ধূমপান পরিহারের উপকারিতা এবং ধূমপানের ক্ষতিকর দিক

সাদা চিনির অপকারিতা এবং লাল চিনি কেন খাবেন জানুন

আমাদের চারপাশে, পরিবারে, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছে যারা নিয়মিত ধূমপান করে। কিন্তু ধূমপান পরিহারের উপকারিতা আমাদের অনেকেরই জানা নেই।

ধূমপান পরিহারের উপকারিতা এবং ধূমপানের ক্ষতিকর দিক

আবার এমনও অনেক মানুষ রয়েছে যারা ধূমপানের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে একদমই জানেনা। তাদের জন্য আমাদের আজকের এই আর্টিকেল। আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।

ভূমিকা

ধূমপান শব্দটির সাথে পরিচিত নয় এরকম ব্যক্তি পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। ধূমপান একটি নেশা এবং সমাজে এটি একটি ঘৃণিত কাজ এটুকু সবারই জানা। কিন্তু ধুমপান করলে শরীরে কি কি মারাত্মক ক্ষতি হয় এবং ধূমপান থেকে পরিত্রাণের কি কি উপায় আছে এসব বিষয়ে অনেকেই জানে না। আজকে
আমাদের এই আর্টিকেলে এই দুটি বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জানবো।

ধুমপানের ক্ষতিকর দিক

ধূমপানের ক্ষতিকর দিক গুলো নিচে আলোচনা করা হলো।ধূমপানকারী নিজের পরিবার এবং সমাজে একজন ঘৃণিত ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। সমাজ এবং দেশের সভ্য মানুষ কখনো একজন ধূমপানকারীকে ভালো নজরে দেখেন না। 

  • সিগারেটের ভেতরে থাকে নিকোটিন বা তামাক। এ তামাক পুড়িয়ে যে ধোঁয়া উৎপন্ন হয় এই ধোঁয়া হিরোইনের থেকে অধিক শক্তিশালী।  আর এই বিষাক্ত জিনিস শরীরে প্রবেশ করলে সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব। 
  • ধূমপানের কারণে অকাল মৃত্যুর সম্ভাবনা প্রায় ৭০ শতাংশ।  বিশ্বে প্রতিবছর শুধুমাত্র ধূমপান করার কারণেই প্রায় 40 লক্ষ মানুষ মারা যায়। বিশ্বের অনেক উন্নত দেশগুলোতে প্রায় ৮ কোটির মত লোক ধূমপানের কারণে মারা গেছে যার প্রায় ৭০% ছিল যুবক শ্রেণী। 
  • একজন ধূমপানকারী ব্যক্তি তার নিজের সন্তানদের কাছেও আদর্শ ব্যাক্তি হতে পারেন না।  অন্যভাবে বলা যায় একজন ধূমপায়ী ব্যক্তি তার সন্তানদেরও ধূমপায়ী তৈরি করেন।  যেটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। 
  • ধূমপানের কারণে রক্ত চলাচলে বাধার সৃষ্টি হয় অর্থাৎ রক্তচাপের বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয় অনেক সময় উচ্চ রক্তচাপের সৃষ্টি হয়। 
  • অকাল মৃত্যুর একটি মোক্ষম হাতিয়ার ধূমপান।  সারা বিশ্বে যত লোক বিভিন্ন রোগে মারা যায় তার ৬০ ভাগ লোক মারা যায় শুধুমাত্র ধূমপানের কারণে। 
  • এজন ধূমপানকারী ব্যক্তি সহজেই ফুসফুস, হৃৎপিণ্ড, কিডনির বিভিন্ন জটিলতা আক্রান্ত হতে পারে।  তাছাড়া মূত্রথলি, ঠোঁট, মুখ, জিহবা, কন্ঠনালী ইত্যাদিতে ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে। 
  • ধূমপানকারী ব্যক্তি সবসময় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকে।  নেশায় থাকার কারণে যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগে। পাশাপাশি তার স্মরণশক্তি ও লোপ পায়। 
  • হৃদপিন্ডের সাথে সম্পৃক্ত ধমনী ও শিরা গুলো ব্লক হয়ে যায়, যার ফলে একজন ধূমপানকারী ব্যক্তি সহজেই হার্ট এটাকে আক্রান্ত হতে পারে। 
  • নারী পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই ধূমপানের কারণে যৌনশক্তি হ্রাস পায়। 
  • উচ্চ রক্তচাপের জন্য বিশেষভাবে দায়ী ধূমপান। এছাড়া হজমশক্তি কমে যাওয়ার পেছনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ধূমপান। 
  • সমাজ নষ্ট করার অন্যতম কারিগর হল ধূমপান। ধূমপান করলে যেমন পরিবেশে ধোঁয়ার গন্ধ আকাশে বাতাসে ভাসতে থাকে ঠিক তেমনি আশেপাশে থাকা বিভিন্ন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর ধূমপানের ফলে নির্গত ধোঁয়া শিশু এবং গর্ভবতী মায়েদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। 


ধর্মীয় দিক দিয়ে ধূমপানের ক্ষতিকর দিকঃ 

  • ধূমপানের অপর নাম অপচয়। অপচয় করা সম্পর্কে আল্লাহ সতর্ক করে বলেছেন “তোমরা অপচয় করো না অপচয়কারী শয়তানের ভাই।” 
  • রমজান মাসে একজন ধূমপানকারী ব্যক্তি সিয়াম পালন করতে পারে না শুধুমাত্র নেশার কারণে। কারণ রোজা রাখলে ধূমপান করা যাবে না আর ধূমপান করলে রোজা রাখা যায় না। তাই একজন নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি শেষ পর্যন্ত সিয়ামকে পরিত্যাগ করে। 
  • একইভাবে একজন ধূমপানকারী ব্যক্তি  সঠিকভাবে নামাজ আদায় করতে পারে না। 
  • পবিত্র কোরআনে আল্লাহ এরশাদ করেন “তিনি তোমাদের জন্য হালাল করে দেন ভালো ও উত্তম বস্তু আর হারাম করে দেন খারাপ ও ক্ষতিকর বস্তু।”  (সূরা আল আরাফ) সুতরাং আল্লাহ তরফ থেকে যেকোনো নেশা জাতীয় বস্তুই ক্ষতিকর এবং তা হারাম। অতএব আমাদের উচিত হারাম বস্তু পরিত্যাগ করা। 
  • সূরা গাসিয়ায় আল্লাহ আরো উল্লেখ করেছেন “জাহান্নামের খাবার জাহান্নামীদের পুষ্টিও যোগাবে না ক্ষুদাও নিবারণ করবে না।” জাহান্নামের খাবারের সাথে ধূমপানের একটি অদ্ভুত মিল আছে আর সেটি হল জাহান্নামের খাবার যেমন কোন পুষ্টি উপাদান নেই সিগারেট বা ধূমপানেও কোন পুষ্টি উপাদান নেই।  অর্থাৎ সিগারেট, তামাক, চুরুট, গুল, জর্দা, বিড়ি ইত্যাদি সেবনকারী ব্যক্তি জাহান্নামের খাবার খায়। 

ধূমপান না করেও আপনি যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন


ধরুন আপনি জীবনে কখনো ধূমপান করেননি।  আপনি কোথাও যাবার জন্য রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন আপনার পাশে একজন ধূমপান করছেন। এখন সেই ধূমপানের ধোঁয়া কিন্তু আপনার নাকে এসেও লাগছে অর্থাৎ আপনার ফুফুসে প্রবেশ করছে। এভাবে শুধু যে সেই ধুমপায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা নয় আপনিও সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

রাগ নিয়ন্ত্রন করবেন কেন? নিয়ন্ত্রণের ১২টি কার্যকরী উপায় জানুন

ধূমপান করার কারণে সেই ব্যক্তি যদি ফুসফুসের বিভিন্ন জটিলতা যেমন ফুসফুসে ক্যান্সার, শ্বাসকষ্ট বিভিন্ন হৃদ রোগের সমস্যা যদি হয়ে থাকে আপনারও সেই সমস্যাগুলো হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।  তাই অবশ্যই সচেতন ভাবে বাইরে যাবেন যেখানে আশেপাশে কাউকে ধুমপান করতে দেখলে সেখান থেকে দূরে সরে যাবে। 


ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কেন?


আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে ফুসফুস, লিভার, হৃৎপিণ্ড। এই তিনটি অভ্যন্তরীণ অংগকে সম্পূর্ণরূপে নষ্ট করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে তামাক জাত পণ্য। তাই ধুমপান করার অর্থ হচ্ছে আপনার শরীরের অর্ধেক নষ্ট হয়ে যাওয়া।

আরও পড়ুনঃ ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে স্মার্টফোন

ধূমপানের কারণে একজন ব্যক্তির বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার যেমন ফুসফুসের ক্যান্সার, ল্যারিংস ও মুখ গহবরের ক্যান্সার, প্যানক্রিয়াসের ক্যান্সার, হার্ট অ্যাটাক, পালমোনারি ডিজিজ, স্ট্রোক ইত্যাদি ভয়ঙ্কর দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবন বেড়ে যায়। 


ধূমপান পরিহারের উপকারিতা


ধূমপান পরিহারের উপকারিতা আসলে বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। তবে খুব সংক্ষিপ্তভাবে যদি বলা যায় তবে নিচের বিষয়গুলি উল্লেখযোগ্য ঃ 

  • হার্ট, যকৃত, ফুসফুস লিভার ভালো থাকে।
  • ধূমপান না করলে তাদেরকে সমাজ ভালো নজরে দেখে সে ক্ষেত্রে আপনি যদি ধূমপান না করেন অবশ্যই আপনি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবেন।
  • ধূমপান ত্যাগ করতে পারলে আপনার অপচয়ের হাত থেকে অনেক টাকা বেঁচে যাবে।
  • আপনার বাসার পরিবেশ বসবাসের উপযোগী হয়ে ওঠে।
  • আপনার পরিবারের নারী, শিশু, বৃদ্ধ, বয়স্ক ব্যক্তি বায়ু দূষণের হাত থেকে রক্ষা পায়।
  • সন্তানদের কাছে আপনি একজন আদর্শ বাবা অথবা মা হয়ে উঠতে পারবেন। তাদেরকে আপনি সহজে শিখাতে পারবেন ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর ।
  • বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা থাকা যায়।
  • স্মরণ শক্তি স্বাভাবিক থাকে। 
  • উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

ধূমপান ছাড়ার ১৫ টি সহজ উপায়

  • ধূমপান ছাড়ার যতগুলো উপায় আছে তার মধ্যে সবচেয়ে সহজ এবং প্রধান উপায় হচ্ছে আপনার মনোবল। আপনি মানসিকভাবে যদি স্থির করেন যে আপনি ধূমপান ত্যাগ করবেন তাহলে অবশ্যই আপনি ধূমপান ত্যাগ করতে পারবেন। আপনাকে মনে মনে অবশ্যই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হতে হবে যে আপনি আর ধূমপান করবেন না। 
  • আপনি যদি মনে মনে স্থির করেন বা দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন যে আর ধূমপান করবেন না তাহলে একটা নির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ করুন। মনে করুন আজকে সোমবার, আপনি প্রতিজ্ঞা করলেন আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে আপনি আর একটা সিগারেটও ধরাবেন না। 
  • তারিখ নির্ধারণ হয়ে গেলে আপনি নিজে নিজেকে প্রশ্ন করুন আপনি কেন ধূমপান ছেড়ে দিবেন অথবা ধূমপান ছেড়ে দেওয়া আপনার জন্য জরুরী কেন।  এক্ষেত্রে ধূমপান ছেড়ে দিলে কি কি উপকার আপনি পাবেন এই বিষয়ে কিছু নোট করতে পারেন। সে উপকার গুলোর দিকে যখন আপনি তাকাবেন তখন ভেতর থেকে আপনি একটা সাহস পাবেন ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার। 
  • এরপরে আপনার আত্মীয়-স্বজন আপনার বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে যাদেরকে সম্ভব তাদেরকে আপনি জানান যে আপনি ধূমপান ছেড়ে দিতে চাচ্ছেন। এর ফলে কি হবে আপনি যদি ভুলবশত তাদের সামনে ধূমপান করে ফেলেন তবে তারাই আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিবে যে আপনি ধূমপান ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। 
  • আপনার বাসা থেকে বা আপনার রুমে থেকে ধূমপান সম্পর্কিত বিভিন্ন উপকরণ যেমন সিগারেট, ছাইদানি, লাইটার, সিগারেটের প্যাকেট ইত্যাদি এগুলো যতটা সম্ভব দূরে রাখুন আপনি আপনার বাসায় ঢুকলে বা রুমে প্রবেশ করলে যেন এসব আপনার চোখে না পড়ে। 
  • ধূমপান যাতে সহজে ছাড়তে পারেন এবং ধূমপানের নেশা থেকে যেন বেরিয়ে আসতে পারেন এর জন্য বেশ কিছু চিকিৎসা বা ওষুধ রয়েছে যেগুলো নেওয়ার জন্য অবশ্য আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। 
  • ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া যতটা সহজ তা মেনে চলে ধূমপান একদম ছেড়ে দেওয়া ততটাই কঠিন।  আপনি সিদ্ধান্ত নিলেন ভালো কথা কিন্তু কিছুদিন পরে দেখা যাবে প্রচন্ড নেশা উঠে গেছে আপনার ধূমপান করার জন্য। সে ক্ষেত্রে আপনার প্রিয়জন যেমন প্রিয় বন্ধু, মা বাবা, স্ত্রী, বোন ইত্যাদি  এদের কারো সাথে আপনি কথা বলতে পারেন, আপনার মনের  অস্থিরতা টা তাদের জানাতে পারেন। 
  • ধূমপানের জন্য খুব অস্থিরতা লাগলে আপনি আপনার ঘরে বা বাসায় বেশকিছু খাবার আইটেম রাখতে পারেন। যেমন চকলেট, শুকনো জাতীয় ফল যেমন কিসমিস, কাজুবাদাম ইত্যাদি। এছাড়া বিভিন্ন ফলের জুস খেতে পারেন। 
  • নিজেকে যেকোনো রকম ভাল সৃজনশীল কাজে ব্যস্ত রাখতে পারেন। সে ক্ষেত্রে মানসিকভাবেও আপনি ধূমপান থেকে দূরে থাকতে পারবেন। নিজেকে ব্যস্ত রাখা হিসেবে আপনি কিছু লেখা লেখির কাজে ব্যস্ত রাখতে পারেন, ঘর গোছানোর কাজে ব্যস্ত থাকতে পারেন, আপনি রান্না শিখতে পারেন।  
  • খুঁজে বের করুন ধূমপান করার কারণ কি আপনি নিছো কি শখের বসে কি ধূমপান করতেন নাকি সহজ ব্যবস্থার কারণে আপনি ধূমপান করতে বাধ্য হতেন।  ব্যাপারটা একটু ব্যাখ্যা করি তাহলে বুঝবেন।  ধরুন আপনার বন্ধুরা সবাই স্মোকিং করে সেক্ষেত্রে আপনিও শখ করে ধূমপান শুরু করেছেন এখন আপনি নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এক্ষেত্রে আপনার মনোবল আপনাকে ধূমপান ছাড়তে সাহায্য করবে।  এবার যদি ধরি সমাজ ব্যবস্থার কথা তাহলে বলা যেতে পারে ধরুন আপনি একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছেন সেখানে যদি ধূমপান করাটা একটা স্মার্টনেস হয়ে থাকে এবং সে ক্ষেত্রে আপনি নিজেকে যদি স্মার্ট ভাবতে না পারেন তাহলে হয়তো আপনি বাধ্য হয়ে ধূমপান করছেন। তো এরকম যদি কোন ঘটনা ঘটে থাকে তবে আপনার উচিত হবে এই ধরনের পরিবেশ থেকে নিজেকে সরিয়ে ফেলা। 
  • যারা আপনার থেকে বয়সে ছোট তাদের সব সময় ধূমপানের কুফল গুলো বলুন তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করুন ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর।  এর ফলে আপনি বাইরে কখনো ধূমপান করতে পারবেন না। হঠাৎ যদি তাদের সামনে ধূমপানরত অবস্থায় পড়ে যান অবশ্যই আপনাকে লজ্জিত হতে হবে। 
  • ধূমপান ছাড়তে নিজেকে উৎসাহিত করার জন্য আপনি নিজেই নিজেকে পুরস্কৃত করতে পারেন অথবা আপনি আপনার ফ্যামিলির লোকজনকে বলে রাখতে পারেন প্রতি সপ্তাহে আপনাকে ছোট হোক বা বড় হোক দামি বা কম দামি পুরস্কার দেওয়ার জন্য। 
  • একা থাকা পরিহার করুন। সব সময় চেষ্টা করবেন কাছের ঘনিষ্ঠজন অথবা পরিবারের লোকজনের সাথে সময় কাটাতে। সেই ক্ষেত্রে আপনার ধূমপান করার ইচ্ছা জাগলেও করতে পারবেন না । একা থাকলে ধূমপান পরিহারের উপকারিতা গুলো মনে করুন সে ক্ষেত্রে আপনার বিবেক আপনাকে বাধা দিবে ধুমপান করতে.
  • সারাদিনে দুই তিন ঘণ্টা পর পর চুইংগাম বা আদা চিবানো আপনাকে ধূমপান থেকে অনেক দূরে রাখতে সাহায্য করবে। 
  • সুকৌশলে চেষ্টা করুন আপনার ধূমপায়ী বন্ধুদের থেকে দূরে থাকতে আপনার যতই ঘনিষ্ঠ বন্ধু হোক না কেন আপনার নিজের সুস্থ জীবনের জন্য এসব ধূমপায়ী বন্ধুদের এড়িয়ে চলুন। 
  • গত মাসে ধূমপানের কারণে আপনার কত খরচ হয়েছে সেই হিসাবটা বের করার চেষ্টা করুন।  এবার লিস্ট তৈরি করুন সেই টাকা দিয়ে আপনি ভাল কাজ কি কি করতে পারতেন। ধরুন সে টাকা দিয়ে আপনি একজোড়া জুতো কিনতে পারতেন অথবা আপনি শার্ট এবং প্যান্ট কিনতে পারতেন ইত্যাদি।  এসব চিন্তা আপনাকে ধূমপান ছাড়তে সাহায্য করবে।

লেখকের মন্তব্য

যে কোন বিবেকসম্পন্ন মানুষের উচিত ধূমপান ত্যাগ করা। ধূমপান শুধু অর্থনৈতিক বা সামাজিক অবক্ষয় নয়, মানবিক অবক্ষয় চরম পর্যায়ে ঘটায়। উপরের আলোচনার মধ্য দিয়ে ধুমপানের বিস্তারিত বিশেষ করে ধূমপান পরিহারের উপকারিতা, ধূমপানের ক্ষতিকর দিক এবং ধূমপান ত্যাগ করার ১৫ টি সহজ উপায় জানানোর চেষ্টা করলাম। আশা করি আপনাদের অনেক উপকার হবে।

আরও পড়ুনঃ স্মার্টফোনের আয়ু কমে যে কারনে | স্থায়িত্ব কমার কিছু কারন জানুন

ধূমপান থেকে মুক্তি পেতে আর্টিকেলটি আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনকে শেয়ার করতে পারেন। আর কোন মন্তব্য থাকলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট লিখে জানাতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুবিন পিডিয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url