত নাম

IMO

উদ্দ্যেশ্য

সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে সমুদ্র চলাচল সংক্রান্ত যেকোনো বিষয় তদারকি করা।

সদস্য সংখ্যা

১৭৬ টি রাষ্ট্র

ভাষা

ইংরেজি, ফরাসি, রুশ, স্প্যানিশ

বাংলাদেশের

সদস্য পদ লাভ

১৯৭৬


জাতিসংঘ জরুরী শিশু তহবিল

United Nations International Children's 

Emergency fund

প্রতিষ্ঠিত হয়

১১ ডিসেম্বর, ১৯৪৬

সদর দফতর

নিউ ইয়র্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

সংস্থা প্রধান

ক্যাথরিন এম রাসেল, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (নিউ জার্শি)

সংক্ষিপ্ত নাম

UNICEF

উদ্দ্যেশ্য

সদস্য রাষ্ট্রসমূহের শিশুদের উন্নতি ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা।

সদস্য সংখ্যা

১৯২ টি রাষ্ট্র

ভাষা

আরবী, ইংরেজি, ফরাসি,  স্প্যানিশ


বি: দ্রঃ শিশুদের উন্নয়নমূলক অবদানের কারণে ১৯৬৫ সালে ইউনিসেফ নোবেল শান্তি পুরস্কার পায়

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি

United Nations Development Program

প্রতিষ্ঠিত হয়

২২ নভেম্বর, ১৯৬৫

সদর দফতর

নিউইয়র্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

সংস্থা প্রধান

Achim Steiner, এডমিনিস্ট্রেটর (ব্রাজিল)

সংক্ষিপ্ত নাম

UNDP

উদ্দ্যেশ্য

উন্নয়নশীল দেশ সমূহের সম্পদের পরিকল্পিত ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং সম্পদ আহরণে যথাযথ সাহায্য প্রদান। 

সদস্য সংখ্যা

১৭৭ টি রাষ্ট্র

ভাষা

ইংরেজি, ফরাসি, স্প্যানিশ



আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা

International Labour Organization 

প্রতিষ্ঠিত হয়

১১ এপ্রিল, ১৯১৯

সদর দফতর

জেনেভা, সুইজারল্যান্ড

সংস্থা প্রধান

গাই রাইডার, মহাপরিচালক (ব্রিটেন)

সংক্ষিপ্ত নাম

ILO 

উদ্দ্যেশ্য

কর্ম ক্ষেত্রে কর্মচারী- শ্রমিকদের উন্নতি এবং তাদের সুযোগ সুবিধার সমতা বিধান করা। 

সদস্য সংখ্যা

১৮৭ টি রাষ্ট্র

ভাষা

আরবী, ইংরেজি, ফরাসি,  স্প্যানিশ

বাংলাদেশের

সদস্য পদ লাভ

২২জুন, ১৯৭২


বি: দ্রঃ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা ১৯৪৬ সালে ১৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের প্রথম বিশেষায়িত সংস্থার মর্যাদা লাভ করে।
১৯৬৯ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করে।

মন্তব্য

জাতিসংঘ মূলত প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল শান্তি প্রতিষ্ঠা, উন্নতি সাধন এবং যুদ্ধ বিবাদ এড়ানোর জন্য। তবে প্রথম দুটিতে যথেষ্ট সফলতা থাকলেও যুদ্ধ নিরসনে জাতিসংঘের ভূমিকা বরাবরই বিতর্কিত। বিভিন্ন ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের ক্ষমতা প্রয়োগে এবং ভেটো প্রদানের মাধ্যমে যুদ্ধ নিরসনে কোন কার্যকর ভূমিকাই নিতে পারেনা জাতিসংঘ।

যাইওহোক, জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থাসমূহ সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করলাম। এতক্ষণ ধৈর্য নিয়ে লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। লেখায় কোন ভুল ভ্রান্তি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি এবং লেখাটি ভালো লেগে থাকলে প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করবেন আর নতুন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট বক্সে লিখে জানাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুবিন পিডিয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url