প্রেসার লো হওয়ার লক্ষণ এবং হাই ব্লাড প্রেসার কমানোর উপায়
অনেক সময় আমাদের মাথা ঘোরায়, বমি বমি ভাব আসে। আমরা হয়ত বুঝতে পারিনা কেন এমন হচ্ছে। আবার অনেক সময় কেউ অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর জানা যায় তার স্ট্রোক হয়েছে। এসবই হচ্ছে রক্ত চাপ জনিত সমস্যা। যেমন প্রেসার লো হওয়ার লক্ষণ, প্রেসার লো হলে করণীয়, হাই প্রেসারের লক্ষণ, হাই ব্লাড প্রেসার কমানোর উপায় এসব বিষয়ে আমাদের ধারণা থাকা জরুরী।
"সচেতনতা" এর আজকের এই লেখায় রক্তচাপ অর্থাৎ প্রেসার লো হওয়ার লক্ষণ এবং হাই ব্লাড প্রেসার কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। কোন ধরনের রক্তচাপে কি কি সমস্যা সৃষ্টি হয় সেটা আমাদের প্রাথমিক ধারণা থাকলে আমরা সহজে রোগীকে বাঁচাতে পারি। । আশা করি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
ভূমিকা
রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসার বর্তমানে একটি সাধারন সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। যে কোন বয়সে, যে কোন সময়ে যে কারো ব্লাড প্রেসার হতে পারে। জীবন যাত্রার অনিয়ম, অনিয়ন্ত্রিত খাবার রক্তচাপের কারন হিসেবে বিবেচিত হয়।
ব্লাড প্রেসার বা রক্ত চাপ কি?
মানব শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে Blood বা রক্ত। আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত আমাদের শরীরে প্রয়োজন। আমাদের মাথা থেকে পা পর্যন্ত সমস্ত শরীরেই রক্ত প্রবাহিত হয়। এই রক্ত প্রবাহের কাজ সম্পন্ন হয় শিরা এবং ধমনীর মাধ্যমে। যে নালী অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত প্রবাহিত করে তাকে বলা হয় ধমনী এবং যে নালী কার্বন ডাই অক্সাইড সমৃদ্ধ রক্ত প্রবাহিত করে তাকে বলা হয় শিরা।
সারা শরীরে রক্ত প্রবাহিত হয় মূলত হৃদপিণ্ড থেকে। রক্ত প্রবাহিত হওয়ার সময় রক্তনালীর বিশেষ করে ধমনীর দেয়ালে একটি চাপ সৃষ্টি হয় যেটি ব্লাড প্রেসার বা রক্তচাপ নামে পরিচিত। রক্তচাপের সাথে হৃদস্পন্দন সরাসরি জড়িত। হৃদপিন্ড থেকে যখন অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড সমৃদ্ধ রক্ত সারা শরীর থেকে বহন করে যখন হৃদপিন্ডে নিয়ে আসে তখন হৃদপিন্ডের এক ধরনের সংকোচন বা প্রসারণ হয়।
হৃদপিণ্ডের এই সংকোচন ও প্রসারণ কে বলা হয় হৃদস্পন্দন। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীরে মিনিটে ৬০ থেকে ১০০ বার হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক। হৃদস্পন্দনের সময় হৃদপিণ্ড সংকুচিত এবং প্রসারিত হয়। হৃদপিণ্ড যখন সংকুচিত হয় তখন ধমনীর গায়ে রক্তের চাপ সবচেয়ে বেশি থাকে এটিকে বলা হয় সিস্টোলিক চাপ। আবার হৃদপিণ্ড যখন প্রসারিত হয় তখন ধমনীর গায়ে রক্তের চাপ অনেক কম থাকে এটিকে বলা হয় ডায়াস্টোলিক চাপ। মিলিমিটার (পারদ) বা mmHg এককে মাপা হয় রক্তচাপকে।
বয়স অনুসারে ব্লাড প্রেসার
চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীরে আদর্শ রক্তচাপ হল ১২০/৮০ mmHg। এটিকে পড়তে হয় এভাবে ১২০ বাই ৮০। এখানে ১২০ হচ্ছে সিস্টোলিক চাপ এবং 80 হল ডায়াস্টোলিক চাপ। এই আদর্শ মাত্রার কম বা বেশি রক্তচাপ পাওয়া গেলে অবশ্যই রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসার জনিত সমস্যায় আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা থাকবে। সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ব্লাড প্রেসার মাপার নিয়ম
স্ফিগমোম্যানোমিটার (sphygmomanometer) মেশিনের সাহায্যে রক্তচাপ নির্ণয় করা হয়। সাধারণত ডিজিটাল এবং এনালগ উভয় পদ্ধতিতে ব্লাড প্রেসার নির্ণয় করা যায়। বাজারে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল ব্লাড প্রেসার মেশিন বা বিপি মেশিন পাওয়া যায় তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ডিজিটাল মেশিনে সঠিকভাবে নির্ণয় করা সম্ভব হয় না।
এজন্য এনালগ সিস্টেমে ব্লাড প্রেসার মাপার গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি। ডাক্তাররা এনালগ সিস্টেমে রক্ত পরিমাপ করে থাকেন। স্টেথোস্কোপ এর মাধ্যমে এনালগ পদ্ধতিতে রক্তচাপ নির্ণয় করা হয়। ডিজিটাল মেশিনের রক্তচাপ নির্ণয়ের জন্য আপনাকে মাত্র এক ফোটা রক্ত দিতে হবে। সে রক্ত সংগ্রহ করার পর মেশিনের নির্দিষ্ট স্লট আছে সেখানে রক্ত ফোটাটিকে স্থাপন করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেশিনের স্ক্রিনে আপনার রক্ত চাপ কত সেটা দেখিয়ে দেবে।
এনালগ পদ্ধতিতে অর্থাৎ স্টেথোস্কোপ দিয়ে রক্তচাপ নির্ণার জন্য প্রথমে আপনাকে চেয়ারে স্থির ভাবে বসতে হবে। এরপর বাম হাত টেবিলের উপরে রাখতে হবে। হাত এমন ভাবে থাকবে যেন আপনার হার্টের সমান্তরালে থাকে। এরপরে আপনার কনুইয়ের উপর হাতের তর্জনি আঙ্গুল দিয়ে ধমনীর অবস্থানটা নিশ্চিত করে তার উপরে মিটার স্কেল এবং স্টেথোস্কোপ সঠিকভাবে স্থাপন করতে হবে।
এরপর পাম্প করতে থাকবেন এবং মিটার স্কেলে খেয়াল রাখবেন কাটাটি যেন প্রায় ১৮০ থেকে ২০০ এর ঘরে যায়। এরপরে পাম্প করা বন্ধ করুন। মিটার স্কেলের কাঁটাটি যখন উল্টোদিকে নামতে শুরু করবে তখন প্রথম যে শব্দটি শোনা যাবে সেটি হচ্ছে সিস্টোলিক সাউন্ড এবং নামতে নামতে সর্বশেষ যে শব্দটি শোনা যাবে সেটি হচ্ছে ডায়াস্টোলিক সাউন্ড।
ব্লাড প্রেসার কত প্রকার?
রক্তচাপ মূলত দুই রকমের।
উচ্চ রক্তচাপঃ আগে বলা হয়েছে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের স্বাভাবিক রক্তচাপ হলো ১২০ বাই ৮০। এই মাত্রা থেকে যদি বেশি হয় তাহলে সেটি উচ্চ রক্তচাপ হবে। উদাহরণস্বরূপ কারো রক্তচাপ নির্ণয় করার পরে যদি তার সিস্টোলিক এবং ডায়াস্টোলিক মাত্রা যথাক্রমে ১৮০ বাই ১০০ mmHg বা তার বেশি হয় তাহলে নিশ্চিতভাবে এটিকে উচ্চ রক্তচাপ বলা যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে উচ্চ রক্তচাপকে হাইপারটেনশন বলা হয়।
চাকরির ইন্টারভিউ এর প্রশ্ন ও উত্তর
নিম্ন রক্তচাপঃ একইভাবে নিম্ন রক্তচাপে সিস্টোলিক এবং ডায়াস্টোলিক মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কম হবে। উদাহরণস্বরূপ কারো যদি সিস্টোলিক এবং ডায়াস্টোলিক মাত্রা যথাক্রমে ১০০/৬০ mmHg বা তার কম হয় তবে সেটিকে নিম্ন রক্তচাপ বলা যাবে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে নিম্ন রক্তচাপকে হাইপোটেনশন বলা হয়।
হাই প্রেসার এর কারণ
- ভাতের সাথে বা অন্য যে কোন খাবার খাওয়ার সময় পাতে কাঁচা লবণ খাওয়া। এছাড়াও যে কোন খাবারে পরিমাণ এর চেয়ে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া।
- স্থুলতা হাই ব্লাড প্রেসার এর অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষ মানুষের স্বাভাবিক ওজন ৭০ থেকে ৮০ কেজি এবং একজন পূর্ণবয়স্ক নারীর নারীর স্বাভাবিক ওজন ৫৫ থেকে ৬৫ কেজি। এই ওজনের চেয়ে যদি বেশি থাকে তবে আপনাকে অবশ্যই সাবধান হতে হবে।
- বিভিন্ন নেশা জাতীয় দ্রব্য যেমন মদ, অ্যালকোহল, ধূমপান ইত্যাদি সেবনের কারণেও উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে।
- পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম না নিলে মানসিক অস্থিরতা এবং অবসাদ বাড়ে যার ফলে উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি হতে পারে। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের সারা দিনে কমপক্ষে ৮ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন।
- অতিমাত্রায় ফাস্টফুড খেলে, চা, কফি বা কোমল পানীয় পানের কারণেও উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে।
- তিন বেলা পর্যাপ্ত পরিমাণে শাকসবজির না খেয়ে মাংস, ডিম জাতীয় খাবার বেশি খেলে উচ্চ রক্তচাপের একটা সম্ভাবনা থাকে।
- একজন ব্যক্তি বার্ধক্যে উপনীত হলে উপরের কারণগুলো ছাড়াই উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত এবং ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
প্রেসার বেড়ে গেলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয়?
উচ্চ রক্তচাপের তেমন বিশেষ কোন লক্ষণ না থাকলেও সামান্য কিছু লক্ষণ যদি আমরা খেয়াল করি তাহলে অবশ্য বুঝতে পারবো যে কোন ব্যক্তি উচ্চ রক্তচাপ আক্রান্ত হয়েছে কিনা। যেমনঃ
- শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে অসুবিধা
- মাথার পেছনে ব্যথা
- ঘাড়ের পেছনে ব্যথা
- নাক দিয়ে রক্ত পড়া
- মাথা ঝিমঝিম করা
- শরীরে অস্বস্তি বোধ হওয়া ইত্যাদি।
হাই ব্লাড প্রেসার কমানোর উপায়
হাই ব্লাড প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপের কারণগুলি যদি আপনার ভালোভাবে জানা থাকে তবে খুব সহজেই আপনি উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। হাই ব্লাড প্রেসার কমানোর উপায় হিসেবে নিম্নোক্ত সাবধানতা গুলো অবলম্বন করা যেতে পারে।
- অবশ্যই অতিরিক্ত লবণ খাওয়া পরিহার করতে হবে। সম্ভব হলে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু কম পরিমাণ লবণ খেতে হবে তরকারিতে । বিভিন্ন ফাস্টফুড খাবার একদম বর্জন করতে হবে। কারণ এসব ফাস্টফুড খাবারে অতিরিক্ত পরিমাণে চর্বি থাকে যা আমাদের রক্ত নালীতে জমে আমাদের রক্তচাপের সৃষ্টি করতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী একজন ব্যক্তির দৈনিক গড়ে পাঁচ গ্রামের কম লবণ খাওয়া উচিত।
- নেশা জাতীয় দ্রব্য যেমন ধূমপান, অ্যালকোহল সেবন সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করতে হবে। এক গবেষণা অনুযায়ী উচ্চ রক্তচাপের সম্ভাবনা ১৬% পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে অ্যালকোহল।
- নিজের ওজনের প্রতি সব সময় খেয়াল রাখুন। আপনার বয়স অনুযায়ী ওজন যদি বেড়ে যায় তবে অবশ্যই সচেষ্ট হোন ওজন কমানোর। আপনি যদি অফিসে বসে থাকা কোন চাকরি করেন তাহলে সকালে এবং বিকালে এক ঘন্টা করে নিয়মিত শরীর চর্চা করুন। এছাড়া প্রতিদিন সকালে এবং বিকেলে এক ঘন্টা করে হাঁটতে পারেন। হাটা এবং বিভিন্ন ধরনের যোগ ব্যায়াম আমাদের হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে খুবই সহায়তা করে।
- শত ব্যস্ততার মাঝেও চেষ্টা করুন পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে। গবেষণা অনুযায়ী একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দিনে 8 থেকে 9 ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন।
- আপনি যদি বার্ধক্যে উপনীত হয়ে থাকেন তবে নিয়মিতভাবে রক্তচাপ চেকাপ করতে হবে।
- খাবার তালিকায় প্রত্যেকদিন তিন বেলাতে সবজি রাখার চেষ্টা করুন। বিভিন্ন সবজি যেমন আলু, কলা, বাদাম ইত্যাদিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে যা রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
প্রেসার লো হওয়ার লক্ষণ
উচ্চ রক্তচাপের মত নিম্ন রক্তচাপ এতটা ভয়ঙ্কর ক্ষতিকর না হলেও একদম অবহেলা করারও কোন সুযোগ নেই। প্রেসার লো হওয়ার লক্ষণ দেখা মাত্রই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত যেমন-
- মাথা ঘোরানো
- বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া
- শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া
- হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
- শরীরে খিচুনি হওয়া
- হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া
- বুক ধরফর করা
- ভারসাম্যহীনতা
- পিপাসা অনুভূত হওয়া
- হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া
- শ্বাস প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া
- চোখে ঝাপসা দেখা ইত্যাদি
প্রেসার লো হওয়ার কারন
নিম্ন রক্তচাপ বিভিন্ন কারণে হতে পারে। যেমন
- ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া না করা
- অতিরিক্ত পরিশ্রম
- হরমোনের সমস্যা থাকলে
- কিছুদিন ধরে কোন অসুস্থতায় ভুগলে
প্রেসার লো হলে করণীয়
নিম্ন রক্তচাপে আমাদের শরীরের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের অনেক ক্ষতি হয় সেক্ষেত্রে হঠাৎ করে যদি প্রেসার লো হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এই সমস্যার সমাধান হয়। কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রেসার কমে যেতে পারে। প্রেসার লো হলে করণীয় গুলো নিম্নরূপঃ
আরও পড়ুনঃ কোরবানির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও তাৎপর্য
- হঠাৎ করে প্রেসার যদি খুব বেশি কমে যায় এবং তাৎক্ষণিকভাবে প্রেসার বাড়ানোর জন্য স্যালাইন হতে পারে একটি খুবই উপকারী উপাদান।
- চকলেট রক্তচাপ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- সোডিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে সোডিয়াম। পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন খাবার যেমন গরুর মাংস, মুরগির মাংস, লাল শাক, পালং শাক, বিভিন্ন সবজির বিচি যেমন মিষ্টি কুমড়ার বিচি, সিমের বিচি, ডাবের পানি ইত্যাদি নিয়মিত খেতে হবে।
- সোডিয়াম এর কার্যকারিতা ঠিক রাখার জন্য প্রয়োজন পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি যা বিভিন্ন টক ফল যেমন মাল্টা, লেবু, কমলা, পুদিনা পাতা ইত্যাদিতে পাওয়া যায়। এসব ফল নিয়মিত খেলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে এবং মানসিক অবসাদ দূর হয়।
- নিম্ন রক্তচাপ রোগের জন্য ডিম হতে পারে একটা আদর্শ খাবার যাতে রয়েছে ভিটামিন বি ১২ এবং যেটি রক্তচাপ বাড়ায়।
- কফি এবং গ্লুকোজ রক্তচাপ কিছুটা বাড়াতে সাহায্য করে।
লেখকের মন্তব্য
উচ্চ রক্তচাপ এবং নিম্ন রক্তচাপ বিভিন্ন রোগের সূত্রপাত করে। তাই সম্পূর্ণ সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই আমাদের উচিত রক্তচাপ থেকে দূরে থাকা। রক্তচাপ থেকে দূরে থাকতে হলে অবশ্যই আমাদের নিয়মিত খেয়াল রাখতে হবে শরীরের প্রতি।
প্রেসার লো হওয়ার লক্ষণ, লো প্রেসার হলে করণীয়, হাই প্রেসার এর কারণ এবং লক্ষণ এ বিষয়গুলি আমাদের সব সময় জানা থাকলে আমরা খুব দ্রুত রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারবো। নিয়মিত ডাক্তারের কাছে গিয়ে প্রয়োজন হলে চেকআপ করতে হবে।
উপরের লেখাটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করে পরিচিত জনকে জানাতে পারেন আর যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
মুবিন পিডিয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url