তুলসী পাতার অপকারিতা এবং তুলসী গাছের পরিচিতি
ইন্টারভিউতে এটেন্ড করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করবেন কিভাবে জেনে নিন
প্রাচীনকালে যখন চিকিৎসা শাস্ত্রের এত উন্নতি হয়নি তখন সাধারণ মানুষ বিভিন্ন ধরনের গাছ বা বিভিন্ন ভেষজ উপাদানের উপর নির্ভরশীল ছিল চিকিৎসার জন্য। এ ধরনের গাছগুলোকে সাধারণত ঔষধি গাছ বলা হয়। তুলসী পাতার উপকারিতার কথা সবারই জানা থাকলেও তুলসী পাতার অপকারিতা কি কি সে বিষয়ে অনেকে আমরা জানি না।
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা তুলসী পাতার উপকারিতা, অপকারিতা এবং তুলসী গাছের পরিচিতি সম্পর্কে জানব।
ভূমিকা
অন্য যে কোন ঔষধি গাছের চাইতে তুলসী গাছ অত্যন্ত বেশি গুরুত্বপূর্ণ তার কারণ তুলসী গাছ যে কোন জায়গায় দেখা যায় এবং তুলসী গাছ পরিচর্চা করার জন্য তেমন কোন চেষ্টার প্রয়োজন নাই। অনেক সময় রাস্তাঘাটে আনাচে-কানাচে অনেক অবহেলায় এই গাছটিকে আমরা দেখতে পাই।
বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গাছ যেমন নিম, তুলসী, চিরতা, পাথরকুচি, কেশরাজ, বাসক, অর্জুন, জবা, দুর্বা, ধুতুরা, থানকুনি, স্বর্ণলতা ইত্যাদি দেখা যায়। তবে যারা এর গুরুত্ব বোঝেন তারা অত্যন্ত যত্নের সাথেই বাসা বাড়িতে বারান্দায় টবে যেখানে হোক না কেন লাগিয়ে পরিচর্যা করেন।
তুলসী একটি ঔষধি গাছ
তুলসী গাছকে ঔষধি গাছ বলা হয় কারণ আমাদের শরীরের মাথা থেকে পা পর্যন্ত বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য তুলসীর রয়েছে বিশেষ গুণ। আর এই গাছের এত গুনাগুন অথবা এত কদর একটাই কারণ সেটা হচ্ছে যে এই গাছের পাতা শেকর বাকল বীজ ফুল সবকিছুই প্রয়োজনে কোন কিছু ফেলে দেওয়ার মত নাই।
শুধু চিকিৎসা ক্ষেত্রেই যে তুলসী প্রয়োজন হয় তা নয় এর একটি বিশেষ গুণ হচ্ছে মশা তাড়ানো অথবা শরীরের কোথাও মশা কামড়ালে সেখানে যে ফুলে যায় সেটা কমাতেও তুলসীর রয়েছে অতুলনীয় গুণ। প্রাচীনকালে যখন চিকিৎসা বিজ্ঞানের এমন উন্নতি হয়নি তখন সাধারণ মানুষ এসব ঔষধি গাছ বিশেষ করে এই তুলসী গাছ ব্যবহার করে অনেক অসুবিসুখ থেকে বেঁচে থাকত
এখন চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির কারণে অনেক ওষুধ আবিষ্কার হওয়ার ফলে এখন এই গাছের গুরুত্ব হয়তো অনেকে বোঝেনা বা জানে না কিন্তু যারা জানে তারা নিয়মিত এখনো তুলসী গাছ ব্যবহার করে বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। আসুন এখন আমরা সহজভাবে তুলসী পাতা অর্থাৎ তুলসী গাছ সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেই।
তুলসী গাছের পরিচিতি
তুলসী একটি বাংলা শব্দ যার ইংরেজি হচ্ছে holy basil. এর বৈজ্ঞানিক নাম হল Ocimum Sanctum. তুলসী একটি ঔষধি গাছ যার বাংলা আভিধানিক অর্থ হলো “তুলনা নেই”। তুলসী দেখতে সুন্দর একটি গুণ্য যেটি শাখা প্রশাখা বিশিষ্ট হয় এবং উচ্চতায় প্রায় তিন থেকে চার ফুট উঁচু হতে পারে। এর কান্ড সাধারণত কাষ্ঠল হয়।
১৫ হাজার টাকার মধ্যে ২০২৪ সালের সেরা ৫ টি ফোন সম্পর্কে জেনে নিনতুলসী গাছের পাতা এবং ফলে একটি ঝাঁঝালো গন্ধ থাকে তুলসী গাছ প্রচুর অক্সিজেন উৎপন্ন করে থাকে যে কারণে এটি অক্সিজেন সিলিন্ডার নামেও পরিচিত। বাংলাদেশ এবং ভারতের প্রায় সর্বত্র বহুল পরিচিত একটি চিরহরিৎ গুল্ম এই তুলসী। তবে এশিয়া মহাদেশের অন্যান্য বিভিন্ন দেশেও তুলসী কম পরিসরে হলেও দেখা যায়। সনাতন ধর্মে তুলসী গাছের গুরুত্ব অনেক।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে খুব সচরাচর দেখা যায় এই তুলসী গাছ। তারা দেবী হিসেবে তুলসী গাছকে পুজো করে থাকে। তুলসী পাতায় বিভিন্ন রকম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যেমন কার্বোহাইড্রেট প্রোটিন ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম আয়রন ম্যাগনেসিয়াম সোডিয়াম ফসফরাস রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ, ই, কে, সি, বি৬ ইত্যাদি।
তুলসী পাতার উপকারিতা
তুলসী পাতার অপকারিতা গুলো জানার আগে অবশ্যই আমাদের জানতে হবে তুলসী পাতার উপকারিতা কি কি আছে। চলুন জেনে নেয়া যাক।
সর্দি কাশি: সর্দি কাশির ঔষধ হিসেবে তুলসী পাতা খুব একটু দুটো তিনটে চারটেই জনপ্রিয় এই পাতার এতই গুনাগুন মাত্র তিন থেকে চারদিন নিয়মিত খেলে অবশ্যই আপনার সর্দি কাশি কমে যাবে। সর্দি কাশি কমানোর জন্য আপনি সরাসরি পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা তুলসির পাতা পানিতে ফুটিয়ে চা করেও খেতে পারেন। কাঁচা পাতা অথবা ফুটানো পাতার সাথে অল্প পরিমাণ মধু এবং কিছু লেবুর রস মিশিয়ে খেলে খুব দ্রুত উপশম পাওয়া যায়। বুকে যদি কফ জমে থাকে তবে এই পানি খেলে খুব সহজে এসে কফ গলে নিচে নেমে যায়।
মরণব্যাধি ক্যান্সারঃ ঘরোয়া ভাবে ক্যান্সার থেকে অনেকটাই আমাদেরকে দূরে একটা সাহায্য করবে তুলসী পাতা। তুলসী পাতায় রয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যেটির নাম রেডিওপ্রটেকটিভ। অগ্নাসয় টিউমার, ব্রেস্ট ক্যান্সারের মতো খুব ভয়ঙ্কর অসুখ থেকে আমাদেরকে দূরে রাখে এ তুলসী পাতা। তুলসী পাতার রোসমারিনিক এসিড, মাইরেটিনাল, লিউটিউলিন এবং এপিজেনিন উপাদানগুলো ক্যান্সারের বিরুদ্ধে খুবই কার্যকরী।
স্থুলতাঃ রক্তের সুগার এবং কোলেস্টেরল কমাতে তুলসীপাতা দারুন কাজ করে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে প্রতিদিন সকালে চার থেকে পাঁচটি তুলসীর তাজা পাতা চিবিয়ে খেলে ওবিসিটি বা স্থূলতা এবং লিপিড প্রোফাইল নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যার ফলে সহজে শরীরের ওজন কমে যায়।
রোগ প্রতিরোধঃ আমরা জানি ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, তবে তুলসী পাতাও কম যায় না। জ্বর হলে তুলসী পাতা খেলে তা ওষুধের মত কাজ করে। কোন সমস্যা ছাড়াও আপনি নিয়মিত প্রতিদিন যদি তুলসির পাতা পানিতে ফুটিয়ে চায়ের মত করে পান করলে সর্দি কাশি বা জ্বর এর মত অসুখ থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি। শরীরের কোন স্থান কেটে গিয়ে রক্তপাত হলে সেখানে তুলসী পাতা বেটে লাগালে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায় এবং সে ক্ষত স্থানটা খুব দ্রুত শুকিয়ে যায় ।
গলা ব্যথাঃ যে কোন ধরনের গলা ব্যথার সমস্যায় পড়লে আপনি অবশ্যই ভরসা রাখতে পারেন তুলসীপাতার উপর। জ্বর সর্দি কাশির কারণে গলা ব্যাথা হোক কিংবা টনসিলের সমস্যার কারণে গলা ব্যথা হোক উভয় ধরনের গলা ব্যথার সমস্যাতে রোজ ৪-৫ টা তুলসী পাতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
পাসপোর্ট দরকার? ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম এবং খরচ জেনে নিনবুকের সমস্যাঃ আগেই বলেছি কাশি সারাতে তুলসী পাতা অতুলনীয়। এছাড়াও শ্বাসকষ্ট, এজমা, ব্রংকাইটিস, ফুসফুসের সমস্যার মতো বিভিন্ন সমস্যার মোকাবেলায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তুলসী পাতা। হার্ট এর বিভিন্ন সমস্যার শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হল তুলসী পাতা। তুলসী পাতার রস রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় এবং রক্তের চলাচলকে সহজ করে। ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায়।
পেটের রোগঃ পেটের বিভিন্ন রকম সমস্যায় তুলসী পাতা একদম নায়কের ভূমিকা পালন করে। গ্যাস কোষ্ঠকাঠিন্য, আলসার, পেট ব্যাথা ইত্যাদি সমস্যা সমাধানে তুলসী বেশ উপকারী।
ডায়াবেটিস: আমরা ডায়াবেটিস থেকে দূরে থাকতে চাইলে অবশ্যই আমাদের রক্তের সুগারের মাত্রা কম থাকতে হবে এবং সুগারের মাথা তখনই কম থাকবে যখন রক্তে ইনসুলিন উৎপাদন হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে। আর এই ইনসুলিন উৎপাদনের কাজটা সহজ করে দেয় তুলসী পাতা। তুলসী পাতার বিদ্যমান বিভিন্ন উপাদান ডায়াবেটিস রোধ করে থাকে।
ডিহাইড্রেশনঃ আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে আমাদের শরীর থেকে বিভিন্ন রকম বিষক্রিয়া পদার্থ বের করে ফেলতে হয়। আর এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করে থাকা করে থাকে তুলসিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান গুলো। এতে ডিহাইড্রেশন হয় না এবং কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক কমে যায় ।
শরীর ব্যথাঃ জ্বরের কারণে আমাদের শরীরে অনেক সময় ব্যথা হয়। এছাড়াও আমরা অনেক সময় হইচই করার কারণে বা কোলাহলপূর্ণ কোন জায়গায় কাজ করার কারণে অথবা অনেকক্ষণ গ্যাঞ্জামের মধ্যে থাকার কারণে আমাদের মাথা ব্যথা করে। এই ক্ষেত্রে তুলসী পাতা আপনার জন্য খুব সহজলভ্য সহজ একটি সমাধান হতে পারে ।
ছোটখাটো বিষয়ঃ
- যেমন মাঝেমধ্যে আপনি যদি কোন সমস্যা ছাড়ে তুলসী পাতা খান অবশ্যই সেটা অল্প পরিমাণে হতে হবে তবে আপনার মুখে রুচি বাড়বে।
- অনেক সময় আমাদের বিভিন্ন কারণেই চোখ ফুলে যায় চোখ চুলকায় চোখ ব্যথা করে। এর জন্য রাতে তুলসীর কয়েকটি পাতা যদি ভিজিয়ে রেখে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই সেই পাতা ভেজানো পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেললে সহজে চোখের সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায়।
- এছাড়া চোখের ছানি এবং গ্লুকোমার মত সমস্যা থেকেও আমরা রেহাই পেতে পারি তুলসী পাতার মাধ্যমে। তবে গুরুতর কোন সমস্যা হলে অবশ্যই চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
- আবার নারীদের জন্য তুলসী পাতা হতে পারে একটি প্রসাধনী আপনি ত্বক উজ্জ্বল এবং মুশফিক করতে চাইলে মাঝেমধ্যে তুলসী পাতা বেটে কিছুক্ষণ আপনার মুখে লাগিয়ে রাখুন এরপর পরিষ্কারভাবে ধুয়ে ফেলুন নিয়মিত কাজ করলে দেখতে পাবেন আপনার ত্বক অনেক উজ্জ্বল হয়ে যাবে
তুলসী পাতার অপকারিতা
তুলসী পাতার উপকারিতার কথা লিখে বা বলে শেষ করা যায় না তবে দুনিয়াতে প্রত্যেকটা জিনিসই ভালো এবং মন্দ দিক আছে। সে ক্ষেত্রে তুলসী পাতার কিছু কিছু খারাপ দিক আছে তবে সে খারাপ দিকটা তখনই আসবে যখন এ তুলসী পাতা কে মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার করব বা সেবন করব। আসুন জেনে নেই তুলসী পাতার অপকারিতা বা বিরূপ প্রতিক্রিয়া গুলো।
নারীদের ক্ষেত্রেঃ তুলসী পাতার অনেক গুণ আছে এটা ভেবে যদি কেউ প্রত্যেকদিন অপ্রয়োজনীয় ভাবে অতিমাত্রায় এটি গ্রহণ করে তবে সেটি অবশ্যই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। নারীদের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় বা স্তন্যপান করানোর সময় অবশ্যই তুলসী পাতা এড়িয়ে চলায় উত্তম অতিরিক্ত তুলসী পাতার গ্রহণ অনেক সময় নারীদের গর্ভধারণে অনেক বাধা সৃষ্টি হয়।
পুরুষদের ক্ষেত্রেঃ মাত্রাতিরিক্ত তুলসী পাতার ব্যবহার পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে। পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা অনেক আংশিক কমিয়ে দেয় তুলসী পাতার অতিরিক্ত ব্যবহার।
রক্তপাতঃ তুলসী পাতার গুনাগুন সম্পর্কে আপনারা জেনেছেন তুলসী পাতা রক্ত পাতলা করে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে ফলে বিভিন্ন রকম হৃদরোগ থেকে আমরা বাঁচতে পারি। তবে তুলসী পাতার অতিরিক্ত ব্যবহারে রক্ত এতই পাতলা হয়ে যায় যে কোন অংশ কেটে গেলে তখন স্বাভাবিক রক্ত জমাট বাঁধার যে প্রক্রিয়া সেটি ব্যাহত হয়। ফলে রক্তপাতের মত সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তাই অতিরিক্ত তুলসী পাতা ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। যেকোনো অপারেশন বা সার্জারির আগে এবং পরে তুলসী পাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
নিম্ন রক্তচাপঃ কারো নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা থেকে থাকলে অবশ্যই তুলসী পাতা থেকে দূরে থাকুন। নিম্ন রক্তচাপের অন্যতম কারণ হচ্ছে পটাশিয়াম আর এই পটাশিয়াম থাকে তুলসী পাতায়।
দাঁতঃ ঝকঝকে সাদা দাঁত আমাদের সকলেরই কাম্য। আমরা সবাই চেষ্টা করি আমাদের দাঁত যেন সুন্দর হয়। দাঁত সুন্দর হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে দাঁতে থাকে এনামেল। তবে আপনি যদি বেশি পরিমাণে অর্থাৎ প্রয়োজনের অতিরিক্ত তুলসী পাতা চিবিয়ে খান তবে তুলসীতে থাকা পারদ এবং আয়রন দাতের সেই এনামেলকে নষ্ট করে যার ফলে দাঁতের সৌন্দর্য নষ্ট হয় এবং এর ফলে কোন কোন ক্ষেত্রে দাঁতের ব্যথার কারণ হতে পারে।
লেখকের মন্তব্য
ভেষজ চিকিৎসায় এবং আয়ুর্বেদী চিকিৎসায় তুলসীর ব্যবহার কত বিস্তৃত পর্যায়ের সেটা আমরা উপরের আলোচনা থেকেই জানতে পারলাম। যেকোনো ওষুধ সেবনে তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় কিন্তু পরিমিত এবং প্রয়োজনীয় পর্যায়ে যদি তুলসীর পাতা খাওয়া যায় তবে তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া একদমই নেই। এক্ষেত্রে আমরা তুলসী পাতার অপকারিতা না পেয়ে শুধু তুলসী পাতার উপকারিতা পেতে পারি।
তাই আমরা যারা শহরে থাকি আমাদের উচিত বাসা বাড়িতে বারান্দায় টবে যে আমরা বিভিন্ন ফুলের গাছ লাগাই সেখানে অন্তত একটি করে যেন তুলসী গাছ রাখি। মানুষের কাছে আমরা তুলসী গাছের পরিচিতি তুলে ধরতে পারি।
উপরের আর্টিকেল পড়ে যদি আপনাদের কোন উপকার হয়ে থাকে তবে অবশ্যই আপনাদের প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করবেন আর কোন জিজ্ঞাসা থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।
মুবিন পিডিয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url