হলুদ দাঁত সাদা করার ঘরোয়া উপায়
নিজেকে সুন্দর, স্মার্ট, ব্যক্তিত্ববান হিসেবে প্রকাশ করতে চাইলে প্রয়োজন সুন্দর একটি হাসি। আর এই সুন্দর হাসির মূল মন্ত্র হলো সাদা ঝকঝকে দাঁত। কিন্তু এই দাঁত যদি সাদার পরিবর্তে হলদে হয়ে থাকে তবে বিড়ম্বনায় পড়ে যেতে হয়। কারো সামনে আর হেসে কথা বলা যায় না। এ ধরনের সমস্যায় পড়ে থাকলে আপনি হয়তো খুঁজছেন হলুদ দাঁত সাদা করার ঘরোয়া উপায়।
এই আর্টিকেলে আমরা দাঁতের রং কেমন হয়, দাঁত কেন হলুদ হয়, দাঁতের হলুদ ভাব দূর করার উপায় ইত্যাদি বেশ কিছু বিষয় আলোচনা করব। আশা করি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ে দেখবেন।
ভূমিকা
চেহারা সুন্দর করার জন্য আমরা নিয়মিত রূপচর্চা করি। আমাদের বাহ্যিক সৌন্দর্যের জন্য নিয়মিত পরিষ্কার করা জামা কাপড় পরি। সব দিকে সচেতনতা থাকলেও দাঁতের বেলায় আমাদের রয়েছে ব্যাপক অবহেলা। আর অলসতা বা অবহেলা যে কারণে হোক না কেন আমরা দাঁতের যত্ন নিই না ফলে আমাদের দাঁতের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
যেমন দাঁতের ব্যথা হওয়া, দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া, দাঁতে পাথর হওয়া, সাদা দাঁতের পরিবর্তে দাঁত হলুদ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। আজকে হলুদ দাঁত সাদা করার বেশ কিছু ঘরোয়া উপায় আমরা জানব।
দাঁতের রং আসলে কেমন হয়
আমরা যারা সচেতন মানুষ তারা মনে করে থাকি যে নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলে অবশ্যই দাঁত সাদা ঝকঝকে হবে। তবে ব্যাপারটি আসলে সে রকম নয়। বিভিন্ন ডেন্টিস্টের মতে এক এক মানুষের জিনগত বৈশিষ্ট্যের কারণে দাঁতের রং বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।
কারো কারো জন্ম থেকেই নির্দিষ্ট বা অনির্দিষ্ট কিছু কারণে দাঁত কিছুটা হলুদাভ হয়েই থাকে। আবার সাধারণত ধরে নেওয়া হয় যারা ফর্সা মানুষ তাদের দাঁত কিছুটা হলুদাভ হয়ে থাকে এবং কালো বর্ণের মানুষের দাঁত বেশ সাদা ঝকঝকে হয়ে থাকে।
কেন দাঁত হলদে বর্ণের হয়
যাদের দাঁত জন্মগত বা প্রাকৃতিকভাবেই হলুদ হয়ে থাকে তাদের আসলে তেমন কিছু করার থাকে না দাঁত সাদা করার জন্য। তবে যারা দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় উদাসীন অথবা অবহেলা করেন তাদের জন্য বেশ কিছু কারণ আছে যার জন্য তাদের সাদা দাঁত হলদে হয়ে যায়। যেমন
- আয়রনযুক্ত পানি পান করলে
- নিয়মিত তামাক বা ধুমপান করলে
- দাঁত নিয়মিত ব্রাশ না করলে
- খাবার খাওয়ার পরে কুলকুচি না করলে
- রঙ্গিন ফল খাওয়ার পরে কুলকুচি বা পানি না খেলে
- ক্যালকুলাস নামক এক ধরনের পদার্থ দাঁতের উপর জমা হতে থাকা
- প্রতিদিন চা বা কফি পান করলে
- দাঁতের সৌন্দর্যের প্রতি উদাসীন হলে
- বয়স বাড়ার সাথে সাথে দাঁতের এনামেল নষ্ট হতে থাকলে
- মুখ হা করে ঘুমালে অর্থাৎ মুখ দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস নিলে
- বেদানা বা ডালিম, চেরির মতো ফল প্রতিদিন বেশি মাত্রায় খেলে
- নিয়মিত বিভিন্ন কমল পানীয় বা মদ খেলে
- তাছাড়া বেশ কিছু ঔষধ রয়েছে যেগুলো বেশি দিন ধরে খেলে দাঁত হলদেটে হয়ে যায়।
দাঁত সাদা করার টুথপেস্ট
অনেক সচেতন ব্যক্তি আছেন যারা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যান তাদের দাঁতকে হলুদ হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে। এ জন্য তারা প্রতিনিয়ত টুথপেস্ট এর উপর নির্ভর করে এবং টুথপেস্ট কিছুদিন পর পর পরিবর্তন করেন। এমনকি তারা দেশি টুথপেস্ট ব্যবহার করার পরে বিদেশী টুথপেস্ট এর উপর নির্ভর করে দাঁত সাদা করার জন্য।
তবে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, দন্ত বিশেষজ্ঞদের মতে হলদে দাঁত সাদা করার কোন সক্ষমতা কোন টুথপেস্ট এর নেই সেটা যত বড় ব্র্যান্ডের টুথপেস্ট হোক না কেন। আসলে প্রত্যেকটা টুথপেস্ট এর গঠন প্রণালী এবং টুথপেস্ট এর ভেতরে বিভিন্ন উপাদান প্রায় একই থাকে শুধুমাত্র বাহ্যিক রং, গন্ধ, স্বাদ এসব আলাদা হয়ে থাকে।
তাই হলদে দাঁতকে সাদা করার জন্য টুথপেস্ট এর উপর নির্ভরশীলতা পরিহার করে বরং উপরের পদ্ধতি গুলো কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে পারেন। তবে দাঁত এবং মাড়ির স্বাস্থ্য রক্ষায় টুথপেস্ট এর প্রয়োজনীয়তা আছে। এক কথায় বলা যায় টুথপেস্ট দাঁত সাদা করে না বরং দাঁতের বা মাড়িতে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করতে সহায়তা করে।
দাঁত সাদা করার চিকিৎসা
একটার পর একটা টুথপেস্ট ব্যবহার করার পরও যাদের হোলতে দাঁত সাদা হচ্ছে না তারা হন্যে হয়ে ছুটে যান দন্ত বিশেষজ্ঞের কাছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে দাঁত সাদা করার বেশ কিছু চিকিৎসা রয়েছে যেমন স্কেলিং, পলিশিং ইত্যাদি।
তাছাড়া দাঁতের অন্যান্য সমস্যার চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে রুট ক্যানেল করা, ফলস দাঁত লাগানো, দাঁতের ক্যাপ লাগানো, ফিলিং করা, দাঁত ইমপ্ল্যান্ট করা ইত্যাদি। তবে খেয়াল রাখতে হবে কোন হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে এসব চিকিৎসা সেবা নেওয়া উচিত নয়। অবশ্যই একজন দন্ত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী এসব চিকিৎসা করানো উচিত।
দাঁতে পাথর পরিষ্কার করার উপায়
দাঁতে জমা পাথর কে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় টার্টার বা ক্যালকুলাস। খাবার খাওয়ার পর কুলকুচা করে মুখ পরিষ্কার না করলে মুখের ভেতরে জমে থাকা বিভিন্ন খাদ্য কণা, জীবাণু এবং থুতুর মধ্যে বিদ্যমান প্রোটিন একসঙ্গে মিশে দাঁত এবং মাড়ির সংযোগস্থলে একটি স্তর তৈরি করে যেটিকে প্লাক বলা হয়।
এইভাবে স্তরের উপর স্তর জমা হতে হতে এক ধরনের পাথর জমে যায় যেটি প্রাথমিক অবস্থায় হলুদ বা বাদামী রঙের হয়ে থাকে এবং বেশিদিন হয়ে গেলে এটি কালচে বর্ণ ধারণ করে। অসচেতন ব্যক্তি, ধূমপায়ী ব্যক্তি, যারা মিষ্টি বেশি খান এবং যারা অপরিষ্কার অর্থাৎ খাবার খাওয়ার পরে কুলি করেন না তাদের দাঁতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। দাঁতের পাথর দূর করার জন্য কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে। যেমন-
- ২৪ ঘন্টাই দুইবার অর্থাৎ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এবং সকালে নাস্তা খাওয়ার পরে দাঁত ব্রাশ করতে হবে
- দূর থেকে তিন মিনিট সময় নিয়ে প্রতিবার ব্রাশ করতে হবে।
- ব্রাশ করতে হবে খুব আলতোভাবে মাড়িতে যেন আঘাত না লাগে।
- প্রতি দুই থেকে তিন মাস পর পর ব্রাশ পরিবর্তন করতে হবে।
- সামান্য কিছু খেলেও খুব ভালোভাবে কুলি করতে হবে খাবার পর।
- মাংস খাবার পরে অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করতে হবে। এতে দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা মাংসের কণা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
- ফ্লুওরাইড যুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করতে হবে।
- দাঁতে খুব বেশি পরিমাণে পাথর জমে গেলে দন্ত চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরামর্শ অনুযায়ী স্কেলিং করা যেতে পারে।
- ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য থেকে দূরে থাকতে হবে।
দাঁতের চিকিৎসার খরচ
দাঁতের বিভিন্ন চিকিৎসার জন্য আপনি সরকারি এবং বেসরকারি যে কোন হাসপাতালে সেবা নিতে পারেন। তবে বেসরকারি হাসপাতালের চেয়ে সরকারি হাসপাতালে দাওয়াতের বিভিন্ন চিকিৎসা বেশ অপ্রতুল। বেসরকারি হাসপাতালে তাদের বিরুদ্ধে চিকিৎসার খরচ মোটামুটি ভালো রকম। আপনার কোন দাঁত যদি জন্মগতভাবে না থাকে অথবা কোন কারনে ভেঙে যায় বা উঠে যায় সে ক্ষেত্রে দাঁতের ক্যাপ লাগানোর জন্য বেসরকারি হাসপাতালে প্রায় ৩০ হাজার টাকার মতো আপনাকে গুনতে হবে।
দাঁত ইমপ্ল্যান্ট করতে চাইলে আপনাকে আরো খরচ করতে হবে প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকার মতো। এছাড়াও আপনার দাঁতের অবস্থার উপর ভিত্তি করে ফিলিং এর জন্য এক থেকে দেড় হাজার টাকা, স্কেলিং এর জন্য হাজার ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা, রুট ক্যানেলের জন্য সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা, দাঁত লাগানোর জন্য দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা খরচ হতে পারে। উপরোক্ত খরচ জায়গা এবং হাসপাতাল ভেদে তারতম্য হবে।
হলুদ দাঁত সাদা করার ঘরোয়া উপায়
বেকিং সোডা: হলদে দাঁত কে সাদা ঝকঝকে করার অন্যতম সহজলভ্য এবং কার্যকরী উপায় হল বেকিং সোডা দিয়ে দাঁত ব্রাশ করা। বেকিং সোডা কে সোডিয়াম বাই কার্বনেট বলা হয়। এটি দাঁতের উপরে পড়ে থাকা হলদে আবরণকে দূর করে দাঁতের রং ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।তুলসী পাতা: দাঁতকে ঝকঝকে সাদা করার ঘরোয়া পদ্ধতির অন্যতম উপাদান হচ্ছে তুলসী পাতা। তুলসী পাতায় বিদ্যমান বিভিন্ন উপাদান এন্টিপ্লাক হিসেবে কাজ করে। তুলসী পাতাকে শুকিয়ে গুনে করে অথবা কাঁচা তুলসী পাতা খেয়ে সরিষার তেলের সঙ্গে ব্লেন্ড করে সেই মিশ্রণ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।নিমের ডাল: দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় এবং দাঁতকে সাদা ঝকঝকে করতে প্রাচীন কাল থেকেই নিমের ডাল দিয়ে তৈরি নিমের দাঁতন চ্যাম্পিয়ন। নিমের দাঁতন দিয়ে নিয়মিত প্রতিদিন দাঁত মাজলে শুধু দাঁতের হলদে ভাব দূর হবে তাই নয় দাঁতের ব্যথা দূর হয় এবং মাড়ি শক্ত মজবুত হয়। নিমের দাঁতন ব্যাকটেরিয়া বিরোধী হওয়ায় দাঁতের দুর্গন্ধ দূর করে।কলা, লেবুর খোসা: পাকা কলার খোসা, কাঁচা বা পাকা লেবুর খোসা, কমলালেবুর খোসার ভেতরের দিক দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে কয়েকদিনের মধ্যেই দাঁতের হলদে ভাব দূর হতে শুরু করে এবং দাঁত মজবুত হয়। ব্রাশের মধ্যে লেবুর কয়েক ফোঁটা রস সাথে এক চিমটি লবণ দিয়ে ব্রাশ করলেও হলদে ভাব অনেকাংশে দূর হয়।নারিকেল তেল: এই প্রাকৃতিক উপাদানটি মুখের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ব্রাশে কয়েক ফোটা নারকেল তেল অথবা আঙ্গুলে নারকেল তেল নিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে নারকেল তেলে থাকা বিভিন্ন উপাদান দাঁতের উপরের জমে থাকা হলুদ আবরণ বা বিভিন্ন ময়লা দূর করতে সাহায্য করে।অয়েল পুলিং: এটি নারকেল তেল দিয়ে দাঁত সাদা করার আরেকটি পদ্ধতি। মুখে মাউথ ওয়াশ নিয়ে কয়েক সেকেন্ড যেমন কুলকুচা করা হয় ঠিক তেমনি মুখে কয়েক ফোঁটা নারিকেল তেল সাথে পানি নিয়ে কুলকুচা করার পদ্ধতিকে বলা হয় অয়েল পুলিং। নিয়মিত অয়েল পুলিং করলে দাঁত সাদা হওয়ার পাশাপাশি মাড়ির বিভিন্ন রোগ দূর হয়।লবণ: বিশেষজ্ঞদের মতে লবণ যেমন দাঁতের হলুদ ভাব দূর করে ঠিক তেমনি দাঁতের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। তাই কয়েক সপ্তাহ ধরে লবণ দিয়ে দাঁত মাজলে ধীরে ধীরে দাঁতের হলদে ভাব দূর হতে শুরু করে। তাই বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের তৈরিকৃত টুথপেস্টে লবণ দিয়ে থাকে।গ্রিন টি: নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে গ্রিন টিতে বিদ্যমান অ্যান্টিঅ্যাসিডিক উপাদান দাঁতের উপর হলুদ আবরণ পড়তে দেয় না।লেবু: নিয়মিত কয়েক সপ্তাহ ধরে লেবুর সাথে বেকিং সোডা মিশিয়ে দাঁত মাজলেও হলুদ দাঁত সাদা হতে শুরু করে।মাশরুম: দাঁতকে সাদা করার আরেকটি মোক্ষম হাতিয়ার হতে পারে মাশরুম। মাশরুমে বিদ্যমান পলিসেকারাইড ব্যাকটেরিয়া এবং ডেন্টাল প্লাক বিরোধী।স্ট্রবেরি: বড় আকারের একটি অথবা মাঝারি আকারের দুইটি স্ট্রবেরি নিয়ে পেস্ট করে তাতে ব্রাশ মিশিয়ে স্বাভাবিকভাবেই নিয়মিত ব্রাশ করলে এসিডিক উপাদান ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে দাঁতের হলুদ আবরণ কে দূর করে।অ্যাক্টিভেটেড কাঠ কয়লা: নামটা শুনে হয়তো অবাক হচ্ছেন এটা আবার কি? দাঁতের হলদে ভাব অথবা কালচে ভাব দূর করার জন্য এই উপাদানটি একটি ক্ষেপণাস্ত্র। অতিরিক্ত চা কফি খাওয়ার ফলে আমাদের দাঁতের উপরে যে হলদে আবরণ পড়ে সেই ট্যানিন কে শোষণ করতে পারদর্শী অ্যাক্টিভেটেড কাঠ কয়লা। যেকোনো আয়ুর্বেদিক দোকানে এই অ্যাক্টিভেটেড কাঠ কয়লা পাওয়া যায়। ক্যালসিয়াম এবং অক্সিজেনের সাথে কাঠ কয়লা প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি করা হয় অ্যাক্টিভেটেড কাঠ কয়লা। টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করার মতই অ্যাক্টিভেটেড কাঠ কয়লা দিয়ে ব্রাশ করলে দাঁতের যে কোন রকমের দাগ দূর হয়।
শেষ কথা
হলদে দাঁত সাদা করার বেশ কিছু পদ্ধতি উপরে আলোচনা করা হয়েছে। সবগুলো উপায় সবার জন্য কার্যকরী নাও হতে পারে। কিছুদিন করে উপায় গুলো প্রয়োগ করে দেখতে পারেন কোন উপায়ে আপনার হলদে দাঁত সাদা হয়। সবশেষে একটি কথাই বলা যায়, আপনার দাঁতকে সুন্দর ঝকঝকে সাদা রাখতে আপনার সচেতনতাই সবচেয়ে জরুরী।
এতক্ষণ ধরে ধৈর্য সহকারে আজকের লেখাটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। লেখাটি পড়ে যদি কিছু হলেও উপকৃত হয়ে থাকেন তবে অন্যদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আর কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে লিখে জানাতে পারেন।
মুবিন পিডিয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url