হজ পালনে যাবার আগে ১০ টি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন কি?
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে হজ একটি। হজ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অত্যাবশ্যকীয় পালনীয় ইবাদত। আর্থিক এবং মানসিকভাবে সক্ষম হলে একজন বান্দাকে অবশ্যই হজ পালন করতে হবে এটা আমরা মোটামুটি সবাই জানি। কিন্তু হজ পালনের আগে পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে যেগুলোর দিকে আমরা অনেকেই দৃষ্টিপাত করি না।
ইসলামিক পোস্ট এর এই পর্বে আজকে আমরা জানব হজ পালনে যাবার আগে দশটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ যেগুলো সম্পাদন করতে পারলে হজের আগে এবং পরে, দুনিয়া এবং আখিরাতে, সামাজিক, ধর্মীয় এবং পারিবারিকভাবে সবদিক থেকেই আপনি হবেন উপকৃত এবং সফল।
পবিত্র হজ পালনে যাবার আগে ১০ টি গুরুত্বপূর্ণ কাজ
এমন হয়তো কিছু পাঠক রয়েছেন যারা লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে হজ করতে যান, যারা অন্তর থেকে আল্লাহ সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজে যাওয়ার নিয়ত করেননি, যাদের অনেক টাকা পয়সা আছে বিদেশ না ঘুরে সৌদি আরব ঘুরতে যাচ্ছেন, যারা সমাজে একটু আলাদা সম্মান পেতে চান তাদের জন্য আজকের এই লেখাটি নয়। দুঃখিত, আপনারা এই লেখাটিকে এড়িয়ে যেতে পারেন।
তবে আজকের লেখাটি আমার সেই সব পাঠকদের জন্য যারা বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে হয়তো সাধারণ কিন্তু খুবই প্রয়োজনীয় কিছু বিষয় খেয়াল করছেন না কিন্তু চেষ্টা করছেন সঠিক নিয়তে এবং সঠিকভাবে পবিত্র হজ পালন করার। আপনাদের অনুরোধ করছি একটু সময় নিয়ে বিষয়গুলো জানার। চলুন জেনে নেওয়া যাক পবিত্র হজ পালন করার পূর্বে দশটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা পালন করা অত্যাবশ্যকীয় এবং যেগুলো মেনে চললে আপনাদের হজ পরবর্তী জীবন আরো সফল হবে।
নিজের আচরণ সংযত করা
প্রথমে আপনাকে আত্ম মূল্যায়নের মাধ্যমে যাচাই করতে হবে আপনার আচরণ সংযত কিনা অর্থাৎ আপনি আচার-আচরণে নম্র, ভদ্র এবং মিষ্টভাষী কিনা। ধরুন আপনি বাজার করতে গিয়ে মাছ কিনে এনেছেন। বাসায় এনে দেখলেন মাছগুলো কিছুটা পচা। আপনি হয়তো খেয়াল করেননি। সাথে সাথেই মাছ বিক্রেতাকে একটা গালি দিয়ে দিলেন এবং এর পরবর্তীতে আরো দু চারজনকে সাথে নিয়ে সে মাছ বিক্রেতাকে গালিগালাজের সাথে মারধর করলেন।
আবার ধরুন আপনি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন, সামনে কিছু অটো এবং মোটরসাইকেল এমন ভাবে দাঁড়িয়ে আছে যে হেঁটে যাওয়ার রাস্তা নেই। আপনি সাথে সাথে উত্তেজিত হয়ে দু'চারটা বাজে কথা বলে ফেললেন। এই ধরনের আচরণ যদি আপনার হয়ে থাকে তবে এখনই সাবধান হতে হবে। হজ পালন করে এসে এই ধরনের আচরণ ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী এবং সমাজের চোখে অত্যন্ত দৃষ্টিকটু।
বিভিন্ন বদ অভ্যাস পরিত্যাগ করা
প্রত্যেকটা মানুষেরই কম বেশি বিভিন্ন বদ অভ্যাস থাকে তবে বুদ্ধিমানের কাজ হচ্ছে সে বদ অভ্যাস গুলোকে ধীরে ধীরে পরিহার করার চেষ্টা করা। হজের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে এ বদ অভ্যাস গুলোকে অবশ্যই আপনাকে বাদ দিতে হবে।
হুটহাট করে মিথ্যা বলা, অল্পতেই যে কোন সময় রেগে যাওয়া, যাকে পছন্দ হলো না সহজেই তার নামে নিন্দা করা অর্থাৎ গীবত করা, সন্তান-সন্ততির উপর অল্পতেই রেগে গিয়ে গায়ে হাত তোলা, টিভিতে বা মোবাইলে গান বাজনা দেখতে ভালোলাগা, মনের অজান্তেই গুনগুন করে গান গাওয়া, খুব বেশি পরিমাণে পরিচিতজনদের সাথে আড্ডা দিতে ভালো লাগা ইত্যাদি এ ধরনের আরও বেশ কিছু বদ অভ্যাস যদি আপনার থেকে থাকে তবে হজ পালনে যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই এগুলোকে পরিহার করার চেষ্টা করুন।
মনোযোগের সাথে ইবাদত করা
বর্তমানে অনেক নামাজী ব্যক্তিকে দেখা গেলেও তাদের মধ্যে বেশ কিছু মানুষ আছে যারা লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ে। আপনাকে নিজেকেই যাচাই করতে হবে যে আপনি এই দলের অন্তর্ভুক্ত কিনা। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে কোন ইবাদত পছন্দ করেন না এবং কবুল করেন না।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি সিয়াম পালন করা, গরীব-দুঃখীকে সাহায্য সহযোগিতা করা, দান সদকা করা, মানুষকে ভালো পরামর্শ বা উপদেশ দেয়া ইত্যাদি এ ধরনের সকল কাজই হতে হবে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে। আমাদের সকলেরই মনে রাখা উচিত আল্লাহ অন্তর্যামী অর্থাৎ আমরা মনে কি চিন্তা ভাবনা করছি আল্লাহ সেটা অবশ্যই জানেন।
প্রতিবেশী এবং আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে বিদায় নেয়া
হজে যাবার পূর্বে প্রতিবেশী এবং আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে হাজিগন বিদায় নিয়ে থাকেন। তবে বিদায় নিতে গিয়ে আপনার মনোভাব এমন হওয়া উচিত হবে না যে - গত বছর আপনারা হজ করতে গেছিলেন, দেখেন এই বছর আমরাও হজে যাচ্ছি। অথবা আল্লাহ আমাদের অনেক টাকা পয়সা দিয়েছে যাই একটু সৌদি আরব ঘুরে আসি।
না, এই ধরনের চিন্তাভাবনা মনে একদমই রাখা যাবে না। আপনি জানেন না আপনি হজ করে দেশে ফেরত আসবেন কি না। কাজেই প্রতিবেশী এবং আত্মীয়-স্বজনের কাছে বিদায় নেওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য হলো তাদের কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া, তাদের সাথে যদি কখনো কোন ভুলভ্রান্তি করে থাকেন তাহলে তারা যেন আপনাকে ক্ষমা করে দেন।
নিজে সম্পূর্ণরূপে ইসলামী বিধান অনুযায়ী জীবন যাপন করা
আপনি হজ পালন করতে যাচ্ছেন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য এবং নিজের পাপ মোচনের জন্য। দুনিয়াতে কিভাবে চললে আপনি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবেন সে জ্ঞানটুকু মহান আল্লাহতালা আপনাকে দিয়েছেন। এখন শুধুমাত্র নিজের ইচ্ছা শক্তির জোরে আপনাকে সেই অনুযায়ী আপনার জীবনটা পরিচালনা করতে হবে।
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ যথা কালেমা, সালাত, যাকাত, রোজা এবং হজ আপনার মধ্যে আছে কিনা যাচাই করে দেখুন। অর্থাৎ যাচাই করুন আপনি ঈমানের সাথে নামাজ পড়েন কিনা, যাকাত প্রদান করেন কিনা, রোজা রাখছেন কিনা এবং ঈমানের সাথে আপনি হজ করতে যাচ্ছেন কিনা।
সম্পূর্ণ ইসলামী বিধান অনুযায়ী জীবন যাপন করার জন্য বিজ্ঞ কোন আলেমের পরামর্শ নিতে পারেন অথবা হাদিসের বই কিনতে পারেন অথবা মোবাইলে হাদিসের বিভিন্ন অ্যাপ পাওয়া যায়, সেগুলো থেকেও আপনি ইসলামিক বিধি নিষেধের অনেক কিছু জানতে পারবেন।
সন্তানদের ইসলামী বিধান অনুযায়ী জীবন যাপন করতে নির্দেশ দেয়া
আপনি নিজে যদি ইসলামী বিধান অনুযায়ী জীবন যাপন না করেন তবে আপনি আপনার পরিবার-পরিজনদের সেই পরামর্শ দিবেন কিভাবে? মনে রাখতে হবে আপনার নেক এবং সৎ সন্তানের উসিলায় পাপী বান্দা হওয়া সত্ত্বেও আল্লাহ দয়া করলে আপনার জান্নাতে যাওয়ার সুযোগ থাকতে পারে।
ঠিক একইভাবে আপনি ইবাদত বন্দেগী করে অনেক নেকি অর্জন করার পরেও আপনার অবাধ্য বেয়াড়া সন্তানের অনৈতিক এবং ইসলামী শরিয়াহ বিরোধী কর্মকাণ্ডের কারণে আপনাকে জাহান্নামে যেতে হতে পারে। আপনার ছেলে মেয়ে যদি ইসলামের পথে আসতে না চায়, ইসলামের বিধি নিষেধ মানতে না চায় তবে তাদের বুঝান, শাসন করুন, প্রয়োজনে প্রহার করুন।
মন থেকে সকল ধরনের অহংকার দূর করার চেষ্টা করা
হজ পালন করতে যাচ্ছেন সবাই আপনাকে আলাদা সম্মান দিচ্ছে, সমাজে আপনার একটা সম্মানের জায়গা হয়েছে আলাদাভাবে আপনি গণ্যমান্য ব্যক্তিদের তালিকায় উঠে এসেছেন ইত্যাদি বিষয়ে চিন্তা করে যদি আপনার মনে বিন্দুমাত্র অহংকার বা গর্ব হয়ে থাকে তবে এখনই সেটা মন থেকে ঝেড়ে ফেলুন।
কারো অন্তরে যদি সরিষার দানা সমান অহংকার থেকে থাকে তবে আল্লাহ সে বান্দার প্রতি অসন্তুষ্ট হন এবং তার জন্য জান্নাত হারাম হয়ে যায়। প্রকৃত ঈমানদার এবং নেককার বান্দা সব সময় ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে থাকে এই ভেবে যে, হজ পালন করতে গিয়ে হজের সমস্ত কার্যাবলী সঠিকভাবে পালন করে মহান আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে পারবে কিনা। আবার সবকিছু ঠিকঠাক করার পরেও মহান আল্লাহ সে বান্দার হজ কবুল করবে কিনা।
হজ পালনের পর নামের সাথে ‘আলহাজ্ব’ ব্যবহার না করা
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই বিষয়টি অত্যন্ত স্পষ্ট। এই বিষয়ে যদি জরিপ করা যায় তাহলে দেখা যাবে ১০ জন ব্যক্তির মধ্যে নয়জন ব্যক্তিই হজ পালন করার পরে নামের সামনে “আলহাজ্ব” শব্দটি জুড়ে দেয়। বাংলাদেশ ব্যতীত আর অন্য কোন মুসলিম দেশে এই “নির্বোধ প্রচলনটি” চালু আছে কিনা আমার জানা নেই।
প্রথমত, আপনার নামের পূর্বে ‘আলহাজ্ব’ শব্দটি যোগ করার মাধ্যমে আপনি অহমিকা প্রকাশ করছেন। দ্বিতীয়তঃ একবার ভেবে দেখুন তো হযরত আলী (রাঃ), হযরত ওমর (রা:), হযরত মুহাম্মদ (সা:) এই ব্যক্তিবর্গ আল্লাহর নিকট অত্যন্ত প্রিয় বান্দা ছিলেন এবং ইনারা এতটাই নেককার ছিলেন যে বলাই যায় ইনাদের হজ আল্লাহ কবুল করেছেন।
অবশ্যই পড়ুন
কিন্তু তাদের নামের আগে কি কখনো ‘আলহাজ্ব’ শব্দটি দেখতে পেয়েছি আমরা? না, ভুলবশতও কখনো দেখতে পাইনি। কারণ তারা ইসলামিক জ্ঞানে জ্ঞানী ছিলেন এবং তাদের মধ্যে কোন অহংকার ছিল না। আশা করছি ব্যাপারটি বুঝতে পেরেছেন এবং মনে মনে যদি পরিকল্পনা নিয়েও থাকেন এমনটি করার তবে এখনই সেটা মন থেকে দূর করে ফেলুন।
আপনি দাইয়ুস এর অন্তর্ভুক্ত কিনা যাচাই করে দেখা
দাইয়ুস হচ্ছে সেই সমস্ত অভিভাবক যারা তাদের সন্তান-সন্ততিদের বেহায়াপনা এবং অশ্লীলতাকে সমর্থন করে। এই সমর্থন করাটা বিভিন্নভাবে হতে পারে। কখনো কখনো বাবা-মা হয়তো বুঝতেই পারেনা যে এটা একটা অশ্লীলতা, বাবা-মার হয়তো সেই জ্ঞান থাকে না যার কারণে তারা কোন শাসন করে না।
আবার কখনো কখনো কোনো বাবা-মা আধুনিকতার নামে এসব অশ্লীলতা বা বেহায়াপনাকে প্রশ্রয় দেন। হাদিস কোরআন থেকে জানা যায় দাইয়ুস ব্যাক্তিদের জন্য জাহান্নাম নির্ধারিত। সমাজে এরকম অহরহ দেখা যায় যে বাবা-মা হজ পালন করে এসেছেন কিন্তু ছেলে মেয়ে গান-বাজনা নিয়ে ব্যস্ত, বিভিন্ন কনসার্টে যাচ্ছে, মুভি সিনেমা দেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকে।
সবচাইতে যেটা বেশি দেখা যায় সেটা হল বাবা মা হজ করে আসার পরে বা আগে থেকেই নিয়মিত পর্দা করে কিন্তু ছেলে মেয়ে পর্দার ধারে কাছেও নেই। বিশেষ করে মেয়ে সন্তানদের দেখা যায় পাশ্চাত্যের অশ্লীল পোশাক পরে পর পুরুষের সামনে ঘুরে বেড়ায়। কেয়ামতের দিন ছেলে মেয়ের এসব পাপের দায়ভার বাবা-মার উপর বর্তাবে। তাই নিজের স্বার্থে হলেও ছেলে মেয়েকে ইসলামের পথে নিয়ে আসার চেষ্টা করুন।
ক্ষমাশীল এবং উদার হতে শিখুন
প্রতিশোধ পরায়ণ না হয়ে ক্ষমাশীল এবং উদার হওয়ার চেষ্টা করুন। মহান আল্লাহ তা'আলা অত্যন্ত ক্ষমাশীল, তিনি ক্ষমাকারীকে পছন্দ করেন। তাছাড়া আমাদের বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) ছিলেন অত্যন্ত ক্ষমাশীল। ইসলামের স্বার্থ বিরোধী ছাড়া কোন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তিনি প্রতিশোধ পরায়ণ ছিলেন না।
কারো সাথে ভালো ব্যবহার করার পরেও কেউ আপনার সাথে কটু কথা বললে বা অশোভন মূলক আচরণ করলে সাথে সাথে প্রতি উত্তরে আপনিও খারাপ কিছু বলে ফেললেন। কেউ আপনার ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত কোন ক্ষতি করে ফেললে সাথে সাথে তার ক্ষতি করার জন্য আপনি ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠলেন। এই ধরনের আচরণ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
এই ধরনের আচরণ এখন পরিহার করার চেষ্টা করুন না হলে হজ পালন করে আসার পরেও দেখবেন যে এই ধরনের আচরণ আপনার মধ্যে রয়ে গেছে।
শেষ কথা
ইসলামে বিধান রয়েছে সামর্থ থাকলে একজন বান্দাকে জীবনে একবার হলেও হজ পালন করতেই হবে। তার মানে বোঝা যাচ্ছে হজের গুরুত্ব কতটা। তবে আমাদেরকে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে যে এমন কোন কাজ যেন আমরা না করি যার কারণে আমাদের এই পবিত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতটি আল্লাহর দরবারে বিতর্কিত হয়ে যায়। আমরা সঠিক ইসলামিক জ্ঞান অর্জন করে সেগুলোকে আমাদের জীবনে কাজে লাগাবো এবং সেই অনুযায়ী আমাদের জীবনকে প্রতিফলিত করার চেষ্টা করব।
এতক্ষণ ধরে ধৈর্য নিয়ে এ লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। লেখার মধ্যে কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সে ভুলটি গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে কমেন্ট বক্সে লিখে জানাতে পারেন।
মুবিন পিডিয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url